ধর্মঘটের চাপে নতুন সড়ক আইনে অঘোষিত শিথিলতা!



নাজমুল হাসান সাগর, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
ধর্মঘট প্রত্যাহার করে রাস্তায় গাড়ি নামিয়েছে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ধর্মঘট প্রত্যাহার করে রাস্তায় গাড়ি নামিয়েছে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নতুন সড়ক আইন-২০১৮ সংশোধন বা পরিমার্জনের দাবিতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অঘোষিত ধর্মঘট পালন করেছে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলো। ফলে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। আর এরই প্রভাব পড়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দামের উপর। তবে বুধবার (২০ নভেম্বর) মধ্যরাত পর্যন্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে ধর্মঘট প্রত্যাহার করেন পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা। তাই ধর্মঘটের চাপে নতুন আইনে অঘোষিত শিথিলতা আনা হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।

এদিকে, ধর্মঘট প্রত্যাহারের ফলে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকাল থেকেই রাজধানীতে গণপরিবহনের চাপ লক্ষ্য করা গেছে। আর নতুন আইন বাস্তবায়নে ঢাকার ট্রাফিক পুলিশের তত্ত্বাবধানে শুরু হয়েছে ‘ট্রাফিক পক্ষ’, যা চলবে আগামী ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই ১৫ দিন মূলত নতুন সড়ক আইনটি গণপরিবহন চালক, হেলপারসহ যাত্রী ও পথচারীদের কাছে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হবে।

ধানমন্ডি, আসাদগেট, খামারবাড়ি ও বিজয়সরণি ও ফার্মগেট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তায় গণপরিবহনের ব্যাপক চাপ ও দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশরা সিগন্যালগুলোতে তৎপর। তবে আইন প্রয়োগে তারা যথেষ্ট ধৈর্যের পরিচয় দিচ্ছেন।

নতুন সড়ক ও পরিবহন আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে ট্রাফিক সার্জেন্টরা কেমন ভূমিকা পালন করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে দায়িত্বরত এক সার্জেন্ট জানান, আজ থেকে ট্রাফিক সপ্তাহ শুরু। মূলত নতুন আইনের ব্যাপারে সবাইকে সচেতন করা হচ্ছে। তবে এখনো নতুন আইনে জরিমানা ও মামলা দেওয়া শুরু হয়নি।

কেন শুরু হয়নি জানতে চাইলে তিনি জানান, এ বিষয়ে উপরের কোনো নির্দেশনা নেই। আর পরিবহন মালিক শ্রমিকদের ধর্মঘট চলছে তাই বিষয়টা বিবেচনাধীন আছে।

রাস্তায় গণপরিবহনের চাপ

ট্রাফিক পশ্চিম বিভাগ তেজগাঁও জোনের সার্জেন্ট রেজাউল করিম বলেন, ‘নতুন আইনে আমরা অ্যাকশনে যাচ্ছি না। তবে লাইসেন্সবিহীন চালক, নিবন্ধন, ফিটনেস ও রুট পারমিটবিহীন গাড়ির ক্ষেত্রে আমরা জিরো টলারেন্স। ফিটনেস ও রুট পারমিটবিহীন গাড়ি পেলে সেগুলো ডাম্পিং করা হচ্ছে। আর লাইসেন্সবিহীন চালকদের ক্ষেত্রে পুরনো আইনে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া উল্টো পথে চলাচল, যত্রতত্র পার্কিং ও পারাপারের ক্ষেত্রে কঠোর নজরদারি থাকলেও জরিমানা করা হচ্ছে না।’

তিনি আরো বলেন, ‘ট্রাফিক আইন ভঙ্গকারীদের প্রাথমিক ব্রিফিং কিংবা শাস্তিস্বরূপ নতুন সড়ক আইন মুখস্থ করিয়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। আর জরিমানার ক্ষেত্রেও নমনীয়তা দেখানো হচ্ছে। জরিমানার ক্ষেত্রে ডিএমপির নিজস্ব অধ্যাদেশ বলে কমিশনার জরিমানা কমিয়ে আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন।’

ট্রাফিক পক্ষ চলাকালীন যতটুকু সম্ভব নমনীয়তা দেখানো হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের সব থেকে বড় ব্যর্থতা আমরা অসচেতন পথচারীদের এখনো আইনের আওতায় আনতে পারছি না। উল্টোপথে পথচারী পারাপার, জেব্রা ক্রসিং না মেনে রাস্তা পারাপারসহ বেশ কিছু সমস্যা আমরা সমাধান করতে পারছি না। এক্ষেত্রে পথচারীদের ধরে ধরে জরিমানা আদায়ের ক্ষেত্রে শিথিল থাকার নির্দেশনা আছে।’

কথা প্রসঙ্গে সার্জেন্ট রেজাউল করিম বলেন, ‘ট্রাফিক আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে শীতলতা থাকায় অনেকে সুযোগ নিচ্ছেন। বিশেষ করে ৮০-৯০ ভাগ অ্যাম্বুলেন্স ফিটনেসবিহীন। তারপরও মানবিক কারণে আমরা তাদের ছাড় দিচ্ছি। কিন্তু তারা এই সুযোগ বার বার নিচ্ছে। তবে সড়কে একেবারেই চলাচলের সক্ষমতা হারিয়েছে এমন অ্যাম্বুলেন্সের ক্ষেত্রে আমরা কঠোর হচ্ছি।’

পথচারীদের এখনো আইনের আওতায় না আনতে পারাকে ব্যর্থতা বলে মনে করছে ট্রাফিক পুলিশ

রাজধানীতে দায়িত্বরত একাধিক ট্রাফিক সার্জেন্ট ও পুলিশ সদস্য জানান, নতুন আইনে মামলা ও জরিমানার ক্ষেত্রে বড় বাধা হলো এখনো নতুন রশিদ বই আসেনি এবং ডিজিটাল ডিভাইসে সফটওয়্যার আপডেট হয়নি। আইন পাসের এক সপ্তাহের মধ্যে এসব সম্পন্ন করার কথা ছিল। কিন্তু কোনো এক অজানা কারণে এগুলো করা হচ্ছে না।

এদিকে সাধারণ মানুষ ও যাত্রীরা মনে করছেন, পরিবহন মালিকদের কাছে শুধু জনগণই নয় সরকারও জিম্মি। তাই এই আইন কার্যকরে শৈথিল্য বা বিলম্ব করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে চালক ও পথচারী উভয়ের জন্য কঠোর বিধানযুক্ত করে গত ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর করা হয় 'সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮।

নতুন আইনের উল্লেখযোগ্য ১৪টি বিধান:

১. সড়কে গাড়ি চালিয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে হত্যা করলে ৩০২ ধারা অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

২. সড়কে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালালে বা প্রতিযোগিতা করার ফলে দুর্ঘটনা ঘটলে তিন বছরের কারাদণ্ড অথবা তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। আদালত অর্থদণ্ডের সম্পূর্ণ বা অংশবিশেষ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে দেয়ার নির্দেশ দিতে পারবেন।

৩. মোটরযান দুর্ঘটনায় কোনো ব্যক্তি গুরুতর আহত বা প্রাণহানি হলে চালকের শাস্তি দেয়া হয়েছে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের জেল ও সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা।

৪. ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া মোটরযান বা গণপরিবহন চালানোর দায়ে ছয় মাসের জেল বা ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেয়া হবে।

৫. নিবন্ধন ছাড়া মোটরযান চালালে ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে।

৬. ভুয়া রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার এবং প্রদর্শন করলে ছয় মাস থেকে দুই বছরের কারাদণ্ড অথবা এক লাখ থেকে পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।

৭. ফিটনেসবিহীন ঝুঁকিপূর্ণ মোটরযান চালালে ছয় মাসের কারাদণ্ড বা ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

৮. ট্রাফিক সংকেত মেনে না চললে এক মাসের কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দণ্ডিত করা হবে।

৯. সঠিক স্থানে মোটরযান পার্কিং না করলে বা নির্ধারিত স্থানে যাত্রী বা পণ্য ওঠানামা না করলে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে।

১০. গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোনে কথা বললে এক মাসের কারাদণ্ড এবং ২৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

১১. একজন চালক প্রতিবার আইন অমান্য করলে তার পয়েন্ট বিয়োগ হবে এবং এক পর্যায়ে লাইসেন্স বাতিল হয়ে যাবে।

১২. গণপরিবহনে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া দাবি বা আদায় করলে এক মাসের কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড হতে পারে।

১৩. আইন অনুযায়ী ড্রাইভিং লাইসেন্সে পেতে হলে চালককে অষ্টম শ্রেণি পাস এবং চালকের সহকারীকে পঞ্চম শ্রেণি পাস হতে হবে হবে। আগে শিক্ষাগত যোগ্যতার কোনো প্রয়োজন ছিল না।

১৪. গাড়ি চালানোর জন্য বয়স অন্তত ১৮ বছর হতে হবে। এই বিধান আগেও ছিল।

এছাড়া সংরক্ষিত আসনে অন্য কোনো যাত্রী বসলে এক মাসের কারাদণ্ড, অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

   

ফেনীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,ফেনী
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেনীর সদর ও ছাগলনাইয়া উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শারমিন (৩০) ও নূর ইসলাম (৫৫) নামে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে ফেনী সদর উপজেলার কালিপাল মধুপুর রাস্তার মাথায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ওমান প্রবাসীর স্ত্রী শারমিনের মৃত্যু হয়। এর আগে সকাল ১১টায় ছাগলনাইয়ার বল্লবপুর রাস্তার মাথায় সিএনজি অটোরিকশা ও ব্যাটারি চালিত টমটমের মুখোমুখি সংঘর্ষে টমটম চালক নূর ইসলাম (৫৫) নিহত হন।

দুর্ঘটনায় নিহত শারমিন কুমিল্লার লাঙ্গলকোট গোর্টশাল গ্রামের প্রবাসী বেলালের স্ত্রী। অপরজন নূর ইসলাম ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার বাসিন্দা।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মোটরসাইকেলে করে লাঙ্গলকোট থেকে বারইয়ারহাট যাচ্ছিলেন বেলাল ও তার স্ত্রী শারমিন। ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের কালিপাল, মধুপর এলাকায় এসে পৌঁছালে সড়কের পাশে শাখা রাস্তা থেকে একটি মোটরসাইকেল এসে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন শারমিন। পরে তাকে উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

একই দিন সকালে ছাগলইয়া উপজেলার বল্লবপুর এলাকায় সিএনজি অটোরিকশা ও টমটমের সংঘর্ষে টমটম চালক নিহত হন।

নিহত শারমিনের স্বামী বেলাল হোসেন বলেন, আগামী মাসের ১৭ তারিখ আমার ওমান যাওয়ার ফ্লাইট। তাই কদিন বেড়ানোর জন্য আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে বারইয়ারহাট বন্ধুর বাড়িতে যাচ্ছিলাম। মহাসড়কের পাশের শাখা রাস্তা থেকে একটা নিয়ন্ত্রণহীন মোটরসাইকেল এসে আমাদের ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলে আমার স্ত্রী গুরুতর আহত হয়ে যায়। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।

ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মো. আসিফ ইকবাল বলেন, দুর্ঘটনায় নিহত একজন নারী ও একজন পুরুষের মরদেহ মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান ইমাম বলেন, সকাল ১১টার দিকে বল্লবপুর রাস্তার মাথায় একটি সিএনজি অটোরিকশার সাথে ব্যাটারিচালিত টমটমের মুখোমুখি সংঘর্ষে টমটম চালক নিহত হয়েছে। নিহতের মরদেহ ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত টমটমটি উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি।

;

কমলাপুর স্টেশনে র‍্যাবের কন্ট্রোল রুম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কমলাপুর স্টেশনে র‍্যাবের কন্ট্রোল রুম

কমলাপুর স্টেশনে র‍্যাবের কন্ট্রোল রুম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আসন্ন ঈদুল ফিতরে যাত্রীদের নিরাপত্তায় রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে কন্ট্রোল রুম চালু করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। চালু করা হয়েছে হটলাইন নম্বর। কন্টোল রুম থেকে যাত্রীরা যেকোনো আইনগত সহায়তার পাশাপাশি জাল টাকা সনাক্তকরণসহ বিভিন্ন সেবা নিতে পারবেন।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) আনুষ্ঠানিকভাবে এই কার্যক্রম শুরু করে র‍্যাব-৩।

একইদিন সন্ধ্যায় র‍্যাব-৩ অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

র‍্যাব-৩ অধিনায়ক আরিফউদ্দিন জানান, কমলাপুর রেলস্টেশনে স্থাপিত কন্টোল রুম ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। এখান থেকে সাধারণ যাত্রীরা সবধরণের সেবা নিতে পারবেন। বিশেষ করে যেকোনো আইনগত সহায়তা ছাড়াও জাল টাকা সনাক্তকরণ, সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করে আইনের আওতায় আনা হবে।

এছাড়া বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষ, শারীরিক প্রতিবন্ধী, অসুস্থ ব্যক্তি সহায়তা চাইলে সহায়তা করবে র‌্যাব সদস্যরা। তাছাড়া ঘরমুখো যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং যেকোনো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে দ্রুত যাত্রীদের সহায়তা করা হবে। যেকোনো প্রয়োজনে র‌্যাবের হটলাইন নম্বর দেওয়া হয়েছে। যার নম্বর- ০১৭৭৭-৭১০৩৯৯।

;

ক্ষমতা ও সামাজিক অবস্থান মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ক্ষমতা ও সামাজিক অবস্থান মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী

ক্ষমতা ও সামাজিক অবস্থান মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্ষমতা ও সামাজিক অবস্থান মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) আসন্ন পবিত্র ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চিত্ত রঞ্জন দাসের উদ্যোগে এলাকার মানুষের মধ্যে ঈদ উপহার হিসেবে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।ক

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ঈদের আনন্দ সকলের মধ্যে ভাগ করে নেওয়া আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব। আমরা যদি পাঁচজনের মুখেও হাসি ফোটাতে পারি সেখানেই আমাদের সফলতা। ক্ষমতা ও সামাজিক অবস্থান মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে। ক্ষমতা ভোগের বিষয় নয়।

তিনি বলেন, এবার ইফতারের অর্থ দিয়ে মানুষের কল্যাণে কাজ করা হচ্ছে। প্রতিটি ওয়ার্ডেই এ ধরণের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হবে।

সরকার সবসময় মানুষের পাশে আছে। মানুষের জীবন আরও সহনীয় করতে কাজ করছে। সরকার দরিদ্র ও অসহায় মানুষের পাশে থাকার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছে বলেও এসময় মন্তব্য করেন তিনি।

;

নওগাঁয় নারী উদ্যোক্তাদের হাট বাজার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁয় নারীদের উদ্যোক্তা সংগঠন উইমেন্স অ্যান্ড ই-কমার্স ট্রাস্ট ‘উই টিম’ নওগাঁ’র উদ্যোগে অফলাইন মিটিং এবং হাটবাজার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) শহরের বৌ বাজার খলিফাপাড়ায় দিনব্যাপী এই হাটবাজারটি অনুষ্ঠিত হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, উদ্যোক্তারা নিজের তৈরিকৃত পণ্যের পসরা নিয়ে বসে আছেন যেখানে আছে থ্রি পিস, বুটিকের তৈরি পোশাক, ছোট বাচ্চাদের পোশাক, গহনা, আংটি, চুড়ি, ওড়না ইত্যাদি।

হাটবাজারে স্টল দেওয়া উদ্যোক্তা ও উই গ্রুপের নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি শারমিন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, নারী উদ্যেক্তাদের কথা চিন্তা করে আমাদের এই ব্যানারে সারাদেশে মেলা হচ্ছে। যেখানে দেশি পণ্যের প্রচার হবে, আমাদের ও প্রচার। যারা বাসায় বসে অনলাইনে সেল করে তারা অফলাইনেো সেল করতে পারছে। এতে উদ্যেক্তাদের জন্য খুবই ভালো হচ্ছে। যদি রোজা না হতো আমরা বাহিরে ৩ দিন ধরে মেলা করতাম।

ইসরাত জাহান চৈতি বলেন, আমাদের ছোট উদ্যোক্তাদের জন্য এ ধরনের উদ্যোগ খুবই ভালো ফল এনে দেয়। কারণ আমরা এখানে আসায় ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছি। অফলাইন-অনলাইন দুই মাধ্যমেই বিক্রি ভালো হচ্ছে। 

উদ্যোক্তা বিপাশা ভট্টাচার্য বলেন, এই ধরনের হাট বাজারের মাধ্যমে আমাদের প্রসারের সুযোগ রয়েছে। এতে পরিচিত বাড়ছে।

স্থানীয় বাসিন্দা নাসরিন লেজু বলেন, বাসার কাছেই এসে দেখি হাট বসেছে। এখনাএ দাম ও মান ভালো হওয়ায় পণ্য কিনতে পেরেছি।

এসময় উই গ্রুপের নওগাঁ প্রতিনিধি শারমিন, প্রতিনিধি তনুসহ অনেক উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।

;