রংপুরে গণপরিবহনে দেদারছে ধূমপান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, রংপুর
রংপুরে গণপরিবহনে চলছে প্রকাশ্যে ধূমপান, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

রংপুরে গণপরিবহনে চলছে প্রকাশ্যে ধূমপান, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরের অধিকাংশ পাবলিক প্লেসে ধূমপায়ীরা দেদারছে ধূমপান করছেন। বিশেষ করে গণপরিবহনে অর্থাৎ অটোরিকশা, রিকশা, সিএনজি ও আন্তঃজেলায় চলাচলকৃত লোকাল বাসগুলোতে চলে দেদারছে ধূমপান। এতে করে ধূমপায়ীদের পাশাপাশি যানবাহনে থাকা অন্য যাত্রীরাও সমান ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) রংপুর মহানগরীর বিভিন্ন এলাকাঘুরে এমন চিত্রই চোখে পড়ে। অথচ পাবলিক পরিবহন বা গণপরিবহনে ধূমপান আইনগতভাবে নিষিদ্ধ।

দুপুরে রংপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে বিভিন্ন বয়সী লোকের সমাগম। পাশেই বেশ কয়েকজন ধূমপায়ী সিগারেট টানছেন। বাস টার্মিনালের অদূরেই হাইওয়ে রাস্তায় চলন্ত অটোরিকশায় এক যাত্রীকে সিগারেট টানতে দেখা গেল। অটোরিকশাটি থামিয়ে গণপরিবহনে কেন ধূমপায়ী করছেন এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর না দিয়ে সে সিগারেটটি ফেলে দেয়।

এ সময় ওই অটোরিকশায় থাকা নাজমীন নাহার নামে স্কুলপড়ুয়া এক যাত্রী বলে উঠলেন, ‘ধূমপানের গন্ধে আমাদের নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছে- এজন্য ওনাকে (ধূমপানকারী) বেশ কয়েকবার সিগারেটটি ফেলে দিতে অনুরোধ করলেও তিনি ফেলেননি।’

একইভাবে মহানগরীর পার্কের মোড়, শাপলা চত্বর, পায়রা চত্বর, মেডিক্যাল মোড়, দর্শনা, সাতমাথা, বাংলাদেশ ব্যাংক মোড়সহ বেশ কয়েকটি এলাকার রাস্তায় অটোরিকশা-রিকশা-সিএনজিতে চালক ও যাত্রীদের ধূমপান করতে দেখা গেছে।

এভাবে গণপরিবহনে দেদারছে ধূমপানের ফলে পাশের যাত্রীরাও সমান ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। এতে ধূমপায়ী-অধূমপায়ীরা ক্যান্সার, আলসার, হাইপ্রেসার, হৃদরোগসহ ধূমপানজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বলে জানান উন্নয়ন ও মানবাধিকার সংস্থা এ্যাসোসিয়েশন ফর কম্যুনিটি ডেভেলপমেন্ট-এসিডির তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের রংপুর অঞ্চলের অ্যাডভোকেসি অফিসার মো. তুহিন ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘গ্লোবাল এ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে-গ্যাট্স’ এর ২০১৭ রিপোর্ট অনুযায়ী- দেশের গণপরিবহনে যাতায়াতকারী দুই কোটি ৫০ লাখ মানুষ পরোক্ষভাবে ধূমপানের শিকার। এর উল্লেখযোগ্য একটি অংশ ধূমপানজনিত নানা রোগে আক্রান্ত। রংপুরেও গণপরিবহনে যাত্রী এবং চালকদের অনেক বেশি ধূমপান করতে দেখা যায়। গণপরিবহনে পরোক্ষ ধূমপানের হাত থেকে যাত্রীদের বাঁচাতে হলে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সঠিক বাস্তবায়ন জরুরি।’

এদিকে, গণপরিবহনে ধূমপান বন্ধের পদক্ষেপ হিসেবে ২০ হাজার স্টিকার তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র। পাশাপাশি রংপুর সিটিকে তামাকমুক্ত করতে তার নানা পরিকল্পনা রয়েছে।

এ ব্যাপারে মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন আছে কিন্তু এর বাস্তব প্রয়োগ নেই। অন্তত পাবলিক প্লেসে যাতে ধূমপান না হয় এজন্য ‘স্মোকিং জোন’ তৈরির উদ্যোগের কথা ভাবছি। এছাড়া এক মাসের মধ্যেই জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে মহানগর এলাকায় আমরা বড় ধরনের একটি র‌্যালি করার উদ্যোগ নিয়েছি।’

   

রাজশাহীতে পেনশন স্কিমে রেজিস্ট্রেশন পৌঁছেছে সাড়ে ৯ হাজারে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,রাজশাহী
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের সকল নাগরিকের জন্য অবসরকালীন আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করেছেন। এরই মধ্যে রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় সাড়ে ৯ হাজার রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহম্মদ হুমায়ুন কবীর এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, দেশের সকল নাগরিকের জন্য অবসরকালীন আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করেছেন। এ সুবিধা সাধারণ মানুষের হাতে কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলায় ১২৫টি স্টল থাকবে। এতে সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করবে। মেলায় দর্শনার্থীরা সরাসরি পেনশন স্কিমের জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

দেশের প্রথম রাজশাহীতে সর্বজনীন পেনশন মেলা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ ও রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় যৌথ আয়োজনে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) হাজী মুহম্মদ মুহসীন স্কুল মাঠে এ মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানন্ত্রীর মুখ্যসচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। পরে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সম্মেলন কক্ষে সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিষয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য গোলাম মোস্তফা। এছাড়া সর্বজনীন পেনশন স্কিমের প্রচারকৌশল বিষয়ে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকি।

সর্বজনীন পেনশন স্কিম সাফল্যমণ্ডিত করার কৌশল নির্ধারণের বিষয়ে আলোচনা করবেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী অথরিটির এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান ফসিউল্লাহ্ এবং এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক সাইদুর রহমান। কর্মশালায় সূচনা ও সমাপনী বক্তব্য রাখবেন প্রধানন্ত্রীর মুখ্যসচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।

কর্মশালায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান, এনজিও এর প্রতিনিধিবৃন্দ, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ, বিভাগের সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পুলিশ সুপার , জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কর্মকর্তারা অংশ নেবেন।

;

মাগুরায় ১৯০০ কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মাগুরা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মাগুরা সদর উপজেলার ১ হাজার ৯০০জন কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে উফশী বোরো আউশ ধান বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক
মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো. ইয়াছিন আলী, অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (উদ্যান) কৃষিবিদ প্রকাশ চন্দ্র সরকার, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আউশ ধানের চাষের লক্ষে মাগুরা সদর উপজেলার ১ হাজার ৯০০ উপকারভোগী কৃষকের প্রত্যেককে জনপ্রতি ৫ কেজি করে ধান বীজ, ১০ কেজি করে এমওপি ও ১০ কেজি করে ডিএপি সার বিতরণ করা হচ্ছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে খরিপ- ১/২০২৪-২০২৫ মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বিনামূল্যে উফশী রোপা আউশ ধানের এ বীজ ও সার দেয়া হচ্ছে।

;

রাঙামাটির চন্দ্রঘোনায় পলাতক ৭ আসামি গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাঙামাটি
রাঙামাটির চন্দ্রঘোনায় পলাতক ৭ আসামি গ্রেফতার

রাঙামাটির চন্দ্রঘোনায় পলাতক ৭ আসামি গ্রেফতার

  • Font increase
  • Font Decrease

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলাধীন চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশ এর বিশেষ অভিযানে সি আর মামলার পরোয়ানাভুক্ত সাত পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

চন্দ্রেঘোনা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আনচারুল করিম আসামিদের গ্রেফতারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি জানান, সম্প্রতি রাঙামাটির আদালত থেকে আমাদের থানায় আসামিদের গ্রেফতারের নির্দেশনা সম্বলিত ওয়ারেন্ট আসে। তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এই সময়ে চন্দ্রঘোনা থানার এস আই মকবুলের নেতৃত্বে এস আই মাহবুব, এএস আই তাহের, এএস আই মনির, এএস আই তপন সঙ্গীয় ফোর্সসহ রাইখালী ইউনিয়নের জগনাছড়ি, কারিগর পাড়া এবং রাইখালী এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে সি আর মামলা নং- ৫০৯/২৩ এর পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামী ক্য প্রু মার্মা, মাহলাচিং মারমা, অংছাইং মার্মা, থোয়াই চিং মার্মা, ক্যজইউ মার্মা,মইক্রাই মার্মা এবং সাচিংমং মারমাকে গ্রেফতার করা হয়।

আসামিরা সকলেই কাপ্তাই উপজেলাধীন রাইখালী ইউনিয়নের জগনাছড়ি এলাকার বাসিন্দা। 

গ্রেফতারকৃতদের বৃহস্পতিবার বিকেলে রাঙামাটির আদালতে প্রেরণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন চন্দ্রঘোনা থানার ওসি আনচারুল করিম।

;

চুরি হওয়া ৩৪টি ফোন উদ্ধার করে ফিরিয়ে দিলো পিরোজপুরের পুলিশ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পিরোজপুর
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

পিরোজপুর জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে চুরি যাওয়া ৩৪টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে এর প্রকৃত মালিকদের হাতে তুলে দিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর, ভাণ্ডারিয়া, কাউখালীসহ মঠবাড়িয়া থানা থেকে চুরি হওয়া ৩৪টি মোবাইল ফোন পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে মালিকদের হাতে তুলে দেন পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম (পিপিএম)।

এ বিষয়ে পুলিশ সুপার জানান, পিরোজপুর জেলার বিভিন্ন থানা থেকে চুরি হওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধারের জন্য জেলা পুলিশের আইটি দল সব সময়ই কাজ করে আসছে।

চুরি হওয়া ৩৪টি মোবাইল ফোন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার এর প্রকৃত মালিকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ২০২২ সালে চুরি হওয়া দুটি ফোনও উদ্ধার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এছাড়াও পিরোজপুর জেলা পুলিশের আইটি টিম মোবাইল ব্যাংক লেনদেনে প্রতারিত হলে তাদের টাকা উদ্ধারসহ সোশ্যাল মিডিয়ার যে কোনো সমস্যা সমাধানে কাজ করে আসছে। বিশেষ করে ফেসবুকসহ সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কাউকে হয়রানি করা বা গুজব প্রতিরোধে দ্রুততা ও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে থাকে।

ফোনগুলো মালিকদের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার সময় পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পদোন্নতি পুলিশ সুপার) শেখ মোস্তাফিজুর রহমান, পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসিকুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

 

 

;