জাতিসংঘে ৭১-এর গণহত্যা তুলে ধরল বাংলাদেশ
গণহত্যা প্রতিরোধ ও এই অপরাধের শাস্তি প্রদান এবং গণহত্যার শিকার মানুষদের মর্যাদা ও স্মরণে আন্তর্জাতিক দিবস বিষয়ক কনভেনশনের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করল জাতিসংঘ।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) জাতিসংঘ সদরদফতরে অনুষ্ঠিত দিবসটি উপলক্ষে দেওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণীর অংশবিশেষ উদ্ধৃত করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।
তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে চলমান বা ভবিষ্যৎ যেকোনো জেনোসাইডের প্রতিরোধ ও মোকাবিলার ক্ষেত্রে সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রতি আমাদের যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে, আজ তা নবায়নের দিন।’
বাংলাদেশের ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যে গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল তা স্মরণ করে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, ‘এটি ছিল মানব ইতিহাসের ভয়াবহতম গণহত্যার একটি। কিন্তু পরিতাপের বিষয় গণহত্যার আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে এটি সঠিকভাবে উপস্থাপিত হয়নি এবং জাতিসংঘেও এখন পর্যন্ত স্বীকৃত হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘জাতি হিসেবে আমরা ২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ পালন করি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা গণহত্যার শিকার হয়েছিলেন তাঁদের স্মরণসহ গণহত্যার শিকার বিশ্বের সকল মানুষদের এই দিনটিতে আমরা স্মরণ করি।’
২০১৭ সালের আগস্ট থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে যে ভয়াবহ নৃশংসতা সংঘটিত হয়েছে তাও উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।
এদিকে, আজ মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) জাতিসংঘ সদরদফতরে ‘সকলের দ্বারা এবং সকলের জন্য’ শিরোনামে জাতিসংঘের কেন্দ্রীয় জরুরি সাড়াদান তহবিল (সিইআরএফ) আয়োজিত এক প্লেজিং ইভেন্টে যোগ দেন রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।
এ সময় তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সিইআরএফ এর অন্যতম সহায়তা গ্রহণকারী এবং পাশাপাশি একটি দাতা দেশ। তিনি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পসমূহে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা তহবিল প্রদানের জন্য সিইআরএফ-কে ধন্যবাদ জানান। রাষ্ট্রদূত ফাতিমা সিইআরএফ এবং এর পদক্ষেপসমূহের প্রতি বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।