‘অভিযান আই-ওয়াশ কিনা দেখেন, অপেক্ষা করেন’



রেজা-উদ্-দৌলাহ প্রধান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
ন্যাম সম্মেলন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ন্যাম সম্মেলন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশব্যাপী চলমান দুর্নীতিবিরোধী অভিযানকে যারা ‘আই-ওয়াশ’ বলছেন তাদের সমালোচনাকে উড়িয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অভিযান নিয়ে বিএনপির সমালোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখানে ‘আই-ওয়াশ’ করতে যাব কিসের জন্য? আমি তো আপন-পর কোনো কিছু দেখিনি। অপরাধের সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত, সে যেই হোক না কেন তাকেই আমরা ধরেছি। এটাকে ‘আই-ওয়াশ’ বলে কী করে? ওসব ‘আই-ওয়াশ’ এর ব্যবসা বিএনপি ভালো জানে।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজারবাইজানে ন্যাম শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা জানাতে এদিন সংবাদ সম্মেলনে আসেন সরকারপ্রধান।


সংবাদ সম্মেলনের জন্য দুপুর আড়াইটা থেকে গণভবনে আসতে শুরু করেন সাংবাদিক ও আমন্ত্রিত অতিথিরা। বিকেল ৪টা ৭ মিনিটে সংবাদ সম্মেলন স্থলে এসে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী। এরপর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিমের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী ন্যাম শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এরপরই শুরু হয় প্রশ্নোত্তরপর্ব।

দুর্নীতিবিরোধী অভিযানকে যারা ‘আই-ওয়াশ’ বলে খাটো করে সমালোচনা করছে তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটাকে তারা আই-ওয়াশ বলে যাচ্ছে। ঠিক আছে—দেখেন, অপেক্ষা করেন, আই-ওয়াশ নাকি তা দেখা যাবে।

বিএনপির হাত দিয়ে দেশে দুর্নীতির আমদানি হয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, দেশটাতে দুর্নীতি নিয়ে আসা—এটা তো বিএনপিরই করা।


তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান এসে এ দেশে মানিলন্ডারিং থেকে শুরু করে ঋণখেলাপি কালচার—এর সবই তো শুরু করে গেছে। আমাদের যুবসমাজ, মেধাবী ছাত্রদের হাতে অস্ত্র-অর্থ তুলে দিয়ে তাদের বিপথে নিয়ে যাওয়া, তাদের সন্ত্রাসী বানানো, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অস্ত্রের ঝনঝনানি—এগুলি তো জিয়াউর রহমান করে গেছে। তার পরবর্তীতে যিনি এসেছেন এরশাদ সাহেব তিনি আরও এক ধাপ উপরে। তারপরে যখন খালেদা জিয়া আসলো, সে তো একেবারে দোকান খুলে বসলো! এদিকে হাওয়া ভবন ওদিকে প্রাইম মিনিস্টারের অফিসে উন্নয়নের উইং। উন্নয়ন মানে হলো ঘুষ খাওয়ার উইং। অন্তত আমরা সরকারে আসার পরে এ সমস্ত হয়নি।

শেখ হাসিনা বলেন, মূল যারা দুর্নীতিবাজ, তার দুইটা তো শাস্তি পেয়েই গেছে, খালেদা জিয়া আর তার ছেলে—এ দুইটা তো আগেই শাস্তি পেয়ে গেছে। তাদের আরো কিছু খুচরা নেতা আছে, তাদেরও অনেক দুর্নীতি, অগ্নিসন্ত্রাস, মানুষ খুন—বহু অপরাধে তারা অপরাধী। পর্যায়ক্রমে সবগুলোই শাস্তি পাবে। সাজা তাদেরও পেতে হবে। তাদের অপেক্ষা করতে হবে কিন্তু পাবে এতে কোন সন্দেহ নেই।


সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নুসরাত হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ফলে সৃষ্ট কিছু সমস্যা নিয়েও কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বিচার বিভাগে স্বাধীনতার নামে মামলার জট একটু বেড়ে গেছে। মামলা কোর্টে বেশি চলে আসছে। আগে তো কিছু কিছু মামলা ম্যাজিস্ট্রেসি কোর্টে চলে যেত, ওখান থেকেই শেষ হয়ে যেত। এখন সবই নিতে গিয়ে সামালও দিতে পারছে না, ছাড়তেও পারছে না। তবুও এটা যে—শাস্তি (নুসরাত হত্যাকান্ড) একটা হলো, সেটা দৃষ্টান্ত।

নুসরাতকে ‘অত্যন্ত সাহসী’ মেয়ে অভিহিত করে সরকারপ্রধান বলেন, মেয়েটা জীবন দিয়ে গেছে কিন্তু একটা সাহসী ভূমিকা রেখে গেছে। শেষ পর্যন্ত সে কিছুতেই নত হয় নাই। আরেকটা মেয়ে, যে প্রেগন্যান্ট অবস্থায় ছিল সে কী করে এত নৃশংস কাজ করতে পারে, সহযোগিতা করতে পারে, গায়ে পেট্রোল ঢালা-আগুন দেওয়া—এ সমস্ত কাজ কী করে করতে পারে জানি না। মানুষের মনুষত্ববোধ বলে কিছু নাই, এগুলোর শাস্তি হওয়া দরকার।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী দেশের ক্রিকেটাঙ্গনের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়েও নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। ক্রিকেটারদের ধর্মঘট, ম্যাচ ফিক্সিং নিয়ে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের কর্মকাণ্ড, কলকাতা টেস্টে উপস্থিত থাকার জন্য বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলির আমন্ত্রণ—এসব প্রসঙ্গেই কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।


তিনি বলেন, ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাবের কথাটা সাকিব আইসিসিকে না জানিয়ে ভুল করেছে। সে ভুল স্বীকার করেছে। আইসিসি যদি সাকিবের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়, সেখানে আমাদের খুব বেশি করণীয় থাকে না। সে যেহেতু আমাদের দেশের ছেলে, সারাবিশ্বের ক্রিকেট খেলোয়াড় হিসেবে তার আলাদা অবস্থান আছে। সে ভুল করেছে। বিসিবি বলেছে, তার পাশে থাকবে। যা করার বিসিবি করবে। এখানে আমাদের খুব বেশি করণীয় রয়েছে, এমন কিন্তু নয়।

এদিকে একমাসেরও বেশি সময় ধরে পেঁয়াজের বাজারে আগুন। আমদানি করেও কমানো যায়নি পেঁয়াজের দাম। এ পরিস্থিতিতে পেঁয়াজের সিন্ডিকেট নিয়ে প্রশ্ন করলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্বাস দিয়েছেন, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসবে। এ সময় অবশ্য তিনি রসিকতা করে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন— পেঁয়াজ না খেলে কী হয়?

বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানির তথ্য জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। দুই-চার দিনের মধ্যে দাম কমে যাবে। বাজার সহনীয় করতে ১০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। আরও ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে।


দেশের সম্পদ গুটিকয়েক পরিবারের হাতে কুক্ষিগত হয়ে যাচ্ছে কি না এমন এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেখুন একটা দেশের যখন উন্নতি হয়, এটা খুব স্বাভাবিকভাবেই কিছু লোক একটু বেশি অর্থশালী হয়ে পড়ে। কিন্তু আমাদের প্রত্যেকটা নীতিমালা, প্রত্যেকটা প্রকল্প, প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে যত পরিকল্পনা আমরা নিচ্ছি—সমস্ত পরিকল্পনাগুলি একেবারে গ্রামের মানুষ, সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে, তাদের সামাজিক উন্নতির বিষয়টা মাথায় রেখেই আমরা আমাদের পরিকল্পনাটা নিচ্ছি। পরিকল্পনা নিচ্ছি বলেই আজকে দারিদ্র্য বিমোচন দ্রুত হচ্ছে, মূল্যস্ফীতি আমরা কমিয়ে রাখতে পেরেছি। যার শুভ ফলটা কিন্তু দেশের মানুষ পাচ্ছে। তবে স্বাভাবিকভাবে কিছু লোক যখন ব্যবসা-বাণিজ্য করে তখন অনেক বেশি ধনাঢ্য হয়ে পড়ে, যা সব দেশেই হয়ে থাকে—এটা নিয়ে চিন্তা বা উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। একেবারে রাষ্ট্রীয় সম্পদ কুক্ষিগত করে ফেলবে সেটা কিন্তু এ দেশে পারবে না।

প্রধানমন্ত্রী কখনো মুচকি হাসিতে, কখনো কৌতুক করে আবার কখনো সাংবাদিকদের তীর্যক প্রশ্নের উত্তরে, কৌশলী ভূমিকায় আত্মবিশ্বাসের দ্যুতি ছড়িয়ে সাম্প্রতিক আরও কিছু ইস্যুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন। বিকেল সোয়া পাঁচটায় ঘণ্টার অধিক দীর্ঘ সংবাদ সম্মেলনের ইতি টানেন অতিথিদের চায়ের আমন্ত্রণ জানিয়ে।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

   

ফেনীতে গরমে চাহিদার সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডাবের দাম



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশের ন্যায় ফেনীতেও বইছে তীব্র তাপদাহ। কয়েকদিনের তীব্র গরমে বেড়েছে ডাবের চাহিদা, সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডাবের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে ডাবের চাহিদা তুঙ্গে। তবে সরবরাহ কম থাকায় বাজারদর ঊর্ধ্বমুখী। প্রায় ৬০ টাকা বেড়ে ছোট সাইজের ডাব বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। অন্যদিকে মাঝারি ও বড় আকারের ডাব বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। এটি রেকর্ড মূল্য মনে করছে ক্রেতারা।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ফেনী শহরের ট্রাংক রোড, নাজির রোড, শহীদ শহিদুল্লাহ কায়সার সড়ক, কলেজ রোড ও সদর হাসপাতাল মোড়, মুক্তবাজার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি ডাবের দোকানে ক্রেতাদের ভিড়। দাম বেশি হলেও গরমের ক্লান্তি কাটাতে ডাব কিনে খাচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।


শহরের নাজির রোড এলাকায় ডাব বিক্রি করেন রিফাত। বার্তা২৪.কম-কে তিনি বলেন, ঈদের ছুটির পর পাইকাররা ডাবের দাম ৩০ থেকে ৬০ টাকা বাড়িয়েছে। গত বছরে ব্যবসায় এত বেশি দাম কখনো দেখিনি। এমনকি কোভিড-১৯ মহামারির সময়ও এত দাম ছিল না। বেশি দামে ক্রয় করতে হচ্ছে তাই বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।

মুক্তাবাজারের ডাব বিক্রেতা এসানুল হক বলেন, সবসময় ঈদের পরপর চাহিদা কম থাকত, কিন্তু এবার তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে চাহিদা বেড়ে গেছে।উৎপাদকদের কাছ থেকে সরবরাহকারীরা বেশি দামে ডাব কিনেছেন, আর তাই পাইকারি বাজারে ডাবের দাম বাড়ছে বলে জানান এই বিক্রেতা।

সাফওয়ান নামে এক ক্রেতা বলেন, আমাদের দেশে ব্যবসায়ীরা সুযোগ পেলেই দাম বাড়িয়ে দেয়। গরমে ডাবের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হয়নি। তারপরও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মায়ের জন্য ১৪০ টাকায় একটি ডাব কিনেছি। দাম যেমনই হোক না কিনে তো আর পারি না।


শহরের হাসপাতাল মোড়ে কথা হয় সাহাবউদ্দিন নামে আরেক ক্রেতার সঙ্গে। ডাবের বাজারদর নিয়ে তিনি বলেন, ১২০ টাকার নিচে তেমন কোনো ভালো ডাব নেই। যেভাবে গরম পড়ছে কিছুটা স্বস্তির জন্য এখানে এসেছি। সব দোকানেই দাম প্রায় একই।

শহরের নাজির রোড এলাকার খুচরা ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফ বলেন, গরমে গত কয়েকদিন স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ৩০-৪০টি ডাব বেশি বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে ডাবের সংকট থাকায় দাম কিছুটা বেশি। আমরা খুচরা পর্যায়ে সাধারণত কেনা দামের চেয়ে কিছু বেশি দামে বিক্রি করি। খুচরা পর্যায়ে দাম বৃদ্ধির সঙ্গে আমাদের কোনো হাত নেই।

ফেনী মহিপাল ফল আড়তের আব্দুল হাকিম নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, ফেনী শহরে যেসব ডাব বিক্রি হয় সেগুলো মূলত নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর এলাকার। অল্প কিছু ডাব জেলার উপকূলীয় উপজেলা সোনাগাজী থেকে আসে। এখানে ডাবের কোনো আড়তও নেই। সপ্তাহের নির্দিষ্ট কিছু দিনে ট্রাকে করে ডাবগুলো এনে খুচরা বিক্রেতাদের দিয়ে যায়। গত এক সপ্তাহে প্রতিটি ডাবের দাম ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। সঙ্গে বেচাকেনাও বেড়েছে।

শহরের শহীদ শহীদুল্লাহ্ কায়সার সড়কের এডাব ব্যবসায়ী কাইয়ুম বলেন, গরমে প্রতিদিন এখন ৬০ থেকে ৭০টি ডাব বিক্রি হচ্ছে। নোয়াখালী ও সোনাগাজী অঞ্চলের পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেনা ডাব মানভেদে খুচরা পর্যায়ে ১৩০-১৪০ টাকা দরে বিক্রি করছি। তবে ঠান্ডা মৌসুমে একই ডাব ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হয় বলেন তিনি।

;

নীলফামারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর সদরে ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এখনো নিহত ব্যক্তির নাম, পরিচয় জানা যায়নি।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ভোরে শহরের সংগলশী ইউনিয়নের সুবর্ণখুলি গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সংগলশী ইউনিয়নের সুবর্ণখুলি গ্রামে চলমান রেললাইন হতে ১০ ফিটের বাহিরে এক মহিলার লাশ পড়ে থাকতে থেকে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। এখনো নিহত ব্যক্তির নাম পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

এবিষয়ে সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত ব্যক্তির নাম, পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

;

রাজ-পরীর সংসারে নতুন ২ অতিথি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বাঘ রাজ ও বাঘিনী পরীর ঘর আলোকিত করে এসেছে নতুন তিন অতিথি। যদিও একটা শাবক মৃত ছিল। এ নিয়ে চিড়িয়াখানায় বাঘের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ টিতে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাতে বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন চিড়িয়াখানার ভারপ্রাপ্ত কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ।

তিনি বলেন, রোজার ঈদের দুই দিন আগে ৯ এপ্রিল সকাল আটটার দিকে বাঘ রাজ-পরীর সংসারে তিনটি মেয়ে বাঘ শাবক জন্ম নেয়। তখন আমরা একটি শাবক মৃত অবস্থায় পায়। বাকি দুটি শাবক মায়ের সঙ্গে আছে। সুস্থ আছে, দুধও খাচ্ছে। ঈদের সময় একটু ব্যস্ততা ছিল তাই আমরা বিষয়টি তখন জানাতে পারিনি।

‘এনিয়ে রাজ-পরীর ঘরে মোট ১২টি বাঘ ও শাবক রয়েছে। যার মধ্যে ৪টি পুরুষ, বাকি সব মেয়ে। জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন শাবক ‍দুটির নাম দেওয়া হবে। আমরা আরও একমাস পর দর্শনার্থীদের জন্য শাবকগুলো উন্মক্ত করব, বলেন চিড়িয়াখানার এ কর্মকর্তা।

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় নতুন দুই শাবকসহ বর্তমানে বাঘের সংখ্যা মোট ১৯টি, যার মধ্যে ১৩টি মেয়ে ৬টি পুরুষ। ১৯টির মধ্যে ৫টি সাদা বাঘ‌।

গতবছর চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় জন্মগ্রহণ করা এক জোড়া বাঘ দিয়ে প্রাণী বিনিময়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা হতে এক জোড়া জলহস্তী চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় আনা হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৯ ডিসেম্বর ৩৩ লাখ টাকায় কেনা ১১ মাস বয়সী রাজ এবং ৯ মাস বয়সী পরীকে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় আনা হয়। ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই বেঙ্গল টাইগার দম্পতি রাজ-পরীর তিনটি ছানার জন্ম হয়। যার মধ্যে দুটি ছিল ‘হোয়াইট টাইগার’, অন্যটি কমলা-কালো ডোরাকাটা। পরদিন একটি সাদা বাঘ শাবক মারা যায়। অন্য সাদা বাঘিনীটি ‘শুভ্রা’। কমলা-কালো বাঘিনীটির নাম দেওয়া হয় ‘জয়া’। শুভ্রা বাংলাদেশে প্রথম সাদা বাঘ। এর আগে দীর্ঘ পাঁচ বছর চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা বাঘ শূন্য ছিল।

;

নীলফামারীতে নির্বাচনে অংশ নেয়ায় বিএনপি নেতা বহিষ্কার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফয়সাল ফাহমিদ চৌধুরী কমেট ওরফে কমেট চৌধুরীকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে জলঢাকা পৌরসভার মেয়র পদে উপনির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন জলঢাকা পৌর নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কমেট চৌধুরীকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

কমেট চৌধুরী জলঢাকা উপজেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে ২০২১ সাল থেকে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এর আগে তিনি জলঢাকা পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। কমেট চৌধুরীর বাবা আনোয়ারুল কবীর চৌধুরীও জলঢাকা পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন। বাবার হাত ধরে রাজনীতিতে আসেন কমেট চৌধুরী।

প্রসঙ্গত, গত ১৯ জানুয়ারি জলঢাকা পৌরসভার মেয়র ইলিয়াস হোসেন বাবলু মারা যাওয়ায় মেয়র পদে তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। আগামী ২৮ এপ্রিল মেয়র পদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

;