স্কাইফ'র তৈরি টাপেন্টা-১০০ ট্যাবলেটে মাদকাসক্তি প্রসঙ্গে



ড. মাহফুজ পারভেজ, অ্যাসোসিয়েট এডিটর, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
টাপেন্টা ১০০ ট্যাবলেট/ছবি: সংগৃহীত

টাপেন্টা ১০০ ট্যাবলেট/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যে কোনও ভোগ্যপণ্য সামগ্রী ব্যবসার জন্য বাজারজাত করলেই হয়না, জনগণের মধ্যে এর ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়াও লক্ষ্য করতে হয়। বিশেষ করে, খাদ্যদ্রব্য, ঔষধ ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রীর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি ও সরকারের বিভিন্ন সংস্থাকে সর্বদা সতর্ক থাকতে হয়।

কোনো পণ্য বা ঔষধের বিপরীত ক্রিয়া করতে পারে বা অপপ্রয়োগ হতেই পারে। জনস্বাস্থ্য ও জনস্বার্থে তা পর্যবেক্ষণ করা সংশ্লিষ্টদের কর্তব্য। বাজারে পণ্য সরবরাহ করে শুধু লাভ হাতিয়ে নেওয়ার জন্য খাদ্য ও ঔষধ কোম্পানিকে সরকার লাইসেন্স দেয়না। পণ্য ও ঔষধের ফলে যাতে জনগণের কোনো ক্ষতি না হয়, সেটাও নিশ্চিত করে।

কিন্তু বাংলাদেশে তেমনটি হয় বলে মনে হয় না। নানা ভেজাল ও মানহীন পণ্যের কারণে জনস্বাস্থ্য বিপন্ন হওয়ার ঘটনা প্রায়ই ঘটে। এবার জানা গেলো একটি ঔষধের মারাত্মক অপব্যবহারের খবর।

খবরটি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমের অনুসন্ধানের মাধ্যমে পাওয়া গেছে। জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন ফার্মেসিতে অবৈধভাবে চড়া মূল্যে বিক্রি হচ্ছে টাপেন্টা-১০০ ঔষধটি। কারণ হঠাৎ করেই মাদক সেবনকারীরা ইয়াবার পরিবর্তে টাপেন্টা নামক ব্যথানাশক ট্যাবলেটটি নেশার জন্য ব্যবহার শুরু করেছে। শহরের বিভিন্ন ফার্মেসির মালিকরা এই সুযোগে চড়া দামে বিক্রি করছে এ ট্যাবলেট।

আরও পড়ুন: ব্যথানাশক টাপেন্টা পরিণত হয়েছে মাদকদ্রব্যে

বার্তাটোয়েন্টিফোর'র প্রতিনিধি চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে জেনেছেন যে, 'ব্যথানাশক এই ট্যাবলেটটির কার্যকারিতা ইয়াবার সাথে মিল থাকার কারণে ইয়াবা সেবনকারীরা এর প্রতি আসক্ত হচ্ছে।'

চিকিৎসকের এই বক্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এবং গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনার যোগ্য। কেন ইয়াবার মতো একটি মারাত্মক নেশার মতো ফলাফল একটি ঔষধে পাওয়া যাবে? এটা তো হওয়ার কথা নয়। উৎপাদনকারী কোম্পানিকে অবশ্যই তাদের পণ্যের ব্যাপারে উত্থাপিত বক্তব্যের বস্তুনিষ্ঠ জবাব দিতে হবে।

বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম'র অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে যে, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল রোডের চিহ্নিত কয়েকটি ফার্মেসি, জেলার মুন্সীগঞ্জ ও মোমিনপুর এলাকায় বেশ কয়েকটি ফার্মেসি ইয়াবা সেবনকারীদের নিকট চড়া মূল্যে এসব ট্যাবলেট বিক্রি করছেন।

ঔষধের এহেন অপব্যবহার কেবল চুয়াডাঙ্গায় সীমাবদ্ধ, তার গ্যারান্টি নেই। দেশের অন্যত্রও এমনটি ঘটে থাকতে পারে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের তো জানা উচিত যে, তাদের ঔষধের কেমন প্রতিক্রিয়া ও অপপ্রয়োগ হতে পারে? তাদের নিজস্ব ব্যবস্থায় উৎপাদিত ঔষধের মান, গুণ, প্রয়োগ ও অপপ্রয়োগ বিষয়ক গবেষণা থাকার কথা। মানুষের জীবন-মরণ নিয়ে যে ব্যবসা, তাতে শুধু ব্যবসা করে লাভ হাতালেই চলেনা, সমাজে ও মানুষের মধ্যে ঔষধের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার ভালমন্দও নিয়মিতভাবে নিরীক্ষা করতে হয়।

স্কাইফ বাংলাদেশ লিমিটেডে কাজটি করেনি। তাদের তৈরি ঔষধ টাপেন্টা-১০০ ট্যাবলেটের যে চরম অপব্যবহার ও অপপ্রয়োগ হচ্ছে, তার ব্যাপারে কোম্পানির কোনো বক্তব্য না আসা বা পদক্ষেপ গৃহীত না হওয়ায় এটাই প্রমাণ হয়, কোম্পানিটি জনস্বার্থ ও জনস্বাস্থ্যের বিষয়ে সম্পূর্ণ উদাসীন। ব্যবসা ও লাভ করাই তাদের একমাত্র কাজ, যা একটি ঔষধ কোম্পানির মান ও নৈতিকতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।

অথচ বার্তাটোয়েন্টিফোর-এ প্রকাশিত সংবাদের বরাতে জানা যাচ্ছে, চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন অফিস বিষয়টি জানে। সে অফিসের সূত্রেই প্রকাশ পেয়েছে যে, দেশের নামকরা ওষুধ কোম্পানি স্কাইফ বাংলাদেশ লিমিটেডের তৈরি টাপেন্টা-১০০ ট্যাবলেট প্রতিটি ফার্মেসিতে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি পিস ২০ টাকা মূল্যের ব্যথানাশক এ ট্যাবলেট সেবনে রোগীর অতিরিক্ত ব্যথা কমাতে কাজ করে। এছাড়া অনেক রোগী অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করলেও চিকিৎসক এই ওষুধ সেবনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কারণ এতে রোগীর দুশ্চিন্তা ও নার্ভাসভাব কমে যায়।

বলার অপেক্ষা রাখে না যে, ঔষধ কোম্পানি, অসাধু চিকিৎসক ও ঔষধ ব্যবসায়ীদের নানা সুবিধা দিয়ে এমন একটি বিপজ্জনক ঔষধের বিক্রি বাড়াচ্ছে এবং অপপ্রয়োগের পথ দেখাচ্ছে। যার ফলে ২০ টাকার একটি ট্যাবলেট বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা থেকে ১৪০ টাকা মূল্যে। এই লাভের বখরা ভাগ হচ্ছে কোম্পানি, অসাধু চিকিৎসক ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে। আর হাজার হাজার তরুণ-যুবক আক্রান্ত হচ্ছে নতুন ধরনের এই মরণ নেশায়।

স্কাইফ বাংলাদেশ লিমিটেডের তৈরি টাপেন্টা-১০০ ট্যাবলেট সম্পর্কে চরম অপব্যবহার ও মাদক হিসাবে ব্যবহারের অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ার পর পরই কোম্পানির উচিত ছিল ঔষধটি প্রত্যাহার করা। এ ঔষধকে মাদক হিসাবে অপব্যবহার রোধ করার জন্য এর প্রস্তুতপ্রণালী খতিয়ে দেখার জন্য তড়িৎ ব্যবস্থা নেওয়ারও দরকার ছিল।

কিন্তু এর কোনটিই করা হয় নি। ফলে বিশেষ এই ঔষধের মাদক হিসাবে অপব্যবহার ভয়াবহ রূপ লাভ করার আগেই সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও উৎপাদনকারী কোম্পানির পক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। ঔষধের মতো জীবন-মরণ নিয়ে ব্যবসাকারী প্রতিষ্ঠানকে কেবল ব্যবসা করে লাভ হাতালেই চলবে না, জনস্বাস্থ্য ও জনস্বার্থের বিষয়গুলোকেও যথোপযুক্ত গুরুত্ব দিতে হবে।

সরকারের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এবং চুয়াডাঙ্গার জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষেও দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, যাতে এই ঔষধের মাধ্যমে অসাধুচক্র মাদকাসক্তির সমস্যাকে আরো বাড়াতে না পারে। মনে রাখা দরকার, ফেনসিডিল এক সময় নিরাপদ ঔষধ ছিল এবং তা কফ-কাশির জন্য ব্যবহৃত হতো। পরে সেটি মাদক হিসাবে জনপ্রিয়তা ও ব্যাপক প্রসার লাভ করে জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হলে তার উৎপাদন ও বিক্রয় নিষিদ্ধ করা হয়।

ব্যথানাশক স্কাইফ বাংলাদেশ লিমিটেডের তৈরি টাপেন্টা-১০০ ট্যাবলেটটিরও ফেনসিডিলের মতো নেশাদ্রব্যে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এটি নতুন মাদক হিসাবে ছড়িয়ে যাওয়ার আগেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজনে এর উৎপাদন ও বিপণন বন্ধ করতে হবে। মাদকাসক্তি সমস্যায় জর্জরিত বাংলাদেশে নতুন কোনো নেশাদ্রব্য ও মাদকের উদ্ভব প্রতিরোধ করার জন্য সরকারকে সর্বোচ্চ মনোযোগ দিতে হবে। স্কাইফ'র তৈরি টাপেন্টা-১০০ ট্যাবলেটে নেশাসক্তি প্রসঙ্গে আশু পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।

   

পটিয়ায় বাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু, আহত ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের পটিয়াতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে বাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছে আরও দুইজন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার চেয়ারম্যান ঘাটা নাকম এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত তরুণের নাম তাফসির (১৮)। তবে আহত দুজনের নাম জানা যায়নি। তারা সবাই অটোরিকশার যাত্রী ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বিষয়টি বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন পটিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামমুখী মারসা পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন গুরুতর আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে একটি স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাফসির নামের এক তরুণকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। বাকী দুজনের নাম জানা যায়নি। তারা সবাই অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন। 

ওই অটোরিকশায় চালকসহ মোট ৪ ছিল। তবে দুর্ঘটনার সাথে সাথে চালক লাফ দিয়ে সরে পড়ে। তাই তিনি তেমন আঘাত পাইনি বলে যোগ করেন ওসি। 

;

মালয়েশিয়ায় ৪৫ বাংলাদেশি আটক



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাউথ-ইস্ট এশিয়া
মালয়েশিয়ায় ৪৫ বাংলাদেশি আটক

মালয়েশিয়ায় ৪৫ বাংলাদেশি আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

মালয়েশিয়ার পার্লিস প্রদেশের পেদাং বাসারে একটি নির্মাণাধীন ভবনের চত্বর থেকে ৪৫ জন বাংলাদেশিসহ ৪৯ জন বিদেশিকে আটক করা হয়েছে।

অবৈধ অবস্থানের অভিযোগে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে ইমিগ্রেশন বিভাগের অভিযানে তাদের আটক করা হয়।

পার্লিস ইমিগ্রেশনের পরিচালক খায়রুল আমিন তালিব বলেন, আটককৃতরা মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থান করছিলেন এবং তাদের কাছে বৈধ কাগজপত্র পাওয়া যায়নি।

আটককৃতদের মধ্যে ১ জন নারীসহ মোট ৪৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক। এ ছাড়াও ৩ জন ইন্দোনেশিয়া এবং ১ জন ভারতের নাগরিক রয়েছে। এদের বয়স ১৯ থেকে ৫৪ বছরের মধ্যে।

তালিব জানান, শহরের বুকিত চাবাং এলাকার সেকোলাহ সুকান নির্মাণাধীন এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। আটককৃতদের অধিকতর তদন্তের জন্য কুয়ালা পার্লিস কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মোট ১০১ জন বিদেশিকে তল্লাশি করা হয় অভিযানের সময়। যার থেকে ৪৯ জনকে আটক করা হয়েছে।

ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩ এর ধারা ৬(১)(সি), ধারা ১৫(১)(সি) এবং ধারা ৫৬(১)(ডি) এর অধীনে এই বিদেশিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের তদন্ত করা হবে বলে জানান তিনি।

;

নীলফামারীতে ২১ মামলার আসামি গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
নীলফামারীতে ২১ মামলার আসামি গ্রেফতার

নীলফামারীতে ২১ মামলার আসামি গ্রেফতার

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর জলঢাকায় ফরিদুল (৪০) নামে এক চোরকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে খুটামারার টেংগনমারী বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি উপজেলার ছিটমহল বালাগ্রাম এলাকার ইউনূস আলীর ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত ফরিদুল দীর্ঘদিন ধরে মোটরসাইকেল, গরুসহ বিভিন্ন চুরি করে আসছিলেন। জেলাসহ বিভিন্ন জায়গায় তার বিরুদ্ধে ২১টি চুরির মামলা রয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

জলঢাকা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুক্তারুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। 

;

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন

  • Font increase
  • Font Decrease

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শিশুদের ভালোবাসতেন, শিশুদের সাথে মিশে যেতেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। এজন্য বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর নানাবিধ আয়োজন করতে হবে।

তিনি বলেন, শিশুর শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও নৈতিক বিকাশে খেলাধুলার বিকল্প নেই। খেলাধুলা শিশুদের শরীর ও মনকে সুস্থ-সুন্দরভাবে গড়ে তোলে। শিশুদের মাঝে প্রতিযোগিতার মনোভাব এবং দায়িত্ববোধ সৃষ্টিতেও খেলাধুলা সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

আগামীকাল ২০ এপ্রিল ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ ও ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ উপলক্ষে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, “প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ ও ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ আয়োজনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এ উপলক্ষ্যে আয়োজক, অংশগ্রহণকারী, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।”

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট বাংলাদেশে ক্ষুদে ফুটবলার তৈরির পাশাপাশি শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশেও অনন্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। আমি আশা করি, এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের মাধ্যমে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা জাতির পিতা এবং বঙ্গমাতার জীবন ও কর্ম সম্পর্কে জানার সুযোগ পাবে এবং তাঁদের জীবনাদর্শ অনুসরণ করে সুনাগরিক হয়ে গড়ে উঠবে।’

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শোষণ-বঞ্চনামুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সে স্বপ্ন পূরণে দেশের তরুণ প্রজন্ম কার্যকর অবদান রাখবে- এ প্রত্যাশা করি। আমি এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী ক্ষুদে খেলোয়াড়দের উত্তরোত্তর সাফল্য ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি।

রাষ্ট্রপতি ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ ও ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

;