খোকার মরদেহ আসা নিয়ে বিমানবন্দরে কড়া নিরাপত্তা, বিএনপির ক্ষোভ

  সাদেক হোসেন খোকা আর নেই
  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপত্তা জোরদার, ছবি: সুমন শেখ

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপত্তা জোরদার, ছবি: সুমন শেখ

অভিবক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকার মরদেহ দেশে আসা নিয়ে রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

তিনি বলেন, ‘খোকা ভাইয়ের মরদেহ বিমান বন্দরে আসলে আমরা তাকে নিয়ে যাবো। কিন্তু এখানে এতো পুলিশ মোতায়েন করার কি আছে?’

বিজ্ঞাপন

এসময় বিএনপির এই নীতিনির্ধারক অভিযোগ করে বলেন, ‘বিমান বন্দরের গেট দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।’

বিমানবন্দরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস

বৃহস্পতিবার ( ৭ নভেম্বর) সকাল ৮টা ১০ মিনিটে অ্যামিরেটস এয়ার লাইন্সের ফ্লাইটে খোকার মরদেহ দেশ আসার কথা রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

গত ৪ নভেম্বর বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা ৫০মিনিট নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের মেমোরিয়াল স্লোন ক্যাটারিং ক্যানসার সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি কিডনির ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন।

বিএনপির অভিযোগ বিমানবন্দরে তাদের নেতাকর্মীদের ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না

চিকিৎসার জন্য ২০১৪ সালের ১৪ মে সাদেক হোসেন খোকা যুক্তরাষ্ট্র যান। যুক্তরাষ্ট্রে থাকাকালে সাদেক হোসেন খোকার বিরুদ্ধে দেশে কয়েকটি দুর্নীতির মামলা হয়। রাজধানীর বনানী সুপার মার্কেটের কার পার্কিংয়ের ইজারা দুর্নীতির মামলায় খোকাসহ ৪ জনের ১০ বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড হয়। গত বছরের ২৮ নভেম্বর ঢাকা বিভাগীয় স্পেশাল জজ মিজানুর রহমান খান এ রায় ঘোষণা করেন।

দেশে আসছে সাদেক হোসেন খোকার মরদেহ

সাদেক হোসেন খোকা ১৯৫২ সালের ১২ মে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। মাওলানা ভাসানীর ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে (ন্যাপ) যোগ দিয়ে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন তিনি। পরবর্তীতে আশির দশকে বামপন্থী রাজনীতি ছেড়ে বিএনপিতে যোগ দেন।১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথম সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন এবং তার দল সরকার গঠন করলে তিনি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব লাভ করেন। পরবর্তীতে ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালেও তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন এবং ২০০১ সালে তার দল সরকার গঠন করলে তিনি মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব লাভ করেন। তিনি সরাসরি নির্বাচনে জয় লাভের মাধ্যমে ২০০২ সালের ২৫ এপ্রিল ঢাকার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।