রংপুরে মটর মালিকদের ধর্মঘটের হুমকি
রংপুরে মহাসড়কে অবৈধ যান চলাচল ও বিআরটিসির আন্ত:জেলা দ্বিতল বাস সার্ভিস বন্ধ করাসহ পুলিশি হয়রানি বন্ধের দাবিতে প্রশাসনকে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে জেলা মটর ও বিভাগীয় সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। আর দাবি মানা না হলে ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে রংপুর জেলায় পরিবহন ধর্মঘট পালন করা হবে বলে হুমকি দেন তারা।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নগরীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে বাস-ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও ট্যাংকলরি মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের এক পথসভায় ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি দিয়ে আল্টিমেটাম দেন রংপুর বিভাগ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সদস্য সচিব এ.কে.এম আজিজুল ইসলাম রাজু।
সভায় তিন দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ঘোষিত আল্টিমেটামের মধ্যে দাবি মেনে নেয়া না হলে পর্যায়ক্রমে রংপুরের বিভাগের আট জেলায় মালিক শ্রমিকদের পক্ষ থেকে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুমকিও দেয়া হয়।
তিন দফা দাবিগুলো হল, মহাসড়কে লেগুনা, পিকআপ ভ্যান, থ্রি হুইলার, ব্যাটারি চালিত অটো ও অটো রিকশা, ট্যাক্টর, ট্রলি, ডিজেল চালিত রেজিস্ট্রেশন বিহীন অবৈধ যান চলাচল বন্ধ। পীরগঞ্জ-পাগলাপীর সড়কে চলাচলরত বিআরটিসির আন্ত:জেলা দ্বিতল বাস চলাচল বন্ধ। সিটি করপোরেশন এলাকার প্রতি থানায় পুলিশ চেক পোস্টে গাড়ির কাগজপত্র দেখার নামে পুলিশি হয়রানি বন্ধ করে নির্দিষ্ট জায়গায় অথবা বাস-ট্রাক টার্মিনালে চেকিং পয়েন্ট ব্যবস্থাসহ চেকিং পরবর্তী টোকেন লাগানোর ব্যবস্থা গ্রহণ।
পথসভায় বক্তব্য রাখার সময় এ.কে.এম আজিজুল ইসলাম রাজু বলেন, আমাদের প্রত্যেকটি দাবি যৌক্তিক। কিন্তু প্রশাসনের টালবাহানার কারণে এতদিনে তা বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। নিরাপদ সড়ক বাস্তবায়ন করতে হলে মালিক-শ্রমিকদের এই তিন দফা দাবি মেনে নিতে হবে। ইতোমধ্যে দাবি আদায়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে বিভাগীয় কমিশনার, আরপিএমপি কমিশনার, জেলা প্রশাসক, র্যাব-১৩ অধিনায়কসহ বিভাগের সকল জেলার মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়নকে চিঠি দিয়ে অবগত করা হয়েছে।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রংপুর জেলা মটর মালিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ আখলাক হোসেন সুইট, সহ সড়ক সম্পাদক মোতালেব হোসেন বাদল, দপ্তর সম্পাদক মোজাহারুল আজম চৌধুরী, জেলা ট্রাক ও ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মানিক প্রমুখ।