আটক ৫ জনকে পুলিশে দিয়েছে বিএসএফ, বিজিবির কড়া প্রতিবাদ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
পতাকা বৈঠক

পতাকা বৈঠক

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রথম দফায় শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) পতাকা বৈঠকের প্রতিশ্রুতি দিয়েও হাজির হয়নি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। পরে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে দ্বিতীয় দফায় ঘণ্টাব্যাপী পতাকা বৈঠকে হাজির হলেও আটক পাঁচ বাংলাদেশিকে ফেরত দেয়নি বিএসএফ।

অনুপ্রবেশের অভিযোগ এনে তাদেরকে মুর্শিদাবাদ থানা পুলিশে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ। তবে বিজিবি দাবি করেছে- বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে পাঁচ নাগরিককে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ’র কয়েকজন সদস্য। জবাবে পতাকা বৈঠকে বিজিব‘র কাছে শুধু দুঃখ প্রকাশ করেছে বিএসএফ’র টিম।  ফলে দিনভর সীমান্তে দৌঁড়ঝাঁপ করেও খালি হাতেই ফিরেছে বিজিবি।

বিজিবি রাজশাহী-১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল ফেরদৌস জিয়াউদ্দিন মাহমুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘সকালে প্রথম দফায় তারা বৈঠকে আসেনি। দ্বিতীয় দফায় বিকেলে বাংলাদেশের খরচকা ও ভারতের নির্মল চর সীমান্ত পিলার নং: ৫৩/২/এস-এ পতাকা বৈঠক হয়। সেখানে তারা এলেও বাংলাদেশিদের ফেরত দেয়নি। অনুপ্রবেশের অভিযোগ তুলে তারা আটককৃতদের পুলিশে দিয়েছে।’

সীমান্ত থেকে পাঁচ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ সদস্যরা, তাদের ফেরার অপেক্ষায় স্বজন

বিজিবি কর্মকর্তা ফেরদৌস জিয়াউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘বিএসএফ সকালে বৈঠকে না আসা এবং বিকেলে এলেও বাংলাদেশিদের ফেরত না দেওয়ায় বিজিবির পক্ষ থেকে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। আমরা বলেছি- ৫ নাগরিককে বাংলাদেশ সীমান্তে ঢুকেই বিএসএফ সদস্যরা ধরে নিয়ে গেছে। তবে জবাবে তারা শুধু দুঃখ প্রকাশ করেছেন।’

এদিকে, বিএসএফ সদস্যরা পতাকা বৈঠকে আটককৃতদের ফিরিয়ে না দেয়ার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্বজনরা আহাজারি শুরু করে। অজানা শঙ্কায় তারা সময় পার করছে।

এর আগে শুক্রবার দুপুরের দিকে গোদাগাড়ীর খরচকা সীমান্ত থেকে পাঁচ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ সদস্যরা। তারা পদ্মার বিস্তীর্ণ চরে গবাদিপশু চরাতে গিয়েছিলেন বলে দাবি পরিবারের সদস্যদের।

বিএসএফ’র হাতে আটককৃতরা হলেন- রাজশাহীর পবা উপজেলার গহমাবোনা গ্রামের সেলিম রেজার ছেলে রাজন হোসেন (২৫), মনিবুল হকের ছেলে সোহেল রানা (২৭), মৃত কালুর ছেলে কাবিল হোসেন (২৫), মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে শাহীন আলম (৩৫) এবং মো. আলমের ছেলে শফিকুল ইসলাম (৩০)।

   

‘ভারতের সাথে এদেশের সম্পর্ক বিনিসুতোয় গাঁথা মালার মতো’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের সাথে এদেশের সম্পর্ক বিনিসুতোয় গাঁথা মালার মতোই বলে মন্তব্য করেছেন কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ। তিনি বলেন, এই সম্পর্ক কোনোদিনও ভাঙবে না।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাতে কুমারখালির শিলাইদহে কুঠিবাড়িতে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মরণে অ্যাম্ফিথিয়েটার চত্বরে 'পদ্মা নৌকায় ঠাকুর' সঙ্গীত ও নৃত্যানুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনের ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের আয়োজনে এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সহযোগিতায় এ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে আব্দুর রউফ বলেন, বাংলাদেশের প্রতি ভারতের ভালবাসা ছিল বলেই সে সময়ের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী স্বাধীনতা যুদ্ধে সহযোগিতা করেছিলেন।

কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম মিকাইল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সদর উদ্দিন খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. তারেক জুবায়ের, কুমারখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান খান প্রমুখ।

রবীন্দ্রনাথের সঙ্গীত ও নৃত্যানুষ্ঠান পরিচালনা করেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী প্রখ্যাত রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ ও সঙ্গীত শিল্পী ড. আনন্দ গুপ্ত।

প্রসঙ্গত, জমিদারি দেখাশোনার জন্য ১৮৯১ সালে প্রথম এ কুঠিবাড়িতে আসেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। নিরিবিলি পরিবেশ, জমিদারি আর ব্যবসার কারণে বার বার কুষ্টিয়ার এ কুঠিবাড়িতে ফিরে আসতেন তিনি। নিভৃত বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চল কুষ্টিয়ার শিলাইদহে কবির জীবনের বেশ কিছু মূল্যবান সময় কেটেছে। এখানে বসে রচিত গীতাঞ্জলি কাব্যই রবীন্দ্রনাথকে এনে দিয়েছে নোবেল পুরস্কার আর বিশ্বকবির মর্যাদা। কুঠিবাড়িতে সংরক্ষিত আছে তার স্মৃতিবিজরিত অনেক কিছু।

;

লক্ষ্মীপুরে গৃহবধুকে হত্যার ঘটনায় র‍্যাবের জালে আটক ৭



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
লক্ষ্মীপুরে গৃহবধুকে হত্যার ঘটনায় র‍্যাবের জালে আটক ৭

লক্ষ্মীপুরে গৃহবধুকে হত্যার ঘটনায় র‍্যাবের জালে আটক ৭

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ঘরে ঢুকে গৃহবধূ জোসনা আক্তারকে (৩০) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি সিরাজ মিয়াসহ ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। 

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে র‍্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) গোলাম মোর্শেদ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেফতার সিরাজ সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরভূতা গ্রামের রবু মিয়ার ছেলে।

গ্রেফতারকৃত অন্যরা হলেন- এরশাদ, রিপন, জাকির, রিমন, রাকিব ইব্রাহিম ও সাহেরা বেগম। এর মধ্যে রিপন, রাকিব, জাকির ও রিমন প্রধান আসামি সিরাজের ছেলে। এরশাদ ও ইব্রাহিম একই এলাকার মিজানের ছেলে। অপর আসামি সাহেরা মিজানের স্ত্রী।

র‍্যাব ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, বাড়ির পুকুর থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন ও পানি সেচকে কেন্দ্র করে ভিকটম জোসনাদের সঙ্গে আসামি সিরাজদের ঝগড়া হয়। এর জের ধরে ১২ এপ্রিল মধ্যরাতে হামলা চালিয়ে ঘরে ঢুকে জোসনা ও তার স্বামী আলাউদ্দিনকে কুপিয়ে আহত করে আসামিরা। পরে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় দুইজনকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জোসনাকে মৃত ঘোষণা করে। আহত অবস্থায় আলা উদ্দিন সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) নিহত জোসনার বাবা ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

র‍্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) গোলাম মোর্শেদ বলেন, মামলার পর থেকে র‍্যাব তদন্ত শুরু করে। অবশেষে মামলার এজাহারনামীয় ৬ জন ও ১ জন অজ্ঞাত আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাদেরকে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হবে।

;

বান্দরবানে কেএনএফ’র আরও এক সদস্য কারাগারে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, বান্দরবান
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানে রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনায় কেএনএফ সন্দেহে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক আরও এক জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় বান্দরবান চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হলে আদালতের বিচারক মোহাম্মদ নাজমুল হোসাইন তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

রুয়াল থান লিয়ান বম (৩৩) বান্দরবানের রুমা উপজেলার ১ নম্বর পাইন্দু ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে আরথাহ পাড়ার তুয়ালিন বমের ছেলে।

বান্দরবান আদালতের জিআরও বিশ্বজিত সিংহ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রুমা থানায় দায়ের করা মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে রুয়াল থান লিয়ান বমকে আটক করে আদালতে হাজির করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

এপর্যন্ত মোট ৬৫ জন কেএনএফ সদস্য ও একজন চাঁদের গাড়ির চালকসহ মোট ৬৬ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে ২০ জন নারী রয়েছেন।

বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে প্রকাশ্যে ব্যাংক লুটের পর বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ ও সন্ত্রাস বিরোধী আইন ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় এ পর্যন্ত ৯টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

;

বরিশালের জর্ডন রোডে ড্রেনের লোহার ঢাকনা চুরি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,বরিশাল
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নিয়মিত চুরি হয়ে যাচ্ছে বরিশাল নগরীর জর্ডন রোডের ড্রেনের লোহার ঢাকনা। রাতের অন্ধকারে কে বা কারা এই ঢাকনা চুরি করছে তার কোনো প্রমাণও নেই। তবে রাত হলেই ভয়ংকর হয়ে ওঠে বরিশাল সিটি করপোরেশনের ১০ নং ওয়ার্ডের এই জর্ডন রোড।

ইতিপূর্বে গত ৩০ মার্চ জর্ডন রোডের সার্কিট হাউসের পেছনের মোড়ে সড়কের ড্রেনে লাগানো লোহার ঢাকনা বা স্লাব চুরি হয়ে যায়। এতে বিপাকে পড়েন পথচারীসহ দ্রুতগামী যানবাহনের চালকরা। একটুর জন্য প্রাণে বেঁচে যান অনেকে। বিষয়টি জানা মাত্র বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ দ্রুত ২ এপ্রিল নতুন ঢাকনা লাগিয়ে আসন্ন বিপদ থেকে রক্ষা করেন জর্ডন রোডের বাসিন্দা ও ঐ পথে চলাচলকারী যানবাহনগুলোকে।

গত ১৭ এপ্রিল পুনরায় জর্ডন রোডের আরো একটি লোহার স্লাব চুরি করে নিয়ে গেছে অজ্ঞাত চোর। ফলে এই সড়কে আবারো ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। শুধু তাই নয়, চোরেরা নতুন লাগানো ঢাকনাটিও নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে, যার প্রমাণ চারপাশে ভাঙা ইটের সুরকী (ছবি)।

জর্ডন রোডের কয়েকজন বাসিন্দার সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা চোরের বিষয়ে কিছুই জানেন না। তবে গভীর রাতে এই সড়কটি ভয়ংকর হয়ে ওঠে এবং একা প্রতিবাদ করার সাহস হয়না বলে দাবি করেন অনেকেই। এই সড়কের পাশে বহুতল একটি ভবন রয়েছে। যেখানে সিসি ক্যামেরাসহ রয়েছে নিরাপত্তারক্ষীও।

এই ভবনের নিরাপত্তারক্ষীদের একজন আলম রায়হান বলেন, প্রায় প্রতি রাতেই রাত বারোটার পর একদল টোকাই শ্রেণির মাদকাসক্তদের সোরগোল শুনতে পাওয়া যায়। তারা ভবনের সামনে আসে না, যদি আসলে তাহলে ডাক দেওয়ামাত্র ছুটে পালিয়ে যায়। তবে আশেপাশের বাসিন্দারা কেউ ভয়ে বের হয়না বলে জানান তিনি।

বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত এই সড়কে বসবাসকারী বাসিন্দাদের সচেতন হবার আহ্বান জানিয়ে বলেন, শুধু জর্ডন রোড নয়, নগরীর সব রোডের বাসিন্দাদেরই সচেতন হতে হবে। এই নগরীর রক্ষণাবেক্ষণ দায়িত্ব শুধু সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের নয়, আমার আপনার সকলের। নগরবাসী যদি সচেতন না হন, তাহলে সিটি করপোরেশনের একার পক্ষে শহর সুন্দর রাখা অসম্ভব হয়ে যাবে বলে জানান মেয়র খোকন সেরনিয়াবাত।

;