'শ্রমিক লীগের গুরুত্ব সবাই অনুভব করছে'



শাহজাহান মোল্লা ও রেজা-উদ্-দৌলাহ প্রধান, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘ সাত বছর পর কাউন্সিল হতে যাচ্ছে জাতীয় শ্রমিক লীগের। ২০১২ সালের ১৯ জুলাই সংগঠনটির সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। দুই বছর মেয়াদী কমিটির দায়িত্ব পালন করছে সাত বছরের বেশি সময় ধরে। অবশেষে আগামী ৯ নভেম্বর সংগঠনটির কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে।


এদিকে, কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে সাজসাজ রব শ্রমিক লীগের নেতা-কর্মীদের মাঝে। শীর্ষপদে মনোনয়ন পেতে অনেকে ধরনা দিচ্ছেন সংগঠনটির সাবেক নেতাসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের বাসা কিংবা অফিসে। সবচেয়ে বেশি ভিড় করছেন সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের দরবারে। কারণ তাকে বলা হয় শ্রমিক নেতাদের ভাগ্য বিধাতা। মাদারীপুর-২ আসন থেকে সাত বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য শাজাহান থান বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

গত ৩০ অক্টোবর জাতীয় সংসদ ভবনে নিজস্ব কার্যালয়ে বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে একান্ত সাক্ষাৎকার দেন শাজাহান খান। এ সময় তিনি শ্রমিক লীগের আসন্ন সম্মেলনের বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেন। পাঠকদের জন্য তা তুলে ধরা হলো।

বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম: শ্রমিক লীগের আসন্ন কাউন্সিলে কেমন সাড়া পাচ্ছেন?

শাজাহান খান: জাতীয় শ্রমিক লীগ বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ শ্রমিক সংগঠন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর হাতে প্রতিষ্ঠিত এই সংগঠন। ৭ বছর পর এই সংগঠনের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সব ধরণের প্রস্তুতি আমরা গ্রহণ করেছি। একটি জাকজমকপূর্ণ ও স্মরণকালের বৃহৎ একটি সম্মেলন করার ইচ্ছা আছে। সকাল ১০টায় সম্মেলন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বহু অতিথি সেখানে আসবেন।

শ্রমিক নেতা সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান

দেশের বহু শ্রমিক সংগঠন এই সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। যারা শ্রমিক আন্দোলন করেন, ট্রেড ইউনিয়ন করেন- তারা সম্মেলন নিয়ে বেশ আশাবাদী। ফলে এই সংগঠনের গুরুত্বটা সবাই অনুভব করতে পারছে।

বঙ্গবন্ধুর সময় এই সংগঠন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ৬ দফা আন্দোলনের সময় বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে শ্রমিকরাও আন্দলনে যুক্ত হন। তারাও শহীদ হন। সুতরাং আমাদের দায়িত্ব এই সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করা। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ শুরু করেছি।

বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম: শুদ্ধি অভিযানে শ্রমিক লীগের অনেক নেতা অভিযুক্ত হচ্ছেন। এটা সম্মেলনে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে?

শাজাহান খান: অভিযোগ অনেকের বিরুদ্ধেই থাকতে পারে। তবে সত্য-মিথ্যা বিবেচনা করে এখনই সব বলা যাবে না। যখন সময় আসবে তখন দেখা যাবে। তবে অভিযোগ যে খুব বড়, তা নয়। এই অভিযোগকে ওভারকাম করেই আমরা সম্মেলন করতে পারবো। কোনও ধরণের বাধা বা সমস্যার সৃষ্টি হবে না।

বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম: গত ১০ বছরে তুলে ধরার মতো শ্রমিক লীগ কী কাজ করেছে?

শাজাহান খান: শ্রমিক লীগ জন্মলগ্ন থেকেই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বেশি জড়িত। স্বাধীনতার পরও শ্রমিক লীগ অনেক কাজ করেছে। বঙ্গবন্ধুর সময়েও শ্রমিক লীগের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর শ্রমিক লীগ আরও বিস্তার লাভ করেছে। গার্মেন্টেস সেক্টরে কী পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল? তখন গার্মেন্টস শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ গঠন করে জ্বালাও পোড়াওয়ের বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন করেছিলাম। সে সময় অনেককে ভুল বুঝিয়ে বিভ্রান্ত করে ফায়দা লুটার চেষ্টা করা হয়েছিল।

এরপর প্রধানমন্ত্রী গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়ে দেন। প্রতি ৫ বছর পর পর শ্রমিকদের নূন্যতম মজুরি নির্ধারাণে শ্রমিক লীগের বিশাল ভূমিকা থাকে। মজুরি নির্ধারণ কমিটিতে শ্রমিক লীগের একজন স্থায়ী সদস্য আছেন। এছাড়া শ্রমিক অসন্তোষ দেখা গেলে তা নিরসন করা শ্রমিক লীগের দায়িত্ব।

সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ নিয়ে বার্তাটোয়েন্টিফোরের একান্ত সাক্ষাৎকারে শাজাহান খান

বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম: শ্রমিক লীগের নিয়মিত কাউন্সিল হয় না কেন? কাউন্সিল না হলে কী কী ক্ষতি হয়?

শাজাহান খান: আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোর কাউন্সিল সময়মতো করতে পারেনি এটা সত্য। নানা কারণ থাকতে পারে। কিন্তু আওয়ামী লীগ তিন বছরের মধ্যেই কাউন্সিল করার চেষ্টা করে। এবারও তাই হচ্ছে। ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনগুলোর নিজস্ব অনেক সমস্যাই থাকতে পারে। এই সমস্যাগুলো নিজেদের অভ্যন্তরীণ। হয়তো জেলা কমিটি করতে পারেনি অথবা তাৎক্ষণিকভাবে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। যেমন ডেঙ্গু পরিস্থিতির কারণে আওয়ামী লীগের সম্মেলন পিছিয়ে গেল। কখনো বন্যা, কখনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ নানা কারণেই পিছিয়ে যেতে পারে সম্মেলন। তবে আমি বিশ্বাস করি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় যথাযথভাবে চলবে শ্রমিক লীগ। দৃশ্যমান সম্মেলন হলে নতুন নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি হয়। সংগঠন চাঙা থাকে। নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবের ভাব চলে আসে। ভ্রাতৃত্ববন্ধন সৃষ্টি হয়। সকলের মধ্যে কাউন্সিলের উৎসবভাবটা শুরু হয়ে গেছে।

বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম: কাউন্সিলে ডেলিগেট কতজন?

শাজাহান খান: ৮ হাজারের বেশি ডেলিগেট এবং ৮ হাজারের বেশি কাউন্সিলর। সব মিলিয়ে প্রায় ১৭ হাজার।

বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম: কেমন নেতৃত্ব আশা করছেন?

শাজাহান খান: এটা নির্ভর করে কাউন্সিলের মতামত সর্বপরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর। একটি গণতান্ত্রিক সংগঠনে ভোটের মাধ্যমে সাধারণত নেতৃত্ব সৃষ্টি হয়। আসলে দুইটা পদ্ধতিতে হয়। একটা ইলেকশন আরেকটা সিলেকশন। যদিও সিলেকশনটাও একটা নির্বাচন। সিলেকশনটা সকলের মতামতের ভিত্তিতে হয়ে থাকে। গণতান্ত্রিক সংগঠনে যারা কাউন্সিলর থাকেন তাদের মতামত বা তাদের ভোট প্রয়োজন হয়। সব সময় যে ভোট হয় তেমনটা না।

যেমন ছাত্রলীগের নেতৃত্ব নির্বাচনে কখনো ভোট হয়, কখনো প্রধানমন্ত্রী নির্ধারণ করে দেন। প্রধানমন্ত্রী জানেন কার কী রাজনৈতিক প্রজ্ঞা এবং দলে কার কী অবদান। তবে এখন অনেকে নতুন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে এসেছেন। ফলে দলে অনেকে অনুপ্রবেশ করেছে। একটি দল অনেকদিন ক্ষমতায় থাকলে স্বভাবিকভাবে কিছু অনুপ্রবেশকারী থাকবেই। তারাই জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। সেটাও প্রধানমন্ত্রী বিবেচনা করেন।

বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম: গঠনতন্ত্রে পরিবর্তনের সম্ভাবনা আছে কি?

শাজাহান খান: না, যে গঠনতন্ত্র আগেরবার করে দিয়েছি সেটাই থাকবে। ট্রেড ইউনিয়ন করার মতো সুন্দর একটা গঠনতন্ত্র। সুতরাং এবার নতুন করে গঠনতন্ত্র পরিবর্তন করার কোনও প্রয়োজন নেই।

বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম: আপনাকে ধন্যবাদ।

শাজাহান খান: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকেও ধন্যবাদ।

   

বায়ুদূষণে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে বাংলাদেশ, বছরে মৃত্যু পৌনে তিন লাখ মানুষের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বায়ুদূষণে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে বাংলাদেশ, বছরে মৃত্যু পৌনে তিন লাখ মানুষের

বায়ুদূষণে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে বাংলাদেশ, বছরে মৃত্যু পৌনে তিন লাখ মানুষের

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ উদ্বেগজনক মাত্রার দূষণ এবং পরিবেশগত স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। যা তুলনামূলক বেশি ক্ষতি করছে দরিদ্র, পাঁচ বছরের কম শিশু, বয়স্ক এবং নারীদের। প্রতিবছর বায়ুদূষণ, অনিরাপদ পানি, নিম্নমানের স্যানিটেশন ও হাইজিন এবং সীসা দূষণে অকালে প্রাণ হারাচ্ছেন ২ লাখ ৭২ হাজারের বেশি মানুষ।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিশ্বব্যাংক প্রকাশিত দ্য বাংলাদেশ কান্ট্রি এনভায়রেন্টমেন্ট অ্যানালাইসিস (সিইএ) রিপোর্টে এ তথ্য জানা যায়।

রিপোর্ট অনুযায়ী, বায়ুদূষণ, অনিরাপদ পানি, নিম্ন মানের স্বাস্থ্যব্যবস্থা ও স্বাস্থ্যবিধি এবং সীসা দূষণে বছরে দুই লাখ ৭২ হাজারের বেশি অকালমৃত্যু ঘটে। পরিবেশগত কারণে ২০১৯ সালে বাংলাদেশের জিডিপির ১৭ দশমিক ৬ শতাংশের মতো ক্ষতি হয়েছে। ঘরের ও বাইরের বায়ুদূষণে স্বাস্থ্যের ওপর সবচেয়ে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। যা ৫৫ শতাংশ অকালমৃত্যুর জন্য দায়ী।

বাংলাদেশ এবং ভুটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক বলেন, পরিবেশের ক্ষতি করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হলে তা টেকসই হতে পারে না। শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির গতিপথ টেকসই রাখতে এবং শহর ও গ্রামাঞ্চলের মানুষের জীবনমানের উন্নতি করতে বাংলাদেশ কোনোভাবেই পরিবেশকে উপেক্ষা করতে পারবে না। উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার লক্ষ্য অর্জনে পরিবেশের ক্ষয় রোধ এবং জলবায়ু সহিষ্ণুতা নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

সিইএ রিপোর্টে বলা হয়, পরিবেশ দূষণ শিশুদের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। সীসা বিষক্রিয়া শিশুদের মস্তিকের বিকাশে অপরিবর্তনীয় ক্ষতি করছে। এর ফলে বছরে প্রাক্কলিত আইকিউ ক্ষতি হচ্ছে প্রায় ২০ মিলিয়ন পয়েন্ট। গৃহস্থালিতে কঠিন জ্বালানির মাধ্যমে রান্না বায়ুদূষণের অন্যতম উৎস এবং তা নারী ও শিশুদের বেশি ক্ষতি করছে। শিল্পের বর্জ্য এবং অনিয়ন্ত্রিত প্লাস্টিকসহ বিভিন্ন বর্জ্য এবং অন্যান্য উৎস থেকে আসা অপরিশোধিত ময়লাযুক্ত পানির কারণে বাংলাদেশের নদীগুলোর পানির গুণগত মানের মারাত্মক অবনতি ঘটেছে।

বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সময়মতো এবং জরুরি হস্তক্ষেপ, উন্নত পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) এবং সীসা দূষণ নিয়ন্ত্রণ প্রতি বছর ১ লাখ ৩৩ হাজারের বেশি অকালমৃত্যু ঠেকাতে পারে। সবুজ বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিনিয়োগ, রান্নায় সবুজ জ্বালানি ব্যবহার এবং শিল্প-কারখানা থেকে দূষণ রোধে কঠোর নিয়ন্ত্রণ বায়ু দূষণ কমাতে পারে।

বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র পরিবেশ বিশেষজ্ঞ এবং এই প্রতিবেদনের সহ-লেখক আনা লুইসা গোমেজ লিমা বলেন, সময়মতো এবং সঠিক নীতি ও কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশ পরিবেশ দূষণের ধারা পাল্টে ফেলতে পারে। পরিবেশ সুরক্ষা জোরদারে পদক্ষেপ এবং রান্নায় সবুজ জ্বালানির জন্য বিনিয়োগ ও অন্যান্য প্রণোদনা, সবুজ অর্থায়ন বাড়ানো, কার্যকর কার্বন মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং সচেতনতা বাড়ানো দূষণ কমাতে পারে এবং এর ফলে সবুজ প্রবৃদ্ধি অর্জন হতে পারে।

পরিবেশগত ব্যবস্থাপনার জন্য সুশাসন জোরদার ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়াতে এই রিপোর্টে পরিবেশগত অগ্রাধিকারসমূহ চিহ্নিত করা হয়েছে, বিভিন্ন পদক্ষেপের মূল্যায়ন এবং প্রয়োজনীয় সুপারিশ করা হয়েছে। সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে অগ্রাধিকার নির্ধারণ, পরিবেশ নীতি পদ্ধতিগুলোর বৈচিত্রাকরণ ও জোরদারকরণ, সাংগঠনিক কাঠামো এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা জোরদারকরণ এবং সবুজ অর্থায়নের জন্য সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে বাংলাদেশ এর পরিবেশকে রক্ষা করতে পারে।

;

এডিপি বাস্তবায়নে দক্ষতার সঙ্গে দ্রুত কাজ করার তাগিদ গণপূর্তমন্ত্রীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
এডিপি বাস্তবায়নে দক্ষতার সঙ্গে দ্রুত কাজ করার তাগিদ গণপূর্তমন্ত্রীর

এডিপি বাস্তবায়নে দক্ষতার সঙ্গে দ্রুত কাজ করার তাগিদ গণপূর্তমন্ত্রীর

  • Font increase
  • Font Decrease

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে চলমান প্রকল্পগুলো দক্ষতা ও আন্তরিকতার সাথে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। 

এসময় তিনি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের অগ্রগতি জাতীয় গড় থেকে বেশি হলেও তা যথেষ্ট সন্তোষজনক নয় বলে মন্তব্য করেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

উবায়দুল মোকতাদির বলেন, প্রত্যেক দপ্তর ও সংস্থার ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয় এমন কাজ করতে হবে। নিজের দক্ষতা, বুদ্ধিমত্তা, আন্তরিকতা ও দেশপ্রেমের সাথে কাজ করতে হবে। সিদ্ধান্ত গ্রহণে অহেতুক বিলম্ব করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

আগামী ৩০ জুনের আগেই প্রত্যেক দপ্তর বা সংস্থার এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি সম্মানজনক পর্যায়ে নিয়ে আসার জন্য তিনি নির্দেশনা দেন।

সভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন সব দপ্তর ও সংস্থার চলমান প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি (ভৌত ও আর্থিক) তুলে ধরে প্রকল্প বাস্তবায়নে বিদ্যমান সমস্যা ও চ্যালেঞ্জসমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার জন্য মন্ত্রী প্রকল্প পরিচালক ও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।

সভায় মন্ত্রী বলেন, হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নিজস্ব জনবলে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে। গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের কাজ যথাযথভাবে করতে হবে।

সভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব নবীরুল ইসলাম, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান মিয়া, গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আজমত উল্লাহ খান, রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জিয়াউল হক উপস্থিত ছিলেন।

;

মদ বোঝায় পিক-আপ জব্দ, গ্রেফতার ১



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বনানী এলাকা থেকে ১ হাজার ৮৬৬ বোতল মদ বোঝাই পিক-আপ ভ্যান জব্দ করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‌্যাব-১)। একই সঙ্গে মো. মাসুদ বিশ্বাস (৩৪) নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮মার্চ) সহকারী পরিচালক (মিডিয়া অফিসার) সহকারী পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমান এ তথ্য জানান।

মাহফুজুর রহমান বলেন, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‌্যাব-১) এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, বনানী থানাধীন এলাকায় ১ জন মাদক ব্যবসায়ী ১টি সাদা রং এর পিক-আপ ভ্যানে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য বহন করে বনানী এলাকা থেকে গুলশান এলাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করবে।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বনানীর ব্লক-জি এর সামনে রাস্তার উপর হতে অভিযান পরিচালনা করে মাদক ব্যবসায়ী মো. মাসুদ বিশ্বাসকে (৩৪), গ্রেফতার করা হয়।

এসময় আসামির নিকট হতে কেরুর তৈরি ১ হাজার ৮৬৬ বোতল বিলাতি মদ ও ১টি পিক-আপ ভ্যান এবং ১টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ও গ্রেফতারকৃত আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

 

;

চট্টগ্রামে ৬ কিশোর গ্যাংয়ের প্রধানসহ গ্রেফতার ৩৩



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে ছিনতাই ও চাঁদাবাজি প্রতিরোধে চট্টগ্রাম নগরীতে অভিযান চালিয়ে ছয় কিশোর গ্যাং গ্রুপের প্রধানসহ ৩৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‍্যাব)।

বুধবার (২৭ মার্চ) দিবাগত রাত থেকে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ)সকাল পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।


র‍্যাব জানায়, অভিযান চালিয়ে পাঁচলাইশ থানার ফরেষ্টগেইট রেল ক্রসিং এলাকা থেকে রুবেল গ্রুপের প্রধান রুবেলসহ ছয়, মোহাম্মদপুর এয়ার বিল টাওয়ার এলাকার বাচা গ্রুপের প্রধান বাচা সোহেলসহ পাঁচ, বায়েজিদ বোস্তামী থানার পূর্ব নাসিরাবাদ এলাকা থেকে জনি গ্রুপের প্রধান জনিসহ পাঁচ, পাহাড়তলীতে ১২ কোয়ার্টার এলাকা থেকে সাজ্জাদ গ্রুপের প্রধান সাজ্জাদসহ সাত, সরাইপাড়া এলাকার সাকিব গ্রুপের প্রধানসহ ছয়, বিপুল গ্রুপের প্রধানসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

র‍্যাব-৭-এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) নুরুল আবছার জানান, ঈদকে কেন্দ্র করে কিশোর গ্যাং সদস্যদের অপতৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন রকম চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও ইভিটিজিং এর মতো অপরাধে এ কিশোর গ্যাং’র সদস্যরা জড়িত। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে র‍্যাব ছয় কিশোর গ্যাং লিডারসহ ৩৩ জনকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ গ্রেফতার করে। তাদের মধ্যে পাঁচজনের নামে নগরীর বিভিন্ন থানায় চাঁদাবাজি এবং ডাকাতির আটটি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে।

ঈদে নগরবাসীকে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দিতে শপিং সেন্টারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় র‍্যাবের সাদা পোশাকধারী সদস্যরা নিয়োজিত আছেন বলে জানান এই র‍্যাব কর্মকর্তা।

;