অসময়ে ঘাঘটে ভাঙন, আতঙ্কিত গ্রামবাসী
রংপুর নগরীর ভেতর দিয়ে প্রবাহিত ঘাঘট নদীতে অসময়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে নগরীর তালুক তামপাট মোগলেরবাগ শান্তিপাড়া গ্রামের হাজারো মানুষ। হঠাৎ ঘাঘটের এমন ভাঙন গ্রাসে কয়েক একর কৃষি জমি নদী গর্ভে চলে গেছে। বিলীন হতে বসেছে আবাদি জমি। হুমকির মুখে রয়েছে মসজিদ, সড়ক ও বসতভিটা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরীর ৩২নম্বর ওয়ার্ডের তালুক তামপাট মোগলেরবাগ শান্তিপাড়া গ্রামের ওপর দিয়ে প্রবাহিত ঘাঘট নদীর অসময়ের ভাঙনে গ্রামের সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। দ্রুত নদী ভাঙন রোধে কার্যকরী ব্যবস্থা না নেয়া হলে অব্যাহতি ভাঙনে যে কোন মূহুর্তে গ্রামটি নিশ্চিহ্ন হবার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
ঘাঘট তীরবর্তী শান্তিপাড়ার ইব্রাহীম ও মামুন জানান, গত বন্যা মৌসুমে ঘাঘট নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছিল। ওই সময়ে গ্রামবাসীর অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এবার বন্যার আগেই অসময়ের নদী ভাঙনে বেশ কয়েকজন কৃষকের আবাদি জমি ঘাঘটের পেটে চলে গেছে। এখন অনেকেই ভূমিহীন হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
তালুক তামপাট মোগলেরবাগ এলাকার কৃষক রমিজ মিয়া, সোহানুর রহমান ও আবুল মিয়া বলেন, কিছুদিন আগে এই নদীর ভাঙন রোধ ও বাঁধ রক্ষার জন্য সিটি মেয়র ও জেলা প্রশাসনকে লিখিতভাবে অবগত করা হয়েছে। আমাদের আবাদি জমি, বসতভিটা, মসজিদ-মাদরাসাসহ রাস্তা-ঘাট ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। কিন্তু এখনো কেউ ঘাঘটের ভাঙন রোধে কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নদী ভাঙন কবলিত গ্রামটি পরিদর্শন করেছেন রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। এসময় তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় ঘাঘট নদীর ভাঙন রোধ ও বাঁধ সংস্কার কর্মসূচি গ্রহণের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
পরিদর্শনকালে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মাহাবুব মোর্শেদ শামিম, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর নাজমুন নাহার নাজমা, পায়রাবন্দ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফয়জার রহমানসহ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তা ও জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।