এখানেই হবে বাণিজ্য মেলা



ইসমাঈল হোসাইন রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
পূর্বাচলে নির্মাণাধীন 'বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার'/ছবি: সুমন শেখ

পূর্বাচলে নির্মাণাধীন 'বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার'/ছবি: সুমন শেখ

  • Font increase
  • Font Decrease

বাণিজ্য মেলার স্থায়ী প্রদর্শনী কেন্দ্র 'বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার' চায়না নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে চলতি বছরের জুলাইয়ে বুঝে নেবে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। ২০২১ সাল থেকেই নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের পূর্বাচল উপশহর এলাকায় নির্মিত এই সেন্টারে বাণিজ্য মেলা শুরুর কথা রয়েছে। তবে মেলার আয়োজন নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

প্রদর্শনী কেন্দ্রের ভেতরের অংশের কাজ প্রায় শেষ। সড়কের দিকের কিছু কাজও চলমান রয়েছে

জানা গেছে, অপ্রতুল জায়গার কারণে স্থায়ী ভেন্যুর প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার। এর প্রেক্ষিতে পূর্বাচলে বিশাল পরিসরে কেন্দ্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়৷  বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার-এর মূল নকশা প্রণয়ন করেছে চীনের বেইজিং ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেকচারাল ডিজাইন (বিআইএডি)। প্রদর্শনীকেন্দ্রটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান চায়না এস্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন লি.। জুলাইয়ে তারা ইপিবির কাছে এক্সিবিশন সেন্টার হস্তান্তর করবে। এরপর কয়েকটি ভিন্ন আঙ্গিকের মেলা আয়োজন করা হবে। এছাড়াও সেখানে প্লাস্টিক ও খাবার ভিত্তিক কয়েকটি মেলা আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।

 ২০১৫ সালের জুলাই মাসে ‘বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার’-এর নির্মাণকাজ শুরু হয়

নকশা অনুযায়ী, এক্সিবিশন সেন্টারে রাখা হচ্ছে একসঙ্গে এক হাজার ৫০০ কার পার্কিং সিস্টেম। সেন্টারে থাকবে আট শতাধিক দোকান, হলরুম, আন্তর্জাতিক মানের সম্মেলন কেন্দ্র, বাণিজ্য তথ্যকেন্দ্র, সভাকক্ষ, প্রেস সেন্টার, সার্ভিস রুম ও বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর কর্মকর্তারা জানান, বাণিজ্য মেলার জন্য নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের পূর্বাচল উপশহর এলাকায় এক্সিবিশন সেন্টারের নির্মাণ কাজ শেষের পর্যায়ে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেওয়া বাণিজ্য মন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী ২০২১ সাল থেকে বাণিজ্য সেখানে হওয়ার কথা। তবে আগামী বছর এখানে মেলা করা যাবে কিনা সেটি নিশ্চিত নয়। কারণ বর্তমানের শেরে বাংলা নগরের যেখানে মেলা আয়োজন করা হয়, সেখানে জায়গার পরিমাণ ৩২ একর। কিন্তু পূর্বাচলে বাণিজ্য মেলার নির্ধারিত স্থানটির জায়গা রয়েছে ২৬ একর। বর্তমানের শেরে বাংলা নগরেই যেখানে সংকুলান হয় না,  আরো কম পরিমাণ জায়গায় কিভাবে এটি করা সম্ভব হবে সেটি নিয়েই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। তবে মেলার জন্য আরো ১২ একর জমির রাজউকের কাছে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

এক্সিবিশন সেন্টারে রাখা হচ্ছে একসঙ্গে এক হাজার ৫০০ কার পার্কিং সিস্টেম

এ বিষয়ে ইপিবির মহাপরিচালক অভিজিৎ চৌধুরী বার্তা২৪.কমকে জানান, 'বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার' নির্মাণ কাজের অগ্রগতি প্রায় শেষের পর্যায়ে। জুলাইয়ে চায়না নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের কাছ বুঝে নেবো আমরা। আগামী বছর থেকে আমরা এখানেই বাণিজ্যমেলা আয়োজন করার পরিকল্পনা নিয়েছি, প্রথমবার আয়োজন করে দেখা হতে পারে কোন সমস্যা আছে কিনা।

পূর্বাচলে মেলা আয়োজনের জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্তমানে যেখানে মেলাটি হয় তার চেয়েও কম জায়গা রয়েছে পূর্বাচলে। ফলে কিছু সমস্যা তো আছেই। এছাড়াও সেখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থাও এখনও ততটা উন্নত নয়, ক্রেতারা যাবে কিনা সেটাও দেখতে হবে, স্ট্রাকচার সমস্যাও রয়েছে। আগামী বছর এটি করা যাবে কিনা সেটি নিয়ে আমরা মিটিং করেছি। কিছু সমস্যা রয়েছে, আমরা এটি নিয়ে চিন্তা করছি।

স্থায়ী বাণিজ্য মেলা কেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৩০৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা 

পূর্বাচলের এক্সিবিশন প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে, বাণিজ্য মেলা প্রদর্শনী কেন্দ্রের শেষ মুহূর্তের নির্মাণকাজ চলছে। প্রদর্শনী কেন্দ্রের ভেতরের অংশের কাজ প্রায় শেষ। বাইরের দিকের কাজও চলছে। নির্মাণ করা হচ্ছে নতুন কিছু প্রাচীর। বাউন্ডারির পিলারে দেয়া হচ্ছে রংয়ের প্রলেপ। আর সড়কের দিকের কিছু কাজও চলমান রয়েছে।

বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারের নির্মাণ কাজের অগ্রগতি প্রায় শেষ পর্যায়ে

জানা গেছে, ২০০৯ সালে প্রকল্প নেওয়া হলেও জমিসংক্রান্ত জটিলতায় কয়েক দফা পিছিয়ে ২০১৫ সালের জুলাই মাসে ‘বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার’-এর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৮ সালে এই নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। স্থায়ী বাণিজ্য মেলা কেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৩০৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা। যদিও প্রকল্পের শুরুতে মূল ব্যয় ধরা হয়েছিল ২৭৫ কোটি টাকা। সেখান থেকে বাড়িয়ে ৭৯৬ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়। পরবর্তী সময়ে আরো ৫০৭ কোটি টাকা ব্যয় যুক্ত করা হয়। তবে ব্যয় বাড়ায় প্রদর্শনী কেন্দ্রটির নকশায় নতুন নতুন কাজও যুক্ত করা হয়।

উল্লেখ্য, প্রতিবছরের প্রথম দিন বাণিজ্য মেলা বসে। এতে সারাদেশের ক্রেতারা সমবেত হন মাসব্যাপী এই পণ্য মেলায়।

   

করোনায় একদিনে আক্রান্ত ১৬ জন, শনাক্তের হার ৫.১০



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
করোনায় একদিনে আক্রান্ত ১৬ জন, শনাক্তের হার ৫.১০

করোনায় একদিনে আক্রান্ত ১৬ জন, শনাক্তের হার ৫.১০

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২০ লাখ ৪৯ হাজার ৪৬৫ জনে। এদিন কারো মৃত্যু না হওয়ায় এ সংখ্যা ২৯ হাজার ৪৯৩ জনেই রইল। 

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত একদিনে ৩১৪টি নমুনা পরীক্ষায় ১৬ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। শনাক্তের এ হার ৫ দশমিক ১০ শতাংশ। এসময়ে সুস্থ হয়েছেন ২৬ জন। মোট সুস্থ ২০ লাখ ১৬ হাজার ৭৫০ জন।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর অর্থাৎ ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যায়। 

;

যশোরে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে হেলপার নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
যশোরে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে হেলপার নিহত

যশোরে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে হেলপার নিহত

  • Font increase
  • Font Decrease

চৌগাছায় চলন্ত বাস থেকে নামতে গিয়ে চাকায় পিষ্ট হয়ে শামীম হোসেন (২৭) নামে বাসের এক হেলপার নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) চৌগাছা-যশোর সড়কের চৌগাছা সরকারি কলেজে পাশে ফিলিং স্টেশনের সামনে এ দুঘর্টনা ঘটে।

নিহত শামীম হোসেন উপজেলার সুখপুকরিয়া ইউনিয়নের আড়সিংড়ী সুখপুকুরিয়া গ্রামের আকবর আলীর ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শী অন্য একটি বাসের চালক রানা এবং একটি বাসের সুপারভাইজার লাভলু বলেন, শামীম যশোর-চৌগাছার লোকাল বাস ইউএ ট্রাভেলসের একটি বাসে (যশোর-ব-১১-০২০৫) চালকের সহকারী হিসেবে কাজ করতো। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চৌগাছা মেইন বাসস্ট্যান্ড থেকে ছেড়ে যশোরে যাওয়া এএ আফ্রিদি নামের একটি বাসে (যার নম্বর ঢাকা মেট্রো-জ ০৪-৭১৬) করে চৌগাছা ফিলিং স্টেশনে যাচ্ছিলো। ফিলিং স্টেশনে পৌঁছে বাসটির সামনের গেইট দিয়ে নামতে গিয়ে পা-পিছলে পড়ে গেলে একই বাসের পিছনের চাকা তার মাথার উপর দিয়ে চলে যায়। এতে সে মারাত্মক আহত হয়। স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পরপরই চৌগাছা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাসটি হেফাজতে নেয়।

হাসপাতালে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক লুৎফুন্নেছা লতা বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

চৌগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

;

মাগুরায় বজ্রপাতে ২ যুবক নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মাগুরা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার কানুটিয়া ও চরপাড়া গ্রামে পৃথক বজ্রপাতে দুই জন নিহত হয়েছে। নিহতরা হলেন একই উপজেলার কানুটিয়া গ্রামের জামান মির্জার ছেলে তন্ময় মির্জা (২২) ও চরপাড়া গ্রামের আকুল শেখের ছেলে উমেদ আলী (২০)। 

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির সাথে হঠাৎ বজ্রপাতের ঘটনায় এ দুইজন নিহত হয়।

মাগুরা মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বোরহানুল ইসলাম জানান, বিকালে জমিতে কৃষি কাজ করার সময় আকস্মিকভাবে ঝড়ো হাওয়া এবং বজ্রপাত শুরু হয় এ সময় বজ্রপাতে তন্ময় ও উমেদ আলী আহত হয়।

স্থানীয়দের সহায়তায় আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।

;

উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জলবায়ু পরিবর্তন ও টেকসই উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয়ে সম্পদের বিভাজন রোধে সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।

তিনি বলেন, সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে, ডুপ্লিকেশন এবং ওভারল্যাপিং কমানো প্রয়োজন। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট অসংখ্য চ্যালেঞ্জ এবং অস্তিত্বের হুমকির সঙ্গে, আর্থিক এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সম্পদের সুরক্ষা অপরিহার্য।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে আয়োজিত কান্ট্রি এনভায়রনমেন্টাল অ্যানালাইসিস ২০২৩ : বিল্ডিং ব্যাক এ গ্রিনার বাংলাদেশ বিল্ডিং ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এ কথা বলেন।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, দেশের স্বাস্থ্যই সর্বাগ্রে এবং সরকার বায়ু ও পানির গুণমান উন্নত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জলবায়ু কর্মের জন্য অগ্রাধিকারমূলক হস্তক্ষেপগুলি ক্রমানুসারে করা হচ্ছে, এবং সরকার সক্রিয়ভাবে একটি সময়সীমাবদ্ধ পরিকল্পনা প্রণয়ন করছে।

তিনি বলেন, উদীয়মান চাহিদা মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় নীতির সমন্বয় করা হবে। মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী টেকসই অনুশীলনের গুরুত্বের ওপর জোর দেন এবং বাংলাদেশের জন্য একটি সবুজ ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার লক্ষ্যে উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন।

বাংলাদেশের নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড. ফাহমিদা খানম এসময় উপস্থিত ছিলেন।

 

;