পিপিপিতে থাকছে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বিধান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
সাংবাদিকদের ব্রিফ করছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম,  ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

সাংবাদিকদের ব্রিফ করছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব বা পিপিপি কর্তৃপক্ষের সাংগঠনিক কাঠামো এবং প্রস্তাবিত চাকরি প্রবিধানমালায় বিভিন্ন পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বিধান রেখে বাংলাদেশ সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (সংশোধন) আইন-২০১৯ এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

পিপিপি কর্তৃপক্ষের সাংগঠনিক কাঠামো এবং প্রস্তাবিত চাকরি প্রবিধানমালায় বিভিন্ন পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বিধান রাখা হয়েছে। পিপিপি কর্তৃপক্ষের সরাসরি নিয়োগ দেওয়া কর্মচারীদের চাকরির শর্তাবলী প্রবিধান দিয়ে নির্ধারিত হলেও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের আলাদা বিধানের কথা বলা হয়েছে। ফলে পিপিপি কর্তৃপক্ষ চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিতে পারবে। আইনে অন্তর্ভুক্তির ফলে পিপিপিতে সব সময়ই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হবে। দক্ষ জনবল তৈরি না করে খসড়া আইনে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বিধান রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, জনগণের জীবনমান উন্নয়ন, আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি তরান্বিত করা এবং অবকাঠামো গড়ে তোলার লক্ষ্যে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার মধ্য দিয়ে বেসরকারি খাতের সঙ্গে অংশীদারিত্ব সৃষ্টি করতে বাংলাদেশ সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব আইন, ২০১৫ তথা পিপিপি আইন প্রণয়ন করা হয়। পিপিপি আইনের বাস্তবায়ন পর্যায়ে লব্ধ অভিজ্ঞতার আলোকে ওই আইনে কিছু সংশোধন জরুরি হওয়ায় তা সংশোধন করা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, সংশোধনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- পিপিপি আইন, ২০১৫-এর ৮(২) উপ-ধারায় বোর্ড অব গভর্নরস-এর সভা বছরে অন্তত ছয়টি করার কথা রয়েছে। কিন্তু বছরে ছয়টি সভা আয়োজন সময়সাপেক্ষ এবং সভাপতিসহ সদস্যদের সার্বক্ষণিক ব্যস্ততার কারণে তা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এজন্য প্রস্তাবিত আইনে সভার সংখ্যা বছরে ছয়টির স্থলে একটি করার প্রস্তাব করা হয়েছে (প্রস্তাবিত আইনের ৩ ধারা)।

পিপিপি কর্তৃপক্ষের বোর্ড অব গভর্নরস-এর প্রথম সভায় কর্তৃপক্ষের নির্বাহী বোর্ড গঠন করা হয়েছে। উপযুক্ত নির্বাহী বোর্ডের গঠন, দায়িত্ব ও সভা আয়োজন সংক্রান্ত বিষয়াদি বিদ্যমান আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে (প্রস্তাবিত আইনের ধারা ৪)।

পিপিপি আইনের ৯ ধারায় পিপিপি কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা ও কার্যাবলিতে ‘পিপিপি সম্পর্কিত নীতিমালা/প্রবিধি/নির্দেশনা/গাইডলাইন প্রণয়ন, অনুমোদন, গেজেটে প্রকাশ ও জারিকরণের বিষয় উল্লেখ আছে। ওই ধারায় নীতিমালা/প্রবিধি/নির্দেশনা ও গাইডলাইনের সঙ্গে কার্যপ্রণালী’ শব্দটি সংযুক্ত করা হয়েছে (প্রস্তাবিত আইনের ধারা ৫)।

পিপিপি কর্তৃপক্ষের সাংগঠনিক কাঠামোতে কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বিধান রয়েছে। বিদ্যমান আইনের ১১ ধারায় পিপিপি কর্তৃপক্ষে সরাসরি নিয়োগকৃত কর্মচারীদের চাকরির শর্তাবলী প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হবে বলে উল্লেখ আছে। কর্তৃপক্ষের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগকৃত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে পৃথক বিধানাবলি সংযোজনের লক্ষ্যে এ পর্যায়ে বিদ্যমান আইনের ১১ ধারা সংশোধন করে শতাংশ হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ক্ষেত্রে বোর্ড অব গভর্নরস কর্তৃক অনুমোদিত গাইডলাইন বা বিধান প্রযোজ্য হওয়ার বিষয় সন্নিবেশ করা হয়েছে (প্রস্তাবিত আইনের ধারা ৬)।

পিপিপি আইনের ১২ ধারায় চুক্তিকারী কর্তৃপক্ষ যেসব ক্ষেত্রে পিপিপি কর্তৃপক্ষের সহায়তা ও মতামত গ্রহণ করবে তা উল্লেখ আছে। ওই ধারায় পিপিপি প্রকল্প গ্রহণ থেকে শুরু করে চুক্তি স্বাক্ষর পর্যন্ত বিভিন্ন ধাপ ও চুক্তি সংশধোনের ক্ষেত্রে সহায়তার বিষয় উল্লেখ আছে। তবে অভিজ্ঞতার আলোকে দেখা যায়, চুক্তি স্বাক্ষরের পর তা বাস্তবায়ন ও সেবা প্রদান কার্যক্রম পরিবীক্ষণ (post contract monitoring) পর্যায়েও পিপিপি কর্তৃপক্ষের সহায়তা প্রয়োজন হয়। যার উল্লেখ বিদ্যমান আইনে নেই। এ কারণে বিদ্যমান আইনে ১২(ছ) উপ-ধারা হিসেবে অংশীদারিত্ব চুক্তি সম্পাদনের পর চুক্তির আওতাধীন কার্যক্রমের পরিবীক্ষণ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পিপিপি কর্তৃপক্ষের মতামত ও সহায়তা নেওয়ার বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে [প্রস্তাবিত আইনের ৭(খ) উপ-ধারা]।

‘পিপিপি আইন, ২০১৫’-তে জি-টু-জি প্রকল্পের বিষয়ে কোনো বিধান ছিল না। কিন্তু ‘পিপিপি আইন, ২০১৫’ প্রবর্তিত হওয়ার পর সরকার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে পিপিপি প্রকল্প (জি-টু-জি পিপিপি) বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়। এরই মধ্যে ‘Policy for Implementing PPP Projects through Government to Government (G2G) Partnership, 2017'.45 আওতায় জাপান, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া ও দুবাই-এর সঙ্গে সমঝোতা/সহযোগিতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। অন্যান্য দেশও এ প্রক্রিয়ায় প্রকল্প গ্রহণে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জি-টু-জি প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যে বিদ্যমান আইনে ২(ক), ১৩(৩) এবং ১৩(৪) উপ-ধারা সংযোজন করা হয়েছে (প্রস্তাবিত আইনের
ধারা ৮)।

পিপিপি চুক্তি স্বাক্ষরের পর প্রকল্প বাস্তবায়ন ও সেবা দিতে সরকারি সংস্থাগুলোর সার্বিক সহযোগিতার প্রয়োজন হয়। এ কারণে পিপিপি চুক্তি সম্পাদনের পরে সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রকল্প বাস্তবায়নে বেসরকারি অংশীদারকে সহায়তা করার লক্ষ্যে বিদ্যমান
আইনে ২৩(২) উপ-ধারা সংযোজনের প্রস্তাব করা হয়েছে (প্রস্তাবিত আইনের ধারা-৯)।

মন্ত্রিসভার বৈঠকে জাসদ নেতা ও সংসদ সদস্য মইন উদ্দীন খান বাদলের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়।

   

সিরাজগঞ্জে দুই মাথা ৪ চোখ নিয়ে বাছুরের জন্ম



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিরাজগঞ্জ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দুই মাথা ও চার চোখ নিয়ে জন্ম নিয়েছে একটি গরুর বাছুর। এ খবর শুনে উৎসুক জনতা এক নজর দেখতে খামারির বাড়িতে ভিড় করছে।

এই অদ্ভুত বাছুরটি জন্ম হয়েছে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের পালাশী গ্রামের খয়বার আলীর বাড়িতে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল ) বিকালে খামারির বাড়িতে জন্ম নেওয়া পর থেকে বাছুরটি দেখতে ভিড় করছে এলাকাবাসী।

খয়বার হোসেন বলেন, গাভীটি আমার গৃহপালিত। চার বছর আগে বিদেশি ষাড়ের মাধ্যমে প্রজনন দিয়ে প্রসূতি গাভীটির জন্ম হয়। পরবর্তীতে গাভীটি বড় হলে প্রজননের জন্য ইনজেকশন ব্যবহার করে গর্ভধারণ করা হয়। দীর্ঘ আট মাস ২৩ দিন পর গাভীটি দুই মাথা ও চার চোখ বিশিষ্ট একটি বকনা বাছুর প্রসব করে। বকনা বাছুরটি এখনো নড়াচড়া করছে। উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও দুই মাথার কারণে উঠে দাঁড়াতে পারছে না।

তিনি আরও বলেন, বাছুরটি অস্বাভাবিক, দুই মাথা ও চার চোখ বিশিষ্ট। অস্বাভাবিক প্রকৃতির এই বাছুরটিকে দেখার জন্য বাড়িতে ভিড় করছে।

তাড়াশ উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ওয়ালিউল্লাহ বলেন, হরমোনাল ইমব্যালান্সের কারণে এরকম বাছুর প্রসব করার সম্ভাবনা থাকে। এ ছাড়াও প্রজনন গত কারণেও এ রকম অস্বাভাবিক বাছুর প্রসব হতে পারে। তবে এমন বাছুর প্রসব খুব একটা পরিলক্ষিত হয় না।

;

বান্দরবান-রাঙ্গামাটি সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
বান্দরবান-রাঙ্গামাটি সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি

বান্দরবান-রাঙ্গামাটি সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবান-রাঙ্গামাটির সীমান্তের দুর্গম এলাকায় তীব্র গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। সেখানে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলমান রয়েছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে বান্দরবানের রুমার প্রাংসা-পাইন্দু ও রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ির বড়থলি ইউনিয়নে সীমান্তের দুর্গম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

রুমায় ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় গত ৬ এপ্রিল থেকে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে যৌথ বাহিনী, যা এখনও চলমান রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রুমা খাল, প্রাংসা, পাইন্দু ও রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলি সীমান্ত এলাকায় তীব্র গোলাগুলির চলছে। এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

রুমা উপজেলা চেয়ারম্যান উহ্লা চিং মারমা জানান, কয়েকদিন ধরে রুমা উপজেলায় যৌথবাহিনীর অভিযান চলছে। এলাকাবাসীরা তাকে আজ বিকেলে জানিয়েছেন পাইন্দু- রুমা সদর ইউপি ও বিলাইছড়ি উপজেলা বড়থলি ইউনিয়নের সীমান্তে দুর্গম এলাকার ভিতরে প্রচণ্ড গুলি বোমার আওয়াজ শুনেছেন। এলাকাবাসীর ধারণা, গোলাগুলি হচ্ছে সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সদস্যদের সঙ্গে যৌথবাহিনীর।

রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজাহান জানান, গোলাগুলির সংবাদ পেয়েছি। তবে বিস্তারিত জানা যায়নি।

গত ৮ এপ্রিল যৌথবাহিনী বিশেষ অভিযান চালিয়ে রুমা উপজেলার বেথেলপাড়া থেকে ১৮ নারীসহ ৪৯ জনকে গ্রেফতার করে। অন্যদের বিভিন্ন সময়ে মোট ৬৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে ৫২ জনের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রিমান্ডে পাঠানো ৫২ জনের মধ্যে ১৭ জন নারী রয়েছেন।

 

 

 

 

 

 

;

সাভারে বেপরোয়া কিশোর গ্যাং, আতঙ্কে নগরবাসী



মো. কামরুজ্জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকার সাভারে দিনদিন বেড়েই চলছে কিশোর গ্যাংয়ের ভয়ংকর তাণ্ডব। ফলে সাভার এখন পরিণত হয়েছে আতঙ্কের নগরীতে। পৌর এলাকাতেই মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে ৪ খুন। এছাড়া প্রতিনিয়ত ছিনতাই, আধিপত্য বিস্তার ও মাদকের অন্যতম কারণ এই গ্যাং কালচার। কোনোভাবেই যেন লাগাম টানতে পারছে না আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।

প্রকাশ্যে কিশোর গ্যাংয়ের হামলা পাল্টা হামলা সাভার পৌরসভার নিত্যদিনের ঘটনা। রক্তাক্ত শরীর নিয়ে কেউ হেঁটে যায়, আনার কেউ হাসপাতালে বিছানায় করে বাঁচার আর্তনাদ। কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্যে সম্প্রতি সাভার পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে এমন ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। প্রতিবাদ করতে গিয়ে ১২ এপ্রিল সাভারের আড়াপাড়ায় খুন হলেন রং মিস্ত্রী সাজ্জাদ। গত ৩১ মার্চ সাভারের রেডিও কলোনীতে কিশোর গ্যাংয়ের ছিনতাইয়ের শিকার হয়ে মৃত্যু সাথে লড়াই করেছেন কলেজ ছাত্র রবিউল।

ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্র রবিউল ইসলাম বার্ত২৪.কম-কে বলেন, 'সকালে আমি ডিউটির উদ্দেশ্যে যাইতেছি। তখন দেখি দুইটা ছেলে বসা তখন আমার হাতে মোবাইল ছিল ওরা আমাকে ডাক দিছে। ডাক দিয়েই বলে কি আছে দে। আমি সাথে সাথে মোবাইল দিয়ে দিছি। তারপরেও ওরা আমাকে ছুরি মারছে। আমার পেটে পিঠে চাকু মারছে। তখন আমি চিৎকার দিলে আশপাশে থেকে লোকজন এসে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। আমার পায়েও সমস্যা, ১৮ দিন ধরে ব্যথায় আমি একটুও ঘুমাতে পারি না।

ছেলেকে বাঁচাতে রবিউলের কৃষক বাবা ধার-দেনা করে প্রায় নিঃস্ব এখন। তাদের দাবি এ ধরনের ঘটনা যেন কোনো পরিবারের সাথে না হয়। এই পরিবারের মত এমন ঘটনার ভুক্তভোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছেই।

ভুক্তভোগী রবিউল ইসলামের বাবা মো. আশরাফুল বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমাদের টোটাল বিল আসছিল ৭ লাখ টাকা। পেমেন্ট দিয়েছি প্রায় চার লাখ টাকা। আমি কৃষি কাজ করি ও মানুষের বাড়িতে বাড়িতে কাজ করি। হাসপাতালের এই ৪ লাখ টাকা মানুষের কাছে তো ধার ও সুদের উপর এনে দিয়েছি। আর্থিকভাবে মনে হয় দশ বছরেরও আমি এই জিনিসটা পূরণ করতে পারব না। আমি সুদে যে টাকাটা নিছি প্রতিমাসে এই সুদ টানতেই আমার কষ্ট হয়ে যাবে এখন।

ভুক্তভোগী রবিউলের মা বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমরা যদি আর্থিক দিকে কোনো সাহায্য সহযোগিতা না পাই, তাও কোনো দুঃখ নাই। আমার ছেলেটা ১৮ দিন ধরে হসপিটালের বিছানায়। আমার ছেলের মত এরকম ঘটনা যেন আর না ঘটে এটাই আমার দাবি।

তথ্য বলছে, সাভারে কিশোর গ্যাংয়ের মূল দৌরাত্ম্য পৌরসভাজুড়ে। পিনিক রাব্বি, হৃদয় গ্রুপ, ভাই-ব্রাদার গ্রুপ বেশ সক্রিয়। নিজেদের দ্বন্দ্ব থেকে ভাগ হয়ে তৈরি হচ্ছে আরো গ্রুপ। গত দুই মাসে কিশোর গ্যাংয়ের ছিনতাই ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে অন্তত ৪ খুনের ঘটনা ঘটেছে। খরচ মেটাতে ছিনতাই, ডাকাতি, মাদক ব্যবসা, জমি দখল, চাঁদাবাজি, অপহরণসহ নানা সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সাথে জড়িত এই কিশোর গ্যাং।

সাভার পৌর সভার বাসিন্দা রিফত বার্তা২৪.কম-কে বলেন, অপরাধীরা বেশিরভাগই মাদক সেবন করেন। তার জন্য তো টাকা দরকার তাদের। তারা কোনো কাজকর্ম করে না। আর এই টাকার জন্যই তারা ছিনতাই করে। কাছে কিছু না পেলে বা দিতে না চাইলেই তাকে আঘাত করে। কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে এমন। মারাও গেছেন কয়েকজন। সরকারের কাছে আমাদের একটাই অনুরোধ, এই মাদক ও কিশোর গ্যাং নিয়ে যেন কঠোর একটা ব্যবস্থা নেয়। এদের যেন শাস্তি হয়, এগুলো যেন একবারে নির্মূল করে দেয়।

গত মার্চ মাসে র‍্যাব ও পুলিশের আলাদা অভিযানে হৃদয় গ্রুপের প্রধান গিয়ার হৃদয়সহ ৮ জন ও ভাই-ব্রাদার গ্রুপের ৪ জনসহ মোট ১২ জন গ্রেফতার করা হয়।

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.শাহ জামান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, কখনো যদি কোনো লোক এরকম ছিনতাইয়ের শিকার হন বা ডাকাতির শিকার হন, তাহলে তাৎক্ষণিক আমাদের কাছে রিপোর্ট করবেন। যাতে করে আমরা এই ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পারি। যদি এরকম কোনো ঘটনায় আপনারা রিপোর্ট না করেন, ওই অপরাধীদেরকে আমরা যদি গ্রেফতার করতে না পারি, সেক্ষেত্রে কন্টিনিউয়াস একটার পর একটা ঘটনা ঘটিয়ে যাবে। সুতরাং যে কোনো ঘটনাই ঘটুক, অবশ্যই পুলিশকে রিপোর্ট করতে হবে। পুলিশ যাতে সংশ্লিষ্ট অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে পারে।

;

পটিয়ায় বাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের পটিয়াতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে বাস-অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও একজন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার চেয়ারম্যান ঘাটা নাকম এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- চন্দনাইশ উপজেলার বৈলতলী এলাকার আবু বক্কর তাসরিফ (১৫) ও কক্সবাজারের রামুর নুরুল আলম (২৮)। তিনি চন্দনাইশের এলেহাবাদ এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। তারা সবাই অটোরিকশার যাত্রী ছিল বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

বিষয়টি বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন পটিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামমূখী মারসা পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন গুরুতর আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে একটি স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। বাকী একজনের নাম জানা যায়নি। তারা সবাই অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন।

ওই অটোরিকশায় চালকসহ মোট ৪ আরোহী ছিলেন। তবে দুর্ঘটনার সাথে সাথে এক যাত্রী লাফ দিয়ে সরে পড়ে। তাই তিনি তেমন আঘাত পাইনি বলে যোগ করেন ওসি। 

;