নতুন নেতৃত্বের অপেক্ষায় সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, সিলেট
আওয়ামী লীগের লোগো

আওয়ামী লীগের লোগো

  • Font increase
  • Font Decrease

আট বছর আগের পুরোনো কমিটি দিয়েই চলছে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ। সবশেষ ২০১১ সালের নভেম্বরে গঠন করা হয় মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি। ২০১৪ সালের নভেম্বরে সেই কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। এরপর গত ৫ বছর ধরে  মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দিয়েই চলছে মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যক্রম। এতে দলের কার্যক্রমে দেখা দিয়েছে সাংগঠনিক স্থবিরতা। সেই স্থবিরতা দূর করতে আগামী ৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন। 

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বলছেন, সম্মেলনে মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব আসবে মহানগর আওয়ামী লীগে। বর্তমান কমিটি দলকে ঢেলে সাজাতে পারেনি। দলের মধ্যে ঐক্য নেই। বর্তমান কমিটির আমলে দুইবার সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন নৌকার প্রার্থী। ৩টি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ দলীয় কাউন্সিলর প্রার্থীই ছিলেন না। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকলেও ওয়ার্ড পর্যায়ে ভালো অবস্থান নেই সংগঠনটির।  এদিকে দীর্ঘদিন পর সম্মেলন ঘিরে তৎপরতা বেড়েছে পদ-প্রত্যাশী নেতাদের।

আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা যায়, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন বর্তমান সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ, সহসভাপতি অ্যাডভোকেট রাজ উদ্দিন, অ্যাডভোকেট মফুর আলী ও যুগ্ম সম্পাদক ফয়জুল আনোয়ার আলাওর। আর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আলোচনায় আছেন বর্তমান কমিটির যুগ্ম সম্পাদক বিজিত চৌধুরী, অধ্যাপক জাকির হোসেন, বিসিবির পরিচালক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সাংগঠনিক সম্পাদক এটিএম হাসান জেবুল, কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক তপন মিত্র এবং সাংস্কৃতিক সম্পাদক প্রিন্স সদরুজ্জামান চৌধুরী।

সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক বিজিত চৌধুরী বলেন, আমি তৃণমূল থেকে দলে এসেছি। ছাত্রলীগ যুবলীগ করে ৮ বছর ধরে বর্তমান কমিটির যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। সাধারণ সম্পাদক হলে বর্তমান কমিটি থেকে দলের কার্যক্রম ১০ গুণ বেশী গতিশীল করব।

সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ বলেন, নেতাকর্মীরা আমাকে সভাপতি হিসেবে চান। তবে সবকিছু নির্ভর করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর। তিনি দায়িত্ব দিলে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করব।

   

হবিগঞ্জে বাস চাপায় পিকআপের চালক-হেলপার নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,হবিগঞ্জ
হবিগঞ্জে বাস চাপায় পিকআপের চালক-হেলপার নিহত

হবিগঞ্জে বাস চাপায় পিকআপের চালক-হেলপার নিহত

  • Font increase
  • Font Decrease

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় বাসচাপায় পিকআপ ভ্যানের চালক ও হেলপার নিহত হয়েছেন।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৯টায় উপজেলার মডেল বাজার এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, উপজেলার মালাংপুর গ্রামের কনা মিয়ার ছেলে হাসান মিয়া (২৩) ও মৃত ওয়ারিশ মিয়ার ছেলে সাদিক মিয়া (৩৫)।

নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুক আলী জানান, ঢাকা থেকে সিলেটগামী একটি পিকআপ ভ্যান বিআরটিসি বাসকে পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে বিকল হয়ে যায়। পরে চালক ও হেলপার মহাসড়কের পাশে পিকআপ ভ্যানটি দাঁড় করিয়ে ত্রুটি সারাচ্ছিলেন। এ সময় সিলেটগামী আল মোবারাকা পরিবহনের একটি বাস তাদের দুজনকে চাপা দেয়। এতে একজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আহত অবস্থায় আরেকজনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

;

বাংলাদেশ সফরে আসছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এই প্রথম তিন দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি কার্যালয়ের (ইউএসটিআর) দক্ষিণ-মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী ব্রেন্ডান লিঞ্চ। আগামী ২১ এপ্রিল বাংলাদেশে আসবেন তিনি। সঙ্গে থাকবেন প্রতিনিধি দলের অন্যান্য সদস্য।

কুটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, প্রতিনিধিদলের এ সফরে বাণিজ্য সম্প্রসারণ ছাড়াও শ্রম আইন সংস্কার, তথ্য আইনের সুরক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ের জটিলতা দূর করতে দুই পক্ষ আলোচনা করবে বলে জানা গেছে। বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।

এতে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে শ্রম সংস্কার, মেধাস্বত্ব ও তথ্য সুরক্ষা আইনের ওপর জোর দেওয়া হবে বলে পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলটি ঢাকা এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা ফোরাম চুক্তি (টিকফা) সংক্রান্ত পরিষদের ইন্টারসেশনাল বৈঠক করবে বলেও জানা গেছে।

;

নোয়াখালীতে মেলা নিয়ে বিরোধে মাদরাসা ছাত্রকে হত্যা, আহত ৬



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,নোয়াখালী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর সেনবাগের সেবারহাট বাজারে বৈশাখী মেলার চাঁদার নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে মাজহারুল ইসলাম শাওন নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রকে ছুরিকাঘাতে হত্যার করা হয়েছে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে বাজারের সাইন্স ক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় পিয়াস নামের অপর একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও উভয়পক্ষের আরও ছয়জন আহত হয়েছেন।

বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, বৃহস্পতিবার সেবারহাট বাজারে একদিনের বৈশাখী মেলার আয়োজন করার কথা ছিল। প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে বাজারের ইজারাদার মাহফুজ, জোবায়ের ও সাইদুল হক মেম্বার এ মেলার আয়োজন করেন। বুধবার রাতে মেলার প্রাঙ্গণে ১৫-২০টি স্টল চালু হলে সেখানে চাঁদাবাজির নিয়ন্ত্রণ নিতে দুপক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে এক পক্ষ অপর পক্ষের ওপর হামলা চালায়।

জসিম কন্ট্রাক্টরের ছেলে হৃদয়ের নেতৃত্বে কিশোর গ্যাং'র সদস্যরা হামলা চালিয়ে শাওন ও পিয়াসকে ছুরিকাঘাত করে মারাত্মক জখম করে। তাদের দুজনকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যার ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক শাওনকে মৃত ঘোষণা করেন এবং পিয়াসকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠায়।

নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ সার্কেল) মো. নাজমুল হাসান রাজীব বলেন, ঘটনার পরই অবৈধ মেলা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অনুমোদন ছাড়া কীভাবে মেলা বসানো হলো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। 

;

‘বিএনপির শাসনামলে দেশে খাদ্য ঘাটতি ছিল, এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমান সরকারের আমলে খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে দেশ। আর বিএনপির সময় খাদ্য ঘাটতি ছিল বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

তিনি বলেন, নিজেদের আমিষ, নিজেরাই উৎপাদন করবো। খাদ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি পুষ্টির নিরাপত্তাও নিশ্চিত করবে সরকার। 

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ১০টায় শেরে বাংলা নগরে পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখা হাসিনা এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে আমি যখন সরকার গঠন করলাম, তখন দেখলাম ৪০ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি। এই অবস্থায় আমরা যাত্রা শুরু করেছি। তখন রিজার্ভ মানিও তেমন ছিল না। এশিয়াতে তখন খাদ্য মন্দা। আমাদের লক্ষ্য ছিল, আমরা কারো কাছে হাত পেতে চলব না। নিজের ফসল নিজে উৎপাদন করব।

বিএনপির সময় দেশে খাদ্য ঘাটতি ছিল উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, বিএনপির সময় আমাদের খাদ্যের জন্য অন্য দেশের উপর নির্ভরশীল থাকতে হতো। তাদের চিন্তাধারা ছিল দেশকে পরনির্ভরশীল করা। কিন্তু আমরা ক্ষমতায় আসার পর সেই অবস্থা থেকে ফিরে এসেছি। এখন বাংলাদেশ খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ।

;