২৮ ঘণ্টা পর ময়মনসিংহে বাস চলাচল শুরু
সাধারণ যাত্রীদের ২৮ ঘণ্টা জিম্মি রাখার পর অবশেষে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছে ময়মনসিংহ জেলা মোটর মালিক সমিতি। ফলে মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা থেকে ফের ময়মনসিংহের সঙ্গে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়েছে।
সন্ধ্যায় জেলা পুলিশ ও পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতাদের বৈঠকে ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আল-আমিন।
তিনি জানান, জেলা পুলিশের অনুরোধে ও জনগণের কষ্টের কথা ভেবে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্যজোট নেতারা। ইতোমধ্যে ময়মনসিংহ থেকে বিভিন্ন রুটে গাড়ি চলাচল শুরু হয়েছে।
এর আগে, বিআরটিসি ও পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের দ্বন্দ্বের জেরে বিআরটিসি বাস বন্ধের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেয় পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্যজোট।
তবে কী শর্তে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার সাথে দ্বন্দ্বের বিষয়ে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে রোড ট্রান্সপোর্ট কমিটির (আরটিসি) সাথে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতারা ফের আলোচনায় বসবেন।
জানা গেছে, জেলা মোটর মালিক এবং শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক না করে সিদ্ধান্ত ছাড়াই অনিয়মতান্ত্রিকভাবে গাড়ি চালাচ্ছে বিআরটিসি এমন অভিযোগে সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে হঠাৎ করেই বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় পরিবহন শ্রমিকরা।
তাদের দাবি, বিআরটিসির দ্বিতল বাসগুলো সিটি কর্পোরেশনের ভেতরে চলার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। ডিপো, স্ট্যান্ড অথবা নির্ধারিত জায়গা ছাড়া যত্রতত্র যাত্রী ওঠানোর মাধ্যমে বিআরটিসির বাসগুলো নিয়মিত চলাচল করছে বিভিন্ন জেলা-উপজেলা ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে।
আর আকস্মিক এ পরিবহন ধর্মঘটের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েন ঢাকাসহ দূরপাল্লার যাত্রীরা। কোনো ঘোষণা ছাড়াই এভাবে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা। অনেকটা বাধ্য হয়েই দুই থেকে তিনগুন ভাড়ায় সিএনজি-অটোরিকশা বা বিকল্প পথে ছুটেছেন নির্ধারিত গন্তব্যে।