‘আমার নেত্রী যা ভালো মনে করেছেন, খুশি মনে মেনে নিয়েছি’



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন বলেছেন, ‘আমার নেত্রী আমার জন্য যা ভালো মনে করেছেন, তাই করেছেন। আমি খুশি মনে মেনে নিয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ।’

আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীকে সহযোগিতা করবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার নেত্রীর সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাব, তাছাড়া আমাদের পুরান ঢাকার একটা ঐতিহ্য রয়েছে। আমার মুরব্বিদের সঙ্গে আলাপ করে জানাব। তাছাড়া যেহেতু আমি পূর্ণমন্ত্রীর মর্যাদার মেয়র, তাই আমার অনেক কিছুই আইন কানুন মেনে বলতে হয়।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে নগর ভবনের মেয়র সেলে মনোনয়ন বঞ্চিত এ মেয়র আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া এ কথা বলেন।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমি বলেছিলাম, বাবার হাত ধরে রাজনীতিতে এসেছি। রাজনীতিতেই বাবাকে আমি হারিয়েছি। বাবার অনুপস্থিতিতে আমার নেত্রী শেখ হাসিনাই আমার অভিভাবক। বলেছিলাম, নেত্রী আমার জন্য যেটা ভালো মনে করবেন, সেটাই করবেন। তিনি যেটা ভালো মনে করেছেন, আমর জন্য সেটাই করেছেন। আমি খুশি মনে বলতে চাই আলহামদুলিল্লাহ। সমস্ত প্রসংশা মহান রাব্বুল আলামিনের। রাব্বুল আলামিন যাকে ইচ্ছা ইজ্জত দেন, যাকে ইচ্ছা অপমানিত করেন, সমস্ত ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব মহান রাব্বুল আলামিনের।’

আপনাকে এবার মনোনয়ন না দেওয়ার পেছনে কারণ কি হতে পারে বলে মনে করেন? এমন প্রশ্নে মেয়র খোকন বলেন, ‘আমার অভিভাবক আমার নেত্রী। তিনি আমার জন্য যেটা ভালো মনে করেছেন, করেছেন। আমি আবারও শুকরিয়া জ্ঞাপন করি মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে। আমি খুশি।’

দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে কি পরিমাণ প্রকল্প বা কাজ চলমান আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হয়ে থাকি। সে অনুযায়ী আগামী ১৭ মে আমাদের মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে। এ সময়টুকু পর্যন্ত আমরা আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাব। বিশেষ করে জল-সবুজের ঢাকা যে প্রকল্পটি আছে, আমাদের অনেক চমৎকার চমৎকার খেলার মাঠ, সেগুলো ৮০-৯০ শতাংশ কাজ হয়ে গেছে, আশা করি, আগামী মাস তিনেকের মধ্যে জল-সবুজে ঢাকা প্রকল্প শেষ করতে পারব। এছাড়া আরো কিছু প্রকল্প রয়েছে, এগুলো এ সময়ের মধ্যে শেষ হয়ে আসবে। আরও কিছু প্রকল্প রয়েছে, যেগুলো সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। বেশ কিছু কমিউনিটি সেন্টার, বেশ কিছু ফেসিলিটিস দেওয়া মাল্টি কমপ্লেক্স রয়েছে, আমরা সেগুলোর কাজ এগিয়ে নিয়ে যাব।’

‘জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে যে মেয়র আসবেন, ইনশাল্লাহ বাকি কাজগুলো তিনি সমাপ্ত করবেন। একজনের পক্ষে তো সমস্ত কিছু হয় না, কিছু প্রক্রিয়াধীন থাকে। আমি শুরু করে দিয়ে গেলাম, কিছুটা কাজ আমি করে দিয়ে গেছি, বাকি কাজ যিনি আসবেন, তিনি করবেন। এভাবেই আমাদের শহর এগিয়ে যাবে, এভাবে আমাদের দেশ এগিয়ে যাবে,’ যোগ করেন খোকন।

তিনি বলেন, ‘আমরা একটি ইতিবাচক পরিবর্তনের সূচনা করতে পেরেছি। নতুন মেয়র এ ধারা অব্যাহত রাখবেন। আমার সার্বিক সহযোগিতা তার প্রতি থাকবে। এ শহরবাসীকে নিয়েই ইনশাল্লাহ একটি চমৎকার ঢাকা গড়ে তুলব।’

মেয়র হিসেবে নিজেকে কতটা সফল মনে করেন? এমন প্রশ্নের জবাবে খোকন বলেন, ‘দেখুন, আমরা একটি ইতিবাচক পরিবর্তনের ধারা সূচনা করেছি এবং সেদিক থেকে মৌলিক সমস্যাগুলা আমি সমাধান করতে পেরেছি। আমি অনেকটাই সফল হয়েছি। আমি মানুষ, ফেরেস্তা না। ভুলভ্রান্তি থাকতে পারে। ১০টা কাজ করি, সবই যে সঠিকভাবে করতে পেরেছি, এমন কিন্তু না। ভুলভ্রান্তিগুলো শুধরে নিয়ে আগামীতে যিনি আসবেন, আমি তাকে সাহায্য করব। ভুল থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে আমরা এগিয়ে যাব।’

   

প্রতীক বরাদ্দে পক্ষপাতিত্বের প্রতিবাদ করায় চেয়ারম্যান প্রার্থীকে হুমকি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নীলফামারীর ডোমরা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সরকার ফারহানা সুমি ও তার সমর্থকদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে জেলা নির্বাচন অফিসার বরাবর এ লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রতীক বরাদ্দের সময় তার ও প্রতিপক্ষ তোফায়েল আহমেদের প্রতীক চাহিদা একই থাকায় সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার নির্দেশনায় লটারি অনুষ্ঠিত হয়। সেটি পুরোপুরি পক্ষপাতিত্ব হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন এ চেয়ারম্যান প্রার্থী। সেসময় টোকেনে বিশেষ চিহ্ন ব্যবহার করা হয় বলে প্রতিবাদ করলে তাকে ও তার সমর্থকদের হুমকি দেওয়া হয়।

এবিষয়ে ডোমার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সরকার ফারহানা সুমি জানায়, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার সরাসরি যোগসাজশে লটারি টোকেনে বিশেষ চিহ্ন ব্যবহার করা হয়েছে। সঠিক তদন্ত করে ব্যবস্থা এবং সেই সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার বদলী দাবি করছি।

এবিষয়ে নীলফামারী জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, প্রতীক বরাদ্দের সময় তাদের নিজেদের মধ্যে তর্ক হয়েছে। লটারি হয়ে যাওয়ার পর একজন যখন পেয়েছে তখন একজন অভিযোগ করেছে আর একটা কাগজে ভাজ দেয়া ছিল। আমরা সাক্ষর করে প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছি।

;

সিলেটে কাউন্সিলরকে গাড়িচাপা, মেয়রের বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
বিশ্বনাথে কাউন্সিলরকে গাড়িচাপা, মেয়রের বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল

বিশ্বনাথে কাউন্সিলরকে গাড়িচাপা, মেয়রের বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভার ২নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর রাসনা বেগমের উপর হামলার প্রতিবাদে মেয়র মুহিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাতে পৌর এলাকার সর্বস্তরের বাসিন্দাদের ব্যানারে পৌর শহরে এই ঝাড়ু মিছিল বের করেন কাউন্সিলরসহ সাধারণ জনতা। মিছিলটি নতুন বাজার থেকে বের হয়ে পুরাতন বাজারসহ পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ শেষ বাসিয়া সেতুর দক্ষিণ মুখে প্রতিবাদ সভায় মিলিত হয়।

যুবলীগ নেতা ফয়জুল ইসলাম জয়ের পরিচালনায় প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন- কাউন্সিলর রফিক মিয়া, কাউন্সিলর জহুর আলী ও যুবলীগ নেতা হেলাল আহমদ।

এর আগে দুপুরে পৌরসভার দক্ষিণ মীরেরচর কমিউনিটি ক্লিনিকের সামনে মহিলা কাউন্সিলর রাসনা বেগমকে মেয়র মুহিবুর রহমানের গাড়ি দিয়ে চাপা দেয়া হয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেন স্থানীয়রা।

এদিন বিকেলে মেয়র মুহিবুর রহমান এবং দুই কাউন্সিলর ফজর আলী ও বারাম উদ্দিনকে আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন রাসনা বেগম।

এছাড়াও আরও ৭ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। অভিযুক্তরা হলেন- জানাইয়া গ্রামের আজেফর আলীর ছেলে জমির আলী (৪০), পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও পৌরসভার উদ্যোক্তা সুরমান আলী (৪০), শরিষপুর গ্রামের সোনাফর আলীর ছেলে আমির আলী (৪৫), দক্ষিণ মীরেরচর গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর ছেলে মিতাব আলী (৪০), রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত তবারক আলীর ছেলে আনোয়ার আলী (৪৪), রহমাননগর গ্রামের শমসের আলীর ছেলে মেয়রের গাড়ি চালক হেলাল মিয়া (৪৫) ও জানাইয়া গ্রামের মৃত তুতা মিয়ার ছেলে আব্দুস শহিদ (৪৮)।

অভিযোগ অজ্ঞাতনামা আসামি রাখা হয়েছে আরও ৪/৫জন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) রমা প্রসাদ চক্রবর্তী।

;

নওগাঁর মান্দায় ৮ বসতবাড়ি পুড়ে ছাই



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁর মান্দায় অগ্নিকাণ্ডে আটটি বসতবাড়ি পুড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরের দিকে মান্দা উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নের হাজীপাড়া এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে।

এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আনুমানিক ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৮টি পরিবার।

আগুনে ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন- বাবু কবিরাজ, রমজান আলী, গুলজান বিবি,মিঠুন কবিরাজ, , সেলিম কবিরাজ, নুরজাহান বেওয়া, রশিদুল ইসলাম ও ছহির উদ্দিনের বসতবাড়ি পুড়ে গেছে।

এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে হঠাৎ করেই রমজান আলীর বাড়িতে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তে তা আশপাশের বসতবাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিস ও আশপাশের লোকজন ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু তার আগেই পুড়ে যায় আটটি বসতবাড়ি।

মান্দা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ শফিউর রহমান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, বিদ্যুতের শটসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

;

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল: পরিবেশমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
‘জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল’

‘জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল’

  • Font increase
  • Font Decrease

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনে ১৫৪টি দেশের মধ্যে ১০০টি দেশেরই নেই কোনো পরিকল্পনা, সেখানে বিশ্বে সবাই বলে বাংলাদেশ একটি রোল মডেল। তবে পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশের জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ২০৫০ সালের মধ্যে ৫৩৪ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন। বিপুল পরিমাণ এই অর্থযোগান দিতে আন্তর্জাতিকভাবে আর্থিক সহায়তা অপরিহার্য।

সোমবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চলমান জাতিসংঘ জলবায়ু অভিযোজন সম্মেলন ন্যাশনাল অ্যাডাপটেশন প্ল্যান (ন্যাপ) এক্সপো ২০২৪- এর দ্বিতীয় দিনে ‘অ্যাডভানসমেন্ট অব ন্যাশনাল ক্লাইমেট প্ল্যানস অব বাংলাদেশ’ সেশনে এ কথা জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।

মন্ত্রী বলেন, একটা সময় ছিল যখন উন্নত দেশগুলো বাংলাদেশসহ অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশ, স্বল্পোন্নত দেশ, অনুন্নত দেশ এবং ছোট দ্বীপ রাষ্ট্রের জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কথা বলত। কিন্তু বর্তমানে উন্নত দেশগুলোকেও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ভাবতে হচ্ছে। সুতরাং, জলবায়ু পরিবর্তন এটা একটা বৈশ্বিক বিষয়, শুধু বাংলাদেশের একার নয়। ছোট দেশ হয়েও জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত বাংলাদেশ যেভাবে সফলতার সাথে মোকাবেলা করছে, সে হিসেবে বিশ্বের সবাই বাংলাদেশকে রোল মডেল হিসেবে দেখে।

তবে, আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের প্রয়োজন ৫৩৪ বিলিয়ন ডলার। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ বাংলাদেশ সরকারের একার পক্ষে জোগান দেওয়া অসম্ভব। তাই জলবায়ু পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য আন্তর্জাতিক আর্থিক সহায়তা অপরিহার্য। জলবায়ু পরিবর্তনে আর্থিক ঋণ সহায়তা নিয়ে বিশ্বব্যাংকসহ অন্যান্য যে সকল আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো কাজ করে ঋণ সহায়তায় তাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু সহনশীলতা গড়ে তুলতে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ন্যাপ এক্সপো ২০২৪-এ অংশগ্রহণকারী সকল দেশের সাথে আমরা আমাদের দেশের জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলায় যেভাবে কাজ করেছি, যে কার্যক্রমগুলো করেছি সে অভিজ্ঞতা তুলে ধরছি। পাশাপাশি সামনে আজারবাইজানের বাকুতে যে কপ সম্মেলন হতে যাচ্ছে সেখানে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টিকে পিলার হিসেবে উপস্থাপন করাই ন্যাপ এক্সপো ২০২৪ এর উদ্দেশ্য।

এছাড়াও মন্ত্রী তার বক্তব্যে জাতীয় জলবায়ু পরিকল্পনা উন্নয়ন ও বাস্তবায়নে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিসহ বিশ্বব্যাপী জলবায়ু অভিযোজনে বাংলাদেশের নেতৃত্ব তুলে ধরেন।

‘অ্যাডভানসমেন্ট অব ন্যাশনাল ক্লাইমেট প্ল্যানস অব বাংলাদেশ’ সেশনে সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ। মালিক ফিদা এ খান, নির্বাহী পরিচালক, সিইজিআইএস; এ কে এম সোহেল, অতিরিক্ত সচিব, ইআরডি, এবং চেয়ার, ইন্টারন্যাশনাল ক্লাইমেট ফাইন্যান্স সেল; কেনেল DELUSCA, Ph.D., ITAP সদস্য, সবুজ জলবায়ু তহবিল; ড. এম. আসাদুজ্জামান একজন জলবায়ু বিশেষজ্ঞ প্যানেলিস্ট হিসেবে বাংলাদেশে ন্যাপ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ, সুযোগ এবং শিক্ষা নিয়ে বক্তব্য রাখেন। মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ধরিত্রী কুমার সরকার, এবং পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক মির্জা শওকত আলী বাংলাদেশের জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা ২০২৩-২০৫০ উপস্থাপন করেন।

;