লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় নিখোঁজের ৫ ঘণ্টা পর একটি পুকুর থেকে আজাব উদ্দিন (৬৫) নামের এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। মৃত আজাব উদ্দিন ওই উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের হাতীবান্ধা-গেন্দুকুড়ি সড়কের ভবানীপুর ছেফাতিয়া মাদ্রাসার পাশের একটি পুকুর থেকে ওই বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরেননি বৃদ্ধ আজাব উদ্দিন। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে একটি পুকুরের ধারে তার পোশাক পড়ে থাকতে দেখে হাতীবান্ধা ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। পরে হাতীবান্ধা ফায়ার সার্ভিসের সহযোগীতায় স্থানীয়রা পুকুর থেকে আজাব উদ্দিনের লাশ উদ্ধার করে৷

হাতীবান্ধা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুন নবী বলেন, ভবানীপুর এলাকায় একটি লাশ উদ্ধারের খবর শুনেছি৷ ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি৷ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) চট্টগ্রাম অঞ্চলের নতুন পরিচালক হিসেবে প্রেষণে দায়িত্ব পেয়েছেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক মো. ফজলুল কাদের চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব মো. মাহবুব আলম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে অধ্যাপক ফজলুল কাদের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) এবং ইনসিটু ছিলেন চট্টগ্রামের সাতকানিয়া সরকারি কলেজে।

এদিকে, একই প্রজ্ঞাপনে পাবনার সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক মোহা: আসাদুজ্জামানকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা রাজশাহী অঞ্চলের পরিচালক পদে প্রেষণে পদায়ন করা হয়।

ওই প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, এই দুই কর্মকর্তা আগামী ২০ নভেম্বরের মধ্যে বর্তমান কর্মস্থল হতে অবমুক্ত হবেন। অন্যথায় একই তারিখ অপরাহ্নে তাৎক্ষণিকভাবে অবমুক্ত মর্মে গণ্য হবেন।

উল্লেখ্য, এর আগে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন অধ্যাপক নারায়ন চন্দ্র নাথ। নিজ ছেলের ফলাফল জালিয়াতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গত ২৩ সেপ্টেম্বর নারায়ন চন্দ্র নাথকে ওএসডি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তারপর থেকে প্রায় দুই মাস ধরে শূন্য ছিল চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালকের পদ।

শরীয়তপুর জেলার কৃতি সন্তান, বিটিএসএফ-এর কেন্দ্রীয় ভাইস-চেয়ারম্যান, সংগঠক ও ইতালি প্রবাসী সাংবাদিক ইসমাইল হোসেন স্বপন সফল সংগঠক হিসেবে বিশেষ অবদানের জন‍্য বিটিএসএফ ‘সম্মাননা স্মারক’ পেয়েছেন। 

শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার তোপখানা রোডের ধানসিঁড়ি রেস্টুরেন্টে বাংলাদেশ তৃণমূল সাংবাদিক ফোরামের (বিটিএসএফ) ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সম্মাননা দেওয়া হয়। এসময় দেশের নানা শ্রেণিপেশার ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। 

তিনি আগেও বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষ অবদানের জন্য সম্মাননা পদক ও পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।

বিটিএসএফ-এর চেয়ারম্যান কায়সার হাসানের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব মো. আল-আমিন শাওনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে  প্রধান অতিথি ছিলেন- সাবেক এমপি ও বিটিএসএফ-এর উপদেষ্টা অধ্যক্ষ নূর আফরোজ বেগম জ্যোতি। 

অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট সংগঠক ও বিটিএসএফ-এর কো-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শাহিদা রহমান রিংকু। 

প্রধান বক্তা ছিলেন- বার্তা প্রবাহ পত্রিকার সম্পাদক ও বিটিএসএফ-এর উপদেষ্টা মোহাম্মদ মনির হোসেন কাজী। 

বিশেষ অতিথি ছিলেন, বিশিষ্ট জাদু শিল্পী ও বিটিএসএফ-এর উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট মাসুদুর রহমান, ঢাকার লাবণ্য ক্রিয়েশনের চেয়ারম্যান ও বিটিএসএফ-এর উপদেষ্টা মো. মনিরুজ্জামান, ইদিলপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও বিটিএসএফ-এর উপদেষ্টা মো. দেলোয়ার হোসেন শিকারী, ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ফোরাম বাংলাদেশের সভাপতি ও বিটিএসএফ-এর কো-চেয়ারম্যান শরীফ মো. আব্দুল কাদের, বাংলাদেশ প্যাকেজিং মালিক কল্যাণ পরিষদ ঢাকার সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা তথ্য ও মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান মো. শামছুল আলম, রুদ্রকর নীলমনি উচ্চ বিদ্যালযের সহকারী প্রধান শিক্ষক সাইদ মাহমুদ। 

বিশেষ বক্তা ছিলেন- বিটিএসএফ-এর ভাইস-চেয়ারম্যান ফাতেমা বেগম, এম এ গফুর মোল্লা, মাহবুবুর রহমান। 

শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন- ভাইস-চেয়ারম্যান মু. হারিসুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মো. ছবুর হোসেন, হামিদুল ইসলাম, আতিকুর রহমান, আসাদুজ্জামান মিঞাসহ অনেকে। বিটিএসএফ-এর কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন জেলার বিপুল সংখ্যক নেতৃবৃন্দ।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মনজুর আলম রিয়াদ বলেছেন, রাজনীতিতে কোন নেতা ক্যাম্পাসে সাধারণ ছাত্রদলের জোরপূর্বক দলীয় কর্মসূচিতে নিতে বাধ্য করতে পারবে না। ছাত্ররা তাদের পছন্দ অনুযায়ী সুষ্ঠু ধারার রাজনীতি করবে। দলীয় কোন লেজুড়বৃত্তি ছাত্রদলে থাকবে না। আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ গত ১৭ বছর বাংলাদেশে যা করেছে সেটি কোনো রাজনীতি না। আমরা আর সেসবে ফিরে যাব না।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ফেনী শহরের একটি রেস্টুরেন্টে সাংবাদিকদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের নেতাদের মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বহিরাগতদের নিয়ে ক্যাম্পাসে কর্মসূচি পালন অথবা ক্যাম্পাসেরই কোনো শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণে কাউকে বাধ্য করতে পারবে না। ৫ আগস্ট থেকে এ ধারা শুরু হয়েছে। আমরা কোনোভাবে আর বিগত স্বৈরাচার সরকারের শাসনামলের মতো অবস্থায় ফিরে যেতে চাই না।

মনজুর আলম রিয়াদ বলেন, এবারের আন্দোলনে এখন পর্যন্ত ছাত্রদলের ১৪৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন। জুলাই বিপ্লব নিয়ে অনেকেই অনেকভাবে ক্রেডিট নিতে চাচ্ছে। তবে আমরা কোনো ক্রেডিট নিতে চাই না। শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায় ও ন্যায়ের প্রশ্নে আমরা অবিচল থাকব। অতীতের মতো যেকোনো গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ছাত্রদল সবসময় অগ্রগামী থাকবে।

মনজুর আলম রিয়াদ আরও বলেন, ছাত্রদলের দ্বারা কখনো হল দখল বা সিট বাণিজ্য বা একজন লোককে মারার ঘটনা ঘটেনি। দুয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলেও সে বিষয়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অতীতে ছাত্রদের উপর নির্যাতন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের তৈরি একটি দুঃশাসন। গত ১৭ বছর তারা (আ.লীগ) বাংলাদেশে যা করেছে সেটি কোনো রাজনীতি না। আমরা আর সেসবে ফিরে যাব না। ছাত্রদল ইতোমধ্যে ইতিবাচক নানা পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করেছে।

জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সালাউদ্দিন মামুনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম মিলনের পরিচালনায় এতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমরান আলী সরকার, র‍্যাধে শ্যাম রাজেস, যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক আরিফুল হাসান, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফরহাদ উদ্দিন চৌধুরী মিল্লাত, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক কাজী নজরুল ইসলাম দুলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকের হোসেন রিয়াদসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।