'দেশে গেলি ফিঙ্গার মাইরে দিবে'



শাহজাহান মোল্লা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আল জুবায়ের (শারজা) থেকে: ভাগ্যের অন্বেষণে ২০০৯ সালের গোঁড়ার দিকে দুবাই আসেন রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার লোকমান হোসেন। আসার কিছুদিন পরেই তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। হয়ে যান অবৈধ শ্রমিক, স্থানীয় ভাষায় যাকে বলে 'খাল্লিবাল্লি'। এখন কোনো কোম্পানিতে কাজ করার সুযোগ নেই লোকমান হোসেনের। তাই কিছুদিন আগে হাবিব নামের এক বাঙালির সঙ্গে শারজার আল জুবায়ের গ্রামে এক খণ্ড জমি বন্ধক নেন। প্রায় ৬ বিঘা আয়তনের এই জমিতে চাষ শুরু করেন নানা জাতের সবজি। স্থানীয় ভাষায় সবজি চাষকে বলা হয় 'জরিপা'। তার বন্ধকী জমিতে প্রায় ১১ জাতের শাক উৎপাদন করা হয়।

শীত এবং গরম দুই ঋতুতেই ভিন্ন ভিন্ন জাতের সবজি চাষ হয়। স্থানীয়দের পছন্দের তালিকায় রয়েছে জর্জিশাক, রায়হানশাক, শ্যাপত, বাগধানুস শাক। আরবীয়রা এসব শাক কাঁচা খেয়ে থাকেন। আর বাঙালিদের জন্য মুলা শাক, লালশাক, কলমিশাক, পুঁইশাক, ধনিয়াপাতা এসব চাষ করা হয়।

শারজার আল জুবায়ের এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল্লাহর মাসিক সাড়ে ৩ হাজার দিরহাম এবং বিদ্যুৎ খরচ বাবদ ৫০০ দিরহাম মোট ৪ হাজার দিরহাম খরচ হয়। আর বীজ, সার ও শ্রমিক খরচ বাবদ আরো দুই হাজার দিরহাম খরচ হয়।

লোকমান হোসেনের সবজি ক্ষেত

লোকমান হোসেনের ভাষায় খরচ বাদ দিয়ে কোনো মাসে ৮ হাজার আবার কোনো মাসে ১০ হাজার দিরহাম থাকে। তার আরো দুই জন পার্টনার রয়েছেন। তারা হলেন মহিউদ্দিন ও রুবেল। মাসে খরচ বাদ দিয়ে যা থাকে এই তিনজন সমান ভাগে ভাগ করে নেন। এটা গেল তাদের আয়ের হিসেব।

এদিকে লোকামন হোসেনের ক্ষেতের পাশেই রাতের বেলায় চলে সবজি প্রসেসিং। খেত থেকে সবজি তুলে সারারাত ধরে প্রসেসিং করা হয়। ছোট্ট ছোট্ট মুঠা বা আঁটি বেঁধে শারজার বিভিন্ন বাজারে নেওয়া হয় শাকগুলো। যার প্রতি আঁটির দাম ১ দিরহাম যা বাংলাদেশী টাকায় (২৩ টাকা ২০ পয়সা)। দিরহামের মূল্যের উপর টাকার হার ওঠা নামা করে। আবার এখানে যারা কাজ করছেন তার অধিকাংশই অবৈধ শ্রমিক।

লোকমান হোসেনের ক্ষেতের পাশেই রাতের বেলায় চলছে সবজি প্রসেসিং

এখন আসা যাক তাদের দুর্দশার কথায়। কেন তারা 'খাল্লিবাল্লি'? দুবাই সরকার ২০১২ সালের দিকে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক আনার অনুমতি বন্ধ করে দেয়। যাকে বলা হয় কলিং বন্ধ। এরপর যারা আসছেন তাদের কেউ ভিজিট ভিসায় এসে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন আবার কেউ এভাবে দুর্গম এলাকায় জমি চাষ করছেন।

যারা জমি চাষ করছেন তাদের বলা হয় জরিপার কাজ। শারজায় প্রায় ৪ হাজার জরিপা রয়েছে। তাতে প্রায় কয়েক লাখ শ্রমিক রয়েছেন। এদের অধিকাংশই অবৈধ শ্রমিক। এসব শ্রমিক যেতে পারেন না স্থানীয় মার্কেট বা শপিং মলে, তাদের জমিতেই থাকতে হয়। কেননা যদি পথে ধরা পড়েন তাহলে তাদের জেল খাটতে হবে। তাই দুর্গম এলাকাতে থাকেন, সেখানেই কাজ করেন। আর দেশে যান না কারণ একবার গেলে আর আসতে পারবেন না।

লোকমান হোসেন এর সবজি ক্ষেতে তার সঙ্গে কথা হয় বার্তা২৪.কমের। তিনি বলেন, 'আমি আছি প্রায় ১১ বছর। এই ১১ বছর দেশে যাবার পারি না। গেলিই তো ফিঙ্গার মাইরে দিবে। আর আসতি পারব না।'

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার লোকমান হোসেন

'ভিসা খুললেই ভিসা লাগাতে পারি। কবে খুলবে আর কবে লাগাব। আমরা যারা খাল্লিবাল্লি আছি তারা এই জমিতেই থাকি। মার্কেটে যাবার পারি না। পথে ধরলি তো পতেকা (আইডি কার্ড) দেখাবার চাইবি। তখন তো দেখাতি পারব না। বিপদ হবি। তাই বাইরে যাই নে। ক্ষেতেই থাকি।'

লোকমান হোসেন বলেন, ভিসা লাগাতে পারলে তো ব্যবসা করতে পারতাম ঠিকমতো। মার্কেটে যেতে পারব। তাই ভিসা লাগলেই সব খুলে যাবে।

শুধু লোকমান নয় এখানে কয়েক লাখ অবৈধ শ্রমিক রয়েছেন। তারা স্থানীয় আরবীয়দের সহযোগিতায় জমি চাষ করছেন। স্থানীয়দেরও সুবিধা হচ্ছে। কেননা যে জমিতে তারা চাষ করছেন ওই জমি ছিল ধু ধু বালু, যেটা পতিত পড়ে থাকত। বাঙালিরা এসেই জমি চাষ করছেন তাতে স্থানীয়রা মাসিক হারে দিরহাম গুণে নিচ্ছেন। তাই অবৈধ সত্ত্বেও তারা মেনে নিচ্ছেন নিজেদের সুবিধার্থে।

আর এই অবৈধ শ্রমিকের কারণে বাংলাদেশ সরকার তার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। চলতি বছরের রেমিটেন্সে যে প্রণোদনার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার, অবৈধ শ্রমিকদের কেউ বৈধপথে টাকা পাঠান না। কেননা বৈধপথে টাকা দিতে গেলেই চাইবে আইডি, দেখাতে না পারলে যেতে হবে কারাগারে। তাই জেনে শুনেই অবৈধভাবে রয়েছেন অনেকে।

   

সাভারে বেপরোয়া কিশোর গ্যাং, আতঙ্কে নগরবাসী



মো. কামরুজ্জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকার সাভারে দিনদিন বেড়েই চলছে কিশোর গ্যাংয়ের ভয়ংকর তাণ্ডব। ফলে সাভার এখন পরিণত হয়েছে আতঙ্কের নগরীতে। পৌর এলাকাতেই মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে ৪ খুন। এছাড়া প্রতিনিয়ত ছিনতাই, আধিপত্য বিস্তার ও মাদকের অন্যতম কারণ এই গ্যাং কালচার। কোনোভাবেই যেন লাগাম টানতে পারছে না আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।

প্রকাশ্যে কিশোর গ্যাংয়ের হামলা পাল্টা হামলা সাভার পৌরসভার নিত্যদিনের ঘটনা। রক্তাক্ত শরীর নিয়ে কেউ হেঁটে যায়, আনার কেউ হাসপাতালে বিছানায় করে বাঁচার আর্তনাদ। কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্যে সম্প্রতি সাভার পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে এমন ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। প্রতিবাদ করতে গিয়ে ১২ এপ্রিল সাভারের আড়াপাড়ায় খুন হলেন রং মিস্ত্রী সাজ্জাদ। গত ৩১ মার্চ সাভারের রেডিও কলোনীতে কিশোর গ্যাংয়ের ছিনতাইয়ের শিকার হয়ে মৃত্যু সাথে লড়াই করেছেন কলেজ ছাত্র রবিউল।

ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্র রবিউল ইসলাম বার্ত২৪.কম-কে বলেন, 'সকালে আমি ডিউটির উদ্দেশ্যে যাইতেছি। তখন দেখি দুইটা ছেলে বসা তখন আমার হাতে মোবাইল ছিল ওরা আমাকে ডাক দিছে। ডাক দিয়েই বলে কি আছে দে। আমি সাথে সাথে মোবাইল দিয়ে দিছি। তারপরেও ওরা আমাকে ছুরি মারছে। আমার পেটে পিঠে চাকু মারছে। তখন আমি চিৎকার দিলে আশপাশে থেকে লোকজন এসে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। আমার পায়েও সমস্যা, ১৮ দিন ধরে ব্যথায় আমি একটুও ঘুমাতে পারি না।

ছেলেকে বাঁচাতে রবিউলের কৃষক বাবা ধার-দেনা করে প্রায় নিঃস্ব এখন। তাদের দাবি এ ধরনের ঘটনা যেন কোনো পরিবারের সাথে না হয়। এই পরিবারের মত এমন ঘটনার ভুক্তভোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছেই।

ভুক্তভোগী রবিউল ইসলামের বাবা মো. আশরাফুল বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমাদের টোটাল বিল আসছিল ৭ লাখ টাকা। পেমেন্ট দিয়েছি প্রায় চার লাখ টাকা। আমি কৃষি কাজ করি ও মানুষের বাড়িতে বাড়িতে কাজ করি। হাসপাতালের এই ৪ লাখ টাকা মানুষের কাছে তো ধার ও সুদের উপর এনে দিয়েছি। আর্থিকভাবে মনে হয় দশ বছরেরও আমি এই জিনিসটা পূরণ করতে পারব না। আমি সুদে যে টাকাটা নিছি প্রতিমাসে এই সুদ টানতেই আমার কষ্ট হয়ে যাবে এখন।

ভুক্তভোগী রবিউলের মা বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমরা যদি আর্থিক দিকে কোনো সাহায্য সহযোগিতা না পাই, তাও কোনো দুঃখ নাই। আমার ছেলেটা ১৮ দিন ধরে হসপিটালের বিছানায়। আমার ছেলের মত এরকম ঘটনা যেন আর না ঘটে এটাই আমার দাবি।

তথ্য বলছে, সাভারে কিশোর গ্যাংয়ের মূল দৌরাত্ম্য পৌরসভাজুড়ে। পিনিক রাব্বি, হৃদয় গ্রুপ, ভাই-ব্রাদার গ্রুপ বেশ সক্রিয়। নিজেদের দ্বন্দ্ব থেকে ভাগ হয়ে তৈরি হচ্ছে আরো গ্রুপ। গত দুই মাসে কিশোর গ্যাংয়ের ছিনতাই ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে অন্তত ৪ খুনের ঘটনা ঘটেছে। খরচ মেটাতে ছিনতাই, ডাকাতি, মাদক ব্যবসা, জমি দখল, চাঁদাবাজি, অপহরণসহ নানা সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সাথে জড়িত এই কিশোর গ্যাং।

সাভার পৌর সভার বাসিন্দা রিফত বার্তা২৪.কম-কে বলেন, অপরাধীরা বেশিরভাগই মাদক সেবন করেন। তার জন্য তো টাকা দরকার তাদের। তারা কোনো কাজকর্ম করে না। আর এই টাকার জন্যই তারা ছিনতাই করে। কাছে কিছু না পেলে বা দিতে না চাইলেই তাকে আঘাত করে। কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে এমন। মারাও গেছেন কয়েকজন। সরকারের কাছে আমাদের একটাই অনুরোধ, এই মাদক ও কিশোর গ্যাং নিয়ে যেন কঠোর একটা ব্যবস্থা নেয়। এদের যেন শাস্তি হয়, এগুলো যেন একবারে নির্মূল করে দেয়।

গত মার্চ মাসে র‍্যাব ও পুলিশের আলাদা অভিযানে হৃদয় গ্রুপের প্রধান গিয়ার হৃদয়সহ ৮ জন ও ভাই-ব্রাদার গ্রুপের ৪ জনসহ মোট ১২ জন গ্রেফতার করা হয়।

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.শাহ জামান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, কখনো যদি কোনো লোক এরকম ছিনতাইয়ের শিকার হন বা ডাকাতির শিকার হন, তাহলে তাৎক্ষণিক আমাদের কাছে রিপোর্ট করবেন। যাতে করে আমরা এই ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পারি। যদি এরকম কোনো ঘটনায় আপনারা রিপোর্ট না করেন, ওই অপরাধীদেরকে আমরা যদি গ্রেফতার করতে না পারি, সেক্ষেত্রে কন্টিনিউয়াস একটার পর একটা ঘটনা ঘটিয়ে যাবে। সুতরাং যে কোনো ঘটনাই ঘটুক, অবশ্যই পুলিশকে রিপোর্ট করতে হবে। পুলিশ যাতে সংশ্লিষ্ট অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে পারে।

;

পটিয়ায় বাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের পটিয়াতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে বাস-অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও একজন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার চেয়ারম্যান ঘাটা নাকম এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- চন্দনাইশ উপজেলার বৈলতলী এলাকার আবু বক্কর তাসরিফ (১৫) ও কক্সবাজারের রামুর নুরুল আলম (২৮)। তিনি চন্দনাইশের এলেহাবাদ এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। তারা সবাই অটোরিকশার যাত্রী ছিল বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

বিষয়টি বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন পটিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামমূখী মারসা পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন গুরুতর আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে একটি স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। বাকী একজনের নাম জানা যায়নি। তারা সবাই অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন।

ওই অটোরিকশায় চালকসহ মোট ৪ আরোহী ছিলেন। তবে দুর্ঘটনার সাথে সাথে এক যাত্রী লাফ দিয়ে সরে পড়ে। তাই তিনি তেমন আঘাত পাইনি বলে যোগ করেন ওসি। 

;

মালয়েশিয়ায় ৪৫ বাংলাদেশি আটক



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাউথ-ইস্ট এশিয়া
মালয়েশিয়ায় ৪৫ বাংলাদেশি আটক

মালয়েশিয়ায় ৪৫ বাংলাদেশি আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

মালয়েশিয়ার পার্লিস প্রদেশের পেদাং বাসারে একটি নির্মাণাধীন ভবনের চত্বর থেকে ৪৫ জন বাংলাদেশিসহ ৪৯ জন বিদেশিকে আটক করা হয়েছে।

অবৈধ অবস্থানের অভিযোগে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে ইমিগ্রেশন বিভাগের অভিযানে তাদের আটক করা হয়।

পার্লিস ইমিগ্রেশনের পরিচালক খায়রুল আমিন তালিব বলেন, আটককৃতরা মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থান করছিলেন এবং তাদের কাছে বৈধ কাগজপত্র পাওয়া যায়নি।

আটককৃতদের মধ্যে ১ জন নারীসহ মোট ৪৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক। এ ছাড়াও ৩ জন ইন্দোনেশিয়া এবং ১ জন ভারতের নাগরিক রয়েছে। এদের বয়স ১৯ থেকে ৫৪ বছরের মধ্যে।

তালিব জানান, শহরের বুকিত চাবাং এলাকার সেকোলাহ সুকান নির্মাণাধীন এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। আটককৃতদের অধিকতর তদন্তের জন্য কুয়ালা পার্লিস কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মোট ১০১ জন বিদেশিকে তল্লাশি করা হয় অভিযানের সময়। যার থেকে ৪৯ জনকে আটক করা হয়েছে।

ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩ এর ধারা ৬(১)(সি), ধারা ১৫(১)(সি) এবং ধারা ৫৬(১)(ডি) এর অধীনে এই বিদেশিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের তদন্ত করা হবে বলে জানান তিনি।

;

নীলফামারীতে ২১ মামলার আসামি গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
নীলফামারীতে ২১ মামলার আসামি গ্রেফতার

নীলফামারীতে ২১ মামলার আসামি গ্রেফতার

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর জলঢাকায় ফরিদুল (৪০) নামে এক চোরকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে খুটামারার টেংগনমারী বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি উপজেলার ছিটমহল বালাগ্রাম এলাকার ইউনূস আলীর ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত ফরিদুল দীর্ঘদিন ধরে মোটরসাইকেল, গরুসহ বিভিন্ন চুরি করে আসছিলেন। জেলাসহ বিভিন্ন জায়গায় তার বিরুদ্ধে ২১টি চুরির মামলা রয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

জলঢাকা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুক্তারুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। 

;