রংপুরে হাইটেক পার্ক নির্মাণে অগ্রগতি নেই



ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
জমি অধিগ্রহণ ছাড়া আর কোন কাজই হয়নি/ছবি: বার্তা২৪.কম

জমি অধিগ্রহণ ছাড়া আর কোন কাজই হয়নি/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেড়শ' কোটি টাকা ব্যয়ে রংপুরে হাইটেক পার্ক হচ্ছে। ২০১৭ সালের জুলাইয়ে শুরু হওয়া এ প্রকল্পের জন্য নগরীর খলিশাকুড়িতে আট একর খাস জমি বন্দোবস্ত দেয় রংপুর জেলা প্রশাসন। এ বছরের জুনে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে। অথচ গেল আড়াই বছরে জমি অধিগ্রহণ ছাড়া আর কোন কাজই হয়নি।

হাই-টেক পার্ক বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে রংপুরে কর্মসংস্থান হবে ৫ হাজার তরুণ-তরুণীর। এখানকার অর্থনীতিতে যোগ হবে নতুন মাত্রা। এ প্রকল্পের মধ্যে থাকা বাকি জেলাগুলোতে নির্মাণ কাজ শেষের পথে। আবার কোথাও কোথাও নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। কিন্তু রংপুরে ২০১৮ সালে হাই-টেক পার্কের নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এখনো তা বাস্তবায়িত হয়নি। বহুল প্রত্যাশিত এ পার্কের নির্মাণ কাজ শুরু না হওয়ায় হতাশ রংপুরবাসী।

সরেজমিনে দেখা গেছে, রংপুর সিটি করপোরেশনের ৯নং ওয়ার্ডের খলিশাকুড়ি এলাকায় হাই-টেক পার্কের জন্য অধিগ্রহণ করা হয়েছে ৮ দশমিক ৫৯ একর জমি। পিলার (খুঁটি) আর কাটা তার দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে এক সময়ে কৃষি কাজে ব্যবহার হওয়া সেই জমি। রাস্তার ওপর ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে প্রকল্পের তথ্য সংকলিত একটি সাইনবোর্ডও। দীর্ঘ দিন ধরে কাজের কোন অগ্রগতি না হওয়ায় হতাশা স্থানীয় কৃষকরা আবারো প্রকল্পের জমিতে চাষাবাদ শুরু করেছে।

 রংপুর সিটি করপোরেশনের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের খলিশাকুড়ি এলাকায় এই পার্ক হবে 

এদিকে প্রকল্পের জন্য আর জমির প্রয়োজন হলে তা দিতে প্রস্তুত ব্যক্তি মালিকাধীন জমির মালিকরা। তবুও নির্মাণ কাজে বিলম্ব না করে দ্রুত চাষাবাদি এই জমির বুকে স্থানীয়রা দেখতে চান মাথা উঁচু করা স্বপ্নপূরণের হাই-টেক পার্ক।

খলিশাকুড়ির এলাকার কলেজ পড়–য়া আশরাফুল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, এই হাই-টেক পার্কের নকশা আর জমি অধিগ্রহণ ছাড়া বাকি কোন কিছুতেই কোন অগ্রগতি চোখে পড়ছে না। আমাদের অনেক আশা, পার্ক বাস্তবায়ন হলে এখানে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। এলাকার উন্নয়ন হবে। তথ্য প্রযুক্তিগত সেবা আরো উন্নতি ও সহজ হবে।

কৃষকরা জানান, আড়াই ধরে পার্কের জমি পড়ে আছে। কোন কাজ হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে আমরা জমিতে চাষাবাদ করছি। প্রকল্পের এই জমি অধিগ্রহণ করার আগে অনেক গরীব কৃষক এখানে চাষাবাদ করত। তারা তো অসহায়, অভাবী। পার্কের কাজ শুরু হলে কেউ জমিতে চাষাবাদ করবে না।

এদিকে প্রযুক্তিনির্ভর এই হাই-টেক পার্ক প্রযুক্তিভিত্তিক শিল্পায়ন, তরুণদের কর্মসংস্থান এবং হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার শিল্পের উত্তরণ ও বিকাশে সুযোগের দুয়ার খুলে দেবে বলে জানান বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল ও ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন ড. আবু কালাম মো. ফরিদ উল ইসলাম।

হাইটেক পার্ক বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে কর্মসংস্থান হবে ৫ হাজার তরুণ-তরুণীর

তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, হাই-টেক পার্ক বাস্তবায়ন হলে এ অঞ্চলের যুবকরা কাজের সুযোগ পাবে। তারা মেধা দিয়ে এ কাজ করবে। তথ্যের প্রসার ও আইটি বিভাগ আরও প্রসারিত ও জনবান্ধব হবে। ফলে বাংলাদেশে সফটওয়্যার শিল্পের আরও বিকাশ ঘটাবে। জাতীয় রাজস্ব আয়ের কেন্দ্রবিন্দুতে এ পার্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

গেল বছরের আগস্টে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন হাই-টেক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা কমিটির পরিচালক হোসনে আরা বেগম। ওই সময় নির্মাণকাজ বিলম্ব হওয়ার কারণ সম্পর্কে সাংবাদিকদের তিনি বলেছিলেন, ‘প্র্রকল্পটি ভারত সরকারের সহায়তায় হচ্ছে। আমাদের সকল কাগজপত্র বারবার পাঠাতে হয় এক্সিম ব্যাংক অব ইন্ডিয়াতে। আবার সেখান থেকে চলে যায় ইন্ডিয়ান হাই-কমিশনে। এসব প্রসেসের জন্য প্রকল্পের কাজে ধীরগতি এসেছে। তবে ২০১৯ সালেই প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করা হবে।’ তার এই আশ্বাসের পর আর পাঁচ মাসে পেরিয়ে গেলেও কোন অগ্রগতি নেই প্রকল্প বাস্তবায়নে।

এদিকে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে চাষাবাদি এই জমির বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে স্বপ্নপূরণের ভবনগুলো। এখানে নকশানুযায়ী তিনটি ভবনের মধ্যে একটি হবে স্টিল স্ট্রাকচারে তৈরি সাত তলা বিশিষ্ট মাল্টিটেনেন্ট ভবন। এছাড়া দুইটি তিন তলা বিশিষ্ট ক্যান্টিন ও এ্যাস্ফিথিয়েটার ভবন (স্টিল স্ট্রাকচার) এবং ডরমিটরি ভবন (আরসিসি) থাকবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২৫ এপ্রিল সারাদেশের জেলা পর্যায়ে ১২টি হাই-টেক পার্ক প্রকল্পের জন্য ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয় অনুমোদন দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এর মধ্যে রংপুর হাই-টেক পার্কের জন্য ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রাক্কলিত ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকার মধ্যে বাংলাদেশ সরকার বরাদ্দ দিয়েছে প্রায় ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। ভারত অর্থায়ন করছে বাকি ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এবং তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগ এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

   

কোস্টগার্ডের কাছে বিজিপির ১৩ সদস্যের আত্মসমর্পণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মিয়ানমারে সংঘাতময় পরিস্থিতিতে বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ১৩ সদস্য বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। তারা সবাই বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) কক্সবাজারের টেকনাফে নাফ নদী দিয়ে পালিয়ে আসেন ১৩ বিজিপি সদস্য। পরে টেকনাফ স্টেশনের কোস্টগার্ডের কাছে আত্মসমর্পণ করলে তাদের বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের (১১ বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এর আগে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাতে মিয়ানমারের ৪৬ জন বিজিপি সদস্য বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। এ নিয়ে এখন মিয়ানমারের সেনা ও বিজিপির ২৭৪ জন বাংলাদেশে অবস্থান করছেন।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুতে ৩৩০ জন বিজিপি সদস্য এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। পরে ১৫ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার নৌ-সীমান্ত দিয়ে তাদেরকে ফেরত পাঠানো হয়। এরপর নতুন করে আরও ২৭৪ জন বাংলাদেশে প্রবেশ করে।

;

নওগাঁয় সিআইডি পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগার ধামুরহাটে ভুয়া সিআইডি কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে রেজওয়ানুল আহমেদ পিয়াল (২৫) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরের দিকে উপজেলার রুপনারায়ণপুর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে। 

গ্রেফতারকৃত রেজওয়ানুল আহমেদ পিয়াল বগুড়া জেলার আদমদিঘী উপজেলার রিয়াজ আহমেদ এর ছেলে। জানা যায়, নানা রকম ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি করতেন তিনি। 

ভুক্তভোগী মানুয়েল তপ্ন বলেন, নানা রকম ভয়ভীতি দেখিয়ে বিকাশ এবং নগদের মাধ্যমে সে ২৯ হাজার ৫৩৮ টাকা গ্রহণ করে এবং আরো টাকা দাবি করলে স্থানীয় জনতা এই ভুয়া সিআইডি পুলিশ কর্মকর্তাকে চ্যালেঞ্জ করে ধামইরহাট থানায় খবর দেয়। বেশকিছু দিন ধরে আমার মতো এলাকার অন্য লোকজনের কাছেও বিভিন্ন ফন্দি এঁটে প্রতারণা করে এই প্রতারক। 

পরে থানার এসআই পরিতোষ চন্দ্র সরকার সঙ্গীয় কনস্টেবল মো. ইকবাল হোসেন, মো. নুর ইসলাম ও মো. ফরহাদ হোসেন গিয়ে ভুয়া সিআইডি কর্মকর্তা পরিচয়দানকারী প্রতারক রেজওয়ানুল আহমেদ পিয়াল কে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। 

এ প্রসঙ্গে ধামইরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মো. বাহাউদ্দিন ফারুকী বিপিএম, পিপিএম বলেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ভুয়া সিআইডি কর্মকর্তা পরিচয়দানকারী প্রতারক রেজওয়ানুল আহমেদ পিয়াল বিভিন্ন সময় বিভিন্ন এলাকায় নিজেকে সিআইডি কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করতেন। সিআইডি কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে ভয় ভীতি দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এছাড়াও ভুয়া পরিচয় দিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা নিতেন। তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ মামলা দায়ের হয়েছে।

;

ছয় বিভাগে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারা দেশে তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবনে অস্বস্তিকর অবস্থা বিরাজ করছে। এপ্রিল মাসের বাকি সময় জুড়ে ঢাকা বিভাগের ১৩ জেলা এবং রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকতে পারার আশঙ্কা থাকলেও ঢাকাসহ ৬ বিভাগে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এ অবস্থায় আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টিও হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ ছাড়া এদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট এবং এর পরের ২৪ ঘণ্টা ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে ঝড়বৃষ্টির এ প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। আর এ সময় দেশের অন্যান্য জায়গায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

এদিকে যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ ৪০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। এদিনে দেশের সর্বনিম্ন ২০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় কিশোরগঞ্জের নিকলিতে।

 

;

সব ধরনের উন্নয়নে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ: দীপু মনি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বাংলাদেশ সব দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা ক্ষুধা, দারিদ্র্য মুক্ত দেশ গড়ে তুলেছি। শিক্ষা,সংস্কৃতি, ক্রীড়া, উন্নয়নসহ সকল দিকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাতে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

দীপু মনি বলেন, ‘স্বাধীনতা সংগ্রামে যে পক্ষটি বিরোধিতা করেছে, যারা কখনও স্বাধীনতা চায়নি, যারা রবীন্দ্রনাথকে নিষিদ্ধ করেছিল, নজরুলকে খণ্ডিত করেছিল, আমাদের সংস্কৃতি চর্চাকে বাধাগ্রস্ত করেছিল, তারা এখনও বসে নেই। তারা তাদের চক্রান্ত করে যাচ্ছে। তারা আমাদের ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে আমাদের সংস্কৃতি চর্চাকে বাধাগ্রস্ত করছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘এ সমস্যা থেকে উত্তরণে, সমাজ-সংসার ও ব্যক্তিজীবনে সংস্কৃতির পুনর্জাগরণ প্রয়োজন। ধর্মের খণ্ডিত অপব্যাখ্যা দিয়ে একটি জাতিকে সংস্কৃতি চর্চা থেকে দূরে সরিয়ে রাখলে সে জাতি কখনোই এগিয়ে যেতে পারবে না। আমরা বাঙালি এটিই আমাদের পরিচয়। আমাদের এই পরিচয়কে খণ্ডিত করার অপচেষ্টাকে প্রতিরোধ করতে হবে। সংস্কৃতি আর রাজনীতি যখনই হাতে হাত মিলিয়ে রাজপথে হেঁটেছে, তখনই আমাদের অধিকার আদায় হয়েছে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশকে নিয়ে আমাদের অনেক স্বপ্ন। এই স্বপ্নটি আমাদের দেখিয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি শুধু স্বপ্ন দেখাননি, আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। আর এখন বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে।’ 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রজত শুভ, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাড. রনজিত রায় চৌধুরী, যুব লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাড. জাফর ইকবাল মুন্না, চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক গোপাল চন্দ্র সাহা, আনন্দধ্বনি সঙ্গীত শিক্ষায়তনের সভাপতি মো. মোশারেফ হোসেন প্রমুখ।

;