আ.লীগ-বিএনপির হাতে গরিবের মুক্তি নেই: সেলিম
গণমানুষের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বুর্জোয়া-লুটেরা ধারার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে বামপন্থীদের নেতৃত্বে বিকল্প সরকার প্রতিষ্ঠা করার ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম।
শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে অনুষ্ঠিত দেশরক্ষা অভিযাত্রা সমাবেশ থেকে তিনি এ ঘোষণা দেন।
সিপিবি প্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ, বিএনপি দুটোই বুর্জোয়া লুটেরা দল। এদের হাতে মুক্তিযুদ্ধের অর্জন নিরাপদ নয়। এদের হাতে গরিব-মেহনতি মানুষের মুক্তি আসবে না। আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছিল। সেই দল এখন বিশ্বাসঘাতকদের নেতৃত্ব দেওয়ার দলে পরিণত হয়েছে। বুর্জোয়া-লুটেরা ধারার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে বামপন্থীদের নেতৃত্বে বিকল্প সরকার প্রতিষ্ঠা করব।
জনগণকে ঘর ছেড়ে রাজপথে বেরিয়ে আসার আহবান জানিয়ে সেলিম বলেন, আপনারা জেগে উঠুন। অমুক আপা, তমুক ভাইয়ের দিকে না তাকিয়ে নিজেদের মুক্তি সংগ্রাম নিজেরাই শুরু করুন।
কমরেড শাহীন রহমানের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড শাহ্ আলম, সহ সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাজ্জাদ জহির চন্দন, কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা কমরেড শাহাদাত হোসেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আলতাফ হোসেন প্রমুখ।
সমাবেশে রংপুর বিভাগের আট জেলার উন্নয়নে এ অঞ্চলে কৃষি ভিত্তিক শিল্প ও কলকারখানা স্থাপন, পর্যাপ্ত হিমাগার নির্মাণ, গ্যাস সরবরাহ, বন্ধ রেলপথ চালু ও ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধি, বন্ধ টেক্সটাইল মিল চালু, বিভাগীয় চিকিকলগুলো লাভজনকভাবে চালু, নতুন ইপিজেড স্থাপন, নদী ভাঙন রোধে বাঁধ নির্মাণ ও নদী শাসন, তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়, গাইবান্ধা কৃষি ইনস্টিটিউটকে পূর্ণাঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করাসহ শ্যামাসুন্দরী খাল সংস্কারসহ ১৩ দফা দাবি তুলে ধরেন নেতারা।
রংপুর বিভাগের আট জেলার নেতারা বলেন, বর্তমান সরকার থেকে শুরু করে অতীতের বিভিন্ন সময়ের সরকার যে আর্থ-সামাজিক নীতিতে দেশ চালিয়েছে, এবং যারা চালাচ্ছে তা মেহনতি জনগণ ও মধ্যবিত্তের স্বার্থবিরোধী। দ্রব্যমূল্য বাড়ছে, সেই তুলনায় সাধারণ মানুষের আয় বাড়ছে না। মুষ্টিমেয় কয়েকজন বাজার সিন্ডিকেটের হাতে নিত্যপণ্য জিম্মি। সরকার ওইসব সিন্ডিকেটকারীদের স্বার্থ রক্ষা করে চলছে।
সমাবেশ শেষে রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠ থেকে লাল পতাকা ও কাস্তে হাতে বিশাল একটি শোভাযাত্রা রংপুর মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এতে বিভাগের আট জেলা থেকে আসা নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা অংশ নেন।