সগিরা মোর্শেদ হত্যা

৩০ বছর আগে আসামিদের বাঁচাতে চেয়েছিল পুলিশ



শাহরিয়ার হাসান ও মনি আচার্য্য, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
সগিরা মোর্শেদ ও তার পরিবার/ ছবি: ‍সংগৃহীত

সগিরা মোর্শেদ ও তার পরিবার/ ছবি: ‍সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সগিরা মোর্শেদ হত্যাকাণ্ড, যার রহস্য উন্মোচন হতেই কেটে গেছে ৩০ বছর। কিন্তু এই রহস্য এতদূর না গড়ালেও পারত। ১৯৮৯ সালের সেই হত্যাকাণ্ডে কেবলমাত্র রমনা থানা পুলিশের সহায়তায় বেঁচে গিয়েছিল আসামিরা। এ কারণেই হত্যা রহস্যের জট খুলতে এতটা সময় কেটে গেছে।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্ত বলছে, রমনা থানা পুলিশের সহায়তায় আসামিরা ছিল ধরা ছোঁয়ার বাইরে। আর এ কারণেই সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলার তদন্তে সঠিক তথ্য উঠে আসেনি।

পিবিআই’র কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য মতে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শী ছিল একজন রিকশাচালক। নাম তার আব্দুস সালাম। এই ব্যক্তিকে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য ডাকা হলে রমনা থানা পুলিশ তাকে ঘটনার বিস্তারিত জানাতে নিরুৎসাহিত করে। আর এতেই পুলিশের কাছে কাজটি সহজ হয়ে যায়। আব্দুস সালামকে আড়াল করে, সহজেই ঘটনাটিকে ছিনতাই জনিত হত্যাকাণ্ড বলে চালিয়ে দেওয়া হয়। এরপর ঘটনার মাত্র এক বছরের মাথায় ১৯৯০ সালে সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলায় মন্টু নামে একজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় গোয়েন্দা পুলিশ।

হত্যাকাণ্ডের সময় দু'জন ঘটনাস্থলে থাকলেও আসামি একজন কেন- এই প্রশ্ন আদালতের সামনে আসে। এরপর সাক্ষ্যগ্রহণ চলাকালে সন্ত্রাসী মারুফ রেজার নাম এলে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে ১৯৯১ সালে মামলাটির অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে রিভিশন আবেদন করেন মারুফ রেজা। এরপর আদালতের আদেশে থেমে যায় সব ধরণের তদন্ত কাজ।

হাইকোর্ট/ ছবি: ‍সংগৃহীত

এরপর ফাইলবন্দি অবস্থায় এই মামলার ২৮ বছর কেটে যায়। চলতি বছরের ২৬ জুন মামলার ওপর স্থগিতাদেশ তুলে নেন হাইকোর্ট। ১১ জুলাই অধিকতর তদন্তের জন্য আদালত কর্তৃক মামলাটির দায়িত্বভার এসে পড়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই এর ওপর।

ঢাকা মেট্রো দক্ষিণ পিবিআই’য়ের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. শাহাদাত হোসেন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে তদন্তের আদ্যোপান্ত বর্ণনা করেন।

শাহাদাত হোসেন বলেন, অনেক কষ্টের পর আমরা সগিরা মোর্শেদ যে রিকশায় খুন হয়েছিলেন, সে রিকশাচালককে খুঁজে বের করি। তাকে নতুন করে জিজ্ঞাসাবাদ করি।

জিজ্ঞাসাবাদে রিকশাচালক সালাম পিবিআইকে বলেন, ঘটনার দিন দু'জন ব্যক্তি ৩-৪টা গুলি করে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। সেই মুহূর্তে তিনি একাই একটি ইট নিয়ে ছিনতাইকারী ছিনতাইকারী বলে ধাওয়া করেন। তাদের ধরতে না পারায় সরাসরি রমনা থানাতে চলে যান। পরে পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পর রিকশাসহ সালামকে থানাতে নিয়ে যায় পুলিশ। থানায় দীর্ঘক্ষণ কথা বলার পর, এসব কথা (কে কে গুলি করেছে সে ব্যাপারে) কাওকে না জানাতে বলে। এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।

পিবিআই’য়ের এই বিশেষ পুলিশ সুপার বলেন, পরবর্তীতে মামলার দীর্ঘকালীন তদন্তে ডিবি পুলিশের ২৫ জন কর্মকর্তা কাজ করেন। কিন্তু এবার পিবিআই সালামের কাছে ঐ গুলি ছোঁড়া দুই ব্যক্তি সম্পর্কে জানতে চায়। তখন তার বর্ণনায়, একজন লম্বা আর একজন খাটো মানুষের কথা উঠে আসে।

ঢাকা মেট্রো দক্ষিণ পিবিআই’য়ের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. শাহাদাত হোসেন ও মামলার সরাসরি তদন্তকারী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম 

চালক সালাম পিবিআইকে ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে বলেন, প্রথমে ব্যাগ নিয়ে টান দেওয়ার পরই, সগিরা মোর্শেদ লম্বা একজনকে নাম ধরে ডাকেন। সগিরা বলেন, 'আমি আপনাকে চিনি'। আর এই কথাগুলোই জানাতে নিষেধ করেছিল সে সময়ের রমনা থানা পুলিশ।

বিশেষ পুলিশ সুপার শাহাদাত হোসেন আরও বলেন, তদন্ত চলার ১১২তম দিনে আমরা এইসব তথ্য পাই। এরপর অনেক কৌশল অবলম্বন করে সগিরা মোর্শেদের ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরীর স্ত্রী- সায়েদাতুল মাহমুদা শাহীনের ভাই আনাস মাহমুদ রেজওয়ান ও সন্ত্রাসী মারুফ রেজাকে আমরা হত্যার সঙ্গে জড়িত প্রমাণ করি।

খুনের অভিযুক্ত মারুফ রেজার কথা পুলিশ গোপন করতে বলেছিল কেন? জানতে চাইলে পিবিআই তদন্তকারী কর্মকর্তারা বলেন, তৎকালীন (১৯৮৯) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেজর জেনারেল মাহমুদুল হাসানের নিকটাত্মীয় ছিলেন এই মারুফ রেজা। তার পূর্বের রেকর্ডও ভাল ছিল না। তিনি সন্ত্রাসী ছিলেন।

মামলাটির সরাসরি তদন্তকারী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, সে সময় রমনা থানা পুলিশ ইচ্ছে করেই রিকশাচালক সালামের কথা শুনেনি। এমনকি তাকে এই সব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানাতে নিষেধ করেছে। সালাম এখন বুঝতে পারছেন এই হত্যা মামলায় তার এই তথ্যগুলো গুরুত্বপূর্ণ। এই তথ্যগুলোই ঘটনার ৩০ বছর পরও হত্যাজট খুলতে সাহায্য করেছে।

   

ফরিদপুরে দুই সহোদর হত্যা: ঘটনাস্থলে রেল ও মৎস্য মন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ফরিদপুরের মধুখালীর ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লীতে মন্দিরে আগুন লাগার সহিংস ঘটনার সন্দেহে ১৮ এপ্রিল আপন দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন রেলপথ মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম এবং মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান। 

বুধবার রাত ৮ টার দিকে দুই মন্ত্রী ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এর আগে সন্ধ্যায় রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার জঙ্গল ইউনিয়নের ধর্মতলা আদর্শ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত শান্তি ও সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম। 

শান্তি ও সম্প্রীতি অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী বলেন, ইসলাম ধর্ম কোন মানুষ হত্যাকে সাপোর্ট করেনা। যারা মানুষ হত্যা করে তারা নিকৃষ্ঠ। পাশের ইউনিয়নে (ডুমাইন) মন্দিরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া সন্দেহে যে দুই ভাইকে হত্যা করা হয়েছে তা বর্বরচিত। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ অসাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে স্বীকৃত। একটি গোষ্ঠী সাম্প্রদায়িক ইস্যু বানিয়ে দেশকে অস্থীতিশীল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা তা কখনো হতে দেবনা। 

পঞ্চপল্লীর পাশের এলাকা সনাতন ধর্মাম্বলী অধ্যাষুত জঙ্গল ইউনিয়নের বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে রেলমন্ত্রী আরো বলেন, আপনাদের কোন ভয় নেই। আপনাদের পাশে সরকার রয়েছে। কোন ষড়যন্ত্রকারি রক্ষা পাবেনা। যারা প্রকৃত হত্যাকারি তাদের বিচার হবেই। আপনারা নির্ভয়ে চলাফেরা করবেন। কোন গুজবে কান দেবেন না। যে কোন সমস্যা হলে সাথে সাথে প্রশাসন কিংবা আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে জানাবেন। 

উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) হাসিবুল হাসানের সভাপতিত্বে শান্তি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকিত সরকার, বালিয়াকান্দি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর হোসেন, জঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কল্লোল বসু, সমাধীনগর আর্য সংঘ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নারোদ বাছার প্রমুখ। শান্তি সমাবেশে প্রায় সহস্রাধিক সনাতন ধমাম্বলী নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।

শান্তি ও সম্প্রতী সমাবেশ শেষে রেলমন্ত্রী ঘটনাস্থল ডুমাইনের পঞ্চপল্লী পরিদর্শনে যান। সেখানে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী আব্দর রহমানও পরিদর্শনে আসেন। দুই মন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্থ মন্দির ও পাশের প্রাথমিক বিদ্যালয় যেখানে দুই ভাইকে হত্যা করা হয় সেখানে পরিদর্শন করেন এবং ঘটনার দিন মন্দিরে সন্ধ্যা প্রদীপ যিনি জ্বালিয়েছিলেন সেই তপতী রাণীর সাথে কথা বলেন।

পরিদর্শন শেষে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান সাংবাকিদের উদ্দেশ্যে বলেন, এ ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা। সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে। প্রতিটি মোড়ে পুলিশ যে পাহাড়া দিচ্ছে এটা কতদিন চলবে- এমন প্রশ্নের জবাবে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী বলেন, যতদিন এলাকা স্বাভাবিক হয়েছে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মনে না করবে ততদিন পর্যন্ত পুলিশ পাহাড়া দিবে।

;

আরও ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি, বৃষ্টির পূর্বাভাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। দিনদিন বাড়ছে তাপমাত্রা। গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। এমন পরিস্থিতিতে আরও তিনদিন হিট অ্যালার্টের (তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা) পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। একই সঙ্গে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার দেওয়া পূর্বাভাসে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আমরা এর আগে তিন দিনের যে হিট অ্যালার্ট জারি করেছিলাম, তার মেয়াদ আজ শেষ হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) থেকে আরও তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হবে। কারণ, আপাতত বড় পরিসরে বৃষ্টি হয়ে তাপপ্রবাহ দূর হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আমরা হিট অ্যালার্ট জারি করে সরকারকে জানিয়ে দিই। সরকার সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। সংশ্লিষ্টরা তাদের করণীয় যা সেটা করবে।

তিনি বলেন, সারা দেশের তাপমাত্রা গতকালের থেকে আজ কিছুটা বেড়েছে। চলতি এপ্রিল মাসে তাপপ্রবাহ পুরোপুরি দূর হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আমরা দেখছি যে, এটা মে মাসের ২ থেকে ৩ তারিখ পর্যন্ত চলবে। এরপর হয়তো বিভিন্ন অঞ্চলে কিছু বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এর আগে পর্যন্ত বড় পরিসরে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। স্থানীয়ভাবে বিচ্ছিন্নভাবে কোথাও কোথাও বৃষ্টি হতে পারে।

এদিকে বুধবার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

আবহাওয়া অফিস জানায়, খুলনা বিভাগসহ দিনাজপুর, নীলফামারী, রাজশাহী, পাবনা, ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জ জেলাসমূহের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ বরিশাল বিভাগ এবং রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, বর্ধিত ৫ (পাঁচ) দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

;

‘কেএনএফ অস্ত্রের মুখে গাড়ি চালাতে বাধ্য করে’ আদালতে ড্রাইভারের জবানবন্দি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
‘কেএনএফ অস্ত্রের মুখে গাড়ি চালাতে বাধ্য করে’

‘কেএনএফ অস্ত্রের মুখে গাড়ি চালাতে বাধ্য করে’

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানে রুমা ও থানচিতে প্রকাশ্যে সেনালী ও কৃষি ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুট এবং ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের সময় কেএনএফ সদস্যরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গাড়ি চালাতে বাধ্য করেছে মর্মে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে থানচির চাঁদের গাড়ি চালক কফিল উদ্দিন সাগর।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে থানচির চাঁদের গাড়ি চালক কফিল উদ্দিন সাগর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক নুরুল হকের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দিতে একথা বলেন তিনি।

অপরদিকে বান্দরবানের রুমা-থানচিতে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের সদস্য সন্দেহে গ্রেফতার গাড়ির ড্রাইভারসহ কফিল উদ্দিন সাগর ও আরও ছয় সদস্যকে দুই দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

বুধবার বেলা সাড়ে ৩টায় চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক এএসএম এমরান তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বান্দরবান আদালতের জিআরও বিশ্বজিৎ সিংহ জানান, আজ তাদের ২ দিন রিমান্ড শেষে আদালতে উপস্থাপন করা হলে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়।

এ পর্যন্ত মোট ৭৭ কেএনএফ সদস্য ও একজন চাঁদের গাড়ির চালকসহ মোট ৭৮ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৩ জন নারী রয়েছেন।

;

চরফ্যাসনে হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ভোলা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভোলার চরফ্যাশনে হিটস্ট্রোকে মিরাজ (২৭) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকালে দুলারহাট থানার আবুবক্করপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে তার মৃত্যু হয়। নিহত যুবক মিরাজ ওই গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।

প্রতিবেশী আরিফ জানান, যুবক মিরাজ প্রচণ্ড রোদে দুপুরে তার নিজ বাড়িতে কাজ করছিলো। প্রায় দুই ঘণ্টা তীব্র রোদে থাকার পর হঠাৎ তার বুকে ব্যথার অনুভব হয়। বিকালে ব্যথা আরও তীব্র হলে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

চরফ্যাসন হাসপাতালে কর্মরত সাব-অ্যাসিস্টেন্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মো. জাহিদ হাসান জানান, হাসপাতালে আনার আগেই ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে যুবক মিরাজ হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন।

;