গেজেটে নাম আছে, কিন্তু ভাতা নেই শংকুর



ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
শহীদ শংকু সমঝদারের ঘর/ ছবি: বার্তা২৪.কম

শহীদ শংকু সমঝদারের ঘর/ ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

শংকু সমঝদার। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রথম শহীদ শিশু। যার সাহস আর আত্মত্যাগ কভু ভুলে যাবার মতো নয়। মুক্তিযুদ্ধ শুরুর আগেই শংকুর রক্তে রক্তাক্ত রংপুর মুক্তির সংগ্রামে কেঁপে উঠেছিল। শিশু শংকুর অকাল মৃত্যু কাঁদিয়েছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকেও। তাই ৭ই মার্চের ভাষণে শংকুকে ঘিরে ঠাঁই পায় রংপুর।

সাহসী শংকুর আত্মদানকে স্মরণ করে বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে রংপুরকে জায়গা দিলেও স্বাধীনতার ৪৯ বছর পরও ভালো নেই শংকুর পরিবার। স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রথম শিশু শহীদের পরিবারটির খোঁজ রাখে না কেউ। এখন অভাব-অনটনে দিন কাটছে দিশেহারা শংকুর মা দীপালি সমঝদারের ।

১৯৭১ সালের ৩ মার্চ কারফিউ ভেঙে রংপুরেও হরতাল পালিত হয়। সেই অসহযোগ আন্দোলনের মিছিলে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ১২ বছরের শংকু সমঝদারের।

শংকু সমঝদারের মা দীপালি সমঝদার/ছবি: বার্তা২৪.কম

প্রিয় সন্তান শংকু সমঝদারকে ছাড়াই কেটে গেছে বৃদ্ধা মা দীপালি সমঝদারের ৪৯টি বছর। কেউ খোঁজখবর না নিলেও হয়তো এভাবেই কাটবে বাকি দিনগুলো। বর্তমানে রংপুর মহানগরীর জি.এল রায় রোড কামাল কাছনায় সরকারের দেয়া জীর্ণশীর্ণ একটি বাড়িতে বাস করছেন শংকুর মা শতবর্ষী দীপালি সমঝদার। অসুস্থতা আর অনাহারে-অর্ধাহারে তার দিন কাটছে।

স্বাধীনতার দীর্ঘ চল্লিশ বছর পর ২০১১ সালে শংকু সমঝদারের আত্মত্যাগ শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নামের সঙ্গে তালিকাভুক্ত (গেজেটে ক্রমিক নং- ২৯৬১) হলেও আজও মেলেনি কোন সরকারি ভাতা। চিকিৎসার অভাবে বিছানায় পড়ে থাকা অসুস্থ জননী দীপালি সমঝদারের আক্ষেপ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সরকার থেকেও কেন মিলছে না ভাতা।

এ ব্যাপারে বার্তা২৪.কম-কে শহীদ জননী দিপালী সমঝদার বলেন, ‌আমার ছেলের মৃত্যুর খবরে বঙ্গবন্ধু কেঁদেছিলেন। তৎকালীন সময়ে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য সিদ্দিক হোসেনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু আমার হাতে দুই হাজার টাকাও পৌঁছে দিয়েছিলেন। আমার ছেলের আত্মত্যাগকে শেখ সাহেব (শেখ মুজিবুর রহমান) ভুলে যাননি বলেই ৭ই মার্চের ভাষণে রংপুরের কথা বলেছেন।

গেজেটে রয়েছে শংকুর নাম/ছবি: বার্তা২৪.কম

 হুইল চেয়ারে বসে কাঁদতে কাঁদতে শংকুর মা বলেন, আমার খোঁজ হয় শুধু একদিন। বাকি দিন কেউ খোঁজ নেয় না। অনেকের কাছে গেজেটের কাগজ নিয়ে ঘুরেছি, কিন্তু সরকারি ভাতা পাইনি। আমার ছেলে কি শহীদ নয়। আমি প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে চাই।

বর্তমানে শহীদ শংকুর পরিবারের সদস্য বলতে তার মা দিপালী সমঝদার, বড় ভাই কুমারেশ সমঝদার ও তার স্ত্রী কনক লতা এবং ছোট বোন ঝর্না সমঝদার সন্তান-সন্ততি নিয়ে কোনো রকমে দিনাদিপাত করছেন। পরিবারে উপার্জনক্ষম কেউ না থাকায় অসুস্থ দিপালী সমঝদারের চিকিৎসা সেবাও হচ্ছে না ঠিক মতো।

শংকু সমঝদারের জীবনদানের ওই মিছিলে ছিলেন আরেক সাংবাদিক নজরুল মৃধা। তিনি তখন সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র। বার্তা২৪.কম-কে তিনি বলেন, ৩ মার্চে শংকু সমঝদারসহ অন্য শহীদদের আত্মদান রংপুরকে মহীয়ান করেছে। পৃথিবীর সেরা ভাষণগুলোর একটি বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ। সেই ভাষণে শংকুর কারণেই এসেছে রংপুরের নাম।

এদিকে সরকারি ভাতা না প্রদান প্রসঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মোছাদ্দেক হোসেন বাবলু বলেন, শংকু মুক্তিযোদ্ধা নয়। সে মুক্তিযুদ্ধ পূর্ব গণহত্যায় শহীদ হয়েছেন। তারপরও শহীদ পরিবার হিসেবে সরকার জমির বন্দোবস্ত করে দিয়েছে। সরকারি ভাতা না পেলেও বয়স্ক ভাতাসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে।

শংকু সমঝদারের মা দীপালি সমঝদার/ছবি: বার্তা২৪.কম

একাত্তরের ২ মার্চ ঢাকায় এবং ৩ মার্চ সারাদেশে হরতাল ঘোষণা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পাকিস্তানি দখলদারদের শোষণ-শাসন এবং ষড়যন্ত্রের খপ্পর থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে বঙ্গবন্ধুর আহবানে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল রংপুরের মানুষ।

৩ মার্চ রংপুরে ছাত্র-জনতার অংশগ্রহণে বিশাল একটি মিছিল বের হয়। আলমনগর এলাকার অবাঙালি ব্যবসায়ী সরফরাজ খানের বাসার সামনে (বর্তমান দুদক অফিস) যেতেই মিছিলে থাকা কয়েকজন ঐ বাসার দেয়ালে উর্দুতে লেখা একটি সাইনবোর্ড দেখে তা নামিয়ে ফেলতে উদ্যত হন। মিছিলের সম্মুখভাগে থাকা শংকুও ছুটে যায় তাদের সাথে। মিছিলে গুলিবর্ষণ করা হয়। সেখানে গুলিবিদ্ধ হন কৈলাশ রঞ্জন স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র শংকু সমঝদার।

   

পরকীয়ায় আসক্ত স্বামী, স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁর মান্দায় পরকীয়ায় আসক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন রোকেয়া (২০) নামের এক গৃহবধূ।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার প্রসাদপুর ইউপি’র গোটগাড়ি বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য প্রদান করেন, ইনায়েতপুর গ্রামের ভুক্তভোগী গৃহবধূর বাবা রফিকুল ইসলাম, মা নার্গিস বেগম ও জ্যাঠাতো বোন রিমা খাতুন প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে স্ত্রীসহ বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, গত ১ বছর আগে একই উপজেলার পার-এনায়েতপুর গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে ইউসুফ আলীর (২৩) সঙ্গে ২ লাখ ২০ টাকা দেনমোহরে রোকেয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর চাকরির সুবাধে তারা স্বামী-স্ত্রী দু’জনে ঢাকার মোহাম্মদপুরে থাকতো। সেখানে থাকাবস্থায় ভুক্তভোগী রোকেয়ার স্বামী ইউসুফ আলী পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে প্রতিনিয়ত রোকেয়াকে যৌতুকের জন্য শারীরিক এবং মানসিকভাবে নির্যাতন করতো। এক পর্যায়ে ইউসুফ আলী তার চাচাতো ভগ্নীপতি আতিকুর রহমান ও বোন মীমের প্ররোচনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ রোকেয়াকে ব্ল্যাকমেইল করে খুন-জখমের ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বকভাবে ১০০ টাকা মূল্যের দু’টি ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেয় এবং ২ লাখ টাকা দাবি করে। তার দাবিকৃত টাকা পরিশোধ করতে না পারায় গত ৫ মাস পূর্বে তাকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। বর্তমানে সে বাবার বাড়িতেই অবস্থান করছে।

বিষয়টি সমাধানের জন্য একাধিকবার বসার জন্য বলা হলেও তারা কোন কর্ণপাত না করায় প্রতিকার চেয়ে ব্র্যাকের আইন সহায়তা কেন্দ্রে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলেও জানান তারা। এছাড়াও স্ট্যাম্পগুলো উদ্ধার করাসহ পরকীয়ায় আসক্ত জামাইয়ের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন বক্তারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউসুফ আলী বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো মিথ্যা ও বানোয়াট।

;

প্রার্থী অপহরণ, ফেঁসে যাচ্ছেন প্রতিমন্ত্রীর শ্যালক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসনেকে তুলে নিয়ে মারধরের ঘটনার সত্যতা মিলেছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লুৎফুল হাবীব।

ইসির অতিরিক্ত সচিব বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন পেয়েছি। সেখানে ঘটনার সতত্য মিলেছে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে কমিশন সভায় বিষয়টি উত্থাপন করা হবে। কমিশন পর্যালোচনার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

এর আগে, সোমবার (১৪ এপ্রিল) নাটোর জেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ার‌ম্যান প্রার্থী দোলায়ার হোসেনকে একটি কালো গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে তাকে মেরে প্রার্থীর বাড়ির পাশে আহত অবস্থায় ফেলে রেখে যায়।

ভুক্তভোগী প্রার্থীর পরিবার এই ঘটনার জন্য আরেক প্রার্থী লুৎফুল হাবীব ও তার সমর্থকদের দায়ী করেন। দেলোয়ার হোসেন মনোনয়নপত্র দাখিলের আগে লুৎফুল হাবীব ছিলেন একক প্রার্থী।

অপহরণ ও মারধরের ঘটনাটি গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে স্বপ্রণোদিতভাবে বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

;

এক সপ্তাহে বঙ্গবন্ধু টানেলে টোল আদায় ৮১ লাখ টাকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদের ছুটিতে গত এক সপ্তাহে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলে ৩৩ হাজার ৭৭৩টি যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছে ৮০ লাখ ৯৭ হাজার ৭৫০ টাকা। তবে এই যানবাহনের মধ্যে অধিকাংশই পর্যটকবাহী। পর্যটকবাহী এই গাড়িগুলো ঈদের দিন থেকে চলাচল করেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বঙ্গবন্ধু টানেলের সহকারী প্রকৌশলী (টোল ও ট্রাপিক) তানভীর রিফা জানান, ঈদের আগে ও পরে এক সপ্তাহে টানেল দিয়ে যান চলাচল ও টোল আদায়ের তথ্য এটি। এদিকে ঈদযাত্রায় টানেল ব্যবহার নিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন অনেক যাত্রী।

ঢাকা থেকে আসা বাসযাত্রী নাজমুল ইসলাম বলেন, কোনো যানজট ছাড়াই চট্টগ্রামের এক প্রান্ত থেকে মাত্র তিন মিনিটে অন্য প্রান্তে চলে এসেছি, ঢাকা থেকে সাত ঘণ্টার মধ্যে কক্সবাজার পৌঁছে যাব।

আরিফুল ইসলাম নামে আরেক যাত্রী জানান, টানেল হয়ে আনোয়ারা প্রান্তে এসে আবার পটিয়া সড়ক দিয়ে যেতে হয়, এতে ভোগান্তি বেশি। তাই আনোয়ারা থেকে বাঁশখালী-পেকুয়া হয়ে কক্সবাজারের সড়ক হলে ভোগান্তি ছাড়া দ্রুত সময়ে কক্সবাজার টেকনাফে পৌঁছানো সম্ভব হবে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৮ অক্টোবর উদ্বোধন হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা ব্যয়ে এই টানেল উদ্বোধনের পর দৈনিক ১৭ হাজার ২৬০ এবং বছরে ৭৬ লাখ যানবাহন চলাচলের সংবাদ প্রচার করা হয়। এতে বছরে ০.১৬৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি বাড়াতেও সাহায্য করবে বলে সেতু মন্ত্রণালয় জানায়। তবে টানেলের আনোয়ারা প্রান্তে সড়কের কাজ সম্পন্ন না হওয়া এবং টানেল নিয়ে বিকল্প নতুন সড়ক না হওয়ায় যানবাহন চলাচল বাড়ছে না। এতে করে টানেলের কাঙ্খিত আয়ও পূরণ হচ্ছে না বলে জানা যায়।

;

বাংলাদেশে আশ্রয় নিল আরও ১৬ মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
বাংলাদেশে আশ্রয় নিল আরও ১৬ মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী

বাংলাদেশে আশ্রয় নিল আরও ১৬ মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী

  • Font increase
  • Font Decrease

৩৩০ জন বিজিপি সদস্যকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর পর আবারও কয়েক ধাপে নতুন করে ২শ' এর অধিক মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এবং সেনা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘর্ষ বৃদ্ধি পাওয়ায় আবারও তারা বাংলাদেশের আশ্রয় নিতে শুরু করেছে।

এর মধ্যে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) আশ্রয় নিতে বাংলাদেশে প্রবেশ করল মিয়ানমারের ১৬ সীমান্তরক্ষী ও সেনা সদস্য। গত তিন দিনেই ৩২ মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বিজিপি ও সেনা সদস্য অনুপ্রবেশ করেছেন এপারে।

এরমধ্যে টেকনাফের বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে ১৮ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বিজিপি অনুপ্রবেশ করেন। এছাড়া নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে ১৪জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বিজিপি এপারে পালিয়ে আসেন। এসব সদস্যদের নিরস্ত্র করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

টেকনাফ ব্যাটালিয়ন ২ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, আজ সকাল দশটার দিকে ঘুমধুমের রেজু আমতলী সীমান্ত দিয়ে ২ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বিজিপি এপারে পালিয়ে আসেন। বর্তমানে ঘুমধুম বিজিবির হেফাজতে রয়েছে। এছাড়া ভোরে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার আছাড়তলী সীমান্ত দিয়ে ১০ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বিজিপি এপারে অনুপ্রবেশ করেন। পরে টেকনাফের ঝিমংখালী সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে ৪ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বিজিপি পালিয়ে আসেন।

এর আগেও ১৭৭ জন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। তারা সকলেই বিজিবির হেফাজতে রয়েছে।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে চলমান অভ্যন্তরে সংঘাতের জেরে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার সেনা, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য, শুল্ক কর্মকর্তাসহ ৩৩০ জনকে ১৫ দিন পর কক্সবাজারের ইনানী নৌবাহিনীর জেটি ঘাট দিয়ে সাগরপথে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

;