রংপুরে শুঁটকিতে বছরে দেড় কোটি টাকা লোকসান



ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
রংপুরে শুঁটকিতে বছরে দেড় কোটি টাকা লোকসান

রংপুরে শুঁটকিতে বছরে দেড় কোটি টাকা লোকসান

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরে শুঁটকি আড়তদার ও ব্যবসায়ীদের দিনকাল ভালো যাচ্ছে না। দিন দিন লোকসানের বোঝা ভারি হওয়ায় কমে এসেছে ব্যবসায়ীর সংখ্যা। ব্যবসায় মন্দাভাবের কারণে অনেকেই শুঁটকি ব্যবসা থেকে হাত গুটিয়ে নিয়েছেন। শুঁটকির মৌসুমে ব্যবসায় ভাটা পড়ায় প্রতি বছরে এক থেকে দেড় কোটি টাকার লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের। পরিস্থিতি এমন থাকলে আগামী মৌসুমেও শুঁটকিতে লোকসানের আশঙ্কায় এখানকার আড়তদাররা।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রংপুর নগরীর ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের আরকে রোড ঘাঘটপাড়া শুঁটকির আড়তে কয়েকজন ব্যবসায়ীদের সাথে কথা হলে তারা লোকসান আশঙ্কার কথা জানান।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাংলা বছরের অগ্রহায়ণ থেকে আশ্বিন-কার্তিক মাস পর্যন্ত শুঁটকির মৌসুম। এই সময়ে প্রতি বছর এখানকার চার আড়তদার অন্তত তিন থেকে পাঁচ কোটি টাকার শুঁটকি কেনা বেচা করেন। কিন্তু এবার আড়াই কোটিও পার হয়নি। এই লোকসানকে তারা বড় ধরণের ধাক্কা হিসেবে দেখছেন।

 ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের আরকে রোড ঘাঘটপাড়া শুঁটকির আড়ত

এখন ঘাঘটপাড়ায় আগের মতো চলতে ফিরতে নাকে তেমন শুঁটকির ঘ্রাণ ভেসে আসে না। এপাশ ওপাশ থাকালেও খুব বেশি দোকান চোখে পড়ে না। কারণ গত কয়েক বছরে লোকসান সামাল দিতে না পেরে এখানকার ৪২টি দোকান থেকে কমতে কমতে এখন সংখ্যা ১৮-তে এসে দাড়িয়েছে। এক সময় রমরমা ব্যবসা ছিল আড়ত জুড়ে। কিন্তু এখন শুঁটকির মৌসুমেও নেই ক্রেতা ও পাইকারদের আনাগোনা। বর্তমানে যারা এই শুঁটকি আড়তে ব্যবসা ধরে রেখেছেন, তারাও লোকসান ঝুঁকিতে আছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বস্তায় বস্তায় সাজানো চ্যালা, লইট্যা, ফ্যাসা, কাচকি, ভেটকিসহ নানা জাতের সামুদ্রিক ও দেশী মাছের শুঁটকি। ক্রেতার চাপ না থাকায় শুঁটকি পরিচর্যায় ব্যস্ত অনেক ব্যবসায়ী। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে আমদানি করা অন্তত চল্লিশ প্রকারের শুঁটকি এখানে রয়েছে। রংপুর জেলাসহ লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া ও রাজশাহীর বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা এই আড়ত থেকে শুঁটকি কিনেন।

শুঁটকির আড়তে কথা হয় সাইফুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী। বস্তায় রাখা বেশকিছু নষ্ট  শুঁটকি বাছাই করছিলেন তিনি। বস্তার তলানিতে কিছু শুঁটকি গুড়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তার লোকসানের অংকটা বেড়ে যাবে বলে জানান সাইফুল। তিনি বলেন, বেচা-বিক্রি একেবারে কম। দোকানে রাখতে রাখতে শুঁটকির ওজনও কমে আবার নষ্টও হয়। এতে তো শুধু লোকসান হচ্ছে।

বস্তায় বস্তায় সাজানো চ্যালা, লইট্যা, ফ্যাসা, কাচকি, ভেটকিসহ নানা জাতের সামুদ্রিক ও দেশী মাছের শুঁটকি

শুঁটকির আড়তদার লুৎফর রহমান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, শুঁটকির মৌসুমে প্রতিদিন অন্তত পঞ্চাশ থেকে সত্তর হাজার করে বিক্রি হতো। এখন সেখানে দশ হাজার টাকার উপরে বেচা-কেনা নেই। দিন দিন পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। এরজন্য পেয়াজের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি বিরূপ আবহাওয়াও কিছুটা দায়ী বলে জানান এই আড়তদার।

এই ব্যবসায়ীর মতে, এখানকার চারজন আড়তদার প্রতি বছর চার কোটির ঊর্ধ্বে শুঁটকি বেচা-কেনা করতেন। কিন্তু এখন শুঁটকির মৌসুমেও বেচা কেনা হয় না। এখন বছরে এক থেকে দেড় কোটি টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। খুচরা-পাইকারি মিলে দিনে যেখানে এক থেকে দেড় লাখ টাকা বিক্রি হতো, সেখানে ১৫ হাজারও হয় না।

এব্যাপারে শুঁটকি ব্যবসায়ী সমিতির হাজী আজগর আলী বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ব্যবসার পরিস্থিতি এত খারাপ হবে আগে ভাবতে পারিনি। দিন দিন বাকি বিক্রির পাল্লা ভারি হচ্ছে। সাথে লোকসানও লেগেই আছে। একারণে অনেকেই ব্যবসা বদল করেছে। এখন বছরের বৈশাখ থেকে আষাঢ় মাস পর্যন্ত একটু বেচাকেনা ভালো হয়। বাকি সময়টা কোনরকমে চলে।

এদিকে সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজিজ শেখ বলেন, ঘাঘটপাড়ায় চৌদ্দটি শুঁটকির পাইকারি দোকান আর চার আড়ত রয়েছে। সবার ব্যবসার একই অবস্থা। দেশী পেঁয়াজের দাম বাড়ার প্রভাব শুঁটকিতে পড়েছে। এমন থাকলে আগামী মৌসুমেও শুঁটকির ব্যবসায় লোকসানের আশঙ্কা রয়েছে। তবে পেয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আসলে ব্যবসায়ী ও ভোক্তা সবাই উপকৃত হবেন তিনি জানান ।

   

সুন্দরবনে মধু সংগ্রহে গিয়ে বাঘের আক্রমণে নিহত 



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সুন্দরবনে মধু সংগ্রহ করতে গিয়ে বাঘের আক্রমণের শিকার হয়ে মনিরুজ্জামান বাচ্চু (৪৫) নামে এক মৌয়াল নিহত হয়েছেন। শনিবার (২০ এপ্রিল) সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের নটাবেকী এলাকায় বাঘের আক্রমণের শিকার হন তিনি।

তিনি গাবুরা ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা এবং মৃত কাশেম গাজীর ছেলে।

সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী রেঞ্জ কর্মকর্তা নুর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন জানান, গত ২ এপ্রিল বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন থেকে পাশ নিয়ে বাচ্চু গাজী সহকর্মী মৌয়ালদের সাথে সুন্দরবনের গহীনে মধু আহরণ করতে যান। সকালে বাঘের আক্রমণে তার মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এরই  মধ্যে বনবিভাগের একটি দল তার মরদেহ উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। তারা ফিরলে বিস্তারিত জানা যাবে।



;

মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত হত্যা মামলার পলাতক আসামি গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ার সদর উপজেলার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক সাইদুল ইসলাম হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত পলাতক প্রধান আসামি মো. মামুন (২৯) কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-২)।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল)  রাতে রাজধানীর দারুস সালাম থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

শুক্রবার র‌্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি শিহাব করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

শিহাব করিম বলেন, ওয়ারেন্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৯ এপ্রিল ভুক্তভোগী সাইদুল ইসলাম সন্ধ্যার দিকে শহরের দত্তবাড়ি থেকে যাত্রী নিয়ে জয়পুরপাড়ায় যান। ভিকটিম রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে ফোন করে পরিবারের সদস্যদের বলেন, তিনি যাত্রী নিয়ে জয়পুরপাড়ায় আছেন। এরপর থেকে সাইদুলের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। রাতে সাইদুল বাড়ি ফিরেননি। পরদিন সকালে শহরের ধরমপুর গড়েরহাট এলাকায় ঈদগাহ মাঠের পাশে একটি বাগানে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়ারা পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ভুক্তভোগী সাইদুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরবর্তীতে নিহতের ছোট ভাই বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় অজ্ঞাতনামা ৩ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামি ৫ বছর জেল হাজতে কারাবাসের পর বিজ্ঞ আদালত হতে জামিন নিয়ে নিয়মিত আদালতে হাজিরা না দিয়ে পলাতক হয়। 

পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার তদন্ত শেষে আসামির বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন। বগুড়ার বিজ্ঞ ১ম অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত বিচারকার্য শেষে মো. মামুন এর বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড সাজা প্রদানপূর্বক গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করেন।

গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু হওয়ার পর থেকে আসামিকে গ্রেফতার সংক্রান্তে বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এর অধিযাচন পত্রের প্রেক্ষিতে র‌্যাব-২ আসামিকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-২ এর একটি আভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে শুক্রবার রাজধানী ঢাকার ডিএমপি দারুস সালাম থানা এলাকা থেকে আসামি মো. মামুনকে গ্রেফতার করে। 

তিনি বলেন, জানা যায় আসামি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজর এড়িয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিজের নাম-পরিচয় গোপন করে আত্মগোপনে থাকত। গ্রেফতারকৃত আসামিকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বগুড়া সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

;

তীব্র তাপপ্রবাহ: প্রাথমিক স্কুলে অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার নির্দেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশজুড়ে চলমান দাবদাহের কারণে সরকারি প্রাথমিক স্কুলে অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শনিবার (২০ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, দেশজুড়ে বহমান তাপদাহের ওপর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় তীক্ষ্ণ নজর রাখছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অ্যাসেম্বলি পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

সারাদেশে তিন দিনের জন্য ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। এই পরিস্থিতির মধ্যেই আগামীকাল রোববার খুলবে দেশের সব ধরণের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। 

;

বরিশালে ঋণের চাপে দুই সন্তানের জননীর আত্মহত্যা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশালের উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়ায় দুই সন্তানের জননী ডালিয়া বেগম (৩৮) ঋণের চাপে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে ঘরের আড়ার সঙ্গে তাকে ঝুলতে দেখে বাড়ির লোকজন উদ্ধার করে বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় বানারীপাড়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে মরদেহ বরিশাল শেবাচিম মর্গে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য শারমিন জানান, ডালিয়া বেগম বিভিন্ন সমিতি ও এনজিও থেকে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে পরিশোধ করতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। তিনি বিভিন্ন এনজিও ও সমিতির লোকজনের চাপে অস্বাভাবিক আচরণ করতেন। ধারণা করছি, তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

বরিশাল বানারীপাড়া থানার ওসি মাইনুল ইসলাম বলেন, ডালিয়া বেগমের মরদেহ হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তার মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।

;