কার পার্কিং শৃঙ্খলায় রাস্তায় বসবে সেন্সর
কার পার্কিংয়ে শৃঙ্খলা আনতে সড়কে সেন্সর বসানোর ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেছেন, 'আমরা রাস্তায় সেন্সর বসিয়ে দিচ্ছি। কোনো গাড়ি যদি রাস্তায় পার্ক করে তাহলে ওই গাড়ির চেচিস নম্বর, গাড়ির নম্বর আমাদের কাছে চলে আসবে। একইসঙ্গে আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হবে পার্কিং ফি সম্পর্কে। এতে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।'
সোমবার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর উত্তরা ৪ নং সেক্টরের রাস্তার উন্নয়ন কাজের উদ্বোধনকালে মেয়র এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় সংসদ সদস্য সাহারা খাতুন।
মেয়র বলেন, 'আমরা যে সকল রাস্তা করছি, সেগুলোতে আগে পানি নিষ্কাশন নিশ্চিত করছি। পানি নিষ্কাশন না হলে রাস্তা বানাতে টাকা ঢেলে লাভ নেই। তাই আগে পানি নিষ্কাশন নিশ্চিত করে কাজ করছি।'
তিনি বলেন, 'জনগণের টাকায় রাস্তা করছি, আর সেই রাস্তায় গাড়ি পার্কিং করে রাখবে এটা হবে না। আমরা রাস্তায় সেন্সর বসিয়ে স্মার্ট কার পার্কিং সিস্টেমে যাচ্ছি। রাস্তায় গাড়ি পার্ক করলেই আমাদের কাছে সমস্ত তথ্য চলে আসবে। নির্দিষ্ট চার্জ দিয়ে গাড়ি রাস্তায় রাখতে পারবেন।'
আতিকুল বলেন, 'গাড়ি পার্কিং নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় নৈরাজ্য চলছে। এটা বন্ধ করতেই এই উদ্যোগ। তাছাড়া আমরা রাস্তায় পুশ বাটন সিস্টেম চালু করছি। আগামী বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) মোহাম্মদপুরের একটা রাস্তায় পুশ বাটন সিস্টেমের উদ্বোধন করা হবে।'
কাজের মান ঠিক রাখতে ঠিকাদারদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, 'আমরা যে সকল কাজ শুরু করছি, তার তদারকি করার জন্য তৃতীয় পক্ষকে দায়িত্ব দিচ্ছি। ওই কমিটি যেকোনো সময় রাস্তার কোড কাটিং করে বুয়েটে পাঠাবে। যদি রাস্তার ইট, সিমেন্ট বা অন্য উপকরণ ঠিক থাকে তাহলে বুয়েট টেস্টের টাকা দেবে ডিএনসিসি। আর যদি ঠিক না থাকে তাহলে টাকা দেবে ঠিকাদার। পাশাপাশি কাজের মান খারাপ হলে ডিএনসিসি বিল দেবে না। তাছাড়া নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ করতে হবে, সেটা না হলেও বিল পাবে না।'
মেয়র বলেন, 'দুর্নীতিবাজ কোনো কাউন্সিলর বা অফিসার যেই হোক তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। যারা জনগণের কাজ বাদ দিয়ে নিজেদের সম্পদ গড়তে ব্যস্ত তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।'
ডিএনসিসির উত্তরা ৪ নং সেক্টরের ২ দশমিক ৮৭৪ কিলোমিটার রাস্তা, ৪ দশমিক ৯৪৮ কিলোমিটার ফুটপাত ও ৪ দশমিক ৯৪৮ কিলোমিটার আরসিসি নর্দমার কাজ পেয়েছে মাইশা কনস্ট্রাকশন। কাজের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭ কোটি ৯৫ লাখ ৭ হাজার এক টাকা। কাজের সময় সীমা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ থেকে ২৩ মে ২০২০ সাল পর্যন্ত।