এক যুগেও নিশ্চিত হয়নি ৩৩ শতাংশ নারী নেতৃত্ব



ইসমাঈল হোসাইন রাসেল,স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নিবন্ধনের এক যুগ পেরিয়ে গেলেও শর্ত অনুযায়ী কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে তৃণমূল পর্যন্ত প্রতিটি কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী নেতৃত্বের কোটা পূরণ করতে পারেনি রাজনৈতিক দলগুলো। আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিসহ কিছু দলের শর্ত পূরণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে দাবি করলেও দলের সকল পর্যায়ের কমিটিতে নারী নেতৃত্ব রাখার বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য দেয়া হয়নি। নির্বাচন কমিশন (ইসি) বলছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো শর্ত পূরণে ব্যর্থ হলে নিবন্ধন বাতিল করা হতে পারে।

জানা গেছে, ২০০৮ সালে এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-আরপিও-তে নিবন্ধনের নিয়ম চালুর পাশাপাশি দলীয় গঠনতন্ত্র সংশোধনের শর্ত দিয়ে ৩৯টি রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন দেয়। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ সংশোধন করে ২০০৮-এ বিধান করা হয় ২০২০-এর মধ্যে নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলের প্রতিটি স্তরের কমিটিতে এক-তৃতীয়াংশ নারী সদস্য রাখতে হবে। তবে শর্ত অনুযায়ী সব স্তরের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে পারেনি রাজনৈতিক দলগুলো। সামনে এক বছর বাকি থাকায় এ বিষয়ে অগ্রগতি জানতে চেয়ে জানুয়ারিতে দলগুলোকে চিঠি দেবে ইসি।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে আমরা প্রতি বছরই অগ্রগতি জানতে চাই। দলগুলো মৌখিকভাবে অগ্রগতি হয়েছে জানালেও তার সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে পারেন না। জানুয়ারিতে কমিশন থেকে তাদের পুনরায় চিঠি দিয়ে অগ্রগতি জানতে চাওয়া হবে। তবে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ছোট দলগুলোতে কার্যক্রম কিছুটা কম। ফলে তাদের এ বিষয়ে কার্যকারিতাও তেমন নেই। কিন্তু জাতীয় পার্টি বলেছে তাদের ৩৩ শতাংশ নারী নেতৃত্ব নিশ্চিত হয়েছে। আমরা তাদের কাছে সেই তথ্য চেয়েছি।

নারী নেতৃত্বের বিষয়ে অগ্রগতি জানতে চাইলে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বার্তা২৪.কম-কে বলেন, নারী নেতৃত্বে অন্য দলের তুলনায় আমাদের অবস্থান ভালো। আমি মনে করি না ২০২০ সালের মধ্যে কোন দল ৩৩ শতাংশ নারী নেতৃত্ব নিশ্চিত করতে পারবে। তবে আমরা এ লক্ষ্যমাত্রা পূরণে এগিয়ে যাচ্ছি। তবে দলে এখন পর্যন্ত কত শতাংশ নারী নেতৃত্ব রয়েছে সেটি নিশ্চিত করে বলতে পারছি না।

সর্বশেষ গত বছর রাজনৈতিক দলগুলো নিবন্ধন শর্ত প্রতিপালন করছে কিনা- তা জানতে চেয়ে নিবন্ধিত দলগুলোকে ইসি চিঠি দিলে ৩৭টি দল তাতে সাড়া দেয়। চিঠির জবাবে কয়েকটি দল নারী নেতৃত্বের বিষয়ে তথ্য উপস্থাপন করে। সে সময় আওয়ামী লীগ ১৯ শতাংশ, বিএনপি ১৫ শতাংশ ও জাতীয় পার্টি ২০ শতাংশ নারী নেতৃত্ব রেখেছে বলে দাবি করা হয়। অন্য রাজনৈতিক দলগুলোতে নারী নেতৃত্বের হার আরও অনেক কম। কোনো কোনো দল কমিটিতে নারী নেতৃত্ব রাখার বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়নি। তবে তথ্য উপস্থাপনের পর গত এক বছরে নারী নেতৃত্ব আরো বেড়েছে বলে জানিয়েছে দলগুলো।

এ বিষয়ে ইসি সচিবালয়ের নির্বাচন সমন্বয় ও সহায়তা শাখার উপ সচিব আব্দুল হালিম খান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে প্রতিবছরই আমরা আপডেট জানতে চাই। দলগুলো আমাদের শর্ত প্রতিপালনে অগ্রগতির তথ্য দেয়। ২০২০ সালের মধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটিসহ সব স্তরে ৩৩ শতাংশ নারী নেতৃত্ব নিশ্চিতের বিষয়ে অগ্রগতি জানতে আমরা দলগুলোকে চিঠি দেবো। যেহেতু তারা এই শর্ত মেনে রেজিস্টার্ড হয়েছে, সুতরাং তাদের এটি বাস্তবায়ন করতে হবে।

নারী নেতৃত্ব বিষয়ে অগ্রগতি জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমাদের নারী নেতৃত্বের সংখ্যা নিয়মিতভাবেই বাড়ছে। কেন্দ্রীয় কমিটিসহ সব ক্ষেত্রেই এ সংখ্যা বাড়বে। আওয়ামী লীগের আসন্ন সম্মেলনেও নারী নেতৃত্ব বাড়বে। আমরা ২০২০ সালের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করতে পারব বলে আশা করছি। তবে অন্য দলগুলো এ ব্যাপারে এগিয়ে আসছে না। আমাদের কেন্দ্রীয় কমিটিতেই প্রধানমন্ত্রীসহ অনেক নারী নেতৃত্ব রয়েছে, কিন্তু বিএনপিতে সেই সংখ্যক নারী নেতৃত্ব নেই।

এ বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বার্তা২৪.কম-কে বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী ২০২০ সালের মধ্যে সকল স্তরে ৩৩ শতাংশ নারী নেতৃত্ব নিশ্চিত করতে হবে, আমরা সেটি করব। ইতোমধ্যে আমাদের প্রায় কাছাকাছি সংখ্যক নারী নেতৃত্ব রয়েছে, সামনে তা আরো বাড়বে। আশা করছি নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেই এটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।

ইসির ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা জানান, নিবন্ধিতদের মধ্যে ইসলামিক দলগুলোর নারী নেতৃত্বের অগ্রগতি কিছুটা কম। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সংলাপেও ইসলামি আন্দোলন জানিয়েছিল- বাংলাদেশে এখনও সেভাবে নারী নেতৃত্ব গড়ে ওঠার প্রেক্ষাপট তৈরি হয়নি। এবং নারীরা রাজনীতিতে আসতে খুব একটা আগ্রহী হয় না। তবে নিবন্ধনের শর্ত পূরণ করবে বলেও জানিয়েছিল দলটি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমাদের কেন্দ্রীয় কমিটিসহ সর্বস্তরের কমিটিতে ৩০ শতাংশ নারী নেতৃত্ব রয়েছে। যাদের সঙ্গে কথা বলায় শরীয়াহ’তে বাধা নেই তাদের সঙ্গে নারী নেত্রীরা কথা বলছেন। তারা তাদের মতো করে রাজনীতিতে আছেন। যেহেতু দেশের ৫০ ভাগই নারী, তাদের বাদ দিয়ে কোন কিছুই করা সম্ভব নয়। যারা বিপথগামী আছেন তাদের সঠিক পথে আনতে কাজ করছেন তারা। ২০২০ সালের মধ্যে আমরা ৩৩ শতাংশ নারী নেতৃত্ব থাকবে, আমরা সেটি কমিশনকে যথা সময়ের জানিয়ে দেবো। কমিশন আমাদের দেয়া তথ্য তদন্ত করে দেখতে পারে। তবে নারীরা রাজনীতিতে স্ব স্ব জায়গা থেকে অবদান রাখছে।

নারীদের রাজনীতিতে আসার সুযোগ তৈরি করে দেয়ার কথা বলছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, দলগুলো নারী নেতৃত্ব নিশ্চিতের শর্ত পূরণ করতে না পারলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত। কারণ তারা এ শর্ত মেনে নিয়েই নিবন্ধন নিয়েছে।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো নারী নেতৃত্ব নিশ্চিত করতে না পারলে কমিশন কি ব্যবস্থা নেবে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হোসেন চৌধুরী (অব.) বার্তা২৪.কম-কে বলেন, নিবন্ধনের সময় রাজনৈতিক দলগুলোকে ৩৩ শতাংশ নারী নেতৃত্বের বিষয়ে সময়সীমা ঠিক করে দেয়া আছে, আমরা সে সময় পর্যন্ত দেখব। রাজনৈতিক দলগুলো যেহেতু আমাদের স্টেকহোল্ডার তাদের সঙ্গে সঙ্গে এটি নিয়ে আমাদের বসতে হবে। তারা যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেটি বাস্তবায়ন করতে না পারে তাহলে হয়ত তাদের সঙ্গে আমরা আলোচনায় বসে এটি নিয়ে সমাধানে পৌঁছানোর চেষ্টা করব। এ বিষয়ে নির্ধারিত সময়ের পরই আমরা সিদ্ধান্ত নেবো।

   

হাতিয়ায় দেখা মিলল ‘ইয়েলো বেলিড সি স্নেক’



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,নোয়াখালী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় সৈকতে ভেসে এসেছে বিরল প্রজাতির ‘ইয়েলো-বেলিড সি স্নেক’।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাতিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাহবুব মোর্শেদ লিটন। এর আগে, গতকাল বুধবার বিকেলে উপজেলার কমলার দিঘি সমুদ্র সৈকতে সাপটি দেখা যায়।

উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মাহবুব মোর্শেদ লিটন জানান, গতকাল বুধবার বিকেলের দিকে তানিম নামে এক যুবক ঘুরতে যান উপজেলার চর ঈশ্বর ইউনিয়নের কাজির বাজারের কমলার দিঘি সমুদ্র সৈকতে। ওই সময় তিনি সাপটি দেখতে পান। এরপর স্থানীয় কিছু লোকজনও সাপটি সেখানে দেখতে পান। আমি বিষয়টি স্থানীয় বনবিভাগকে জানিয়েছি। এরপর ওই সাপের কয়েকটা ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

উপকূলীয় বন বিভাগ নোয়াখালীর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু ইউসুফ বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে আমি বিষয়টি জেনেছি। এটি একটি বিষাক্ত সাপ। উভচর প্রাণী হিসেবে বিভিন্ন প্রজাতির সাপ জলে ও স্থলে প্রায় সময় দেখা যায়। তবে এ প্রজাতির সাপ বিরল। এগুলো এই অঞ্চলে তেমন দেখা যায় না। ‘ইয়েলো বেলিড সি স্নেক’ সাপটি সন্ধ্যার দিকে উপকূলে উঠে মানুষের আনাগোনা দেখে আবার সাগরে চলে যায়।’

;

নিরপেক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে মাঠ প্রশাসনকে ইসির নির্দেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেছেন, মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারা যেভাবে নিরপেক্ষতা, সততা, নিষ্ঠার সাথে যে দায়িত্ব পালন করেছে, সেই ধারাবাহিকতা যেন অব্যাহত থাকে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে সকালে উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে সকল বিভাগীয় কমিশনার, রেঞ্জের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক, জেলা প্রশাসক, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, আজকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে একটি বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল সভাপতিত্ব করেন। অন্যান্য নির্বাচন কমিশনাররা, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, পুলিশের আইজিপি, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সবার আলোচনার বিষয় ছিল সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য মাঠ পর্যায়ে কী ধণের কী প্রস্তুতি নিয়েছে। আর কি সহায়তা দরকার সেটা।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রত্যেকেই তাদের নিজ নিজ জেলা কী সমস্যা আছে তা বলেছে। পার্বত্য জেলায় হেলিকপ্টার দেওয়া হয়, সেখানে তিনদিনের পরিবর্তে পাঁচনের সম্মানি ভাতা বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। কমিশন সেটাতে সম্মত হয়েছে। প্রতি ইউনিয়নের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, প্রতি উপজেলায় ২ থেকে ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন থাকবে। এছাড়া প্রয়োজেন অতিরিক্ত জনবল দেবে।

তিনি আরও বলেন,পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকরা পরামর্শ দিয়েছেন, ভোটের দিন সকালে ব্যালট গেলে অতিরিক্ত বাজেটের প্রয়োজন হবে কমিশন সেটা বিবেচনা করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। মূলত মাঠ প্রশাসন যাতে সমন্বয়ের মাধ্যমে সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন উপহার দেওয়া যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

ইউপি চেয়ারম্যানরা স্বপদে থেকে নির্বাচন করা যাবে আদালত এ নির্দেশনা দিয়েছে-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মামলার আদেশের কপি এখনো পাইনি। পেলে আপিল করা হবে।

অতিরিক্ত ফোর্স কোন কোন জেলা থেকে চাওয়া হয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জেলার কোর কমিটি মিটিং করে জানালে সে অনুযায়ী অতিরিক্ত ফোর্স দেওয়া হবে।

ইসি সচিব বলেন, তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারা যেভাবে নিরপেক্ষতা, সততা, নিষ্ঠার সাথে যে দায়িত্ব পালন করেছে, সেই ধারাবাহিকতা যেন অব্যাহত থাকে।

মাঠ প্রশাসন কোনো চ্যালেঞ্জের কথা বলেছে কি-না জানতে চাইলে সাংবাদিকদের তিনি বলেন,তারা চ্যালেঞ্জের কথা বলে নাই। তারা যেটা বলেছে স্থানীয় নির্বাচনে যেহেতু প্রার্থীর সংখ্যা বেশি থাকে সেখানে প্রতিযোগিতাটা বেশি হবে এজন্য তারা আইন-শৃঙ্খলা সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য বলেছে। সহিংসতার আশঙ্কা করে নাই। গোয়েন্দে রিপোর্টে সেটা থাকে। কোথাও কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্ত্রী এমপিদের প্রভাব নিয়ে তিনি বলেন, আচরণ বিধি যাতে সবাই যথাযথভাবে প্রতিপালন করে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তারা অনুরোধ করেছে। কমিশনও সেটা আশ্বস্ত করেছে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলবেন।

বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে সভায় নির্বাচন কমিশনাররা, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন।

;

বগুড়ায় ছেলের বাড়ি বেড়াতে এসে আগুনে পুড়ের মায়ের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, বগুড়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ায় ছেলের বাড়ি বেড়াতে এসে রান্না করার সময় গ্যাসের চুলার আগুনে পুড়ে এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে শহরের বিসিক নগরীর আবাসিক এলাকাঢ এ ঘটনা ঘটে।

বগুড়া শহরে ফুলবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহত বৃদ্ধা সোনাবান বিবি (৮০) জামালপুর জেলার বকশিগঞ্জ উপজেলার মদনচর এলাকার মৃত মোজাম্মেল হকের স্ত্রী। নিহতের ছেলে শফিকুল ইসলামের চাকরি সুবাদে গত চারমাস আগে তিনি বগুড়ায় বেড়াতে আসেন।

নিহতের ছেলে শফিকুল ইসলাম বলেন, চাকররির সুবাদে দীর্ঘদিন ধরে বগুড়ার বিসিক এলাকায় ভাড়া বাসা নিয়ে বসবাস করে আসছেন। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বাসায় প্রচণ্ড ধোঁয়া দেখে রান্না ঘরে ঢুকে দেখেন গ্যাসের আগুনে তার মা দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন।

পুলিশ কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, সকাল ১০টার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

;

দেশে চার কোটি টন চাল উৎপাদন হয়: তাজুল ইসলাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, সময়ের ব্যবধানে আমরা প্রায় চার কোটি টনের বেশি খাদ্য উৎপাদন করি। খাদ্য বলতে আমরা চাল উৎপাদন করছি। গত ১৫ বছরে আমাদের চাল আমদানি করতে হয়নি বলে জানিয়েছেন,

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) “১২তম আন্তর্জাতিক কৃষি প্রযুক্তি মেলা ২০২৪” উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এই মলা চলবে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (ময়মনসিংহ) কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগ অধ্যাপক ড. মো. মঞ্জুরুল আলম।

তাজুল ইসলাম বলেন, কৃষি সকল দেশের জন্য আদিখ্যাত হিসেবে বিবেচনা করা হয়। জিডিপির জন্য যেসব সেক্টরগুলো আমদের আছে প্রোডাক্টিভ সেক্টর, এগ্রিকালচার সেক্টর ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেক্টর। এই সেক্টর গুলো না হলে সার্ভিস সেক্টর প্রমোট হবে না। মানুষের যেমন দুটি পা আছে ঠিক তেমনি জিডিপির দুটি পা হল এগ্রিকালচার ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেক্টর। গোলবালি ম্যাজিক বর্তমানে হল সার্ভিস সেক্টরের কন্ট্রিবিউশনে জিডিপি যত বেশি হবে সে দেশ ততো বেশি উন্নত।

এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে আমরা (আওয়ামী লীগ) যখন প্রথম সরকার গঠন করে তখন দেশে অনেক খাদ্য ঘাটতি ছিল। তখন ২০ মিলিয়নের নিচে খাদ্য উৎপাদন হতো। মানুষ খাদ্যের জন্য হাহাকার করত। তখন আমরা খাদ্য আমদানির উপর নির্ভর ছিলাম। সময়ের ব্যবধানে আমরা প্রায় চার কোটি টনের বেশি খাদ্য উৎপাদন করি। খাদ্য বলতে আমরা চাল উৎপাদন করছি। গত ১৫ বছরে আমাদের আমদানি করতে হয় নাই। ১৯৯৬ সালে তখন আমরা ৮০ টাকার সারকে ২০ টাকায় বিক্রি করছি। সে সময় সারের দাম ও কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়ের শুল্ক কমানো হয়। ১৯৯৬ সালে দেশে ১৬'শ মেগাওয়াড বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো। আজকে দেশে ২৭ হাজার মেগাওয়াড বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। শহরের লোডশেডিং করেছি কিন্তু গ্রামে কৃষি কাজে জন্য লোডশেডিং মুক্ত রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। এর কারণে বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদনের ঘাটতি সম্পূর্ণ মুক্ত করতে পেরেছি।

অনুষ্ঠানে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ সিনিয়র সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগমের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, প্রতিমন্ত্রী মো. আব্দুল ওয়াদুদ, লিমরা ট্রেড ফেয়ারস্ এন্ড এক্সিবিশনস্ (প্রাঃ) লিমিটেড চেয়ারম্যান কাজী ছারোয়ার উদ্দিন, পল্লী উন্নয়ন একাডেমী বগুড়া, মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. খুরশীদ ইকবাল রেজভী প্রমুখ।

;