পরপর দুই রেল দুর্ঘটনা, দায়‌ এড়াতে পারছে না কর্তৃপক্ষ



তৌফিকুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
লালমনিরহাটগামী রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের বগিতে আগুন ধরে যায়, ছবি: সংগৃহীত

লালমনিরহাটগামী রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের বগিতে আগুন ধরে যায়, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা মন্দবাগ রেল স্টেশনে মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) তূর্ণা নিশীথার সঙ্গে উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়েছে। তাতে প্রাণ হারিয়েছেন ১৬ জন। আহত হয়েছেন শতাধিক যাত্রী।

এ দুর্ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে বৃহস্পতিবার বিকেলে আবারও দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ট্রেন। পশ্চিমাঞ্চল রুটের ঢাকা থেকে লালমনিরহাটগামী রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া স্টেশনের কাছে গেলে বগি লাইনচ্যুত হয়ে আগুন ধরে যায়। এতে কেউ নিহত না হলেও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ দুই দুর্ঘটনায় দায়িত্বরত রেল কর্তৃপক্ষের কর্তব্যে অবহেলার বিষয়টি লক্ষ্যণীয়।

প্রাথমিকভাবে এ দুই দুর্ঘটনার জন্য রেল সংশ্লিষ্ট দায়িত্বরত কর্মকর্তারা অনেকাংশে দায়ী বলে জানা গেছে। দু’টি দুর্ঘটনার পরপরই রেলওয়ের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পর্যায়ে একাধিক তদন্ত কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ট্রেন দুর্ঘটনায় তদন্ত কমিটি সূত্রে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় প্রাথমিকভাবে রেলের চালকদের গাফিলতি পাওয়া গেছে। এজন্য অভিযুক্ত ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীথা ট্রেনের লোকো মাস্টার (এলএম) তাছের উদ্দিন, সহকারী লোকো মাস্টার (এএলএম) অপু দে ও গার্ড আবদুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্তও করা হয়েছে।

রেল সূত্রে আরো জানা যায়, অভিযুক্ত লোকোমাস্টারদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুর্ঘটনাস্থলের আগে বাইরের (আউটার সিগন্যাল) মাত্র কয়েক সেকেন্ড দেখা যায়। ডাবল লাইন কাজের জন্য পাথর স্তুপ করে রাখায় সিগন্যাল ঠিকমত দেখা যায় না। তাছাড়া মান্দাবাগে চট্টগ্রামগামী ট্রেন ক্রস করবে, সেটা তূর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেসের চালক ও গার্ডকে ফোনে জানানো হয়নি।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোফাজ্জেল হোসেন সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় রংপুর এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা প্রসঙ্গে বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে ঘটনাস্থলে থাকা ভুক্তভোগীদের কথা শুনে জানা গেছে, ঢাকা থেকে রওনা হওয়া লালমনিরহাটগামী রংপুর এক্সপ্রেসের দুই নম্বর লাইন দিয়ে উল্লাপাড়া রেলস্টেশনে ঢোকার কথা ছিল। কিন্তু দায়িত্বরত পয়েন্ট ম্যান এক নম্বর লাইনে সিগন্যাল দিয়ে দেন। এতে ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হয় এবং ট্রেনের তে‌লের ট্যাংক ফে‌টে বগিতে আগুন লেগে যায়। সুতরাং প্রাথমিক তদন্তে সিগন্যাল ভুলের কারণে এবং দায়িত্বরত পয়েন্ট ম্যানের দায়িত্ব পালনে অবহেলার বিষয়টি উঠে এসেছে। পুরোপুরি তদন্ত শেষে অভিযোগের বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।

এদিকে, গত ১০ বছরে রেল কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী, তিন হাজার ৪৮৬টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। যাতে প্রায় চারশ’ যাত্রীর প্রাণহানি ঘটেছে। এসব ঘটনার পর একাধিক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত শেষে কমিটি প্রতিবেদন জমা দেয় ও কিছু সুপারিশও করে। কিন্তু সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, নিলে হয়তো ট্রেন দুর্ঘটনা কম হতো। তবে বেশিরভাগ দুর্ঘটনার জন্য ট্রেনচালক, গার্ড ও স্টেশন মাস্টারকে দায়ী করা হয়েছে।

পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ দুটি দুর্ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট স্টেশনের দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের দায়িত্বে অবহেলার বিষয়টি স্পষ্ট। মাঠ পর্যায়ের অভিযুক্ত কর্মকর্তারা যেমন দায় এড়াতে পারে না, ঠিক একইভাবে বাংলাদেশ রেলওয়ে উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারাও দায় এড়িয়ে যেতে পারেন না। চালকদের আধুনিক প্রশিক্ষণের অভাব, অদক্ষ কর্মচারী, রেললাইন সংস্কার না হওয়া ও দুর্বল সিগন্যাল ব্যবস্থার ফলে ঘটছে এ ধরনের দুর্ঘটনা।

সার্বিক বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের সাবেক মহাপরিচালক আবু তাহের বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, রেল একটি টেকনিক্যাল বিষয়, খুব সুক্ষভাবে চলাচল করে, সামান্য ত্রুটির কারণে ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা। পরপর দু’টি রেল দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর বিষয়টি সবাইকে নাড়া দিয়েছে। কেন এবং কার ভুলে এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা খুঁজে বের করে দায়ীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

সম্প্রতি রেল দুর্ঘটনা নিয়ে বুয়েটের অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক কাজী সাইফুল নেওয়াজ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, রেল সেক্টরে এখন আধুনিক প্রযুক্তি চলে এসেছে। কোনো লোকো মাস্টার যদি সিগন্যাল দেখতে না পায়, তারপরও প্রযুক্তির মাধ্যমে অটোমেটিক ট্রেনকে দাঁড় করানো সম্ভব। সুতরাং লোকো মাস্টারের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে ট্রেনে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। কারণ একটি ট্রেনে হাজার হাজার যাত্রী থাকে।

তিনি আরো বলেন, রেল লাইনের নিচে মাটি ও পাথর থাকে না। রেল ট্র্যাকের কানেকশন পয়েন্টগুলোতে সমস্যা থাকে। এগুলো মেনটেনেন্সের অভাবে ট্রেন লাইনচ্যুত হয় এবং বড় বড় দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। বিদেশ থেকে কোচ আমদানি করার সময় রেল কর্তৃপক্ষের খেয়াল রাখতে হবে। অগ্নি নিরোধক মেটেরিয়াল সমৃদ্ধ কোচ নিতে হবে। তাহলে আগুন দ্রুত লাগবে না।

রেলের নিয়মিত ইনস্পেকশন হয় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, রেল সেক্টরে নিয়মিত ইনস্পেকশন হওয়া দরকার। রেলে ইনস্পেকশন করতে হবে অভিজ্ঞ টেকনিশিয়ানদের। নিয়মিত অডিট করে সমস্যা সমাধান করতে হবে। তাহলে এ ধরনের দুর্ঘটনা কমে আসবে।

   

ঢাকাসহ ৪ বিভাগে বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকাসহ দেশের চার বিভাগে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। এতে সারা দেশেই অনুভূত হচ্ছে তীব্র গরম। এ পরিস্থিতিতে আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী,মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, ময়মনসিংহ, রংপুর এবং সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

তাপপ্রবাহের বিষয়ে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

১৭ এপ্রিলের আবহাওয়ার বিষয়ে বলা হয়েছে, তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি দেশের কিছু কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে। উত্তরপূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

১৮ এপ্রিলের আবহাওয়ার বিষয়ে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

এছাড়া বর্ধিত ৫ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।

;

উদীচীর কর্মকাণ্ডে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিব্রত: ডিএমপি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
উদীচীর কর্মকাণ্ডে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিব্রত: ডিএমপি

উদীচীর কর্মকাণ্ডে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিব্রত: ডিএমপি

  • Font increase
  • Font Decrease

জননিরাপত্তার স্বার্থে সরকারের জারি করা নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচীর অনুষ্ঠান করা ও নেতিবাচক বিবৃতি- আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অনভিপ্রেত ও বিব্রতকর বলে উল্লেখ করেছে ডিএমপি।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে ডিএমপির মিডিয়া শাখার পাঠানো বার্তায় এ কথা বলা হয়।

উদীচীর এমন কর্মকাণ্ড অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক উল্লেখ করে ডিএমপি বলেছে, 'বাংলা নববর্ষ উদযাপনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার যে নির্দেশনা জারি করেছে সেই নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর অনুষ্ঠান করার বিষয়টি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) দৃষ্টিগোচর হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠান না শেষ করা সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ করা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করার বিষয়টি অত্যন্ত অনভিপ্রেত ও বিব্রতকর।

পহেলা বৈশাখ বাংলা ও বাঙালি জাতির প্রাণের উৎসব। সব ধর্মের মানুষের কাছে এটি একটি সর্বজনীন উৎসব। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবারই উৎসব উদযাপনে থাকে বিশেষ প্রস্তুতি। বাংলা সংস্কৃতির অন্যতম ধারক ও বাহক যেন এই দিনটি। বিশেষত দিনটি রঙিন হয়ে ওঠে বাঙালি পোশাকে-আশাকে, আয়োজনে এবং আপ্যায়নে। কিন্তু ইতোপূর্বে বিভিন্ন সময়ে বাংলা সংস্কৃতির ধারক এই পহেলা বৈশাখ উদযাপনের উপর উগ্রবাদী আঘাত এসেছে। বার বার চেষ্টা করা হয়েছে সংস্কৃতি যাত্রাকে ব্যাহত করার। উগ্রবাদের এই ভয়াল থাবা দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে বিভিন্ন সময়ে আক্রমণ করেছে, আঘাত করেছে সৃজনশীল ও সংস্কৃতমনা মানুষদের। উগ্রবাদীদের এই নৃশংসতায় প্রাণ দিয়েছেন অনেক কবি, সাহিত্যিক, অধ্যাপক, ব্লগারসহ মুক্তমনা এবং রুচিশীল ব্যক্তিত্ব। সর্বোপরি, জঙ্গি সংগঠনগুলোর টার্গেট হলো বাঙালি সংস্কৃতির অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করে দেশের মধ্যে একটি অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করা যা তাদের কার্যক্রমে স্পষ্টরূপে প্রতীয়মান হয়।

ডিএমপি বিবৃতিতে আরও বলেছে, এদেশে প্রথম জঙ্গি হামলা হয়েছিল ১৯৯৯ সালে, যশোরে উদীচীর অনুষ্ঠানে। পরবর্তীতে ২০০১ সালে রমনা বটমূলে ছায়ানটের অনুষ্ঠানে বোমা হামলা, একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা, যাত্রা প্যান্ডেলে বোমা হামলা, সিনেমা হলে বোমা হামলা, ১৭ আগস্টের সিরিজ বোমা হামলার পর দেশে সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলা হয় গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয়। এসব হামলায় অনেক মানুষের মূল্যবান জীবনহানি হয়েছে এবং অনেকে পঙ্গু হয়েছেন। হামলা প্রতিরোধ করতে ও জনগণের জীবন বাঁচাতে গিয়ে পুলিশের অনেক সদস্য জীবন দিয়েছেন, আহত হয়েছেন বহুজন।

বিগত সময়ে ১৯৯৩ সালে (১৪০০ বঙ্গাব্দ) বাংলা শতবর্ষ উদযাপনে সরকার বাঙ্গালির এই আয়োজনে বাধা দিয়েছিল। কিন্তু উগ্রবাদ দমনে বর্তমান সরকারের গৃহীত 'জিরো টলারেন্স' নীতির ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা গ্রহণ করায় সারাবিশ্বে বাংলাদেশ আজ 'রোল মডেল' হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। দেশে জঙ্গি তৎপরতা রোধে পুলিশ সবসময়ই তৎপর। প্রতিটি অনুষ্ঠানে জনগণের জান মালের নিরাপত্তা দিতে সদা সতর্ক থাকায় পরবর্তী সময়ে দেশে কোনো জঙ্গি হামলা বা সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটতে পারে নাই। বর্তমান সরকার সবসময়ে অসাম্প্রদায়িক বাঙালি সংস্কৃতিকে তার নিজস্ব আমেজে উদযাপন করার ক্ষেত্রে আন্তরিক ও পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে আসছে। উদীচীর মতো বিভিন্ন প্রগতিশীল সংগঠনগুলো সারা বছর যে অনুষ্ঠানগুলো আয়োজন করে থাকে তার নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ তথা সরকার নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে ও পেশাদারিত্বের সাথে সেগুলো বিবেচনা করে থাকে। পহেলা বৈশাখ উদযাপনের জন্য 'বাংলা নববর্ষ ভাতার' ব্যবস্থাও করা হয়েছে যাতে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলে মিলিত হয়ে আনন্দের সাথে এই অনুষ্ঠান উদযাপন করতে পারে।

ডিএমপি বলছে, খুব স্বাভাবিকভাবেই নববর্ষ উদযাপনে নিরাপত্তা দেওয়া পুলিশের কর্তব্য। পুলিশের এই নিরাপত্তা কার্যক্রমে সকল জনগণ সার্বিকভাবে সহযোগিতা করবেন এটাই কাম্য, তেমনি আনন্দের এই অনুষ্ঠান বিষাদে পরিণত না হয়ে যায়। নিরাপত্তা বিধানে প্রদত্ত প্রয়োজনীয় নির্দেশনা না মেনে তার বিরোধীতা করে অনুষ্ঠান করা খুবই দুঃখজনক এবং উদীচীর মত প্রগতিশীল একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের নিকট থেকে যা কখনো কাম্য নয়।

উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে অনুষ্ঠান আয়োজন ও সেখানে প্রদত্ত বক্তব্য খুবই হতাশাজনক। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে তাদের এহেন কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়। অতীতেও উদীচীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সময়ে উগ্রবাদী হামলার ইতিহাস রয়েছে বিধায় উদীচী তাদের নিজেদের ও জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে ভবিষ্যতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রদত্ত বিভিন্ন নিরাপত্তামূলক নির্দেশনার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে বলে প্রত্যাশা। 

এদিকে বর্ষবরণের জন্য সরকারের বেধে দেয়া সময় মানেনি বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী-গোষ্ঠী। বেধে দেয়া সময়ের পরও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করেছে সংগঠনটি। পয়লা বৈশাখে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সময় সংকোচনের প্রতিবাদে রোববার সন্ধ্যা ছয়টার পর রাজধানীর শাহবাগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উদীচী। তবে দ্রুত শেষ করার তাগাদা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের পর অনুষ্ঠান করায় প্রশাসনের বাধার মুখে পড়তে হয়নি তাদের।

এর আগে পয়লা বৈশাখকে কেন্দ্র করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, রাজধানীর রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হাতিরঝিল ও রবীন্দ্র সরোবরসহ বর্ষবরণের অনুষ্ঠান সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে শেষ করতে হবে। অন্যদিকে, শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, বর্ষবরণের সব আয়োজন বিকাল পাঁচটার মধ্যে শেষ করা হবে। সময় সংকোচনের নির্দেশনার মধ্যেই রোববার ‘বর্ষবরণ মানে না শৃঙ্খলা’ শিরোনামে সন্ধ্যায় শাহবাগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উদীচী শিল্পী-গোষ্ঠী। সন্ধ্যা ছয়টায় শুরু হওয়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষ হয় সন্ধ্যা সাতটার দিকে।

;

ফরিদপুরে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ১৩



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেট, বার্তা ২৪.কম, ফরিদপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফরিদপুরের শহরতলীতে বাস ও পিকআপভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৩ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল পৌনে ৮টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের শহরতলীর কানাইপুরের দিপনগর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে উত্তরা ইউনিক পরিবহনের একটি বাস মাগুরা যাচ্ছিলো। পথে ফরিদপুরের কানাইপুরের দিপনগর এলাকায় পৌঁছালে বিপরীতদিক থেকে আসা পিকআপভ্যানের সঙ্গে ওই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুমড়ে-মুচড়ে যায় পিকআপভ্যানটি। এতে ঘটনাস্থলে পিকআপভ্যানের চালকসহ ১৩ যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হন দুজন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

ওই পিকআপভ্যানটি মালামালের জায়গায় যাত্রী বহণ করছিলো বলে জানান তারা। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন হাইওয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহিনুল আলম।

তিনি বলেন, পিকআপভ্যানটি ভাড়া করে আলফাডাঙ্গা থেকে ফরিদপুর শহরে যাচ্ছিলেন যাত্রীরা। পথে মাগুরাগামী বাসের সঙ্গে ওই পিকআপভ্যানের মুখোমুখী সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে ১৩ জনের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস।

 

;

ময়মনসিংহে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ১৫



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের তারাকান্দায় দুই বাস মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন ১৫ জন।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে ময়মনসিংহ তারাকান্দা সড়কের কোদালধর বাজারের রামচন্দ্রপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। তারাকান্দা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াজেদ আলী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তারাকান্দা কোদালধর বাজারের রামচন্দ্রপুর এলাকায় দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত হাসপাতালে অন্তত ১০/১২ জন আহত হয়েছে। এদের মাঝে ৬ জনকে ভর্তি করা হয়েছে।

বিস্তারিত আসছে.....



;