বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী সার্বিয়া
সার্বিয়া বাংলাদেশে ব্যবসা বাণিজ্যে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী আইভিকা ড্যাডিক। বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে সার্বিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎকালে তারা দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় ও ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার নিয়ে আলোচনা করেন।
এ সময় স্পিকার বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় যুগোস্লাভিয়া।’
বাংলাদেশের সঙ্গে সার্বিয়ার সম্পর্ক ঐতিহাসিক উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, ‘১৯৭৩ সালে যুগোস্লাভিয়ায় বঙ্গবন্ধুর সফরই দুই দেশের সম্পর্কের সূচনার ভিত।’
এ সময় তিনি তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মার্শাল টিটোর বাংলাদেশ সফরের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘তৈরি পোশাক শিল্পে বাংলাদেশের সুনাম রয়েছে। তৈরি পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থান ধরে রেখেছে।
বিশ্বের ১৮০টিরও বেশি দেশে বাংলাদেশে তৈরি ওষুধ রফতানি হয় উল্লেখ করে তিনি এসব খাতে সার্বিয়াকে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। এ সময় তিনি বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি আমদানি ও ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করারও আহ্বান জানান।
১৪১তম আইপিইউতে বাংলাদেশ সংসদীয় প্রতিনিধি দল অংশ নেওয়ায় ধন্যবাদ জানান সার্বিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে সার্বিয়া সম্পর্কোন্নয়নে আগ্রহী। যুগোস্লাভিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মার্শাল টিটো ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুসৃত রূপরেখা হতে পারে এর মূল ভিত্তি।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে ব্যবসা বাণিজ্যে বিনিয়োগ করতে সার্বিয়া আগ্রহী। আশা করি, পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে দু'দেশের বিদ্যমান সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে। এ সময় তিনি বাংলাদেশ সফরের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশ সংসদীয় প্রতিনিধি দলের সদস্য ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি তোফায়েল আহমেদ, শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আমির হোসেন আমু এবং ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান সিকদার উপস্থিত ছিলেন।