দেশে ২০০ পেডি সাইলো নির্মাণ করা হচ্ছে: খাদ্যমন্ত্রী
ধান শুকানোর জন্য রংপুরসহ সারাদেশে ২০০টি পেডি সাইলো নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে রংপুরে নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ বাস্তবায়নে জনসচেতনতা শীর্ষক কর্মশালায় যোগ দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, 'এক সময় রংপুর মঙ্গা এলাকা ছিল। বর্তমানে রংপুর খাদ্যে উদ্বৃত্ত। বাংলাদেশে যে পরিমাণ খাদ্য মজুদ রয়েছে, তা বিদেশে রফতানি করা যাবে। বর্তমানে চার লাখ মেট্রিকটন চাল উদ্বৃত্ত রয়েছে। এতগুলো চাল নিয়ে আমরা বিপদে আছি। কারণ এ চাল এক বছরের বেশি সময় ধরে রাখলে নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।'
ধানের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে সরকার সজাগ রয়েছে জানিয়ে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, 'আগামী আমন মৌসুমে কৃষকরা যাতে ন্যায্য মূল্যে ধান বিক্রি করতে পারেন, এজন্য আমরা কৃষকদের কাছ থেকে পর্যাপ্ত ধান ক্রয় করব। ধান ক্রয় ও মূল্য নির্ধারণে কোনো অনিয়ম করতে দেওয়া হবে না।'
মন্ত্রী বলেন, 'খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধে সরকারের পাশাপাশি জনসাধারণ ও মিডিয়া কর্মীদেরও এগিয়ে আসতে হবে। নিরাপদ খাদ্য সবার অধিকার। সরকার এই আইনের বাস্তবায়নে কাজ করছে।'
এ সময় তিনি বলেন, 'ধান প্রক্রিয়াজাতকরণে রংপুরে ২৫টি পেডি সাইলো নির্মাণ করা হবে। এর প্রত্যেকটির ধারণ ক্ষমতা থাকবে পাঁচ হাজার মেট্রিকটন। যাতে করে কৃষকরা ধান কেটে সরাসরি সাইলোতে নিয়ে আসতে পারেন। এতে কৃষকরা ধানের ন্যায্য মূল্য পাবেন এবং লাভবান হবেন।'
স্থানীয় পর্যায়ের খাদ্য কর্মকর্তাদের অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, 'কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পেলে, তা খতিয়ে দেখা হবে।'
'সুস্থ সবল জাতি চাই, পুষ্টিমসম্মত নিরাপদ খাদ্যের বিকল্প নাই' প্রতিপাদ্যে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) সৈয়দা সারওয়ার জাহান, রংপুর সিটি করপোরেশন মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, পুলিশের রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য্য, আরপিএমপি কমিশনার আবদুল আলীম মাহমুদ, রংপুরের জেলা প্রশাসক আসিব আহসান, রংপুর জেলা পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহম্মেদ, মহানগর সভাপতি সাফিউর রহমান সফি প্রমুখ। এতে সভাপতিত্ব করেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার কেএম তারিকুল ইসলাম।
এর আগে সকালে রংপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে জনসচেতনতামূলক একটি র্যালি বের হয়ে নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এতে নগরীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষসহ জেলা ও বিভাগীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা অংশ নেন।