মান্ডা খাল এখন শুধুই স্মৃতি



আকরাম হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানী ঢাকার এক সময়ের ঐতিহ্য ছিল খাল। ৫০টির অধিক খাল শহরজুড়ে জালের মত ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। এসব খালের সংযোগ ছিলো চারপাশের নদীতে। বৃষ্টি হলে শহরের পানি গিয়ে পড়ত খালে, খাল হয়ে পানি চলে যেত নদীতে। সঙ্গে সঙ্গে পরিষ্কার হয়ে যেতো শহরের ময়লা-আবর্জনা।

কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় ভরাট, দখল আর দূষণে মৃতপ্রায় এসব খাল। যে খালগুলো এখনো বেঁচে আছে সেগুলোও দিন দিন অরক্ষিত হয়ে পড়ছে। রাজধানীর খাল নিয়ে বার্তা২৪.কমের ধারাবাহিক প্রতিবেদনে আজ থাকছে মান্ডা খাল

খালে ফেলা হচ্ছে আবর্জনা/ছবি:বার্তা২৪.কম

এক সময়ের খরস্রোতা মান্ডা খাল দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করত মালবোঝাই ট্রলার। খালে রাত জেগে মাছ ধরতেন জেলেরা। খালপাড়ের মানুষের যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম ছিল নৌকা। খাল ধরে মালবাহী ট্রলার বালু নদী হয়ে যেত শীতলক্ষ্যা নদীতে। শীতলক্ষ্যা দিয়ে ট্রলারগুলো দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যেত। পূর্ব ঢাকার পানি নিষ্কাশনেও খালগুলোর ছিল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। এক সময়ের খরস্রোতা মান্ডা খাল এখন শুধুই স্মৃতি। বার্তা২৪.কমের কাছে আক্ষেপ করে বলছিলেন খালপাড়ের বাসিন্দা রুহুল আমিন।

কর্তৃপক্ষের অবহেলা, দখল, দূষণ, এলাকাবাসীর অসচেতনতা, সরকারি-বেসরকারি নানা অবকাঠামো নির্মাণে অস্তিত্ব হারাতে বসেছে মান্ডা খাল। দূষণের ফলে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে আশেপাশের এলাকায়। এ খাল থেকে মশা-মাছির উৎপাত ও নানা রোগের জীবাণু ছড়িয়ে পড়ছে। খালে ডুবে মাঝে মধ্যে প্রাণহানির মতো ঘটনাও ঘটে।

আবর্জনায় খালে পানি দেখা যায় না/ছবি: বার্তা২৪.কম

মান্ডা খালটি মতিঝিল, বাংলাদেশ ব্যাংক, টিটি-পাড়া, মুগদা, মানিকনগর, মান্ডা, নন্দীপাড়া ও ত্রিমোহনী এলাকা হয়ে বালু নদীতে পড়েছে। বালু নদী থেকে গিয়ে পড়েছে শীতলক্ষ্যায়। বিভিন্ন জায়গায় এই খালের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কদমতলী খাল, বাসাবো খাল, জিরানি খাল, নন্দীপাড়া খাল। ঢাকা জেলা প্রশাসকের দেয়া তথ্য মতে, মান্ডা খালের দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ৮৪ কিলোমিটার আর প্রস্থ ৩০ থেকে ৮০ ফুট।

সরজমিনে দেখা যায়, ভরাট ও দখলের কবলে বিভিন্ন জায়গা খালের প্রস্থ কমে গেছে। কোথাও কোথাও খালের প্রস্থ ১০ থেকে ১২ ফুটে নেমে এসেছে। কোথাও ময়লা জমতে জমতে ভরাট হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে খালটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না করায় খালের বিভিন্ন অংশে কচুরিপানা, শ্যাওলাসহ ময়লা-আবর্জনার স্তূপ জমে রাস্তা হয়ে গেছে। নিচে পানির প্রবাহ, উপরে ময়লার স্তূপ পরেছে। ময়লার স্তূপের উপর দিয়ে শিশুরা ঘুরে-বেড়াচ্ছে। কুকুর হাঁটাহাঁটি করছে। খালটিকে একটি ডাস্টবিন মনে হয়। হঠাৎ করে দেখলে কেউ বুঝতেই পারবে না এটা একটা খাল। পানিতে বাড়ছে দুর্গন্ধ। বাড়ছে মশা-মাছি উৎপাত। ফলে এলাকার পরিবেশ দূষিত হয়ে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

খালের আবর্জনার স্তুপে খেলছে শিশুরা/ছবি: বার্তা২৪.কম

খালের একপাশে বাঁধ দিয়ে রাস্তা বানানো হয়েছে। অপর পাশের বিভিন্ন অংশ দখল করে গড়ে উঠেছে রিকশা গ্যারেজ, কাঁচাপাকা ঘরসহ নানা স্থাপনা। নতুন নতুন ভবন নির্মাণ করতে দেখা গেছে। তাছাড়া এলাকাবাসীও অসচেতন। খালের দুই পাশের বাসিন্দাদের দৈনন্দিন গৃহস্থালির আবর্জনাসহ যাবতীয় পরিত্যক্ত আসবাবপত্র এই খালে নিক্ষেপ করা হয়।

বিল্লাল নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, এই খাল শীতলক্ষ্যা নদীতে মিশেছে। এক সময় এই খাল দিয়ে বড় বড় নৌকা চলাচল করত। দয়াগঞ্জ, জিঞ্জিরা হয়ে বড় বড় নৌকা শীতলক্ষ্যা নদীতে চলে যেত। আমরা এই খাল দিয়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা যেতাম, মাছ ধরেছি। পানির কলকল শব্দ হত। সেগুলো এখন বললে মানুষ হাসবে। চোখের সামনে এই খালটা মরে গেলো।

কোথাও কোথাও খালের প্রস্থ দেড়-দুই ফুট/ছবি: বার্তা২৪.কম

এলাকাবাসীর অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে খালটি নর্দমায় পরিণত হয়েছে। গত বছর পরিষ্কার করা হলেও তারপর থেকে আর পরিষ্কার হয়নি। এ কারণে ময়লা জমে জমে ভরাট হতে বসেছে। আর এই ময়লা-আবর্জনার কারণে শিশুরা পানিতে পড়লে তাদের জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয় না। মাঝে মাঝে প্রাণহানিরও ঘটনা ঘটছে এই মান্ডা খালে।

নদী ও পানি বিষয়ক নাগরিক সংগঠন ‘রিভারাইন পিপল’-এর মহাসচিব শেখ রোকন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ঢাকা শহরে এক সময় ৫০টির মত খাল ছিল। একটার সঙ্গে আরেকটা খালের সংযোগ ছিল। এখন ২৬টির মত খাল আছে। ঢাকা শহরের চারপাশে তুরাগ, বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, বালু নদী। এ ছাড়াও শহরের মধ্যে আরও চার থেকে পাঁচটি নদী ছিল। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নড়াই নদী, সোনাভান নদী, দোলাই নদী ও পাণ্ডু নদী।

দখল করা হয়েছে খাল/ছবি: বার্তা২৪.কম

শহরের খালগুলো বিলুপ্তির পেছনে দুটি কারণ আছে। প্রথমত, ঢাকার নদীগুলো মেরে ফেলা হয়েছে। নদীর সঙ্গে সংযোগ না থাকায় খালগুলো দুর্বল হয়ে পড়ে। ধীরে ধীরে খালের বিলুপ্তি ঘটছে। দ্বিতীয়ত, উন্নয়নের নামে নানা জায়গায় স্লুইসগেট দেয়া হয়েছে, বক্স কালভার্ট করা হয়েছে। তথাকথিত উন্নয়নের নামে খালগুলোকে বদ্ধ করা হয়েছে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা২৪.কম-কে বলেন, সিটি করপোরেশনের নিজের কোনো খাল নেই। হাজারীবাগ খাল ওয়াসা’র অধীনে। খালের ময়লা মাঝে মাঝে পরিষ্কার করা হয়। মানুষজন আবার ময়লা ফেলে।

   

প্রয়োজন না হলে ঘরের বাইরে নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন

  • Font increase
  • Font Decrease

শিশু ও বয়স্কদের প্রয়োজন না হলে ঘরের বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে সাভারে সিআরপি নার্সিং কলেজের এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আমি শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি, আমরা আরও এক সপ্তাহ স্কুলগুলো বন্ধ রাখার কথা বলেছি। আমাদের কিছু নির্দেশনা আছে, স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে সেগুলো সব জায়গায় দেওয়া হবে। যারা বয়স্ক ও শিশু তারা যেন প্রয়োজন না থাকলে ঘরের বাইরে না যায়।

স্বাস্থ্যখাতে কি কি চ্যালেঞ্জ রয়েছে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথম চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সাধারণ মানুষের কাছে চিকিৎসা ব্যবস্থা পৌঁছে দেওয়া। প্রত্যেকটা হেলথ কমপ্লেক্সকে, কমিউনিটি ক্লিনিককে উন্নত করতে হবে, যেন সাধারণ মানুষ গ্রামেই চিকিৎসা পায়।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সিআরপি প্রতিষ্ঠাতা ড. ভ্যালেরি টেইলর, সিআরপির নির্বাহী পরিচালক ড. মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

;

জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষর নকল করে ‘জাল সনদ’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ’অবিবাহিত সনদ’ তৈরি করে সেই সনদের মেয়াদ বৃদ্ধি করতে গিয়ে আটক হয়েছেন এক যুবক। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে তাকে জেলা প্রশাসনের কার্যালয় থেকে আটক করা হয়।

আটককৃত ওই ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ আকতার (৪৯)। সে সন্দ্বীপ উপজেলার মাইটভাঙ্গা গ্রামের শহিদুল্লাহ সর্দ্দারের ছেলে। বর্তমানে সে হালিশহর থানার আই ব্লকে ভাড়ায় থাকছে।

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে সাড়ে ১২টার দিকে জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে গিয়ে স্টাফ অফিসার, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. আল আমিন হোসেনের কাছে জনৈক মো. কামারুল হাসানের ‘অবিবাহিত সনদ’ এর মেয়াদ বৃদ্ধি করার জন্য আবেদন করে অভিযুক্ত আকতার। 

এরপর শনাক্ত হয় যে, ওই সনদটি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের স্বাক্ষর নকল করে তৈরি। প্রতারণার উদ্দেশ্যে সেটির মেয়াদ বৃদ্ধির চেষ্টা করা হয়।

কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম ওবায়েদুল হক বলেন, আসামির বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

 



;

৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কয়েকদিন ধরে চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে। ভরা গ্রীষ্মের বৈশাখের তাপমাত্রার পারদ দিন দিন ঊর্ধ্বগামী হচ্ছে। এবার তীব্র তাপদাহ থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে এ জেলায়।

শনিবার (২০ এপ্রিল) বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৮ শতাংশ।

গত বছর এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

স্থানীয় আবহাওয়া অফিস বলছে, বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত এ তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। এদিকে, তীর্যক সূর্যের কড়া রোদের তেজে ঝলসে যাচ্ছে চারদিক। গনগনে রোদের আগুনে পুড়ে যাচ্ছে প্রাণ ও প্রকৃতি। টানা খরতাপে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাও ছন্দপতন ঘটছে।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, ঈদের পরদিন ১২ এপ্রিল থেকেই চুয়াডাঙ্গা জেলায় তাপপ্রবাহ শুরু হয়। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিনই তাপমাত্রা বেড়ে চলতি মৌসুমের রেকর্ড ভাঙছে। আজ শনিবার দুপুর ১২টায় চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ১৮ শতাংশ। বেলা তিনটায় তাপমাত্রা আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৮ শতাংশ। যা অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।

গত শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বুধবার (১৭ এপ্রিল) ৪০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, টানা তীব্র তাপপ্রবাহের পর এবার তাপমাত্রা আরও বেড়ে অতি তীব্র তাপদাহ শুরু হয়েছে। আজ বেলা তিনটায় চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। বৃষ্টি না হওয়ায় এ তাপপ্রবাহ চলছে। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা অনেকটাই হ্রাস পাবে। তাছাড়া মার্চ-এপ্রিল মাসে এমনিতেই এ জেলার গড় তাপমাত্রা অনেক বেশি থাকে। আপাতত বৃষ্টির কোনো পূর্বাভাস নেই। তবে কালবৈশাখী ঝড় হলে তার সঙ্গে বৃষ্টি হতে পারে। যা আগে থেকে বলা সম্ভব নয়।

টানা তাপদাহের ফলে স্থবির হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের জনপদ। সাধারণ মানুষ খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বাইরে বের হচ্ছেন না। সড়ক-মহাসড়কে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় যান চলাচল অনেক কম। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এক প্রকার জনমানব শূন্য হয়ে পড়ছে সড়কগুলো। এছাড়া এই বৈরি আবহাওয়ায় কৃষির ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়ছে। জমিতে পানি সেচের বাড়তি খরচ মেটাতে গিয়ে কৃষকের নাভিশ্বাস অবস্থা।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মাখালডাঙ্গা ইউনিয়নের কৃষক আজিবর রহমান জানান, তীব্র তাপদাহে ধানের জমি শুকিয়ে ফাটল দেখা দিয়েছে। ধানগাছও কড়া রোদে শুকিয়ে যাচ্ছে। জমিতে পানি ধরে রাখতে প্রতিদিনই শ্যালোমেশিন দিয়ে সেচ দিতে হচ্ছে। এতে আমাদের মোটা অংকের টাকা গুনতে হচ্ছে। মনে হচ্ছে, এ বছর লোকসানের মুখে পড়তে হবে।

জীবননগর উপজেলার পোল্ট্রি খামারি আব্দুস সালাম জানান, এই গরমে প্রতিদিনই হিট স্ট্রোকে মুরগি মারা যাচ্ছে। ফ্যান চালু রেখেও তেমন ভালো ফল পাওয়া যাচ্ছে না। এরকম অবস্থা চলতে থাকলে আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হতে হবে।

;

রাইদা পরিবহনের ঘাতক বাসচালক গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বিমানবন্দর সংলগ্ন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বেপরোয়া গতিতে চলমান রাইদা পরিবহনের বাসের চাপায় পিষ্ট হয়ে সিভিল অ্যাভিয়েশনের ইঞ্জিনিয়ার মাইদুল ইসলামের নির্মম মৃত্যুর ঘটনায় ঘাতক বাসচালক হাসানকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে বরিশালের হিজলা উপজেলা র‍্যাব-১ ও র‍্যাব-৮ এর যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সিনিয়র সহকারী পরিচালক ইমরান খান।

তিনি বলেন, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে রাইদা পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তৃতীয় টার্মিনালের নিরাপত্তা বাউন্ডারি ভেঙে ঢুকে যায়। এসময় রাস্তা দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন সিভিল অ্যাভিয়েশনের সিনিয়র সাব অ্যাসিস্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মাইদুল ইসলাম। তার মোটরসাইকেলটি রাইদা পরিবহনের বাসটির নিচে চলে যায়। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পরপরই ঘাতক বাসের চালক ও তার সহকারী পলিয়ে যায়।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে রাজধানীর উত্তরায় র‌্যাব-১ এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে। শনিবার বিকেল পাঁচটায় সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানাবেন র‌্যাব-১ উপ-অধিনায়ক।

;