মুজিব বর্ষের অনুষ্ঠানে প্রতি স্তরেই থাকবে বাড়তি নিরাপত্তা
-
-
|
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে নিরাপত্তা সংক্রান্ত উপকমিটির সভা
মুজিব বর্ষের অনুষ্ঠানের প্রতিটি স্তরেই বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বুধবার (০৪ মার্চ) দুপুর দেড়টায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে নিরাপত্তা সংক্রান্ত উপকমিটির সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, মুজিব বর্ষের অনুষ্ঠান হবে পুরনো বিমানবন্দরের প্যারেড স্কয়ারে। অনুষ্ঠান সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে উপকমিটির দ্বিতীয় সভা আজ অনুষ্ঠিত হয়। ১৭ মার্চ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে লক্ষাধিক অতিথি আসবেন। সেদিন ট্রাফিক রুট কি হবে পরে তা জানিয়ে দেয়া হবে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের প্রধান, দেশী বিদেশি অতিথি, কূটনৈতিকদের আসনগ্রহণসহ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। আমাদের দেশের ভিআইপিদের জন্যও সে ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। প্রতি স্তরে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। ফায়ার সার্ভিস, মেডিকেল টিম সব সময় প্রস্তুত থাকবে। সারাদেশব্যাপী সিটি করপোরেশন, বিভাগীয়, জেলা, উপজেলার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। নিরাপত্তার উপকমিটি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলো যখনই প্রয়োজন হবে সভা করবেন। নাশকতার প্রতিরোধ ও স্যোশাল মিডিয়ার গুজবকারীদের দিকে নজর থাকবে। এমন কিছু পেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিকাল ৩টা ১৫ মিনিটের মধ্যে অনুষ্ঠানস্থলের সব গেট বন্ধ হয়ে যাবে। সেদিন সকাল ১১ টার মধ্যে ঢাকার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠান শেষ করবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে অনুরোধ জানানো হবে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদের বিষয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন। সেটাই আমাদের বক্তব্য। নতুন করে আমাদের কিছু বলার নেই। কোন ব্যক্তি কি বলল বা কি করল সেটি দেখার বিষয় না। ভারত মুক্তিযুদ্ধে যে সাপোর্ট আমাদের দিয়েছে, সেটি সবসময় স্মরণ করি। আমরা মনে করি তিনি আসবেন। আমরা চলব আমাদের মতো করে। আমরা অসাম্প্রদায়িক দেশ। সেভাবেই আমরা চলব। এখন পর্যন্ত নাশকতার কোন আশঙ্কা পাইনি। গোয়েন্দা সংস্থাও এমন কিছু জানায়নি। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীকে কেন্দ্র করে কোন নাশকতা হবে সেটি আমরা ভাবতেই পারি না।
করোনাভাইরাসের কারণে কোন রেস্ট্রিকশন থাকবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত কোন রেস্ট্রিকশন বা নিষেধাজ্ঞা জারি করি নি। আমন্ত্রিতরা সবাই আসবেন বলে মনে করছি। করোনা নিয়ে কোন জটিলতা হলে আপনারা দেখবেন। আর এই অনুষ্ঠানের নিরাপত্তায় যত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য প্রয়োজন তাই আমরা রাখব। ১০ হাজার লাগলে তাই থাকবে, বেশি লাগলে বেশি থাকবে। আমরা কোন অনিশ্চয়তায় রাখব না।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির মুখ্য সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে মুক্তিযুদ্ধে যারা অংশ নিয়েছেন, বিভিন্ন দেশের সাংবাদিকসহ যারা আসবেন তাদের বিষয়ে কাজ চলছে। কিছু দিনের মধ্যে চূড়ান্তভাবে কারা আসছে জানাতে পারব। তবে কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান আসবে। তাদের সকল নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। এটি বড় আকারের প্রোগ্রাম। এখানে কালচারাল প্রোগ্রামে হাজার খানেক পারফর্মার থাকবে। বিশাল আয়োজনে বিপুল সংখ্যক অতিথি আসবে, দর্শকরা থাকবে সে নিরাপত্তার বিষয়টি আমাদের দেখতে হবে।
বিএনপিকে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি একটি রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিশ্বাসী সবাই এতে অংশ নেবেন বলে আশা করছি।
এ সময় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
