ময়মনসিংহে পপুলারসহ ৭ ডায়াগনস্টিককে সাড়ে ২৫ লাখ টাকা জরিমানা
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অবস্থান নগরের চরপাড়া এলাকায়। হাসপাতালটিকে কেন্দ্র করেই এ এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে নামসর্বস্ব অনেক ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। সংখ্যাটা কম করে হলেও দুই শতাধিক হবে। এতে এলাকাটি এখন পরিচিত ক্লিনিকপাড়া হিসেবে।
এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চিকিৎসা সেবার মান নিয়ে বরাবরই প্রশ্ন ছিল। মাঝেমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানাও করা হয়েছে। তবে না শুধরিয়ে বরং ফের আগের অবস্থাতেই পরিণত হয় ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেল ৩টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ওই এলাকায় র্যাব-১৪ এর ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে মিলল নানা অনিয়মের চিত্র। অভিযানে বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে একটির অপারেশন থিয়েটার (ওটি) সিলগালাসহ সাত প্রতিষ্ঠানকে মোট ২৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানের নেতৃত্ব দেন র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আকতারুজ্জামান। এ সময় র্যাব-১৪ এর মেজর শিবলী সাদিক, ময়মনসিংহ সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার তৌফিক হাসান শাওনসহ র্যাব সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ‘অভিযানে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও প্রান্ত স্পেশালাইজড হাসপাতালকে ছয় লাখ টাকা করে ১২ লাখ টাকা, মেমোরিয়াল ডায়াগনস্টিককে দুই লাখ টাকা, মৈত্রী নার্সিং হোম ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অপারেশন থিয়েটার কক্ষ সিলগালাসহ চার লাখ টাকা, রেডিয়াম ডায়াগনস্টিককে তিন লাখ টাকা, লিবার্টি হাসপাতালকে সাড়ে চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে আগামী এক মাসের মধ্যে সকল অনিয়ম দূর করার জন্য সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ঠিক না থাকা, বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য রি-এজেন্টসহ অত্যাবশ্যকীয় জিনিসপত্র নির্ধারিত তাপমাত্রায় সংরক্ষণ না করা, কয়েকজন রোগী চিকিৎসাধীন থাকলেও কর্তব্যরত কোনো চিকিৎসক না থাকা, অপারেশন থিয়েটারে মরিচাযুক্ত কাঁচি ও ব্যবহৃত উপকরণসমূহে জীবাণুমুক্ত করার জন্য কোনো অটোক্লেভ মেশিন না থাকা, মেয়াদোত্তীর্ণ সিরিঞ্জ, ব্যবহৃত পুরনো ঔষধে ময়লার আস্তর, অপরিচ্ছন্ন বিছানার চাদর ও বালিশ থাকায় এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে জরিমানা করা হয়েছে।’