‘নদীর ওপর বিরূপ প্রভাব না পড়ার নিশ্চয়তা দিতে হবে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান

  • Font increase
  • Font Decrease

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, যারা নদী অববাহিকায় প্রকল্প তৈরি করেছেন তাদেরকে নিশ্চয়তা দিতে হবে প্রকৃতি এবং নদীর ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে না।

তিনি বলেন, শুধু মুখে বলে নিশ্চয়তা দিলেই হবে না। সেই স্থানে গিয়ে খোঁজ খবর নিয়ে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের পরামর্শ নিয়ে তবেই প্রকল্প হাতে নিতে হবে।

বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের আ.কা.মু গিয়াস উদ্দিন অডিটরিয়ামে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন ও বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘নদীর উন্নয়নে পরিকল্পনা ও সংশ্লিষ্ট সংস্থার-দায়িত্ব’ শীর্ষক সম্মেলন-২০১৯ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এম এ মান্নান বলেন, প্রকল্প গ্রহণ এবং সেতু তৈরির সময় আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে যে নদীর পানি প্রবাহের সময় যেন বাধাপ্রাপ্ত না হয়। সুতরাং এসব কাজের একটি হিসাব-নিকাশ আছে তা না করে যদি আমরা অন্ধের মত কাজ করি তাহলে আমরা নিজেদের পায়ে নিজেরাই কুড়াল মারবো।

মন্ত্রী বলেন, মা প্রকৃতি-মাটির সঙ্গে এবং মা নদীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে এবং শ্বাস মিলিয়ে আমাদেরকে চলতে হবে। সেই কাজটা বিভিন্নভাবে করা যায়। আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে এবং সামাজিক জীবনে করতে পারি। তার জন্য কিছু সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। নদী যে আমাদের সঙ্গে কিভাবে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে তা বলাই বাহুল্য।

তিনি বলেন, শিল্পায়ন যেমন পরিবেশকে প্রভাবিত করছে পরিবেশও তেমনি শিল্পায়নকে এবং আমাদের জীবনকে প্রভাবিত করছে। নদী এবং পরিবেশকে আমরা হত্যা করতে পারবো না। নদীকে আঘাত করলে নদীও ব্যথা পায়। সামান্য কয়েকটা টাকার জন্য ইজারা দিয়ে মানুষকে নদীর মাছ খাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা উচিত নয়।

প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন নতুন অনেক স্থাপনা করছেন যেগুলো আগে ছিল না। তবে তিনি সব ইতিবাচক দিকগুলোতে হাত দিচ্ছেন আসলে তিনি টেনে তুলতে চান। হাজার নদীর অববাহিকাকে রেগুলেট করার দায়িত্ব নদী রক্ষা কমিশনকে দিয়েছেন। আমাদের সকলকে এসব কাজের জন্য সহযোগিতা করা প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, নদীরক্ষা কমিশন যে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন এটা বৃদ্ধি পাবে আস্তে আস্তে। তার জন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। তাতে আমি খুব খুশি এবং আশা করি সরকারের উচ্চ মহলও তাদের এই কাজে সমর্থন দেবেন।

সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ জাকির হোসেন আকন্দ, লেখক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সদস্য শারমিন সোনিয়া মুরশিদ, নদী বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি মোঃ আনোয়ার সাদাত। এছাড়া প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সদস্য মালিক ফিদা আব্দুল্লাহ খান।

   

দশ হাজার টাকার জন্য বাবাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা!



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় টাকা না দেয়ার আব্দুল কাদের (৬০) নামে এক বৃদ্ধকে ছুরিকাঘাতে খুন করেছে ছেলে। এই ঘটনার পর থেকে ছেলে আরিফ হোসেন (২০) পলাতক রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নে আন্ধারিয়া পাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত আব্দুল কাদের ওই গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ৬ ছেলের বাবা, ঘাতক আরিফ হোসেন সবার ছোট ছেলে।

ফুলবাড়িয়া থানার ইনচার্জ (ওসি) মো. রাশেদুজ্জামান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহত আব্দুল কাদের ৬ ছেলের বাবা। ঘাতক আরিফ হোসেন সবার ছোট। সে প্রায়ই টাকার জন্য বাবাকে চাপ দিতেন ও নির্যাতন করতেন। সম্প্রতি বাবার কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা নিয়ে মোবাইল কিনে আরিফ। আরিফ মাঝে মাঝে নেশা করতেন। ঘটনার দিন রাত ৯টার দিকে আরিফ হঠাৎ করে ১০ টাকার জন্য বাবাকে চাপ প্রয়োগ করে। টাকা না দিলে বাড়ি ঘর ভাঙচুর করবে বলে জানায়। এতে ভয়ে বাবা আব্দুল কাদের আলাদা বাড়ি করা বড় ছেলের বাড়িতে আশ্রয় নেয়।

বড় ছেলেকে বিষয়টি জানালে বাবাকে অভয় দিয়ে বাড়িতে দিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর বাবা আব্দুল কাদের আবারও ভয়ে তার বড় ছেলের বাড়িতে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা আরিফ পিছন থেকে বাবার পেটে-পিঠে ছুরিকাঘাত করে। এসময় আব্দুল কাদের চিৎকার দিলে স্থানীয়রা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুল কাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।

ফুলপুর থানার ইনচার্জ ওসি মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, এই ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ছেলে আরিফ ঘটনার পর থেকে।

;

থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে ঢুকে গেল বাস, প্রকৌশলী নিহত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে ঢুকে গেল বাস, প্রকৌশলী নিহত

থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে ঢুকে গেল বাস, প্রকৌশলী নিহত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনালে বাউন্ডারি ভেঙে রাইদা পরিবহনের একটি বাস ঢুকে যায়। এ ঘটনায় সিভিল এভিয়েশনের সিনিয়র একজন প্রকৌশলী নিহত হয়েছেন।

নিহতের নাম মাইদুল ইসলাম সিদ্দিকী। তিনি সিভিল এভিয়েশনের সিনিয়র সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ১০টায় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সামনে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনালে নিরাপত্তা বাইন্ডারিতে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিমানবন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুমন চন্দ্র দাস। 

তিনি বলেন, আজ সকাল ১০টার দিকে রাইদা পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তৃতীয় টার্মিনালের নিরাপত্তা বাউন্ডারি ভেঙে ভিতরে ঢুকে যায়। এ সময় রাস্তা দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন সিভিল এভিশনের সিনিয়র সাব এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার মাইদুল ইসলাম। তার মোটরসাইকেলটি রাইদা পরিবহনের বাসে নিচে চলে যায়। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

তিনি বলেন, নিহতের মরদেহের সুরতহাল চলছে এখন। সুরতহাল শেষে নিয়ন্ত্রণ মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে ময়নাতদন্তের জন্য। ঘটনায় জড়িত বাসের চালক, হেলপার পালিয়ে গিয়েছে। তবে বাসটিকে জব্দ করা হয়েছে। এই বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

;

রাজধানীর শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে, রোগীর স্বজনদের মাঝে আতঙ্ক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা শিশু হাসপাতালে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে হাসপাতালে ভর্তি শিশুদের স্বজনরা আতঙ্কিত হয়ে হাসপাতালের নিচে অপেক্ষা করছেন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর ২টা ২৮ মিনিটে আগুন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস। এরআগে দুপুর ১টা ৪৭ মিনিটে আগুন লাগার সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস। পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া কর্মকর্তা শাহজাহান শিকদার।

হাসপাতালের পঞ্চম তলায় কার্ডিয়াক বিভাগে থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আগুনের কারণে ঢাকা শিশু হাসপাতালের ভেতরে ধোঁয়ায় অন্ধকারচ্ছন্ন হয়ে গেছে। সে কারণে হাসপাতালের ওপরের তলাগুলোর অনেক রোগীকে নিচে নামিয়ে আনা হয়েছে।

;

চট্টগ্রামে পিকআপের ধাক্কায় প্রাণ গেল শিক্ষার্থীর



  স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যাওয়ার পথে পিকআপের ধাক্কায় তানভির জামান (২৩) নামে এক কলেজ ছাত্র নিহত হয়েছেন। তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়ার চুনতি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত তানভির জামান পটিয়া উপজেলার জিরি ইউনিয়নের মীর বাড়ির বদিউজ্জামানের ছেলে। তিনি আনোয়ারা ডিগ্রি কলেজের ছাত্র ছিলেন। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে তানভির জামান সবার বড়।

নিহতের মামা রহমত উল্লাহ বলেন, খবর পেয়ে আমরা চমেক হাসপাতালে যাই। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

;