যুবলীগে বয়সসীমা, সিদ্ধান্ত দেবেন শেখ হাসিনা



রেজা-উদ্-দৌলাহ প্রধান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের জাতীয় কংগ্রেস আগামী ২৩ নভেম্বর। অর্ধযুগ পরে সংগঠনটির কংগ্রেসের তারিখ ঘোষণা হওয়ায় চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন যুবলীগের নেতাকর্মীরা। আর কংগ্রেসের আগে সংগঠনটির ভেতরে-বাইরে সবচেয়ে বেশি আলোচিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে নেতাকর্মীদের বয়সসীমা।

যুবলীগের দায়িত্বে ‘তথাকথিত’ যুবকরাই থাকবেন নাকি প্রকৃত যুবকরা দলের নেতৃত্বে আসবেন সেটা নিয়েই আলোচনা চলছে রাজনৈতিক মহলে। যুবলীগের পদপ্রত্যাশী তরুণদের দাবি, প্রকৃত যুবকদের হাতে যুবলীগের নেতৃত্ব তুলে দিয়ে দেশের যুবসমাজকে সংগঠিত করে বর্তমান সরকারের চলার পথকে মসৃণ করতে হবে।

অন্যদিকে যুবলীগের বর্তমান অনেক নেতা দাবি করেছেন, যুবলীগের মতো বৃহৎ সংগঠন এবং এর বিশাল কর্মীবাহিনীকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য অভিজ্ঞতার প্রয়োজন আছে। সে ক্ষেত্রে ৪০-৪৫ বছরে বয়সসীমা বেধে দিলে বর্তমান কমিটির ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ কেন্দ্রীয় নেতা বাদ পড়ে যাবেন। অথচ রাজপথে তাদের অনেক ত্যাগ, পরিশ্রম ও অভিজ্ঞতা রয়েছে।

যুবলীগের বয়সসীমা নিয়ে চারদিকে যখন নানা আলোচনা তখন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ জানিয়েছেন, বয়সসীমা নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা রয়েছে যুবলীগের পৃষ্ঠপোষক আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি। বয়সসীমা নির্ধারণ নিয়ে জানতে চাইলে হারুনুর রশীদ বলেন, আমরা এখনও এটা নিয়ে ভাবিনি। আমাদের অভিভাবক, আমাদের পৃষ্ঠপোষক, আমাদের নেত্রী রাষ্ট্রপ্রধান শেখ হাসিনা। যুবলীগের গঠনতন্ত্রে বয়সসীমা নিয়ে কোন কথা নেই। বয়সসীমা নির্ধারণ একটি মৌলিক বিষয়। এই মৌলিক বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আছে একমাত্র রাষ্ট্রপ্রধান শেখ হাসিনার। তিনি যেভাবে চাইবেন সেভাবেই হবে।

যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, গঠনতন্ত্রে আগে থেকে আছে এমন কোন বিষয় সংযোজন-বিয়োজন করা যায় সংগঠনের দলীয় ফোরামে সিদ্ধান্ত নিয়ে। কিন্তু মৌলিক কোন বিষয় সংযোজন করতে হলে অবশ্যই নেত্রী যেভাবে সিদ্ধান্ত দেবেন সেটাই হবে।

যুবলীগের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৪৫ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে- এমন ‘সিদ্ধান্ত’ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে হারুনুর রশীদ বলেন, এ বিষয়ে আমার কোন ধারণা নেই। আমাদের কোন ফোরামে এটি নিয়ে আলোচনা হয়নি।

যুবক কারা- সেটি নিয়ে নিজের ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গিও তুলে ধরেন হারুনুর রশীদ। তিনি বলেন, কে যুবক, কে যুবক নয় সেটা নির্ধারণ করা কিন্তু সহজ বিষয় নয়। আগে দেশের মানুষের গড় আয়ু ছিল মাত্র ৩৭ বছর। সেই ৩৭ বছরে তার যুবকত্ব কতুটুকু থাকতো সেটা বোঝাই যায়। এখন আমাদের দেশের মানুষের গড় আয়ু ৭৩ থেকে ৭৪ বছর। আন্তর্জাতিক মান অনুসারে ৫৯ বছর বয়স পর্যন্ত মানুষকে যুবক হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।

‘এখন মানুষের জীবনীশক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে, মানুষের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই কত বছর বয়স পর্যন্ত একজন ব্যক্তি যুবক থাকবে সেটা নির্ধারণ করাটা কিন্তু সহজ বিষয় নয়।'

যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, অভিজ্ঞতাও একটা বিষয় আছে। যুবলীগের মতো একটা বড় সংগঠন যাদের বিপুল কর্মীবাহিনী পরিচালনা করতে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ত্যাগী ও যোগ্য নেতৃত্বের প্রয়োজন আছে।

সম্প্রতি দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে যুবলীগের নেতাদের অপকর্মের খবর দেশের মানুষের মুখে মুখে। অবৈধ ক্যাসিনো বাণিজ্যে যুবলীগ নেতাদের সম্পৃক্ততা সংগঠনকে করেছে বিতর্কিত। আসন্ন কংগ্রেসের মধ্য দিয়ে যুবলীগের যে ইমেজ সংকট তৈরি হয়েছে সেটি কাটিয়ে ওঠা কতটুকু সম্ভব?

জবাবে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, অবশ্যই সম্ভব। এক সময় যেখানে সাগর ছিল, সেখানে কি শহর হয় না? আবার যেখানে শহর ছিল সেখানে সাগর হয় না? হয়েছে। যুবলীগের কিছু ব্যক্তির অপকর্মের দায় সংগঠন নেবে না। আসলে নেগেটিভ কোন কিছু আগে থেকে জানা যায় না। আপনারা সাংবাদিকরাও কিন্তু নেগেটিভ কোন কিছু আগে লেখেন না। লেখেন ঘটনা হওয়ার পরে। টুইন টাওয়ারে হামলার ঘটনাও কিন্তু আমেরিকা আগে জানতে পারেনি। পেরেছে হামলা হওয়ার পরে। তেমনি যুবলীগের কিছু লোকের অপকর্ম ঠেকাতে আমাদের সাবধানতার ঘাটতি ছিল। সেটি আমরা আগে চিহ্নিত করতে পারিনি, এটা আমাদের ব্যর্থতা। সেই ঘাটতি আমাদের কাটিয়ে উঠতে হবে। আমরা আশা করি আগামী নেতৃত্ব এই ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে যুবলীগকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। চলমান দুর্নীতি বিরোধী অভিযান আসলে যুবলীগের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে।

যুবলীগের আগামী জাতীয় কংগ্রেসে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে রদবদলের সম্ভাবনা কতুটুকু জানতে চাইলে হারুনুর রশীদ বলেন, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সবাই রাজপথে পরীক্ষিত, ত্যাগী নেতা। অনেকেই বেশ কয়েকটা কংগ্রেস পার করে বর্তমান নেতৃত্বে এসেছে। যুবলীগের নেতারা ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাই আগামী কংগ্রেসে যদি বয়সের কোন বাধা নিষেধ না থাকে তাহলে কমিটিতে ব্যাপক রদবদলের সম্ভাবনা কম। তবে আমরা সবসময় তরুণদের আগমন চাই সংগঠনে। তাই যারা সাবেক ছাত্রনেতা, রাজপথের পরীক্ষিত ও ত্যাগী কর্মী তারা এই কংগ্রেসের মধ্য দিয়ে সংগঠনের নেতৃত্বে আসবেন।

আসন্ন কংগ্রেস নিয়ে যুবলীগের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে হারুনুর রশীদ বলেন, আমাদের অনেক বড় সংগঠন, আছে বিশাল কর্মীবাহিনী। আগামী ২৩ নভেম্বর যুবলীগের জাতীয় কংগ্রেসের তারিখ নির্ধারিত হয়েছে। এই তারিখ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই যুবলীগের বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মীদের একটি মানসিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। যে প্রস্তুতিটুকু নেওয়া বাকি আছে সেটা আগামী ২০ অক্টোবর নেত্রীর সঙ্গে গণভবনে বৈঠক করে তারপর চূড়ান্ত করা হবে।

তিনি বলেন, আশা করি নেত্রীর নির্দেশনা মতো স্মরণকালের সবচেয়ে বড়, জাঁকজমকপূর্ণ সফল কংগ্রেস আমরা দেশবাসীকে উপহার দিতে পারব।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ দেশের প্রথম যুব সংগঠন যা ১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুব অঙ্গসংগঠন। প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন শেখ ফজলুল হক মনি। ২০১২ সালের ১৪ জুলাই বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ষষ্ঠ জাতীয় কংগ্রেসে চেয়ারম্যান পদে ওমর ফারুক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক পদে মো. হারুনুর রশীদ নির্বাচিত হন। দীর্ঘ সাত বছর পর সংগঠনটির সপ্তম কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৩ নভেম্বর।

   

নীলফামারীতে সার্কাসে রাত হলেই শুরু হয় অশ্লীলতা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা টটুয়ার ডাঙ্গায় সার্কাস ও যাদু প্রদর্শনীর নামে চলছে অশ্লীল নৃত্য। খোলামেলা পোশাকে এসব নাচ গানের আসরে পঙ্গপালের মতো হুমড়ি খেয়ে পড়ছে উঠতি বয়সের তরুণ ও যুবকরা। স্থানীয়দের অভিযোগ প্রশাসনকে জানালেও নেয়নি কোন ব্যবস্থা।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাত ১০ টায় দি রওশন গ্রেট সার্কাসে গিয়ে দেখা যায়, সার্কাসের প্যান্ডেলের ভিতরে মেয়েদের দিয়ে খোলামেলা আপত্তিকর নাচগান প্রদর্শন করা হচ্ছে। এসব নাচগানের বেশির ভাগ দর্শক হচ্ছে উঠতি বয়সের তরুণ ও যুবকরা। বিকাল ৩টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সার্কাসের শো পরিচালনা করার থাকলেও রাত ১২ টা পর্যন্ত চলে এসব অশ্লীল নৃত্য। এতে করে রাত যতই বাড়তে থাকে সার্কাসে শুরু হতে থাকে অশ্লিল নৃত্য ।এসময় কাউকে মোবাইলে ভিডিও না করার জন্য বারবার হুশিয়ারি দেওয়া হয়।

এবিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ভবদেশ রায় বলেন, এখানে সার্কাস চলছে ভালো কথা। আমাদের বাড়ির লোকজন আসবে দেখবে কিন্তু রাত হলে অশ্লীলতা বাড়ে এলাকার সব ছেলে পড়ালেখা বাদ দিয়ে এখানে চলে আসে। যুবসমাজ এভাবে নষ্টের দিকে যাচ্ছে।

বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বজলার রহমান বলেন, আমি দেশের বাইরে ছিলাম। এসে শুনি সার্কাসের কথা,সেখানে অশ্লীল কিছু হলে আমি প্রশাসনকে অবগত করব।

এবিষয়ে নীলফামারী জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোসের মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাঠিয়ে মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

;

ময়মনসিংহে তিন দিনে ৪ জনের মৃত্যু, ধারণা হিটস্ট্রোক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহে চার উপজেলায় তিন দিনে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে নিহত চার জনই হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

গত রবিবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত জেলার গফরগাঁও, ভালুকা, ঈশ্বরগঞ্জ ও ফুলপুর উপজেলায় চার জনের মৃত্যু হয়।

গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্স ও নিহতের পরিবার সুত্র জানায়, গত রবিবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর উপজেলার লংগাইর ইউনিয়নের বাঘবের গ্রামের আফাজ উদ্দিন ঢালীর ছেলে ফজলুল হক ঢালী (৫৬) বাজার করে বাড়িতে ফিরে টয়লেটে যান। টয়লেট থেকে ফিরতে দেরি হওয়ায় তার মা টয়লেটের টয়লেটের দরজা খুলে দেখেন ফজলুল হক সেখানে উপুর হয়ে পড়ে আছেন। পরে তার মায়ের ডাক-চিৎকারে পরিবারের লোকজন হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

গফরগাঁও পরিবার পরিকল্পনা ও উপজেলা স্বাস্থ কর্মকর্তা দেবাশীষ রাজবংশী বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই ফজলুল হক ঢালির মৃত্যু হয়েছে। যে কারণে মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি। তবে, অতিরিক্ত গরমে এমনটা হতে পারে বলেও ধারণা করেন তিনি।

সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকাল পৌনে ৫ টার দিকে জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার জাটিয়া ইউনিয়নের সুটিয়া বাজারের রমজান খলিফা (৫৫) নিজের দোকানে বসে কাজ করছিলেন। হঠাৎ তিনি শরীর খারাপ লাগছে বলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয় টের পেয়ে মাথায় পানি দিতে শুরু করলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।

ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, হঠাৎ করেই রমজান অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। তবে, হাসপাতালে নেয়া হয়নি বা পুলিশকেও বিষয়টি জানানো হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে হিটস্ট্রোকে মারা গেছেন। তিনি একই ইউনিয়নের পাইস্কা গ্রামের বাসিন্দা।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে জেলার ফুলপুর উপজেলায় কয়রা ইউনিয়নের ইমাতপুর গ্রামে শিল-পাটা কাটার কাজ করছিলেন রমজান আলী। হঠাৎ সেখানে অসুস্থ হয়ে ঘটনাস্থলেই রমজান আলী মারা যান।

নিহত রমজান আলী রমজান আলী তারাকান্দা উপজেলার ৩ নম্বর কাকনী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়াডের বগীরপাড়া গ্রামের মৃত শুকুর মাহমুদের ছেলে।

তারাকান্দা বগীপাড়া এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য মো. তরিকুর রহমান খন্দকার রাশেদ বলেন, রমজান আলী গ্রামে গ্রামে ঘুরে মশলা ভাটার শিলপাটা কাটায় হস্থশিল্পী শ্রমিকের কাজ করত। প্রতিদিনের মত আজ সকালে সে বাড়ি থেকে কাজে বের হয়ে পাশ্ববর্তী ফুলপুর উপজেলার ইমাতপুরে যায়। সেখানে কাজ করা অবস্থায় দুপুরে প্রচন্ড গরমে সে স্ট্রোক করে মারা যায়।

উপজেলা স্বাস্থ‍্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হুমায়ন কবীর বলেন, হাসপাতালে আসার আগেই রমজান আলীর মৃত্যু হয়েছে। তবে তাঁর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যায়নি। ধারনা করা যায় অতিরিক্ত গরমে হিটস্ট্রোকে বা অন্য কোন কারণে তাঁর মৃত্যু হতে পারে।

একই দিন সকালে জেলার ভালুকা উপজেলায় কামরুল ইসলাম (৩০) নামে এক গার্মেন্টস কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত কামরুল ইসলাম জেলার গৌরীপুর উপজেলার রায় শিমুল গ্রামের মোহাম্মদ আবদুল্লাহ'র ছেলে। সে ভালুকার মাস্টার বাড়ি এলাকার পুর্বাশা নিট কম্পোজিট লিমিটেডে চাকরী করতেন।

ভালুকা শিল্প পুলিশের এএসআই মোহাম্মদ মানিকুজ্জামান বলেন, নিহত কামরুল ইসলাম ভালুকায় বসবাস করে পুর্বাশা নিট কম্পোজিট লিমিটেডে চাকরী করতেন। ঘটনার দিন সকালে কামরুল অসুস্থ অবস্থায় তার ভাইকে নিয়ে গার্মেন্টস যান। গার্মেন্টসে গিয়ে কর্তব্যরত নার্সকে অসুস্থতার কথা বলে ছুটি নিয়ে চলে আসেন। সেখান থেকে কামরুল ইসলাম প্রথমে চুরখাই কমিনিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক দ্রুত তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখান থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কামরুলকে মৃত ঘোষণা করেন।

এএসআই মোহাম্মদ মানিকুজ্জামান বলেন, কামরুল আগে থেকেই হার্টের রোগী ছিলেন। সকালে মুলত তার ভাইকে নিয়ে ছুটি নিতে গার্মেন্টসে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে চিকিৎসা নিতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান।

;

উপজেলা নির্বাচন: লোহাগড়ায় ১৩ জনের মনোনয়ন বৈধ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নড়াইল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৬ জনসহ ১৩ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা।

এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, ভাইস- চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে ৫ জন, ভাইস- চেয়ারম্যান (মহিলা) পদে ২ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা হয়েছে।

দ্বিতীয় ধাপে ১৬১ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ২১ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাছাই হয় ২৩ এপ্রিল এবং প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২ মে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল এবং ভোট গ্রহণ ২১মে।

চেয়ারম্যান পদে ৭জনের মধ্যে ৬ জনের মনোনয়ন বৈধ হয়েছে। তারা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সিকদার আব্দুল হান্নান রুনু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ৪ নং নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এ.কে. এম ফয়জুল হক রোম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ৬ নং জয়পুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এস এম শরিফুল আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মুন্সী নজরুল ইসলাম (সাবেক নিবন্ধক- আই.জি.আর), উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য শেখ সাজ্জাদ হোসেন মুন্না এবং বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ নড়াইল শাখার সভাপতি মো: তারিকুল ইসলাম উজ্জ্বল। চেয়ারম্যান পদে ৭ জনের মধ্যে একমাত্র আওয়ামী লীগ নেতা মো: আইয়ুব হোসেনের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।

অপরদিকে ভাইস-চেয়ারম্যান (মহিলা) পদে মনোনয়ন বৈধ হয়েছেন ৩ জনের মধ্যে ২ জন। তারা হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, জেলা আওয়ামী মহিলা যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন ইতি এবং মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী মিসেস কনিকা ওছিউর।

ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) পদে একমাত্র প্রার্থী পৌর মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী মোছা: কাকলি বেগমের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।

দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ মে লোহাগড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২১০৭৬৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ১০৫৭৮৫ জন এবং মহিলা ভোটার সংখ্যা ১০৪৯৮৩ জন। এই উপজেলা ১২ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত।

;

ময়মনসিংহে ট্রেনের ধাক্কায় রিকশার দুই যাত্রী নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহে রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় রিকশার দুই যাত্রী মারা গেছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও এক শিশু। নিহতরা হলেন ময়মনসিংহ সদর উপজেলার উজান বাড়েরা গ্রামের আব্দুর রহমান (৬২) তার ভাতিজি শেফালী আক্তার (৪৫)।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর বিদ্যাময়ী রেলক্রসিং এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার নাজমুল হক খান এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা জামালপুর গামী ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনটি ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়ার পথে বিদ্যাময়ী রেলক্রসিং রেললাইনে উঠে পড়া রিকশাটিকে ট্রেন ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই যাত্রী মারা যায়। এই ঘটনায় আহত হয় এক শিশু।

ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানার উপপরিদর্শক এসআই দীপক পাল জানান, ঘটনাস্থলে দুই জন মারা গেছেন। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে হয়েছে এবং ঢাকা ময়মনসিংহ লাইনে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক রয়েছে।

;