দারিদ্র্যের বৃত্ত ভাঙতে হবে: স্পিকার



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, একটা সম্প্রদায় প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম দরিদ্র থাক আমরা এটা সমর্থন করতে পারি না। আমাদের এই বৃত্ত ভাঙতে হবে। এটা সামাজিক নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে মূল ধারার উন্নয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।

তিনি বলেন, পিছিয়ে পড়া বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ কর্মসূচি না নিলে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম এরা দরিদ্রই থেকে যাবে। তাই এই অসমতা দূর করতে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটারে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জেনারেল ইকোনমিক ডিভিশনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ সোশ্যাল সিকিউরিটি কনফারেন্স অ্যান্ড নলেজ ফেয়ার ২০১৯’ এ তিনি এসব কথা বলেন।

স্পিকার বলেন, দরিদ্র জনগণকে এগিয়ে নিতে পারলে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত হবে। দরিদ্রতা নির্মূলের পাশাপাশি অসমতা দূর করে সমতার ভিত্তিতে সমাজ গড়ে তুলতে পারলেই টেকসই উন্নয়ন দৃশ্যমান হবে। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আয় তুলনামূলকভাবে দ্রুতগতিতে বাড়ানোর পদক্ষেপ নিয়ে বংশানুক্রমিক দারিদ্র্য চক্র ভাঙতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী নূরুজ্জামান আহমেদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য সিনিয়র সচিব ড. শামসুল আলম।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ

স্পিকার বলেন, টেকসই উন্নয়নের প্রধান শর্ত সামাজিক অসমতা দূর করা। এক্ষেত্রে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এটা তখনই সম্ভব যখন একটা সমাজ তার দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে দারিদ্রতা থেকে মুক্ত করে। মনে রাখতে হবে যদি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ কর্মসূচি না নেওয়া হয় তাহলে তাদের দারিদ্রতা বাড়তেই থাকবে। তাতে সমাজের গরিব লোক আরো গরিব হবে। দারিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে দারিদ্রতা ঘুরপাক খায়।

তবে সুযোগ সৃষ্টিই একমাত্র বিবেচ্য বিষয় না। যতক্ষণ না পর্যন্ত তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারবো। ততক্ষণ পর্যন্ত লক্ষ্যে পৌঁছা যাবে না। এর জন্য সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। একদিকে যেমন সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে অন্যদিকে তাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।

স্পিকার বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি নিতে হবে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের মূল ধারায় সম্পৃক্ত করে অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা। তাহলেই আমরা অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পারি।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ

বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দারিদ্রতা কারণ হতে পারে না। বিনিয়োগ করতে হবে দারিদ্রতা দূর করার জন্য। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে বাংলাদেশ সংসদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আমাদের সংসদ সদস্যগণ বিভিন্ন সভা সেমিনারের মাধ্যমে বিষয়টি অনুধাবন করার চেষ্টা করেন। কেননা সংসদ সদস্যরাই চিহ্নিত করতে পারেন কোথায় সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ভালোমত কাজ করছে না আর এর বাঁধা কী। বা কোথায় পরিবর্তন করতে হবে। কারণ জনপ্রতিনিধিরা একদম তৃণমূলের দারিদ্র জনগোষ্ঠীর সঙ্গে আলাপ আলোচনা করতে পারেন।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ব্যাপক বিনিয়োগের মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নিতে কাজ করছে সরকার। সমাজের প্রান্তিক, অবহেলিত এবং পিছিয়ে পড়া মানুষদের এগিয়ে নিতে একাধিক সুরক্ষা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পর শেখ হাসিনাই প্রথম গরিব, দুঃস্থ, বিধবা, বয়স্ক মানুষদের নিয়ে বিশদ চিন্তা-ভাবনা করে দুর্দশা লাঘবে বিভিন্ন ভাতা, অনুদান ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করেছেন।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ তাদের নানা কর্মসূচি প্রদর্শন করবে। প্রতিটি মন্ত্রণালয় সামাজিক নিরাপত্তা খাতে কি কি কাজ করছে তার একটা সম্মুখ ধারণা এই সম্মেলন থেকে পাওয়া যাবে। মন্ত্রণালয় ও সরকারি সংস্থার পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার স্টলও সম্মেলনে রয়েছে।

   

স্বাধীনতা আন্দোলনের পেছনে অন্যতম কারণ ছিল অর্থনৈতিক মুক্তি: শিল্পমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ঐতিহাসিক নেতৃত্বে নয় মাসের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করি। আর এ স্বাধীনতা আন্দোলনের পেছনে অন্যতম কারণ ছিল অর্থনৈতিক মুক্তি। আর এখন সময় এসেছে এটিকে আরো ত্বরান্বিত করার। যদিও করোনা মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং গাজায় ইসরায়েলি হামলাসহ বৈশ্বিক যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে পৃথিবীর অর্থনীতির টালমাটাল অবস্থা। তবুও বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসূরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সময়োপযোগী, সুযোগ্য, দক্ষ ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে এসব বাধা ও প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে আমাদের অর্থনীতি আজ সঠিক পথেই এগোচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) মন্ত্রী আজ রাজধানীর দিলকুশাস্থ ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি এর প্রধান কার্যালয়ে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস, ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ এবং মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু পরিষদ, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি আয়োজিত 'বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ ও বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ আর্থিক প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশে গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল শিল্প বিপ্লবে এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে বর্তমান সুউচ্চ পর্যায়ে নিয়ে আসার পেছনে ব্যাংকটির অবদান অনেক। তিনি বলেন, ইসলামী ব্যাংক একটি সুসংগঠিত ও সিস্টেমেটিক ব্যাংক। হঠাৎ করে এতে ধস নামার কোনো সুযোগ নেই। মন্ত্রী এ সময় মহান স্বাধীনতার মাসে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এ ধরনের আলোচনা সভা আয়োজনের জন্য বঙ্গবন্ধু পরিষদসহ ইসলামী ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি এর ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা'র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর আ ব ম ফারুক, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব ও স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ ড. মোঃ শাহজাহান আলম সাজু, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি এর পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবু ও বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন।

আলোচনা সভা শেষে বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারের শহিদ সদস‌্যদের রুহের মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।

;

শোরে কুড়িয়ে পাওয়া সাড়ে চার লাখ টাকা ফিরিয়ে দিল ইজিবাইক চালক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যশোরে রাস্তায় পড়ে পাওয়া চার লাখ ৪৫ হাজার টাকা মালিকে ফিরিয়ে দিলেন ইজিবাইক চালক ইসমাইল আলী (৫৮)।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক ও রামনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান লাইভের মধ্যস্থতায় টাকার মালিক ব্যবসায়ী শহিদুল কে বুঝিয়ে দেওয়া হয।

কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, যশোর মনিহার চত্বরে ফল ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম তার নিজ বাসা বকচর থেকে প্লাস্টিকের ব্যাগে করে চার লাখ ৪৫ হাজার টাকা নিয়ে হল পট্টিতে মোটরসাইকেলে আসছিল। মনিহার চত্বর এলাকায় রাস্তার উপরে টাকার ব্যাগ পড়ে যায়। টাকার ব্যাগ পান ইজিবাইক চালক যশোর শহরতলীর রামনগর এলাকার মৃত মসলেম আলীর ছেলে শেখ ইসমাইল আলী। এদিকে টাকার ব্যাগ হারিয়ে ব্যাবসায়ি শহিদুল ইসলাম কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। একই সাথে শহরের বিভিন্ন যায়গায় মাইকিং করেন ব্যাগ খোয়া গেছে টাকা সহ।

এদিকে রামনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লাইফ জানান, ইজিবাইক চালক ইসমাইল আলী টাকাসহ ব্যাগ পেয়েছেন জানিয়ে আমার কাছে নিয়ে আসেন। ইউনিয়ন পরিষদে বসে টাকার ব্যাগ খুলে গুনে দেখা যায় সেখানে চার লাখ ৪৫ হাজার টাকা আছে। আমি ঘটনাটি কোতোয়ালি থানার ওসি রাজ্জাক সাহেব কে জানাই। পরে ওসি সাহেব ইজিবাইক চালক ইসমাইল আলী ও টাকার মালিক হল ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলামকে নিতে আসতে বলেন। আমাদের উপস্থিতিতে রাস্তায় পড়ে পাওয়া টাকা গুলি শহিদুল ইসলামকে ফেরত দেন। টাকা খুইয়ে আবার সেই টাকা ফেরত পেয়ে খুবই খুশি হল ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম।

অনুভূতি প্রকাশে তিনি বলেন, সমাজের সত্যি সত্যি এখনো সৎ এবং মানবিক মানুষ আছে । তিনি ইজিবাইক চালককে বিশ হাজার টাকা পুরস্কার হিসেবে দেন।

;

করোনায় একদিনে আক্রান্ত ১৬ জন, শনাক্তের হার ৫.১০



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
করোনায় একদিনে আক্রান্ত ১৬ জন, শনাক্তের হার ৫.১০

করোনায় একদিনে আক্রান্ত ১৬ জন, শনাক্তের হার ৫.১০

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২০ লাখ ৪৯ হাজার ৪৬৫ জনে। এদিন কারো মৃত্যু না হওয়ায় এ সংখ্যা ২৯ হাজার ৪৯৩ জনেই রইল। 

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত একদিনে ৩১৪টি নমুনা পরীক্ষায় ১৬ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। শনাক্তের এ হার ৫ দশমিক ১০ শতাংশ। এসময়ে সুস্থ হয়েছেন ২৬ জন। মোট সুস্থ ২০ লাখ ১৬ হাজার ৭৫০ জন।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর অর্থাৎ ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যায়। 

;

যশোরে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে হেলপার নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
যশোরে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে হেলপার নিহত

যশোরে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে হেলপার নিহত

  • Font increase
  • Font Decrease

চৌগাছায় চলন্ত বাস থেকে নামতে গিয়ে চাকায় পিষ্ট হয়ে শামীম হোসেন (২৭) নামে বাসের এক হেলপার নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) চৌগাছা-যশোর সড়কের চৌগাছা সরকারি কলেজে পাশে ফিলিং স্টেশনের সামনে এ দুঘর্টনা ঘটে।

নিহত শামীম হোসেন উপজেলার সুখপুকরিয়া ইউনিয়নের আড়সিংড়ী সুখপুকুরিয়া গ্রামের আকবর আলীর ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শী অন্য একটি বাসের চালক রানা এবং একটি বাসের সুপারভাইজার লাভলু বলেন, শামীম যশোর-চৌগাছার লোকাল বাস ইউএ ট্রাভেলসের একটি বাসে (যশোর-ব-১১-০২০৫) চালকের সহকারী হিসেবে কাজ করতো। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চৌগাছা মেইন বাসস্ট্যান্ড থেকে ছেড়ে যশোরে যাওয়া এএ আফ্রিদি নামের একটি বাসে (যার নম্বর ঢাকা মেট্রো-জ ০৪-৭১৬) করে চৌগাছা ফিলিং স্টেশনে যাচ্ছিলো। ফিলিং স্টেশনে পৌঁছে বাসটির সামনের গেইট দিয়ে নামতে গিয়ে পা-পিছলে পড়ে গেলে একই বাসের পিছনের চাকা তার মাথার উপর দিয়ে চলে যায়। এতে সে মারাত্মক আহত হয়। স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পরপরই চৌগাছা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাসটি হেফাজতে নেয়।

হাসপাতালে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক লুৎফুন্নেছা লতা বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

চৌগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

;