বাংলাদেশের জাল পাসপোর্টে সৌদিতে ভারতের ‘জঙ্গি’ হাফিজ!



হাসান আদিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী নগরীর বাসিন্দা পরিচয়ে জাল পাসপোর্ট নেওয়া ভারতীয় নাগরিক হাফিজ আহমেদ-এর প্রকৃত পরিচয় উদঘাটনে এখন হন্যে হয়ে ঘুরছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ‘হাফিজ আহমেদ’ নামে রাজশাহী বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস থেকে পাসপোর্ট করে বাংলাদেশি সেজে দুই বছর আগে সৌদি পাড়ি দেন তিনি।

ভারতের বিভিন্ন থানায় দায়েরকৃত একাধিক চাঞ্চল্যকর মামলার আসামি তিনি। তবে তার আসল নাম কী বা ভারতে ঠিক কী ধরনের মামলার আসামি ছিলেন তা প্রকাশ করছে না বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে গোয়েন্দা সূত্র ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভারতের একটি সংস্থা হাফিজকে দুর্ধর্ষ আসামি হিসেবে উল্লেখ করেছে।

ভারতীয় সংস্থা পরিষ্কার করে না জানালেও এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেটুকু তথ্য পেয়েছে, তাতে হাফিজ নামধারী ব্যক্তি জঙ্গি কার্যক্রমে যুক্ত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তাকে শীর্ষ মাদক কারবারি হিসেবেও কাজ করার কিছু ক্লু পেয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও দুদকের কর্মকর্তারা সবকিছুর আগে দুটি বিষয়ে নিশ্চিত হতে চাইছেন। প্রথমত হাফিজ আহমেদ নামে জাল পাসপোর্ট করা ওই ব্যক্তির আসল নাম ও পরিচয়। দ্বিতীয়ত- রাজশাহীতে অবস্থানকালে এবং ঢাকায় গিয়ে সৌদি পাড়ি দেওয়ার আগ পর্যন্ত কাদের সহযোগিতা নিয়েছেন তিনি। সেই তথ্যের সন্ধানে ঢাকা-রাজশাহীর কর্মকর্তারা এখন তৎপর।

জানা গেছে, জাল পাসপোর্ট বানাতে সহায়তাকারীদের নামে এরইমধ্যে মামলা দায়ের করেছে দুদক। পাসপোর্টটি রাজশাহী বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস থেকে সম্পন্ন এবং রিলিজ হওয়ায় মামলাটি দুদকের রাজশাহী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে দায়ের করা হয়। তবে তা তদন্ত করছেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশিদ।

তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘হাফিজ আহমেদ পরিচয়ধারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভারতে দুই থেকে তিনটি মামলা রয়েছে। মামলাগুলো নাশকতা ঘটানোর চেষ্টা অর্থাৎ জঙ্গি কার্যক্রম কিংবা মাদকসংশ্লিষ্ট। দুটি বিষয়েই ওই ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারেন। সেটা এখনও আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেটি উদঘাটনে কাজ করছে।’

দুদক কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ বলেন, ‘তার প্রকৃত নাম কী, তিনি রাজশাহীতে এসে কার আশ্রয়ে ছিলেন বা কারা তাকে সহযোগিতা করেছিল সেটা এখনো জানা যায়নি। বিষয়টি নিয়ে গুরুত্বসহকারে কাজ করা হচ্ছে। দ্রুত রহস্য উদঘাটন সম্ভব হবে বলে আশা করি।’

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর রাজশাহীর দুইজন শীর্ষ কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানা যায়, ২০১৯ সালের জুলাইয়ে ভারতীয় নাগরিককে জাল পাসপোর্ট দেয়ার বিষয়টি নিয়ে তথ্য পাওয়া যায়। জাল পাসপোর্ট ইস্যু করাতে সহায়তা করার ক্ষেত্রে মূল সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে সেসময়ে তিনি কোনোভাবে মুখ খুলছিলেন না। ফলে বিষয়টি নিয়ে খুব বেশি এগোনো সম্ভব হয়নি। পরে ওই ব্যক্তি সম্পর্কে ভারতীয় সংস্থার কাছে জানতে চাওয়া হয়। ধাপে ধাপে কিছু তথ্য মেলে। সেগুলো নিয়ে এখনও তদন্ত কাজ করছে বিভিন্ন সংস্থা।

 রঞ্জুলাল সরকার ও আবজাউল আলম

 

দুদক’র মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৬ জন রাজশাহী বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেন ভারতীয় নাগরিক হাফিজ আহমেদ। আবেদনে নিজেকে রাজশাহীর ছোটবন গ্রামের বাসিন্দা বলে উল্লেখ করেন তিনি। মিথ্যা তথ্য ব্যবহার করেই সম্পন্ন হয় প্রি-এনরোলমেন্ট। পরে এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে সেই আবেদনটি নিজ জিম্মায় রাখেন পাসপোর্ট অফিসের কর্মচারী রঞ্জুলাল সরকার।

বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পন্ন করে ওই বছরের ১২ জুলাই পুলিশ প্রতিবেদনের জন্য অন্য ৪৩টি পাসপোর্ট আবেদনের সঙ্গে হাফিজ আহমেদেরও প্রয়োজনীয় তথ্যও পাঠানো হয় রাজশাহী মহানগর পুলিশের বিশেষ শাখায়। পরে ৩১ জুলাই পুলিশের পক্ষ থেকে হাফিজ আহমেদকে ভারতীয় নাগরিক বলে প্রতিবেদন পাঠানো হয় পাসপোর্ট অফিসে।

কিন্তু পুলিশের ওই প্রতিবেদনের তথ্য গোপন করে ফেলেন পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ফলে ওই বছরের ১৬ আগস্ট পাসপোর্টটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে অনুমোদনের জন্য মডিউলে চলে যায়। এরপর একই বছরের ৩০ আগস্ট পাসপোর্টটির চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। ৭ সেপ্টেম্বর পাসপোর্টটি গ্রহণ করেন হাফিজ আহমেদ। পাসপোর্ট রিলিজের পরপরই হাফিজের সকল আবেদন ও নথিপত্র পাসপোর্ট অফিস থেকে গায়েব করে ফেলেন কর্মচারী-কর্মকর্তারা।

আর পাসপোর্ট পেয়েই ভিসা আবেদন করেন হাফিজ আহমেদ। তা হাতে পাওয়ার পর ২০১৮ সালের ২৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ বিমানের বিজি-০০৩৫ ফ্লাইটযোগে সৌদি আরবের উদ্দেশে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন। এরপর তার আর কোনো খোঁজ মেলেনি।

সম্প্রতি ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার দেওয়া এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে গোপনে ব্যাপক তৎপরতা শুরু করে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও। তবে হাফিজ আহমেদ ও তার বাংলাদেশে থাকা কোনো ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিকে এখনও চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। তবে ঠিকই ধরা পড়েছেন জালিয়াতি করে পাসপোর্ট দেয়া রাজশাহী বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের ৭ কর্মকর্তা-কর্মচারী।

তাদের বিরুদ্ধে দুদকের রাজশাহী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার আসামিরা হলেন- রাজশাহী বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের তৎকালীন সহকারী পরিচালক আবজাউল আলম, রাজশাহী পাসপোর্ট অফিসের কর্মচারী রঞ্জুলাল সরকার, হুমায়ুন কবির, দেলোয়ার হোসেন, আলমাস উদ্দিন, ইব্রাহিম হোসেন, আবদুল ওয়াদুদ এবং ভারতীয় নাগরিক হাফিজ আহমেদ।

এর মধ্যে আবজাউল আলম বর্তমানে বগুড়া পাসপোর্ট অফিসে একই পদে কর্মরত। তবে যে বছর আবজাউল আলম ভারতীয় নাগরিককে জেনেশুনে জাল পাসপোর্ট দেন, সেই ২০১৭ সালে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর তাকে শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তার অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে। পাসপোর্ট কার্যালয় দালালমুক্ত করে সেবাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি, সেবা সহজীকরণ, নতুন উদ্ভাবনী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, দক্ষ অফিস ব্যবস্থাপনার জন্যই তাকে পুরস্কৃত করা হয়।

   

নওগাঁয় চুরি হওয়া স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার, গ্রেফতার ৩



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
নওগাঁয় চুরি হওয়া স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার, গ্রেফতার ৩

নওগাঁয় চুরি হওয়া স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার, গ্রেফতার ৩

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁ সদর উপজেলার পুরাতন কাঠহাটি এলাকা থেকে জানালার লোহার গ্রিল কেটে চুরি হয়ে যাওয়া স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করেছে নওগাঁ সদর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে থানা পুলিশের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এর আগে, এদিন সকালে শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সদর উপজেলার সরল শিকারপুর গ্রামের মৃত খোকা মন্ডলের ছেলে শামীম হৃদয় (২৪), নিরব সাজেদুর (২৭) ও আরজি নওগাঁ মধ্যপাড়ার কালু বাবুর ছেলে সরল হোসেন (২০)।

জানা যায়, গত ১৫ এপ্রিল সন্ধ্যায় পুরাতন কাঠহাটি এলাকায় মাহবুবুর রহমানের বাড়িতে জানালার লোহার গ্রিল কেটে চোরের দল ঘরে ঢুকে এক জোড়া স্বর্ণের ঝুমকা, একটি স্বর্ণের কণ্ঠমালা, এক জোড়া স্বর্ণের পাশা এবং এক জোড়া ব্রোঞ্জ ও স্বর্ণের সমন্বয়ে নক্সা মুখবালা চুরি করে নিয়ে যায়। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। ঘটনার পর পুলিশের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাগণ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এরপর পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হকের দিক নির্দেশনায় নওগাঁ সদর থানা-পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত শুরু করে। এক পর্যায়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত থাকায় শামীম, সাজেদুর ও সরল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয় এবং তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া সকল স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়।

;

সূর্যের প্রখরতায় জনজীবনে অস্বস্তি, ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈশাখের শুরু থেকেই সারাদেশে সূর্যের প্রখরতা বাড়ছে। সূর্য উদয় থেকেই তেজদীপ্ততা শুরু হয়, সেই থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত তীব্র তাপদাহে নাভিশ্বাস হয়ে উঠছে জনজীবন। শুধু তাই নয় রাতেও ভ্যাপসা গরমে হাঁপিয়ে উঠছে মানুষ। এতে জনজীবনে বাড়ছে অস্বস্তি। দেশের এমন পরিস্থিতি আগামী তিন দিনের জন্য সতর্কতামূলক হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক এ সতর্কবার্তা জানিয়েছেন।

তিনি জানান, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপ প্রবাহ আজ (১৯ এপ্রিল) থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে।

এদিকে বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং দিনাজপুর, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলাসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা বাড়লেও রাতে অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে।

এদিকে আজ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। বেলা তিনটায় এ জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৭ শতাংশ। বৃষ্টি না হওয়ায় এ তাপপ্রবাহ চলছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।

 

;

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বিজিপির আরও ১১ সদস্য বাংলাদেশে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

২৪ ঘণ্টা না পেরোতে আবারো ১১ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি সদস্য আশ্রয় নিয়েছেন বাংলাদেশে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের মধ্যে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় তারা। এ নিয়ে বর্তমানে ২৮৫ জন মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এবং সীমান্তরক্ষী বিজিবি সদস্য আশ্রয় গ্রহণ করে বাংলাদেশে অবস্থান গ্রহণ করছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) নতুন করে টেকনাফের জীম্বংখালী সীমান্ত দিয়ে ৩ জন এবং হাতিমারাঝিরি ৮ জন বিজিপি সদস্য আশ্রয় গ্রহণ করেন। 

এর আগে গতকাল রাতে টেকনাফের নাফ নদী পার হয়ে কোস্ট গার্ডের কাছে ১৩ জন বিজিপি সদস্য আত্মসমর্পণ করে। পরে কোস্টগার্ড বিজিপি সদস্যদেরকে বিজিবি'র নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নে (১১ বিজিবি) হস্তান্তর করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবির গণসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম।

তিনি বলেন, গতকাল ১৩ জন এবং আজকে ১১ জন বিজিপি সদস্য টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। এখন পর্যন্ত সর্বমোট ২৮৫ জন বাংলাদেশে অবস্থান করছে। তারা সবাই বিজিবি হেফাজতে আছে।   

;

ডেঙ্গুতে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১৩ জন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ১৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন। তবে এসময় কোনও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। এ নিয়ে চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ৯৫২ জন।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গু বিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের (সিটি করপোরেশনের বাইরে) চার জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে সাতজন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে দুই জন রয়েছেন।

২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে মোট সাতজন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন, চলতি বছরে মোট এক হাজার ৮২৬ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন।

চলতি বছরের এ যাবত ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ২৪ জন। মৃতদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ এবং জন ১৩ জন নারী।

২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়, পাশাপাশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মোট তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।

;