বাংলাদেশকে আঘাত করা ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড়গুলো

  ঘূর্ণিঝড় বুলবুল


রকিবুল সুলভ,নিউজরুম এডিটর,বার্তা২৪.কম
ছবি: প্রতীকী

ছবি: প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

ভূ-প্রাকৃতিকভাবেই বাংলাদেশ একটি দুর্যোগপ্রবণ অঞ্চল। বাংলাদেশ ভূখণ্ডের দক্ষিণে রয়েছে বিশাল বঙ্গোপসাগর, যা ভারত মহাসাগরের অন্তর্ভুক্ত। এ কারণে বাংলাদেশের ওপর ঝড়-জলোচ্ছ্বাস প্রতিবছরই আঘাত হানে। এসব ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে বাংলাদেশের উপকূল অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অবকাঠামোগত ক্ষয়-ক্ষতিসহ অনেক প্রাণহানিও ঘটে থাকে। বাংলাদেশ সরকার এসব ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করে থাকে।

গত দুই-তিনশ বছরে বেশ কয়েকটি ঘূর্ণিঝড়ের নাম পাওয়া যায়, যেগুলো এই অঞ্চলকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। বাংলাদেশের সরকারি তথ্য অনুসারে, ১৯৬০-২০১৭ সাল পর্যন্ত মোট ৩৩টি বড় সাইক্লোনের ঘটনার তথ্য পাওয়া যায়।

এদের মধ্যে আলোচিত কয়েকটি ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমের পাঠকদের জানাতে এই আয়োজন।

১৮৭৬ সালের ঘূর্ণিঝড় :

প্রায় দেড়শ বছর আগে একটি ঘূর্ণিঝড় এই অঞ্চলে আঘাত হানে, যাকে ভয়াবহতার দিক থেকে পৃথিবীর ষষ্ঠ ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১৮৭৬ সালের ৩১ অক্টোবর আঘাত হানা এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম 'বাকেরগঞ্জ ঘূর্ণিঝড়'। বাকেরগঞ্জের উপকূলের (মেঘনার মোহনার ‍নিকটে) ওপর দিয়ে বয়ে যায় এই প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়। এতে বাতাসের তীব্রতা ছিল ঘণ্টায় ২২০ কিলোমিটার।

এতে পানি সমুদ্রতটের থেকে স্বাভাবিকের থেকে ৪০ ফিট উপর দিয়ে বয়ে যায়। এই ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির সঙ্গে প্রাণহানিও ঘটে। ধারণা করা হয় যে, এই ঝড়ে প্রায় দুই লাখের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী ভয়াবহ মহামারি ও দুর্ভিক্ষের প্রভাব কাটিয়ে উঠতে অনেক সময় লাগে এই অঞ্চলের মানুষের।

১৯৭০ সালের ভোলার ঘূর্ণিঝড় :

১৯৭০ সালের ১৩ নভেম্বর ভোলার (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) ঘূর্ণিঝড় ছিল এ অঞ্চলে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘূর্ণিঝড়। রেকর্ডকৃত ঘূর্ণিঝড়সমূহের মধ্যে সর্বকালের সবচেয়ে ভয়ংকরতম প্রাকৃতিক দুর্যোগের একটি এটি। এটি ১৯৭০-এর উত্তর ভারতীয় ঘূর্ণিঝড় মৌসুমের ৬ষ্ঠ ঘূর্ণিঝড় হিসেবে বিবেচিত।

১৯৭০ সালের ভোলার ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত একটি এলাকা/ ছবি: এপি 

সিম্পসন স্কেলে 'ক্যাটাগরি ৩' মাত্রার ঘূর্ণিঝড় ছিল এটি। এর সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২০৫ কিলোমিটার। হিসেব অনুযায়ী এতে প্রায় ৩ থেকে ৫ লাখ মানু্ষের প্রাণহানি ঘটে। এই ঝড়ের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ভোলা জেলা। সেখানকার তজমুদ্দিন উপজেলায় ১ লাখ ৬৭ হাজার মানুষের মধ্যে ৭৭ হাজারই প্রাণ হারান সেদিন।

১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড় :

এই ঘূর্ণিঝড়কে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহতম ঘূর্ণিঝড় বলে আখ্যায়িত করা হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ২০তম বছরে এসে বাংলাদেশ দেখে এই ঘূর্ণিঝড়ের ভয়াবহতা। ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল চট্টগ্রাম বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যায় এই প্রলয়ঙ্করী ঝড়টি। এর সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২৫০ কিলোমিটার। এতে ২০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয় সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চল।

এই ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় ১ লাখ ৩৮ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে। সন্দ্বীপ, মহেশখালী, হাতিয়া দ্বীপে নিহতের সংখ্যা ছিল সর্বাধিক যাদের অধিকাংশই ছিল শিশু ও বৃদ্ধ। সচেতনতা ও অজ্ঞতার কারণে অনেকেই সাইক্লোন সেন্টারে সময়মত আশ্রয় নেয়নি। ধারণা করা হয় প্রায় ২০ লাখ লোক আশ্রয়কেন্দ্রে না গিয়ে ভয়াবহ এই ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্ত হয়।

এই ঘূর্ণিঝড় প্রায় ১.৫ বিলিয়ন ডলারের (১৯৯১ মার্কিন ডলার) ক্ষতি সাধন করে। চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করা বিভিন্ন ছোট বড় জাহাজ, লঞ্চ ও অন্যান্য জলযান ও আকাশ নিখোঁজ ও ক্ষতিগ্রস্ত হয় যার মধ্যে নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর অনেক যানও বিদ্যমান। এই ঝড়ে প্রায় ১০ লক্ষ ঘড়-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যাতে প্রায় ১ কোটি মানুষ নিঃস্ব হয়।


ঘূর্ণিঝড় সিডর :

আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কাছাকাছি সমুদ্রে সৃষ্ট এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম 'সিডর'। ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করে এটি। এতে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২২৩ কিলোমিটার। এই ঝড়ে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা ছিল ১৮-২০ ফুট। এই ঝড়ে প্রায় দশ হাজার মানুষ প্রাণ হারায়।

সাইক্লোন সিডরের ক্ষয়ক্ষতি/ ছবি: সংগৃহীত 

রেডক্রসের তথ্যানুযায়ী, এই ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় দশ লাখ ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে যায়। সুন্দরবনের বেশ ক্ষতি হয় এতে। ঝড়ে ২১০,০০ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়। এর মধ্যে প্রায় ৬০০,০০০ টন ধান বিনষ্ট হয়। সুন্দরবনের পশুর নদীতে বেশ কিছু হরিণের মৃতদেহ ভাসতে দেখা যায়। এ ঝড়ে প্রায় ২ লাখ ৪২ হাজার গৃহপালিত পশু এবং হাঁস-মুরগি মারা যায়।


ঘূর্ণিঝড় আইলা :

২০০৯ খ্রিস্টাব্দে উত্তর ভারত মহাসাগরে জন্ম নেয়া দ্বিতীয় ঘূর্ণিঝড় 'আইলা'। ওই বছরের ২১ মে ভারতের কলকাতা থেকে ৯৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে ঘূর্ণিঝড়টির উৎপত্তি। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাংশে এই ঝড় আঘাত হানে ২৫ মে। এই ঝড় ভারতের দক্ষিণ-পূর্বাংশেও আঘাত হানে। 

ঘূর্ণিঝড় আইলা শেষে ত্রাণ নিয়ে ফিরছেন ক্ষতিগ্রস্ত নারী/ ছবি: সংগৃহীত

মালদ্বীপের আবহাওয়াবিদরা আইলা'র নামকরণ করেন। আইলা'র অর্থ ডলফিন বা শুশুকজাতীয় জলচর প্রাণী। এই প্রায় ৩০০ কিলোমিটার ব্যাসের ঘূর্ণিঝড়টি প্রায় ১০ ঘণ্টা সময় নিয়ে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করে। তবে ঘূর্ণিঝড়টি দুর্বল হয়ে যাওয়ায় বাতাসের গতিবেগ কমে ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার হয়ে যায়। এতে সিডরের তুলনায় ক্ষয়ক্ষতি অনেক কম হয়েছিল। কেননা এই ঝড়ের পূর্বে নেয়া হয় বেশ কিছু প্রস্তুতি।

ঘূর্ণিঝড় মহাসেন :

বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণাংশে নিম্নচাপজনিত কারণে ২০১৩ সালের মে'র শুরুর দিকে উৎপত্তি ঘটে ঘূর্ণিঝড় মহাসেনের। এতেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। কার্যত জনজীবন অচল হয়ে পড়ে।

ঘূর্ণিঝড় মোরা:

২০১৭ সালের ৩০ মে সকাল পৌনে ৬টার দিকে কক্সবাজারের টেকনাফে ১৩৫ কিমি বেগে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় 'মোরা'। এসময় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজার উপকূলে ১০ নম্বর মহা বিপদসংকেত জারি করা হয়। এছাড়া এতে মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়। এই ঝড়ের আঘাতে কক্সবাজার উপকূলের শতাধিক বাড়ি-ঘর বিধ্বস্ত হয়। বেশ কিছু মানুষের প্রাণহানি ঘটে এতে।


ঘূর্ণিঝড় ফণী:

২০১৯ সালের ৪ মে সকালে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা, যশোর ও খুলনা অঞ্চল এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ফণী। তবে আঘাতের পূর্বেই এটি দুর্বল হয়ে যায়। ফণীর প্রভাবে ও আঘাতে বাংলাদেশে মোট ১৮ জনের মৃত্যু হয়।

ঘূর্ণিঝড় ফণীতে আক্রান্ত একটি পরিবার/ ছবি: আল জাজিরা 

বাংলাদেশ সরকার ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য চাল, শুকনো খাবার, এবং ৳১.৯৭ কোটি বিতরণ করে। ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে বাংলাদেশে ৫৩৬ কোটি ৬১ লাখ ২০ হাজার টাকার ক্ষতি হয় জানায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।

   

সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম রাঙামাটি
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাঙ্গামাটির সাজেকের উদয়পুর সীমান্ত সড়কের ‘নব্বই ডিগ্রি’ এলাকায় সাড়ে ৫ টার দিকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডাম্প ট্রাক খাদে পড়ে গেলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এর আগে ঘটনাস্থলেই ৬ শ্রমিক নিহত হন। এ সময় আহত হয়েছেন ৮ জন। ট্রাকটিতে ১৭ জন শ্রমিক ছিলেন। 

বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাতে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাঘাইছড়ির সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল আওয়াল। তিনি জানান, সীমান্ত সড়কের কাজ শেষে করে শ্রমিক বহনকারী ট্রাকটি মূল স্টেশনে ফেরার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাহাড়ি খাদে পড়ে যায়। আহত শ্রমিকদের উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক ৩ জনকে মৃত ঘোষণা করেন।

আব্দুল আউয়াল আরও বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে। সাজেক থানায় ৫ জনের মরদেহ আছে। খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের ৪ জনের মরদেহসহ মোট ৯ জন নিহত হয়েছে এ দুর্ঘটনায়। হতাহতদের নাম ও পরিচয় শনাক্তের কাজ চলমান। 

খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. সাগর দেব তপু জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ১০ জনের মধ্যে ৪ জন হাসপাতালে আনার পথে মারা গেছেন। চিকিৎসাধীন ৬ জনের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরিন আক্তার এ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আহতদের উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কারও নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হতাহত শ্রমিকদের বাড়ি রংপুর অঞ্চলে। তারা উদয়পুর বাঘাইছড়ি সীমান্ত সড়কের ১৭ কিলোমিটার নামক স্থানে হারিজাপাড়া সেতু নির্মাণ কাজে নিয়োজিত ছিলেন। 

  ঘূর্ণিঝড় বুলবুল

;

ফরিদপুরে দুই সহোদর হত্যা: ঘটনাস্থলে রেল ও মৎস্য মন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ফরিদপুরের মধুখালীর ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লীতে মন্দিরে আগুন লাগার সহিংস ঘটনার সন্দেহে ১৮ এপ্রিল আপন দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন রেলপথ মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম এবং মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান। 

বুধবার রাত ৮ টার দিকে দুই মন্ত্রী ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এর আগে সন্ধ্যায় রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার জঙ্গল ইউনিয়নের ধর্মতলা আদর্শ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত শান্তি ও সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম। 

শান্তি ও সম্প্রীতি অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী বলেন, ইসলাম ধর্ম কোন মানুষ হত্যাকে সাপোর্ট করেনা। যারা মানুষ হত্যা করে তারা নিকৃষ্ঠ। পাশের ইউনিয়নে (ডুমাইন) মন্দিরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া সন্দেহে যে দুই ভাইকে হত্যা করা হয়েছে তা বর্বরচিত। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ অসাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে স্বীকৃত। একটি গোষ্ঠী সাম্প্রদায়িক ইস্যু বানিয়ে দেশকে অস্থীতিশীল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা তা কখনো হতে দেবনা। 

পঞ্চপল্লীর পাশের এলাকা সনাতন ধর্মাম্বলী অধ্যাষুত জঙ্গল ইউনিয়নের বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে রেলমন্ত্রী আরো বলেন, আপনাদের কোন ভয় নেই। আপনাদের পাশে সরকার রয়েছে। কোন ষড়যন্ত্রকারি রক্ষা পাবেনা। যারা প্রকৃত হত্যাকারি তাদের বিচার হবেই। আপনারা নির্ভয়ে চলাফেরা করবেন। কোন গুজবে কান দেবেন না। যে কোন সমস্যা হলে সাথে সাথে প্রশাসন কিংবা আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে জানাবেন। 

উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) হাসিবুল হাসানের সভাপতিত্বে শান্তি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকিত সরকার, বালিয়াকান্দি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর হোসেন, জঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কল্লোল বসু, সমাধীনগর আর্য সংঘ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নারোদ বাছার প্রমুখ। শান্তি সমাবেশে প্রায় সহস্রাধিক সনাতন ধমাম্বলী নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।

শান্তি ও সম্প্রতী সমাবেশ শেষে রেলমন্ত্রী ঘটনাস্থল ডুমাইনের পঞ্চপল্লী পরিদর্শনে যান। সেখানে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী আব্দর রহমানও পরিদর্শনে আসেন। দুই মন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্থ মন্দির ও পাশের প্রাথমিক বিদ্যালয় যেখানে দুই ভাইকে হত্যা করা হয় সেখানে পরিদর্শন করেন এবং ঘটনার দিন মন্দিরে সন্ধ্যা প্রদীপ যিনি জ্বালিয়েছিলেন সেই তপতী রাণীর সাথে কথা বলেন।

পরিদর্শন শেষে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান সাংবাকিদের উদ্দেশ্যে বলেন, এ ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা। সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে। প্রতিটি মোড়ে পুলিশ যে পাহাড়া দিচ্ছে এটা কতদিন চলবে- এমন প্রশ্নের জবাবে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী বলেন, যতদিন এলাকা স্বাভাবিক হয়েছে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মনে না করবে ততদিন পর্যন্ত পুলিশ পাহাড়া দিবে।

  ঘূর্ণিঝড় বুলবুল

;

আরও ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি, বৃষ্টির পূর্বাভাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। দিনদিন বাড়ছে তাপমাত্রা। গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। এমন পরিস্থিতিতে আরও তিনদিন হিট অ্যালার্টের (তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা) পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। একই সঙ্গে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার দেওয়া পূর্বাভাসে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আমরা এর আগে তিন দিনের যে হিট অ্যালার্ট জারি করেছিলাম, তার মেয়াদ আজ শেষ হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) থেকে আরও তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হবে। কারণ, আপাতত বড় পরিসরে বৃষ্টি হয়ে তাপপ্রবাহ দূর হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আমরা হিট অ্যালার্ট জারি করে সরকারকে জানিয়ে দিই। সরকার সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। সংশ্লিষ্টরা তাদের করণীয় যা সেটা করবে।

তিনি বলেন, সারা দেশের তাপমাত্রা গতকালের থেকে আজ কিছুটা বেড়েছে। চলতি এপ্রিল মাসে তাপপ্রবাহ পুরোপুরি দূর হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আমরা দেখছি যে, এটা মে মাসের ২ থেকে ৩ তারিখ পর্যন্ত চলবে। এরপর হয়তো বিভিন্ন অঞ্চলে কিছু বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এর আগে পর্যন্ত বড় পরিসরে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। স্থানীয়ভাবে বিচ্ছিন্নভাবে কোথাও কোথাও বৃষ্টি হতে পারে।

এদিকে বুধবার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

আবহাওয়া অফিস জানায়, খুলনা বিভাগসহ দিনাজপুর, নীলফামারী, রাজশাহী, পাবনা, ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জ জেলাসমূহের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ বরিশাল বিভাগ এবং রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, বর্ধিত ৫ (পাঁচ) দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

  ঘূর্ণিঝড় বুলবুল

;

‘কেএনএফ অস্ত্রের মুখে গাড়ি চালাতে বাধ্য করে’ আদালতে ড্রাইভারের জবানবন্দি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
‘কেএনএফ অস্ত্রের মুখে গাড়ি চালাতে বাধ্য করে’

‘কেএনএফ অস্ত্রের মুখে গাড়ি চালাতে বাধ্য করে’

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানে রুমা ও থানচিতে প্রকাশ্যে সেনালী ও কৃষি ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুট এবং ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের সময় কেএনএফ সদস্যরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গাড়ি চালাতে বাধ্য করেছে মর্মে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে থানচির চাঁদের গাড়ি চালক কফিল উদ্দিন সাগর।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে থানচির চাঁদের গাড়ি চালক কফিল উদ্দিন সাগর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক নুরুল হকের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দিতে একথা বলেন তিনি।

অপরদিকে বান্দরবানের রুমা-থানচিতে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের সদস্য সন্দেহে গ্রেফতার গাড়ির ড্রাইভারসহ কফিল উদ্দিন সাগর ও আরও ছয় সদস্যকে দুই দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

বুধবার বেলা সাড়ে ৩টায় চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক এএসএম এমরান তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বান্দরবান আদালতের জিআরও বিশ্বজিৎ সিংহ জানান, আজ তাদের ২ দিন রিমান্ড শেষে আদালতে উপস্থাপন করা হলে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়।

এ পর্যন্ত মোট ৭৭ কেএনএফ সদস্য ও একজন চাঁদের গাড়ির চালকসহ মোট ৭৮ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৩ জন নারী রয়েছেন।

  ঘূর্ণিঝড় বুলবুল

;