দেশের সমৃদ্ধিতে করদাতারা মূল নিয়ামক: সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ময়মনসিংহ
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেছেন, দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে করদাতারা মূল নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে নিশ্চিত করতে হলে অবশ্যই অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করতে হবে। আর সেটি তখনই সম্ভব যখন প্রত্যেক নাগরিক সঠিকভাবে কর প্রদান করবে।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে জেলা ক্রীড়া সংস্থার জিমনেসিয়ামে ময়মনসিংহ কর অঞ্চল আয়োজিত সেরা করদাতা সম্মাননা ও সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৮-১৯ করবর্ষে এ অঞ্চলে আয়কর ৫৫২ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্র ধার্য করা হলেও অর্জিত হয়েছে ৫৫৮ কোটি টাকা। এমন সফল অর্জন আমাদের ব্যাপকভাবে আশান্বিত করে। দিনে দিনে কর দিতে আগ্রহীর সংখ্যা বাড়ছে। যা আমাদের জন্য আনন্দের খবর। করদানের মাধ্যমেই বাংলাদেশ সরকার বিশ্ব ব্যাংকের অর্থ ব্যতিত শুধু অভ্যন্তরীণ আয় দিয়ে পদ্মা সেতুর ৮৪ শতাংশ কাজ সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছে।

সেরা করদাতাদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দিচ্ছেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ

ময়মনসিংহ কর অঞ্চলের কর কমিশনার মো. ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু, অতিরিক্ত ডিআইজি ড. আক্কাছ উদ্দিন ভূঁইয়া, জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হুমায়ন কবির, ময়মনসিংহ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র সহসভাপতি শংকর সাহা, ময়মনসিংহ ট্যাক্সেস বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট সাদিক হোসেন ও ময়মনসিংহের সর্বোচ্চ করদাতা মাহবুব রেজা করিম। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন ময়মনসিংহ কর অঞ্চলের অতিরিক্ত কর কমিশনার মো. শামীমুর রহমান।

বক্তব্য শেষে অতিথিরা সেরা করদাতারে হাতে সম্মাননা স্মারক ও সনদপত্র তুলে দেন।

এবার ময়মনসিংহ অঞ্চলে সেরা করদাতা সম্মাননা ও সনদ পেয়েছেন ৪২ জন। এর মধ্যে ময়মনসিংহ জেলা ও সিটি করপোরেশনে ১৪ জন।

   

নড়াইলে সুলতান মেলা শুরু ১৫ই এপ্রিল



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নড়াইল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্ববরেণ্য চিত্র শিল্পী এস এম সুলতানের ৯৯তম জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে ১৫দিন ব্যাপী "এস এম সুলতান মেলা" শুরু হচ্ছে আগামী ১৫ এপ্রিল। জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে এক প্রস্তুতি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

জেলা প্রশাসক ও সুলতান ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোহাম্মদ অশফাকুল হক চৌধূরীর সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন সুলতান ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মিকু, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শাশ্বতী শীল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন প্রমূখ। শহরের সুলতান মঞ্চে এছাড়া মেলার উদ্বোধন, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, চিত্র প্রদর্শনী, হা ডুডু, লাঠিখেলা, দড়িটানা, ঘৌড়দৌড়, ষাঁড়ের লড়াইসহ বিভিন্ন গ্রামীন খেলাধুলা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিদিন থাকবে আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এসময় সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

এবারের মেলায় থাকছে এস এম সুলতান ও বরেণ্য চিত্রশিল্পীদের আঁকা চিত্র প্রদর্শনী, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বিভিন্ন গ্রামীণ ক্রীড়া উৎসব- হাডুডু, কুস্তি, ঘোড়ার গাড়ির দৌড়, ষাঁড়ের লড়াই, দড়ি টানাটানি, ভলিবল খেলা,কাবাডি, শরীর গঠন প্রতিযোগিতা, লাঠিখেলা, কলাগাছে ওঠা, বাঁশের লাঠির দৌড়, জাতীয় পর্যায়ের শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আবৃত্তি, নাটক, জারিগান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সুলতান স্বর্ণপদক প্রদান ও সুলতানের জীবন ও দর্শন নিয়ে প্রত্যহ সেমিনার।

উল্লেখ্য, বরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতান ১৯২৪ সালের ১০ আগস্ট নড়াইল শহরের মাছিমদিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮২ সালে একুশে পদক, ১৯৯৩ সালে স্বাধীনতা পদক পান। ১৯৮৪ সালে তিনি বাংলাদেশ সরকারের রেসিডেন্ট অব আর্টিস্ট হিসেবে স্বীকৃতি পান এবং ১৯৮৬ সালে চারুশিল্পী সংসদ সম্মাননা পান। ১৯৪৬ সালে ভারতের সিমলায় তার একক চিত্র প্রদর্শনী, লাহোরে ১৯৪৮, করাচিতে ১৯৪৯, লন্ডনে ১৯৫০, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে ১৯৭৬ এবং ঢাকাস্থ জার্মান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে ১৯৮৭ সালে তার চিত্র প্রদর্শিত হয়। এ ছাড়া দেশ-বিদেশে বহুবার তার ছবি প্রদর্শিত হয়, যা সবার নজর কাড়ে। ১৯৯৪ সালে ১০ অক্টোবর মহান এ শিল্পী দীর্ঘদিন শ্বাসকষ্টে ভোগার পর যশোর সম্মিলিত হাসপাতালে মারা যান। সুলতানের স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য তার নিজ বাড়িতে নির্মিত হয়েছে এস এম সুলতান স্মৃতি সংগ্রহশালা।

;

বরিশালের এবায়েদুল্লাহ মসজিদে এসি বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশাল নগরীর ব্যস্ততম চকবাজার জামে এবায়েদুল্লাহ মসজিদে এসি বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় মুসল্লিরা জোহরের নামাজ আদায় করতে যখন প্রস্তুত হচ্ছিল ঠিক সেই সময় ইমামের কক্ষের এসি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। সাথে সাথে আগুন ধরে যায় ইমামের কক্ষে। তাৎক্ষণিক মুসুল্লিরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। এ সময় ফায়ার সার্ভিসকে ফোন দিলে দ্রুত তারা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ইমামের কক্ষে থাকা বিভিন্ন আসবাবপত্র ও ইসলামিক বই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা রবিউল আলামিন বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে তিনটি ইউনিট কাজ করে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়েছে। তাদেরও ধারণা এসি থেকেই আগুনে সূত্রপাত ঘটে। তবে এই ঘটনায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

;

লোকচক্ষুর আড়ালে মাদকদ্রব্য বিক্রি: যুবক আটক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার কুমারখালী থেকে ১৯০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ নয়ন শেখ (২৮) নামের এক মাদক কারবারিকে আটক করেছে র‌্যাব-১২।

বুধবার (২৭ মার্চ) রাত ১০টার দিকে র‌্যাব-১২’র সিপিসি-১, কুষ্টিয়া কোম্পানির একটি চৌকস আভিযানিক দল কুমারখালী উপজেলার সদকী চরপাড়া গ্রামে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে তাকে আটক করে।

আটককৃত নয়ন শেখ কুমারখালী উপজেলার সদকী চরপাড়া গ্রামের মো. আবুল কাশেমের ছেলে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

র‌্যাব জানায়, র‌্যাব-১২ এর অধিনায়ক মো. মারুফ হোসেন বিপিএম পিপিএমের নির্দেশনায় বুধবার রাত ১০টার দিকে র‌্যাব-১২’র সিপিসি-১, কুষ্টিয়া কোম্পানির একটি চৌকস আভিযানিক দল কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার সদকী চরপাড়া গ্রামে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় ১৯০ পিস ইয়াবাসহ মো. নয়ন শেখ (২৮) নামের ১ জন মাদক কারবারিকে আটক করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, আসামি দীর্ঘদিন যাবৎ লোকচক্ষুর আড়ালে কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিলো। তার বিরুদ্ধে কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

;

১৪ বছর পালিয়েও শেষ রক্ষা হলো না ধর্ষণ মামলা আসামির



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামির ১৪ বছর পালিয়ে থেকেও রক্ষা হয়নি। পুলিশের জালে ধরা পড়ার পরে তাকে এরই মধ্যে সাজাভোগের জন্য কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গ্রেফতার এনায়েত রাঢ়ী বরিশালের উজিরপুর থানাধীন হারতা ইউনিয়নের কালবিলা গ্রামের মো. শাহজাহান রাঢ়ীর ছেলে।

বুধবার (২৭ মার্চ) রাতে ঢাকার গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানা এলাকা থেকে র‍্যাব-৩ এর সহযোগিতায় গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, বরিশাল উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাফর আহম্মেদ।

তিনি জানান, এএসআই আল মামুন ফোর্সসহ ২৭ মার্চ রাতে অভিযান চালিয়ে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানা এলাকা থেকে এনায়েতকে গ্রেপ্তার করে। আর অভিযানে র‍্যাব -৩ এর সদস্যরা সহযোগিতা করে। বরিশালে আনার পর গ্রেপ্তার আসামিকে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) আদালতে পাঠানো হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

থানা পুলিশের তথ্যানুযায়ী, উজিরপুর থানায় ২০০৯ সালে সাতলা গ্রামের এক নারী এনায়েত রাঢ়ীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ এর ৯ (১) ধারায় মামলা করে। ২০১০ সালে বরিশালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল তাকে যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়। এরপর থেকে এনায়েত রাঢ়ী আত্মগোপনে চলে যায়। টানা ১৪ বছরের মাথায় সে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়লো।

;