ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব নেই কক্সবাজার সমুদ্র পাড়ে
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলবঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় 'বুলবুল' কক্সবাজার উপকূল থেকে ৬৪৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। এটি বাংলাদেশের উপকূলে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানতে পারে। কক্সবাজারকে চার নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
তবে এমন সতর্কতার মধ্যেও কোন বিরূপ প্রভাব পড়েনি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে। রাত ১১টা পর্যন্ত সমুদ্রের পাড়ে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মো. আব্দুর রহমান সতর্কতা সংকেতের কথা জানিয়েছে। তিনি বলেন, ‘বন্দরে এখনো চার নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত জারি রয়েছে। পাশাপাশি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
শুক্রবার সকাল থেকেই সমুদ্র পাড়ে বড় ঢেউ থাকলেও টানা তিনদিনের ছুটিতে কক্সবাজারে বেড়াতে আসা পর্যটকদের পদচারণায় সারাদিন মুখরিত ছিল সমুদ্র পাড়ের সব কয়টি পয়েন্ট।
ঢাকা থেকে পরিবার নিয়ে বেড়াতে আসা শাহিন আহমেদ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে রওনা হয়ে শুক্রবার সকালে কক্সবাজার পৌঁছেছি। আসার সময়ই ঝড়ের কথা শুনেছিলাম। কিন্তু যেহেতু সব কিছুই বুকিং করা ছিল তাই চলেই আসলাম। শুনেছি সতর্কতা সংকেত রয়েছে, কিন্তু গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ছাড়া তেমন কোনো ঝড়ো হাওয়া না থাকায় রাতেও সবাইকে নিয়ে আবার বের হলাম। আশা করি কোনো সমস্যা হবে না।
ঢাকা থেকে একটি ট্রাভেল গ্রুপ এসেছিল সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে। কিন্তু সতর্কতা সংকেতের জন্য জাহাজ বন্ধ থাকায় আবার কক্সবাজারে ফিরে আসতে হয়েছে তাদের। এ বিষয়ে গ্রুপটির সমন্বয়ক শাম্মি আক্তার জানান, ‘বৃহস্পতিবার রাতে রওনা হয়ে শুক্রবার সকালে টেকনাফে পৌঁছাই। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখি ঘূর্ণিঝড়ের কারণে জাহাজ বন্ধ। পরে বাধ্য হয়েই আবার কক্সবাজারে ফিরে আসলাম। আগামী দুইদিন কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে রোববার রাতে ঢাকায় ফিরে যাবো।’
ঢাকায় ফেরা নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়েছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সোহেলী রহমান। তিনি জানান, আমরা অফিসের কাজে বুধবার কক্সবাজারে এসেছিলাম, কাল রাতে ঢাকায় ফেরার কথা। কিন্তু ঝড়ের খবরে কিছুটা শঙ্কায় রয়েছি। ঝড়ো হাওয়া থাকলে ফেরা কঠিন হয়ে যাবে। কিন্তু আশা করছি কাল আবহাওয়া ঠিক হয়ে যাবে।