যুক্তরাষ্ট্রের শিল্পকলা দূত বিটবক্সারদের বাংলাদেশ সফর



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
যুক্তরাষ্ট্রের শিল্পকলা বিষয়ক দূত হিসেবে তিনজন বিটবক্সার, ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের শিল্পকলা বিষয়ক দূত হিসেবে তিনজন বিটবক্সার, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের শিল্পকলা বিষয়ক দূত হিসেবে তিনজন বিটবক্সার ১৬-২৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সফর করেছেন। জাতীয় বিটবক্স চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেরা পরিবেশন করার পাশাপাশি বিচারকের দায়িত্বপালন, যোগাযোগ ও প্রশিক্ষণের কাজও করলেন তারা।

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস এক বিবৃতিতে এসব জানান।

যুক্তরাষ্ট্রের শিল্পকলা বিষয়ক প্রতিনিধিরা বাংলাদেশে ২০১৯ সালের জাতীয় বিটবক্স চ্যাম্পিয়নশিপের বিচারকের দায়িত্ব পালন করলেন। বাংলাদেশি বিটবক্সার বিট ফিজ (খন্দকার শামস) এতে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। তিনজন দূত এখানে একটি মাস্টারক্লাস ভোকাল পারকাসন প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেন। সপ্তাহব্যাপী চলা এ সফরে তারা বাংলাদেশি শিল্পীদের সঙ্গে মিলে যৌথভাবে কাজ করেন।

ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস যুক্তরাষ্ট্রের শিল্পকলা বিষয়ক দূত হিসেবে সম্প্রতি তিনজন বিশ্বখ্যাত বিটবক্সার শিল্পীকে বাংলাদেশে নিয়ে আসে। ১৬-২৩ ডিসেম্বর কমিউনিটি আউটরিচ, মাস্টারক্লাস ও মিডিয়ায় উপস্থিতির মাধ্যমে স্থানীয় দর্শকদের সামনে ভোকাল পারকাসন বিষয়টি তুলে ধরতে এই আয়োজন করা হয়।

ঢাকায় আসা তিন অতিথি শিল্পী ছিলেন নিউ ইয়র্কের বিটবক্স হাউসের জিন শিনোজাকি, নাপম (নীল মিডোজ) ও বাংলাদেশি-আমেরিকান অমিত ভৌমিক। তারা ঢাকার যমুনা ফিউচার পার্কে গত ২০ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস আয়োজিত ব্যাটলবক্সবিডি ২০১৯: জাতীয় বিটবক্স চ্যাম্পিয়নশিপ-এ শিল্পী হিসেবে উপস্থাপনা এবং বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন। চারঘন্টার এ প্রতিযোগিতায় হাজারো বিটবক্স ভক্ত যোগ দেয়। জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হন বিট ফিজ (খন্দকার শামস)। ২০২০ সালে একটি আন্তর্জাতিক বিটবক্স চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন তিনি।

ব্যাটলবক্সবিডি ২০১৯: জাতীয় বিটবক্স চ্যাম্পিয়নশিপ-এ শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে লড়েন ১৬ জন বাংলাদেশি বিটবক্সার। রাফতে নিক্স (রাফিউন নবি নাহিন) হন ভাইস চ্যাম্পিয়ন। প্রতিযোগিতা শেষে যুক্তরাষ্ট্রের শিল্পকলা দূত ও বিটবক্সার জিন শিনোজাকি বলেন, বাংলাদেশি বিটবক্সাররা বিশ্বের সেরা শিল্পীদের সঙ্গে পাল্লা দিতে সক্ষম। বাংলাদেশে বিটবক্সিংয়ের ভবিষ্যৎ নিয়েও আশাবাদ প্রকাশ করেন তিনি।

রাষ্ট্রদূত মিলার ২০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়নশিপ এবং আয়োজনটির সফল সমাপ্তিতে ২১ ডিসেম্বর বিটবক্স বাংলাদেশ আয়োজিত সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। মিলার এসময় বলেন, 'বাংলাদেশের বিটবক্স এবং হিপ-হপ কমিউনিটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের সম্পর্ক ২০১৪ সাল থেকে। সঙ্গীত এবং শিল্পকলার মানুষকে কাছে টানার এবং ব্যবধান ভেঙে দেওয়ার এক অনন্য ক্ষমতা আছে।'

বাংলাদেশে থাকাকালে যুক্তরাষ্ট্রের তিন শিল্পকলা দূত কয়েকজন বাংলাদেশি শিল্পীর সঙ্গে মিলে কাজ করেন। ১৯ ডিসেম্বর তারা এডওয়ার্ড এম কেনেডি সেন্টার ফর পাবলিক সার্ভিসেস অ্যান্ড দ্য আর্টসে (ইএমকে সেন্টার) ৭০ জন স্থানীয় হিপ হপ ও বিটবক্স উৎসাহীর জন্য মাস্টারক্লাস প্রশিক্ষণে নেতৃত্ব দেন।

বিটবক্সিংয়ের আরেক নাম ভোকাল পারকাশন। এটি এমন এক ধরনের সঙ্গীত যাতে মুখ, জিহ্বা ও কণ্ঠস্বরের সাহায্যে ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্র, ড্রাম ও অন্যান্য যন্ত্রের শব্দ অনুকরণ করা হয়। বিটবক্সিংয়ের সূচনা হয় নিউ ইয়র্ক সিটিতে। ১৯৮০ এর দশকে এটি হিপহপ সঙ্গীতের একটি ভিত্তি হিসেবে সুপরিচিত হয়ে ওঠে। এই সাংগীতিক ঘরানাটি এখনো ঘনিষ্ঠভাবে হিপহপ সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত। এছাড়া এটি আ কাপেলা সঙ্গীতের একটি মৌলিক অনুষঙ্গ।

যুক্তরাষ্ট্রের শিল্পকলা দূত কর্মসূচির লক্ষ্য হচ্ছে আন্তঃসাংস্কৃতিক বোঝাপড়া ও সহযোগিতাকে এগিয়ে নিতে এবং অভিন্ন মূল্যবোধ ও আশা-আকাঙ্ক্ষাকে তুলে ধরতে যুক্তরাষ্ট্রের শিল্পাঙ্গনের সেরা দিকগুলো বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে মেলে ধরা। এ কর্মসূচির অধীনে যুক্তরাষ্ট্রের শিল্পজগতের পেশাজীবীরা (যাদের মধ্যে আছেন পারফর্মিং আর্ট শিল্পী, ভিজুয়াল আর্টিস্ট, কবি, নাট্যকার, মঞ্চনাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক, কিউরেটরসহ অন্যরা) কর্মশালা পরিচালনা, পারফর্ম্যান্স উপস্থাপন ও তরুণদের প্রশিক্ষণ দিতে বিদেশ সফর করেন। এ কর্মসূচির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের শিল্পজগতের মানুষদের বিশ্ব সম্প্রদায়ের সঙ্গে যোগাযোগের একটি সুযোগ সৃষ্টি হয় যারা কিনা সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রের শিল্পীদের পরিবেশনা উপভোগের সুযোগ পান না।

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের মধ্যে সহযোগিতা, সংলাপ ও পারস্পরিক বোঝাপড়া বৃদ্ধি করতে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার যেসব উদ্যোগ নিয়ে থাকে তিন শিল্প বিষয়ক দূতের এই সফর সেগুলোর অন্যতম।

   

লাইসেন্স দিলে সরকারকে রাজস্ব দেবে অটোরিকশা সংগঠন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও অটোরিকশার সংখ্যা প্রায় ৪০ লাখ। যার অধিকাংশই অবৈধভাবে চলছে এবং সরকার এর থেকে কোনো রাজস্ব পাচ্ছে না। রাজস্বের টাকাগুলো চাঁদাবাজির মাধ্যমে চলে যাচ্ছে তৃতীয় পক্ষের হাতে।

এ সব অটোরিকশাকে লাইসেন্সের আওতায় এনে সরকারকে আগামী ৫ বছরে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব প্রদান করতে প্রস্তুত বাংলাদেশ ইলেকট্রিক ব্যাটারি এন্ড মোটরচালিত অটোরিকশা অটোবাইক সার্ভিস লিমিটেড।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে বাংলাদেশ ইলেকট্রিক ব্যাটারি এন্ড মোটরচালিত অটোরিকশা অটো বাইক সার্ভিস লিমিটেড - এর দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবুল কালাম এ কথা বলেন।

মো. আবুল কালাম লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২০১৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর ও ২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বরে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, সিনিয়র সচিব অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে দশ বছরে বিআরটিকে ইজিবাইকের রেজিস্ট্রেশন ফি ও প্রশিক্ষণ বাবদ আনুমানিক ৮ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব দিব বলে আবেদন করি। বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ২০২২ সালের ৪ এপ্রিল এক আদেশে মহাসড়ক ব্যতীত অন্যান্য সব সড়কে ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক চলাচলে বৈধতার আদেশ দেন।

তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ বিআরটিএ সংস্থাপন অধিশাখা বিআরটিএ ১০ সদস্যের নীতিমালা অনুযায়ী ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা- অটোবাইক আনুমানিক ৪০ লাখ অবৈধ অটোরিকশা চলছে। মন্ত্রণালয় এসমস্ত গাড়িগুলোকে নীতিমালা আনতে পারছে না এবং উচ্ছেদও করতে পারছে না। ফলে গাড়িগুলো থেকে দেশের একটি সঙ্ঘবদ্ধ চক্র পরিবহন খাতকে জিম্মি করে ও বিআরটিকে হাত করে প্রতি মাসে শত শত কোটি টাকা চাঁদাবাজি করছে। যার ফলে সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে।

তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণের একমাত্র লক্ষ্য সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি করে সরকারকে উন্নতি সাধনের মাধ্যমে সর্বদা সচেষ্ট থাকা। কিন্তু আমরা দেখছি সেটির বিপরীত চিত্র।

তিনি আরও বলেন, আমার কোম্পানির লোগো ও ব্যানার ব্যবহার করে সারা বাংলাদেশ থেকে কাজ পরিচালনা করে সরকারের তিন সংস্থা এনবিআর, বিআরটিএ, স্থানীয় সরকার বিভাগকে রাজস্ব দিতে ইচ্ছুক।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, ডিরেক্টর মো. মুজিবুর রহমান রানা, আক্তার আহমেদ, মার্কেটিং ম্যানেজার আনোয়ারুল কবির প্রমুখ।

;

কটিয়াদীর রেইনট্রি কাননে তীব্র দাবদাহে প্রশান্তির ছোঁয়া



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাস্তার দুপাশে সারি সারি গাছের সমারোহ৷ চারদিকে ছেয়ে আছে সবুজ ডালপালা। প্রায় অর্ধশত বছর হতে চলেছে এসব গাছের। রাস্তার দুইপাশে নদী থাকায় খোলা বাতাস সবসময়ই থাকে। পুরনো এসব গাছের শীতল ছায়া এখন পথিকদের দিচ্ছে শান্তির সুবাতাস। শরীর শীতল করা এই ছায়ায় এসে যে কারো মন জুড়িয়ে যায়৷ বর্তমানে বৈশাখে দারুণ সৌন্দর্য দেখাচ্ছে গাছের সবুজ পাতা৷ বসন্তের শিমুল ফুলের সৌন্দর্যও দেখার মতো৷

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার থানার সামনে নদীর বাঁধে এমনি মনোমুগ্ধকর বনায়ন রয়েছে। বছরের পর বছর ধরে এই বনায়ন প্রকৃতির ভারসাম্য রাক্ষায় অসামান্য অবদান রাখছে।

কটিয়াদী উপজেলার থানার সামনে নদীর বাঁধে মনোমুগ্ধকর বনায়ন 

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, কটিয়াদী পৌর এলাকা কিছু অংশ স্পর্শ করেছে। বাকিটুকু জালালপুর ইউনিয়নের সীমানায়। প্রায় আধা কিলোমিটারের এই বাঁধ স্বাধীনতার পর নির্মাণ করা হয়৷ বাঁধ টেকসই করার জন্য তৎকালীন জালালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মরহুম মুজিবুর রহমান ভুঁইয়া গাছ লাগিয়ে বনায়ন করার পরিকল্পনা গ্রহণে উদ্যোগী হন৷ এরপরে রেইনট্রি গাছের চাড়া রোপন করা হয়৷ একসময় তা রুপ নেয় বনায়নে। বর্তমানে অযত্ন, অবহেলা ও বেদখলে সরকারি অনেক গাছ মরে গেছে৷ কিছু আধমরা অবস্থায়। তবুও কিছু এখনো টিকে আছে যা আকৃষ্ট করার মতো।


পথচারী আসাদুল ইসলাম (৪৫) বলেন, আমার বাড়ি পাশের পাকুন্দিয়া উপজেলাতে। একসাথে এতো গাছ আগে দেখিনি কখনো। তীব্র দাবদাহে এখানে এসে শীতল ছায়া পেলাম৷ মন জুড়িয়ে গেলো। যখনই আসি একটু দাঁড়িয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলি।

রিকশা চালকরা জানান, যখনই এই রাস্তা দিয়ে যাই, খুবই ছায়া পাই৷ মাঝে মধ্যে রিকশার মধ্যে হেলান দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি৷ এই তীব্র গরমের মধ্যে এই যায়গাটা আমাদের জন্য আল্লাহর অশেষ রহমত।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বনায়নের সৌন্দর্য রক্ষা ও রক্ষণাবেক্ষণে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসন উদাসীন। গাছের গোড়া দখল করে আছে অবৈধ দখলদার। বেদখল হয়ে আছে সরকারি অনেক খাস জমি। এভাবেই সরকারি যায়গা ও বনায়ন ক্রমেই বিনাশ হওয়ার পথে।

;

নওগাঁয় পথের ধারে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে কৃষ্ণচূড়া



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
নওগাঁয় পথের ধারে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে কৃষ্ণচূড়া

নওগাঁয় পথের ধারে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে কৃষ্ণচূড়া

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রীষ্মে প্রচন্ড গরমে পথিক যখন ক্লান্ত প্রায় তখন লাল আভায় চাহনিতে প্রশান্তির ছায়া যেন বিমোহিত প্রাণজুড়ে কৃষ্ণচূড়ার ফুলে। দূর থেকে দেখলে মনে হবে যেন সবুজের বুকে লালের আভায় ছেয়ে গেছে চারিদিক।

পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর গ্রীষ্মকালীন গাছের মধ্যে অন্যতম হলো কৃষ্ণচূড়ার গাছ। কৃষ্ণচূড়া তার লাল রঙ্গা ফুলের জন্য বেশ আকর্ষণীয়। গ্রীষ্মকালের সবচেয়ে দুর্দান্ত গাছের মধ্যে কৃষ্ণচূড়া অন্যতম একটি ফুলগাছ।

কৃষ্ণচূড়ার ফুল তার সৌন্দর্যের বার্তা জানান দেয় যখন প্রকৃতি প্রখর উত্তাপ ছড়ায়। আপন মহিমায় নিজেকে মেলে ধরে প্রকৃতিতে। যে কারো মন-প্রাণের আনে প্রশান্তি। আর চোখে এনে দেয় মুগ্ধতা।


নওগাঁ সদরে মুক্তির মোড় জেলা পার্কের সামনে দেখা যায়  কৃষ্ণচূড়ার গাছের ডালে ডালে লাল ফুল ঝুলছে, ঝিরিঝিরি পাতার মাঝে  ফুল। আর সেই ফুল মন কেড়ে নিচ্ছে পথচারী আর প্রকৃতির প্রেমীদের। শস্য-শ্যামলা আর সবুজে ঘেরা বাংলার রূপ, এই রূপকে আরও নতুন করে রূপ দিচ্ছে কৃষ্ণচূড়ার গাছ। বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রীসহ রাস্তায় হেঁটে যাওয়া মানুষ দাঁড়িয়ে উপভোগ করছেন কৃষ্ণচূড়ার ছড়িয়ে দেওয়া সৌন্দর্য। এছাড়াও পার-নওগাঁ, বক্তারপুর, চাকল এসব স্থানে কৃষ্ণচূড়া গাছের দেখা মিলে।

কথা হয় পথচারী আব্দুল মুমিনের সাথে তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, চারিদিকে তাপদহ চলছে, গরমে অশান্তি লাগলেও এরমধ্যে কিছু সৌন্দর্য আমাদের মুগ্ধ করে যেমন কৃষ্ণচূড়ার ফুল। দূর থেকে সবুজের মধ্যে লাল দেখা যা। আবার কাছে আসলে লাল রঙের ছড়াছড়িতে আরো বেশি ভালো লাগে। রাস্তার চারিদিকে বেশি বেশি কৃষ্ণচূড়ার গাছ লাগালে আরো বেশি ভালো লাগবে।


শাহিন নামের এক রিকশা চালক বলেন, শহরের মধ্যেই আমি রিকশা চালাই তাই অনেকবার দেখা মিলে কৃষ্ণচূড়া গাছের। যতবার কৃষ্ণচূড়া গাছ দেখতে পাই তাকিয়ে থাকি কারণ আলাদা সৌন্দর্য দেখতে পাই কৃষ্ণচূড়া ফুলের মধ্যে।

গরমের প্রচন্ড আভায় লুকায়িত সৌন্দর্য ফুটে তুলে কৃষ্ণচূড়ার ফুল। গাছ যেমন পথিককে ছায়া দেয় আবার অক্সিজেনও দেয় তাই বেশি বেশি লাছ লাগানো প্রয়োজন। রাস্তার পাশে নানারকম ঔষধি গাছ থেকে শুরু করে সৌন্দর্য বর্ধনে চারা রোপণ করা জরুরি। রোদের সময় প্রকৃতি যেমন ঠান্ডা থাকবে তেমনি প্রাকৃতিক ভারসাম্যও রক্ষা পাবে, বলছিলেন পথচারিরা।

;

সব ইস্যু হারিয়ে বিএনপি এখন পাগলের প্রলাপ বকছে: নানক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারত বয়কটের নামে বিএনপি পাকিস্তানের চিন্তা চেতনাকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় বলে মন্তব্য করে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, বিএনপি সব ইস্যু হারিয়ে এখন পাগলের প্রলাপ বকছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাজধানীর মোহাম্মদপুর সূচনা কমিউনিটি সেন্টারে বহুমুখী পাটপণ্যের একক মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

নানক বলেন, পাটের মত পরিবেশবান্ধব পণ্য আর একটিও নেই। পাট ও পাটজাত পণ্য নিয়ে নতুন করে ভাবছে সরকার। পরিবেশবান্ধব সোনালি আশ পাটকে কীভাবে সার্বজনীনভাবে ব্যবহার করা যায়, রফতানি বাড়ানো যায় সেই লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। জেডিপিসি ২৮২ রকম বহুমুখী পাটের পণ্য উৎপাদন করেছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী পাট শিল্পের উন্নয়নের ধারাকে এগিয়ে নিতে পাট শিল্পের সরকারি, বেসরকারি ধারাকে আরও উৎসাহিত করা হচ্ছে। পাট শিল্পের বেসরকারি উদ্যোগ বাড়ানো হবে আরও ৮ গুণ বলে জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, পাটভিত্তিক জিও টেক্সটাইলের বৈশ্বিক বাজারে আকার ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ সুযোগ আমাদের কাজে লাগাতে হবে। পাট পণ্য রফতানিকারক এবং সংশ্লিষ্টদের পাটের উৎপাদন থেকে শুরু করে পাটপণ্য নিয়ে গবেষণা আরও বেশি বাড়াতে হবে।

বিশ্বের মধ্যে পাট উৎপাদনে বাংলাদেশ দ্বিতীয় জানিয়ে তিনি বলেন, ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে এই শিল্পকে আমরা অনেক দূর নিতে পারব। পাটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আরও কর্মচাঞ্চল্য হয়ে মেধাকে গবেষণার মাধ্যমে কাজে লাগাতে হবে। তাহলে এ শিল্প বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ও জাতীয় অর্থনীতিতে ভূমিকা রেখে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সাহায্য করবে।

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীনে জেডিপিসির আয়োজনে এ মেলায় ৩০টি স্টল বসেছে। যেখানে ১০০টির অধিক পাটের আকর্ষণীয় পণ্য তুলে ধরা হয়েছে। মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট সংলগ্ন সূচনা কমিউনিটি সেন্টারের দ্বিতীয় তলায় সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে তিন দিনব্যাপী এ মেলা।

আগামীতে ঢাকার দক্ষিণ সিটি করপোরেশনসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এ মেলা সম্প্রসারণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে বার্তা২৪.কমকে জানান জেডিপিসির প্রযুক্তি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।

মেলা উদ্বোধন শেষে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী স্টল পরিদর্শন করেন এবং সবাইকে পাট মেলায় অংশগ্রহণ করে পাট পণ্য ব্যবহার ও কেনার আহ্বান জানান।

;