রায় হলে সু চিকে গ্রেফতারে বাধ্য হবে সব দেশ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
‘আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রয়োজনীয়তা’ বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠক

‘আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রয়োজনীয়তা’ বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠক

  • Font increase
  • Font Decrease

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, মিয়ানমার আইসিসি বা আইসিজে’র সদস্য হোক বা না হোক; বিচারে রোহিঙ্গা ইস্যুতে অং সান সু চিসহ ঊর্ধ্বতন ২০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রায় হলে তা মানতে বাধ্য হবে বিশ্বের সব দেশ। তারা অন্য দেশে গেলে তাদের গ্রেফতার করতে বাধ্য হবে।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রয়োজনীয়তা’ বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) নির্দেশ হওয়ার পর মিয়ানমার ছাড়াও অনেক দেশের ওপর চাপ সৃষ্টি হবে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্বের অনেক দেশে নিজেদের মধ্যেই দ্বন্দ্ব রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতাকে বড় করে দেখেছেন তাই রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছেন। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন হতেই হবে। তবে রাতারাতি এ সংকটের সমাধান হবে না।

তিনি বলেন, সবচেয়ে বড় কথা হলো ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী অং সান সু চিকে বলেছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন না হলে এ অঞ্চল অস্থিতিশীল হবে।

‘আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রয়োজনীয়তা’ বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠক

গোলটেবিল বৈঠকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শাহ্ কামাল বলেন, একদিনে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান হবে না। প্রতি বছর ৫০ হাজার রোহিঙ্গা শিশু জন্মাচ্ছে। ৩০ হাজার নারী গর্ভবতী। এটি বাড়তে থাকলে কী হবে?

রোহিঙ্গাদের শুধু মিয়ানমার নয়, অন্য দেশে নেওয়ার আহ্বান জানান শাহ্ কামাল। প্রতিটি দেশ ৯ হাজার করে রোহিঙ্গা নিলে সমস্যা শেষ হয়ে যায় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

গোলটেবিল বৈঠকে সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, মিয়ানমারকে আমরা মোটেই চিনি না, তারা খুব কঠিন প্রকৃতির। তাদের ওপর এ ধরনের চাপ কোনো কাজেই লাগবে না। আমরা একটি ভিকটিম রাষ্ট্র হিসাবেও নিজেদের জানাতে পারছি না। আমরা তাদের ওপর চাপ তো দূরে থাক, পচা পেঁয়াজ কিনতে মিয়ানমার দৌড়াচ্ছি।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকট প্রচারে রোহিঙ্গাদের ভয়েস সৃষ্টি করতে হবে। এ জন্য রোহিঙ্গাদের সরাসরি যুক্ত করতে হবে। রোহিঙ্গারা বললে বিশ্বে যতটা নাড়া দেবে ততটা বাংলাদেশ বললে হবে না।

অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারকে জবাবদিহিতায় আনার বিষয়ে গাম্বিয়া আইসিসিতে মামলা করেছে। আর্জেন্টিনার কিছু মানবাধিকার কর্মী অং সান সু চির বিরুদ্ধে মামলা করেছে। অন্যদিকে যতক্ষণ পর্যন্ত চীনকে আমরা আমাদের পক্ষে আনতে না পারব ততক্ষণ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কঠিন হবে।

সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শমসের মবিন চৌধুরী বলেন, আইসিসি তদন্ত করার অনুমতি দিয়েছে। মিয়ানমার তা প্রত্যাখ্যান করেছে। রাশিয়া ও চীন মিয়ানমারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চীন একটি বিশাল ভূমিকা রাখতে পারে। চীন তার স্বার্থ যতদিন দেখবে ততদিন পর্যন্ত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য অপেক্ষাই করতে হবে। ভারতের কিছু রাজনীতিক আমাকে বলেছেন—ভারতের সঙ্গে মিয়ানমারের সামরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে তারা সার্বভৌমত্বকেও ছাড় দেয়, যা বাংলাদেশের সঙ্গে হয়ে ওঠেনি। তাই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিলম্বিত হওয়ায় রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরিত করা দরকার।

মেজর (অব.) এমদাদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ভারত—এ তিন দেশই মিয়ানমারের সঙ্গে বেশ কিছু স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কাজে জড়িত। চীন সবসময় জাতিসংঘে মিয়ানমারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। রাখাইনে রোহিঙ্গা সংকট দীর্ঘায়িত হলে এ অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদের উত্থান হবে।

বৈঠকে উখিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান হামিদুল হক চৌধুরী বলেন, এবারের মতো এত বড় রোহিঙ্গা সংকট আগে মোকাবিলা করতে হয়নি। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে স্থানীয় মানুষের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, পরিবেশগত সবকিছু ধ্বংস হয়ে গেছে। সেখানে রোহিঙ্গা নামে একটি ‘টাইম বোমা’ রাখা হয়েছে। তা বিস্ফোরণ হলে গোটা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়বে। চীন ও ভারত না চাইলে এ সংকটের সমাধান হবে না।

অভিবাসী বিশেষজ্ঞ আসিফ মুনির বলেন, ঢালাওভাবে আন্তর্জাতিক সংস্থা বলে সবাইকে এক করে ফেলা ঠিক হবে না। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে যারা অর্থনৈতিক সহায়তা করে থাকে তারা যতটা মানবিক কারণে করে থাকে ততটা রাজনৈতিক বিষয়ে শীতলতা দেখায়।

গোলটেবিল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সাবেক রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জমির, সঞ্চালনা করেন ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত।

   

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলা চেয়ারম্যান অপহৃত দেলোয়ার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নাটোরের সিংড়া উপজেলার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন অপহরণের শিকার হওয়া প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ শেখ এই ঘোষণা দেন।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ শেখ জানান, আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে নাটোরের সদর, নলডাঙ্গা ও সিংড়া উপজেলা পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সিংড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আর কোনো প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন দেলোয়ার হোসেন। তবে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

আব্দুল লতিফ শেখ জানান, নির্বাচনে নাটোর সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রার্থী রয়েছেন। নলডাঙ্গা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৮ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী নির্বাচন করবেন।

গত ১৫ এপ্রিল সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল করায় দেলোয়ার হোসেন পাশা ও তার দুই সহযোগীকে অপহরণ ও মারপিট করে বাড়িতে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় দেলোয়ার হোসেন পাশার ভাই মুজিবুর রহমান বাদী হয়ে নাটোর সদর থানায় একটি মামলা করেন।

সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবিব রুবেলের সহযোগীরা এই কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে এবং অপহরণের কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটির মালিকানাও লুৎফুল হাবিব রুবেলের। সেই সঙ্গে গ্রেফতার দুজন আসামির একজন ১৬৪ ধারার জবানবন্দীতে স্বীকার করেন যে, লুৎফুল হাবিব রুবেলের নির্দেশেই তারা এই কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে।

এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার পর গত রোববার এক ভিডিওবার্তায় সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবিব রুবেল চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।

এদিকে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হবে জানিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এজন্য এই নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ না করার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান, নিকটাত্মীয় ও স্বজনদের উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বলা হয়েছে।

;

নোয়াখালীতে পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,নোয়াখালী
নোয়াখালীতে পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু

নোয়াখালীতে পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে বেপরোয়া গতির পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় মরিয়ম আক্তার আফরিন (৭) নামে এক শিশু নিহত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৮টার দিকে উপজেলার ১নং চরজব্বর ইউনিয়নের দক্ষিণ ওয়াপদা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আফরিন চরজব্বর ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডের চরজব্বর গ্রামের নাসির আহমদের মেয়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আফরিন স্থানীয় নুরুল হক নূরানী তালিমুল কোরআন মাদরাসার প্রথম জামাতের ছাত্রী ছিলেন। সকালে বাড়ি থেকে দক্ষিণ ওয়াপদা বাজার সংলগ্ন নিজের মাদরাসায় যান রেজাল্ট শীট আনতে। ওই সময় দক্ষিণ ওয়াপদা বাজারে রাস্তা পারাপারের সময় মাইজদীমুখী বেপরোয়া গতির পিকআপ ভ্যান তাকে ধাক্কা দেয়। এতে সে গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

চরজব্বর থানার ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, একটি অজ্ঞাত পিকআপ ভ্যান আফরিনকে ধাক্কা দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা নেওয়া হয়।

;

চিকিৎসকদের ধর্মঘটে চট্টগ্রামে স্থবির চিকিৎসাসেবা, রোগীদের ভোগান্তি চরমে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক রক্তিম দাশ ও মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে কর্মরত আরেক চিকিৎসক রিয়াজ উদ্দিন শিবলুর উপর হামলার প্রতিবাদে চিকিৎসকদের ধর্মঘটে চট্টগ্রামে স্থবির চিকিৎসাসেবা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন চিকিৎসা বা বিভিন্ন টেস্ট করতে আসা রোগীরা।

মঙ্গলার (২৩ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে সব ধরণের চিকিৎসা সেবা বন্ধ রাখে প্রতিষ্ঠানগুলো। বন্ধ থাকবে আগামীকাল বুধববার (২৪ এপ্রিল) সকাল ৬টা পর্যন্ত। এই সময়ে ব্যক্তিগত চেম্বার বন্ধের পাশাপাশি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নতুন রোগী ভর্তিও বন্ধ থাকবে।

গত ১৮ এপ্রিল বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ, চট্টগ্রাম শাখা, বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান সমিতি, বাংলাদেশ শিশু চিকিৎসক সমিতি, চট্টগ্রাম ও অন্যান্য চিকিৎসক সংগঠনের যৌথ সভায় এই সিদ্ধান্তে নেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রাইভেট মেডিক্যাল প্রাঙ্গনে সরেজমিনে দেখা যায়, প্রাইভেট মেডিকেলে চিকিৎসা নিতে আসা অসংখ্য রোগী ফিরে যাচ্ছেন। কেউ বা ছুটছেন সরকারি হাসপাতালে। তাদের মধ্যে, কেউ স্ট্রোকের রোগী, কেউ হাত-পা কাটা রোগী, কেউ বা ডায়েরিয়ার রোগী। এ সময় অনেক অন্তসত্বা রোগীদেরও ফিরে যেতে দেখা যায়। এমনকি হাসপাতালগুলোর বাহির থেকেই গার্ডরা রোগীদের নতুন করে চিকিৎসা দেওয়া হবে না বলে বের করে দিচ্ছেন। এদিকে চিকিৎসা নিতে আসা অনেকেই জানেন না ডাক্তারদের এই চিকিৎসা সেবা বিরতি কর্মসূচি।

ফটিকছড়ি থেকে চিকিৎসা নিতে আসা একজন বৃদ্ধ বয়সী রোগী বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমি জরুরি চিকিৎসার জন্য এতোদূর থেকে এসেও চিকিৎসা করাতে পারছি না। টাকা ও সময় দুইটারই ক্ষতি হলো।

নগরের সেভরন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা আয়েশা আক্তার বলেন, আমি জানতাম না যে, আজকে চিকিৎসা সেবা বন্ধ। এসে চরম দুর্ভোগে পড়েছি। এখন সরকারি হাসপাতালগুলোতেও চাপ বেড়েছে। ডাক্তাররা যে যৌক্তিক দাবিতে এই কর্মসূচি পালন করছে, দাবি পূরণ করে রোগীদের সেবা নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের নিকট দাবি জানাচ্ছি।

পার্কভিউ হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের একজন কর্মকর্তা বার্তা২৪.কম-কে জানান, আমাদের এখানে নতুন কোনো রোগী ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না। গতকাল বা আরও আগে যারা চিকিৎসা নিতে এসেছে, কেবল তাদেরই চিকিৎসা করা হচ্ছে। গতকাল থেকেই অনলাইন এবং অফলাইনে আমাদের নোটিশ দিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, আজ চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে না।

এপিক হেলথ কেয়ারের ম্যানেজার (মেডিক্যাল সার্ভিসেস) ডা. হামিদ হোসেন আজাদ বলেন, আমরা এ কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে আমাদের সেবা বন্ধ রেখেছি। কর্মসূচি শেষ হলে আমাদের সেবা পুনরায় চালু হবে।

ন্যাশনাল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মোহাম্মদ ইউসুফ জানান, আমাদের হাসপাতালে যে রোগী ভর্তি আছে তাদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু নতুন রোগী ভর্তি বা কোনো টেস্ট করানো হচ্ছে না। পাশাপাশি চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাক্টিসও বন্ধ রয়েছে।

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন, চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক ফয়সল ইকবাল চৌধুরী বলেন, পটিয়া জেনারেল হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রক্তিম দাশের ওপর হামলাকারি কুখ্যাত সন্ত্রাসী ছৈয়দ চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতার ও মেডিকেল সেন্টারে কর্তব্যরত শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. রিয়াজ উদ্দিন শিবলু উপর বর্বরোচিত হামলার মূল আসামিসহ জামিন প্রাপ্ত আসামিদের জামিন বাতিল ও অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে আমাদের এই কর্মসূচি।

;

গাজীপুরে তীব্র তাপদাহে গলে যাচ্ছে সড়কের পিচ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহে গাজীপুরের মাওনা- কালিয়াকৈর আঞ্চলিক সড়কের পিচ গলে যাচ্ছে। এতে নাজেহাল অবস্থায় পড়েছে পরিবহন চালকরা। সড়কের পিচ গলে যাওয়ার এমন দৃশ্য দেখে হতবাক স্থানীয় লোকজন ও পথচারীরা। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জেলার শ্রীপুর উপজেলার মাওনা থেকে কালিয়াকৈর পর্যন্ত ব্যস্ততম আঞ্চলিক সড়কের অন্তত ১০টি স্থানে তীব্র তাপদাহে কয়েক মিটার অংশজুড়ে সড়কের পিচ গলে গেছে। এতে ওই স্থানগুলোতে যানবাহন চালকরা অনেকটাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। ধীরগতিতে চলছে যানবাহন। বিশেষ করে নাজেহাল অবস্থায় পড়েছে ছোট যানবাহনগুলো।

স্থানীয় লোকজন ও পরিবহন চালকরা জানান তীব্র গরম আর রোদে সড়কে পিচগুলো আঠালো হয়ে গেছে। সড়কে হেটে পার হতে গেলে জুতা আটকে যায়। গাড়ির চাকায় আটকে গিয়ে গতি কমে যায়।

সিএনজি অটোরিকশা চালক শাহজাহান মিয়া বলেন, এই সড়কে কয়েক বছরেও এমন চিত্র দেখি নাই। পিচ গলে যাওয়ায় গাড়ি চালাইতেও ভয় লাগে। আবার যাত্রী নামাইতে গেলে তারা নামতে পারেনা, জুতাসহ পা আটকে যায়।

এদিকে পরিবহন চালকদের অভিযোগ সড়কে অতিরিক্ত মাত্রায় বিটুমিন দেয়ার কারণে পিচ গলে যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলী অভি আহম্মেদ বলেন, এই সড়কটি কয়েক মাস আগে সংস্কার করা হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে রোদের কারণে বিভিন্ন স্থানে পিচ গলে যাচ্ছে। তবে আগে এমন হয়নি।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী গাজীপুরে গত দুদিন আগে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৩৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এখনো পর্যন্ত ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রয়েছে।

;