খাওয়ার, কেনাকাটার স্বর্গরাজ্য কলকাতার বড়বাজার



ড. মাহফুজ পারভেজ, অ্যাসোসিয়েট এডিটর, বার্তা২৪.কম
কেনাকাটার বড়বাজার কলকাতার খাদ্য-স্বর্গও, ছবি: বার্তা২৪.কম

কেনাকাটার বড়বাজার কলকাতার খাদ্য-স্বর্গও, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কলকাতার বড়বাজার মানে একটি বাজার নয়, অনেক বাজার। অনেক গলি গায়েগায়ে লাগানো আস্ত এক মার্কেট প্লেস। পূর্ব ভারতের সবচেয়ে বড় সাপ্লাই জোন বড়বাজার হলো পাইকারি ও খুচরা মার্কেটিং-এর স্বর্গ। সঙ্গে আছে হাজার পদের খাবারের অঢেল আয়োজন।

কলকাতার চারদিক থেকে সহজে পৌঁছুতে পারা যায় বড়বাজারে, যার আরেক পোষাকি নাম চীৎপুর। উত্তর-দক্ষিণে প্রসারিত সেন্ট্রাল অভিনিউ ধরে ঐতিহাসিক মোহাম্মদ আলী পার্কে নেমে শুরু করা যায় বড়বাজার যাত্রা। কিংবা পূর্বের শিয়ালদহ থেকে পশ্চিমের হাওড়া সেতুগামী সাবেক হ্যারিসন রোড বা বর্তমান মহাত্মা গান্ধি সড়ক ধরে বড়বাজারের সুবিধাজনক স্থানে পৌঁছানোও সহজ।

চাঁদনিচক,  কলুটোলা, গিরিশ পার্ক, শোভা বাজার চারদিক থেকে ঘিরে রেখেছে বড়বাজারকে। পায়েদলে বা টানা রিকসায় অসংখ্য গলির একটি ধরে বড়বাজারের হৃৎপিণ্ডের মধ্যে চলে আসাও সহজ।

বড়বাজারের কেন্দ্রস্থলে বিখ্যাত নাখোদা মসজিদ। জাকারিয়া স্ট্রিটের কিছুটা হয়ে রবীন্দ্র সরণিতে এসে মিশেছে মসজিদের সীমানা। আর চারপাশে গলি-উপগলিতে একেক জিনিসের ভাণ্ডার। কোথাও শাড়ি, কোথাও প্রসাধনী, কোথাও গরম মশলা, কোথাও হাকিমি-কবিরাজি ঔষধ, কোথাও লোহা-লক্কর, কোথাও ছাতা, ঘড়ি, সাইকেল। কি নেই বড়বাজারে! বলা হয়, হাতি থেকে আলপিন, সবই বড়বাজারে মিশে থাকা  নানা সরু সড়কের গলি, তস্য-গলিতে পাওয়া যায়।

চেহারাটা খানিকটা পুরনো ঢাকার মতো। ভিড়, শব্দ, দামাদামি চলছে চারপাশে। কমদামে ও দ্রুত সেরা দ্রব্যটি হাসিল করতে কলকাতার নাগরিকরা ছুটে আসেন এখানে। দমদমের পাড়ায় যে চশমার ফ্রেম আড়াই হাজার টাকা আর পাওয়ার বানিয়ে ডেলিভারি দিতে তিন দিন সময় নেয়, বড়বাজারে তা এক তুড়ির ব্যাপার! 

নিজের চশমা তৈরি করতে হবে তাড়াতাড়ি, হাতে সময় নেই, পরদিন রওনা দেবো জয়পুর, আজমির হয়ে আগ্রা ও দিল্লি। ছুটে এলাম বড়বাজারে। জানলাম,  চশমার ঘাঁটি হলো ক্যানিং স্ট্রিটে। আড়াই হাজারের ফ্রেম দেড় হাজারে রেডি পাওয়ারসহ ডেলিভারি পেলাম দুই ঘণ্টায়। 

মাঝের সময়টুকুতে ঘুরে দেখি শুধু কলকাতা নয়, পুরো ভারতের প্রাচীন ও বৃহত্তম বাণিজ্যকেন্দ্র। প্রাচীনের যাবতীয় ছাপ লেগে আছে বড়বাজারের ক্ষয়ে যাওয়া দালানে, ভাঙা দেয়ালের মুখ-বের-করা ইটে। 

সেই ঔপনিবেশিক আমলে  ভারতের সব সম্প্রদায়ের মানুষ, ধর্ম, বর্ণের লোক এখানে ছুটে এসেছিলেন ভাগ্য ফেরাতে। পর্তুগিজ চার্চের সামনে দাঁড়িয়ে প্রাচীন বণিকদের কথা মনে পড়ে। জৈন টেম্পল দেখে রাজস্থানের যোধপুর-মারওয়ার থেকে আগত মারোয়ারি ঝুনঝুনওয়ালা, আগরওয়ালাদের উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। আছে গুজরাতি মেহতা ও প্যাটেলদের বিরাট দালান ও কারবার। শিয়া মুসলিমদের ইমামবাড়াও রয়েছে বড়বাজারে নাখোদা মসজিদের খানিক দক্ষিণ-পশ্চিমে। সুন্নি মুসলমানদের একটি প্রাচীন মুসাফিরখানাও দেখেছি শতবর্ষী রয়েল ইন্ডিয়া হোটেলের কয়েক বাড়ি পরে। মুসলিমদের তাবলিগ জামাতের প্রধানকেন্দ্র বড়বাজারের কলুটোলায়। আর হিন্দু মন্দির তো গলিতে গলিতে।

সর্বভারতীয় একটি অবয়ব বড়বাজারে স্পষ্ট। পুরো দেশে আমদানি-রফতানির জন্য সব এলাকার মানুষই এখানে আছেন। আছে তাদের নিজস্ব সমাজ ও ধর্মস্থান। আর আছে সহজ যোগাযোগের জন্য উর্দু ও হিন্দি ভাষার দাপট। বাংলা ভাষাকে বড়বাজারে খুঁজে পেতে কষ্টই হয়। দোকানদার থেকে হোটেল বয়, রিকসাওয়ালা পর্যন্ত উর্দু বা হিন্দিতে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।   

বাহারি খাওয়া-দাওয়ার জন্য বড়বাজার মশহুর। রমজানে বড়বাজার এশিয়ার সবচেয়ে বিশাল ইফতারি ও মুঘলাই খানার পসরা সাজিয়ে উন্মোচিত হয়। বছরের অন্য সময়েও আর কোথাও পাওয়া যাবে না, এমন খাবার বড়বাজারে সুলভে সহজলভ্য। মাহি আকবরি, কোফতা, গ্লাসি আর মুর্গ চেঙ্গিসি'র নামই শুনেনি অনেকেই, তা মিলবে বড়বাজারে। 

ফিয়ার্স লেন, কলুটোলার দিক থেকে জাকারিয়া স্ট্রিট—নাখোদা মসজিদের পাড়ায় পদে পদে অপেক্ষমান অজস্র বিস্ময়। এমনিতে এ পা়ড়ার বাতাসে বছরভরই মিশে থাকে সুখাদ্যের সুরভি। তবে রমজানে এ তল্লাট দিয়ে হেঁটে যাওয়া মানেই 'ট্রাডিশনাল ফুডওয়াক’, এমনটিই স্বীকার করে তাবৎ কলকাতা। শুধু রোজাদারেরা নন, গোটা কলকাতার খাইয়েরাই আসেন বড়বাজারের স্পেশাল মাছ-মুরগির স্বাদ-স্রষ্টাদের কাছে। 

বছরের অন্য সময় দোকানে বা ফুটপাতে লাগাতার লস্যি, ফালুদা, কফি, কাবাব, রুটি, গোস্ত, পরোটা চলছেই। কেনাকাটার বড়বাজারকে কলকাতার খাদ্য-স্বর্গেও পরিণত করেছে এই ঐতিহাসিক এলাকা। মাছ-মুরগির শত পদ জাকারিয়ার স্ট্রিটের গৌরব হয়ে পুরো বড়বাজার পেরিয়ে ছড়িয়ে গেছে সমগ্র কলকাতায়। 

   

বিশ্বে দূষিত বায়ুর শহরে ঢাকা ষষ্ঠ, শীর্ষে সিউল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় আজ শুক্রবার ঢাকার অবস্থান ষষ্ঠ। এদিন সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৭২ নিয়ে রাজধানীর বাতাসের মান 'অস্বাস্থ্যকর' হয়ে পড়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে বায়ু মানের সূচক ৩৪৩ নিয়ে শীর্ষে রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচেন, পাকিস্তানের লাহোর, ভিয়েতনামের চিয়াংমাই ও ভারতের দিল্লি যথাক্রমে ২১৭, ১৮৭, ১৭৯ ও ১৭৭ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকায় দ্বিতীয়, তৃতীয় চতুর্থ ও পঞ্চম স্থান দখল করেছে।

১০১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য 'অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলা হয়। আর ৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে থাকা একিউআইকে 'ঝুঁকিপূর্ণ' বলে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে, সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।

২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদফতর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের ৩টি প্রধান কারণ হলো, ইটভাটা, যানবাহন থেকে নির্গত ধোঁয়া ও নির্মাণ কর্মযজ্ঞের সৃষ্ট ধুলো।

;

ঝোড়ো হাওয়াসহ ৫ বিভাগে বজ্রবৃষ্টির আভাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানী ঢাকাসহ পাঁচ বিভাগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এমন বার্তা দেওয়া হয়েছে।

আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী, শুক্রবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এর পরের ২৪ ঘণ্টা ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

আর শনিবার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা শুধু চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

এদিকে বাগেরহাটের মোংলায় বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দেশের সর্বোচ্চ ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। এদিন দেশের সর্বনিম্ন ১৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় কিশোরগঞ্জের নিকলিতে।

আবহাওয়া অফিস বলছে, সারা দেশে শুক্রবার দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে, যা শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।

;

পাঁচ অঞ্চলের নদী বন্দরে সতর্কতা সংকেত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামসহ দেশের পাঁচ জেলার ওপর দিয়ে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অফিস। সেইসঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলা হচ্ছে। এছাড়াও এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানিয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, বরিশাল, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

বর্তমানে পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

;

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মানবাধিকার উইং চালুর পরামর্শ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে মানবাধিকার সম্পর্কিত একটি নতুন শাখা চালু করার পরামর্শ দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এই পরামর্শ দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বৈঠকে ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প কুতুপালং এবং ভাসানচর পরিদর্শনের জন্য বৈঠকে প্রস্তাব করা হয়।

কমিটির সভাপতি এ কে আব্দুল মোমেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, শাহরিয়ার আলম, নাহিম রাজ্জাক, নিজাম উদ্দিন জলিল, নুরুল ইসলাম নাহিদ, হাবিবুর রহমান, সাইমুম সারওয়ার, জারা জাবীন মাহবুব অংশ নেন।

 

;