৮ পুলিশ কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃৃহীত

ছবি: সংগৃৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের আটজন পুলিশ কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ পুলিশ-১ অধিশাখার উপসচিব ধনঞ্জয় কুমার দাসের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের ৮ কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক পদে পদোন্নতি করা হয়েছে। জনস্বার্থে জারিকৃত এ প্রজ্ঞাপনে পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ জননিরাপত্তা বিভাগ বরাবর যোগদানপত্র প্রেরণ করবেন ।

পদোন্নতি প্রাপ্ত কর্মকর্তারা হলেন: যশোর জেলার পুলিশ সুপার মঈনুল হক, চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার টি.এম.মোজাহিদুল ইসলাম, ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ইলিয়াছ শরীফ, সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার শ্যামল কুমার নাথ, চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার নুরে আলম মিয়া, ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার মো. জাকির হোসেন খান, পুলিশ অধিদফতরের সহকারী পুলিশ মহাপরিদর্শক মো. আনোয়ার হোসেন খান ও ময়মনসিংহ জেলার পুলিশ সুপার  মো. শাহ আবিদ হোসেন।

 

   

নিজের হাতে থাকা বোমা বিস্ফোরণে ছিন্নবিচ্ছিন্ন যুবকের দেহ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, শরীয়তপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শরীয়তপুরের জাজিরায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় নিজের হাতে থাকা বোমা বিস্ফোরণের এক যুবকের দেহ ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে পেটের নাড়িভুঁড়ি বেরিয়ে আসে। আহত সজিব মুন্সী (২৫) বিলাসপুর ইউনিয়নের মিয়া চান মুন্সী কান্দি এলাকার মোহাম্মদ আলী মুন্সির ছেলে।

বুধবার (২৭ মার্চ) রাত আনুমানিক ৯ টার দিকে বিলাসপুর ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় স্থানীয়রা তাকে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মুমূর্ষ অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠান।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাজিরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. কবির আলম।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বর্তমান চেয়ারম্যান আ. কুদ্দুস ব্যাপারী গ্রুপ এবং স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আ. জলিল মাদবর গ্রুপের মধ্যে এর আগেও দফায়-দফায় সংঘর্ষ হয়। এ বিষয়ে জাজিরা থানায় সর্বমোট ১০টি মামলা রয়েছে।

সর্বশেষ মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে মিয়া চান মুন্সী কান্দি গ্রামের দুই চাচাত ভাই জমি নিয়ে মারামারি করে। বিকেলে ওই ঘটনায় আব্দুল কুদ্দুস ব্যাপারী ও জলিল মাদবর গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। ওই সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে লুটপাট করা হয়।

এতে উভয়পক্ষের লোকজন আহত হয়। খবর পেয়ে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য পুলিশের কয়েকটি টিম পাহাড়ায় থাকলেও বুধবার সন্ধ্যায় আবার ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এ সময় ককটেল বহন করা বালতি নিয়ে যাওয়ার সময় কাঁদায় পিছিলে যায় তখন বালতিসহ ককটেল গুলোর বিস্ফোরণ ঘটে সজিব মুন্সী নামে একজন গুরুতর আহত হন।

জাজিরা থানার ওসি হাফিজুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, "আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে বোমা বিস্ফারণ হয়ে সজিব নামে এক যুবক আহত হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। এ ঘটনায় মামলা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"

;

সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত

সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে কমিটির সভাপতি হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ সভাপতিত্ব করেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের কেবিনেট কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে কমিটির সদস্য ফয়জুর রহমান, মো. জাহিদ মালেক, ফজিলাতুন নেসা, সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী, নূর মোহাম্মদ, এস. এ. কে একরামুজ্জামান, মো. রেজাউল হক চৌধুরী ও মো. নজরুল ইসলাম অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠকে আলোচ্য সূচিতে অন্তর্ভুক্ত নিরীক্ষা, নিরীক্ষার ধরণ ও প্রতিবেদন, অনালোচিত আর্থিক হিসাব, উপযোজন হিসাব, ফাইন্যান্সিয়াল অডিট রিপোর্ট, কমপ্লায়েন্স অডিট রিপোর্টের বিষয়ে অবহিতকরণ, আলোচিত পারফরম্যান্স অডিট রিপোর্টের বিষয়ে অবহিতকরণ এবং অডিট অধিদপ্তরগুলোর কার্য-পরিধি ও কার্য পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।

বাংলাদেশের মহা-হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) এবং সিএজি কার্যালয়ের কার্যপরিধি, হিসাব মহা-নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সম্পর্কে অবহিতকরণ, সরকারী আর্থিক ব্যবস্থাপনা, সরকারী ব্যয় ও আর্থিক জবাবদিহিতায় সরকারী হিসাব কমিটির ভূমিকা এবং তাৎপর্য সম্পর্কে অবহিতকরণ বৈঠকে অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে অডিট অধিদপ্তরের কার্যক্রম সম্পর্কে সারসংক্ষেপ করা হয় এবং কমিটির সদস্যরা এতে অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠকে সিএজি কার্যালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, শিক্ষা অডিট অধিদপ্তর, পূর্ত অডিট অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য অডিট অধিদপ্তর, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি অডিট অধিদপ্তর, সিভিল অডিট অধিদপ্তর, প্রতিরক্ষা অডিট অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অডিট অধিদপ্তর, সিজিডিএফ কার্যালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

;

জায়গা দেখে সন্তুষ্ট ভুটানের রাজা, আবারও আসতে চেয়েছেন কুড়িগ্রাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুড়িগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

উত্তরাঞ্চলের জেলা কুড়িগ্রামে 'ভুটান বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল' পরিদর্শনে আসেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক। এটি ছিলো বিদেশি কোন রাষ্ট্রপ্রধানের প্রথম কুড়িগ্রাম সফর।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর ১টা ২০ মিনিট থেকে ১টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত কুড়িগ্রাম শহরের নিকটবর্তী ধরলা পাড়ের মাধবরাম গ্রামের 'ভুটান বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে' অবস্থান করেন ভুটানের রাজা।

ভুটানের রাজা অর্থনৈতিক অঞ্চলের পরিদর্শন শেষে স্থান ত্যাগের পর সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন। তিনি বলেন, ভুটানের রাজা এই জায়গাটিকে অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে গড়ে তোলার ব্যাপারে একমত হয়েছেন। জায়গাটি পরিদর্শনে এসে তাঁর পছন্দ হয়েছে। তিনি (ভুটানের রাজা) এটিও বলেছেন যে, যখন কাজ শুরু হবে তখন আমি নিজে আরও একবার এখানে আসবো। তিনি এখানকার জায়গা ও যোগাযোগ ব্যবস্থা দেখে সন্তুষ্ট হয়েছেন।

ভুটানের রাজার বরাত দিয়ে ইউসুফ হারুন আরও বলেন, রাজা বলেছেন, স্থানীয় লোকজনের চাহিদা এবং বিনিয়োগকারীদের চাহিদার সমম্বয়ে এখানে কলকারখানা গড়ে উঠবে। বিশেষ করে কৃষিভিত্তিক এবং উৎপাদনশীলতাকে প্রাধান্য দেয়া হবে।

রাজার কুড়িগ্রাম সফরে তাঁর সাথে ছিলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন, কুড়িগ্রাম ২ আসনের সংসদ সদস্য ডা. হামিদুল হক খন্দকার, কুড়িগ্রাম পৌরসভার মেয়র কাজিউল ইসলাম, পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসক সহ অন্যান্য রাজনৈতিক নেতা ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

ভুটানের রাজা কুড়িগ্রামের অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন শেষে ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের ভারতের আসাম রাজ্যের গোলকগঞ্জে প্রবেশ করেন বিকেল ৩টার দিকে। সেখানে তাঁকে বিদায় জানান বাংলাদেশের নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এর মধ্য দিয়ে ভুটানের রাজার বাংলাদেশে চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষ হলো।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৫ সালে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে এক জনসভায় কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জেলা শহরের পূর্ব প্রান্তে ধরলা ব্রিজের পূর্বে কুড়িগ্রাম-ভূরুঙ্গামারী সড়কের পূর্ব পাশে অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এরপর ২০২৩ সালের মে মাসে লন্ডনে ভুটানের রাজা ও রানির সঙ্গে এক দ্বিপক্ষীয় সভায় কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে ভুটান সরকার এগিয়ে আসে। এর প্রেক্ষিতে কুড়িগ্রামে একটি বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জন্য ভুটানকে ১৯০ একর জমি দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। ভুটানের রাজার চলমান বাংলাদেশ সফরে কুড়িগ্রামে ভুটানের জন্য বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা বিষয়ে একটি চুক্তিও সাক্ষরিত হয়েছে বাংলাদেশ সরকারের সাথে।

;

অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে সেমাই তৈরি, ২ লাখ টাকা জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে সেমাই তৈরি, ২ লাখ টাকা জরিমানা

অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে সেমাই তৈরি, ২ লাখ টাকা জরিমানা

  • Font increase
  • Font Decrease

অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে সেমাই প্রস্তুত ও প্রক্রিয়াকরণের অপরাধে চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানায় অবস্থিত তিন সেমাই ফ্যাক্টরিকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা জারমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে থানার রাজাখালী এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এতে নেতৃত্ব দেন- জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ, সহকারী পরিচালক রানা দেব নাথ ও মো: আনিছুর রহমান।

মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ জানান, রাজাখালীতে অবস্থিত বিভিন্ন সেমাই কারখানা পরিদর্শন করে তিনটি কারখানায় অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে সেমাই প্রস্তুত ও প্রক্রিয়াকরণের প্রমাণ পাওয়া যায়। যার কারণে, তাদের তিন দোকান মালিককে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। এরমধ্যে আর জে সেমাই ফ্যাক্টরিকে ৪০হাজার টাকা, আব্দুর রহিম সেমাই ফ্যাক্টরিকে ৪০ হাজার টাকা এবং হোসেন ফুডস কোং-কে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।

;