আমার ঝুড়ি প্রায় পূর্ণ: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
অ্যাকওয়া পাওয়ারের সঙ্গে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের এমওইউ স্বাক্ষর

অ্যাকওয়া পাওয়ারের সঙ্গে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের এমওইউ স্বাক্ষর

  • Font increase
  • Font Decrease

২০১৫ সালে বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ ছিল ৩ বিলিয়ন ডলার। এই সময়ের মধ্যে ২৪ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ এসেছে বিদ্যুৎ খাতে। আমার ঝুড়ি প্রায় পূর্ণ, তবে সামনের দিকে আরও ৩০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ চাই বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সৌদি কোম্পানি অ্যাকওয়া পাওয়ারের সঙ্গে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) এমওইউ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।

অ্যাকওয়া পাওয়ার বাংলাদেশে গ্যাস ও এলএনজিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে আগ্রহী। কোম্পানিটি প্রায় ৩ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করতে চায়। তবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তাদের প্রাক-সমীক্ষা রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।

বিদ্যুৎ খাতে সৌদির কোন কোম্পানির এটাই প্রথম বড় বিনিয়োগ প্রস্তাবে এমওইউ স্বাক্ষরিত হলো। এর আগে আল ফানাহ নামের একটি কোম্পানি পিজিসিবির সঙ্গে ১শ’ মেগাওয়ার্ট সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে এমওইউ করেছে। এছাড়া সৌদির রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি আরামকো বাংলাদেশে বিনিয়োগ প্রস্তাব দিয়েছে। কোম্পানিটি এলএনজি ও পেট্রোকেমিক্যাল খাতে বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, আমরা সৌদি বাংলাদেশ সম্পর্ক অন্য স্তরে নিয়ে যেতে চাই। এই চুক্তির মধ্যে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো। আমরা যখন গত নভেম্বরে সৌদি সফর করি তখন বাদশা বলেছিলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য পিআইএফ (পাবলিক ইনভেস্ট ফান্ড) টিম পাঠাব। ১ বছরের কম সময়ে তিনি তার কথা বাস্তবায়ন করেছেন।

উপদেষ্টা বলেন, এনার্জি হচ্ছে অর্থনীতির চালিকা শক্তি। বাংলাদেশের অসাধারণ সাফল্য এসেছে এই খাতে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ পছন্দ করায় ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বিলম্বে শুরু হলেও যাত্রা শুরু হলো। আশা করি অনেক দূর যেতে পারব।

বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, ইদানিং একটি কথা শুনতে পাচ্ছি এত বিদ্যুৎ রাখব কোথায়। অথচ এর জন্য আমাদের ধন্যবাদ পাওয়ার কথা। ডিমান্ড এবং সাপ্লাই যতটুকু হওয়ার কথা ততটুকু হয়েছে। যাতে লোডশেডিং না হয় সেভাবে করা হয়েছে। অবকাঠামো ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করে করা হয়। চুক্তিটি দুই পক্ষের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করবে।

অ্যাকওয়া পাওয়ারের চেয়ারম্যান আবু নাইয়ান বলেন, সামাজিকভাবে খুবই সম্মানিত বোধ করছি। বিনিয়োগের সুযোগ পাওয়া আমার জন্য সৌভাগের। সারাবিশ্বে প্রমাণিত আমাদের লিডারশিপ। আমি আইএমএফ, ইউএন-এর রিপোর্ট দেখেছি, বাংলাদেশ দারুণভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা শুধু এই একটি নয়। আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে আছি, থাকতে চাই জনগণ এবং অর্থনীতির সঙ্গে।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ বলেন, মহেশখালী অথবা অন্য কোনো স্থানে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র হতে পারে। নির্ভর করবে প্রাক-সমীক্ষার ওপর।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শহিদুজ্জামান সরকার, বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সফিকউল্লাহ, হুমায়ুন কবীর, সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ প্রমুখ।

   

দুই সেরা বলীই খেলছেন না জব্বারের বলীখেলায়



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
দুই সেরা বলীই খেলছেন না জব্বারের বলীখেলায়

দুই সেরা বলীই খেলছেন না জব্বারের বলীখেলায়

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আবদুল জব্বারের বলীখেলা মানেই একটা সময় ছিল দিদার বলীর দাপট। বছরের পর বছর ধরে রামুর এই বলী এই ঐতিহাসিক বলীখেলায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। তবে তিনি এখন অতীতের পাতায়। এরপর থেকে তাঁর জায়গাটা নেন চকরিয়ার তরিকুল ইসলাম ওরফে জীবন বলী ও কুমিল্লার শাহজালাল বলী। টানা তিন বছর ধরে এই দুজন শিরোপা ভাগাভাগি করে আসছেন। কিন্তু এই দুই সেরা বলীই কিনা এবার খেলছেন না।

অথচ জীবন ও শাহজালাল-দুজনেই বলীখেলায় অংশ নিতে নিবন্ধনও করেছিলেন। শুরু থেকে ছিলেন লালদীঘি মাঠেও। কিন্তু শেষ মুহূর্তে দুজনেই কিনা নাম প্রত্যাহার করে নিলেন।

কেন দুই বলীর এমন আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে পাওয়া গেল ক্ষোভের গন্ধ।

জানতে চাইলে জীবন বলী বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমি একটু অসুস্থ। ইনজুরড হওয়ায় আমার বদলে কুমিল্লার হোমনার বিখ্যাত বলী বাঘা শরীফের নাম প্রস্তাব করেছিলাম। কিন্তু কমিটি সেটা মেনে নেয়নি। সেটি মানতে পারিনি। পরে ক্ষোভে নামই বাদ দেন।
শাহজালাল বলীও একই কারণে নাম প্রত্যাহার করেন।

পরে অবশ্য দুই বলী সরে যাওয়ায় সুযোগ পান বাঘা শরীফ। সুযোগ পেয়েও কাজে লাগান এই বলী। চ্যালেঞ্জ ও সেমিফাইনাল রাউন্ড জিতে ফাইনালে ওঠেন বাঘা শরীফ। আর এতে জীবন ও শাহাজালাল- দুই বলীর সমর্থনই যায় বাঘা শরীফের কোর্টে।

;

ফেনীতে তিনতলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেনীর ফুলগাজীতে তিনতলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে ১০ বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিহত মিনহাজ মুন্সীরহাট ইউনিয়নের কমুয়া চৌধুরী বাড়ির আবদুল মতিন চৌধুরীর দ্বিতীয় ছেলে। সে স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেনের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকালে উপজেলার মুন্সীরহাট এলাকার ভাই ভাই অটো রাইস মিল সংলগ্ন একটি ভবনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মিনহাজের বাবা প্রবাসে থাকায় সে মায়ের সঙ্গে ওই এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। বুধবার বাসার ছাদের রেলিংয়ে উঠে পাশের আরেকটি ভবনের রেলিংয়ে পা দেওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে অসতর্কতাবশত নিচে পড়ে যায়।

পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। পথিমধ্যে চট্টগ্রাম সিটি গেইট এলাকায় পৌঁছালে তার মৃত্যু হয়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আজিজুল হক মজুমদার টিপু বলেন, সকালে খেলতে গিয়ে মিনহাজ ছাদ থেকে পড়ে যায়। তার বাবা ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে দুবাই থেকে বাড়ি চলে এসেছেন। তিনি আসার পর উপজেলার পূর্ব দরবারপুরে পারিবারিক কবরস্থানে মিনহাজকে দাফন করা হয়।

ফুলগাজী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন বলেন, চট্টগ্রামে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। নিহতের পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার মরদেহ দাফন করা হয়েছে।

;

জব্বারের বলীখেলায় অংশ নিচ্ছেন ৮০ বলী, লোকারণ্য লালদীঘি মাঠ 



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈশাখের কাঠফাটা রোদ উপেক্ষা করে শুরু হলো ঐতিহাসিক আবদুল জব্বারের বলীখেলা।

বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) বিকেল চারটা ২৫ মিনিটে বলীখেলার ১১৫ তম আসর শুরু হলেও দুপুর থেকেই লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে লালদীঘি মাঠ।

এবারের বলীখেলায় অংশ নিতে অন্তত ১০০ জন বলী আসেন। তাদের মধ্যে ৮০ জনকে নিবন্ধন করে আয়োজক কমিটি। প্রথম রাউন্ড শেষে চ্যালেঞ্জ রাউন্ড হয়। এরপরই হবে সেমিফাইনাল ও ফাইনাল।


যুবসমাজকে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ করতে ১৯০৯ সালে চট্টগ্রামের বকশিরহাটের ব্যবসায়ী আবদুল জব্বার সওদাগর চালু করেছিলেন বলীখেলা। সময়ের ব্যবধানে লালদীঘির মাঠে বসা ‘জব্বারের বলীখেলা’ হয়ে উঠেছে এই জনপদের অন্যতম আকর্ষণ। শুধু কি তাই? বলীখেলাকে কেন্দ্র করে বৃহত্তর চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় বৈশাখী মেলাটিও বসে এখানে। ১৯০৯ সাল থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের একবছর বাদ দিলে প্রতিবছর এই মেলা হয়ে আসলেও করোনার থাবা এই আনন্দ-উৎসব থামিয়ে দিয়েছিল ২০২০ সালে। পরের বছরেও এই মেলা হয়নি একই কারণে। ২০২২ সালেও ঐতিহাসিক এই আয়োজনের ভবিষ্যৎ ঝুলেছিল সুতার ওপর। শেষ পর্যন্ত সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর প্রচেষ্টায় সড়কের মাঝখানে অস্থায়ীভাবে রিং তৈরি করে আয়োজন করা হয় বলীখেলায়। গত বছর থেকে বলীখেলা ফিরেছে নিজের পুরনো ঠিকানা-লালদিঘী ময়দানে। এবারও সেখানেই হচ্ছে শতবর্ষী এই আসর।

বলীখেলাকে কেন্দ্র করে মাঠের আশপাশের এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে চলছে বৈশাখী মেলা।

;

বন ডাকাতদের জন্যই পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয়: জিএম কাদের



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার কুমারখালী বাঁধবাজার থেকে মাদুলিয়া পর্যন্ত সড়কের ৩ হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্তে উষ্মা প্রকাশ করেছেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপি।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে গাছ কাটার সিদ্ধান্ত বাতিল ও বিগত দিনে একই সড়কের গাছ কাটার বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করতেও সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন তিনি।

বিবৃতিতে বলেছেন, গণমাধ্যমে প্রকাশ ২০২৩ সালে ঐ সড়কের ১০ হাজার গাছ কেটেছে বনবিভাগ। সম্প্রতি একই সড়কে আরো ৩ হাজার গাছ কেটেছে কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় জনসাধারন ও পরিবেশবীদদের মতামত উপেক্ষা করে ঐ সড়কে আরো প্রায় ৩ হাজার গাছ কাটার জন্য নম্বরিং করেছে বনবিভাগ। এর চেয়ে আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত আর হতে পারে না। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় দেশে ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকার কথা। কিন্তু আমাদের আছে ৯ শতংশের কম। এভাবে বনাঞ্চাল নিধন করার কারণেই দেশ আজ বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন যে আজ অতিষ্ঠ, যথেষ্ট গাছপালা থাকলে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাওয়া যেত।

বিবৃতিতে বলেন, অন্যদিকে রাজধানীতে সড়ক ও ভবন তৈরীর জন্য ইতোমধ্যেই দেদারছে কেটে ফেলা হয়েছে হাজার গাছ। অপরিকল্পিত ও আত্মঘাতি এমন সিদ্ধান্তে রাজধানী বসবাসের অনুপযোগি হয়ে আছে। পরিবেশবীদদের মতে রাজধানীতে ২০ শতাংশ বনাঞ্চল থাকার কথা থাকলেও আছে মাত্র ২ শতাংশ। প্রয়োজন হলে গাছ না কেটেও সড়ক উন্নয়ন ও প্রশস্ত করা সম্ভব। তাই কারনে-অকারনে বৃক্ষ নিধন বন্ধ করতে হবে।

আগে বন থেকে গাছ চুরি হতো, এখন বনে ডাকাতি শুরু হয়েছে। বন ডাকাতদের জন্যই পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয়। বনখেকো ও বনদস্যুদের চিহ্নিত করে তাদের আইনের মুখোমুখি করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান তিনি।

;