স্কুটি দুর্ঘটনায় নিহত দুই নারীর পেশা এখনো রহস্য ঘেরা!



শাহরিয়ার হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
স্কুটি দুর্ঘটনায় নিহত দুই নারীর পেশা এখনো রহস্যঘেরা!

স্কুটি দুর্ঘটনায় নিহত দুই নারীর পেশা এখনো রহস্যঘেরা!

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বনানীর চেয়ারম্যানবাড়ি এলাকায় মধ্যরাতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দুই নারীর পরিচয় পাওয়া গেলেও এখনও তাদের পেশা নিয়ে অন্ধকারে রয়েছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, তবে এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে তাদের স্কুটিতে যে প্রেস লেখা ছিল এবং পার্ল ইন্টারন্যাশনালের আইডি কার্ড পাওয়া গিয়েছিল তা ভুয়া। তাহলে কী ছিল তাদের সঠিক পেশা আর কেনই বা ওই দিন মধ্যরাতে বের হয়ে হয়েছিলেন তা জানা যায়নি। সে তদন্ত এখনো চলছে।

মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই আফজাল হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত তাদের সঠিক পেশা সম্পর্কে জানতে পারিনি। এমনকি নিহত ওই দুই নারী সৈয়দা কচি ও সোনিয়া আক্তার কী কাজ করতেন তা তার পরিবারও জানত না। যেহেতু তাদের কাছে প্রেসেরসহ দুইটি ভুয়া আইডি কার্ড পাওয়া গেছে, তাই তদন্তে তাদের পেশার ওপর আমরা জোর দেই।

প্রাথমিকভাবে, আমরা ধারণা করছি অসামাজিক কার্যক্রমের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে। এমন কিছু তথ্য আমরা পেরেছি। তদন্ত সেদিকেই চলছে। তবে সেটাও যে শতভাগ নিশ্চিত তাও নয়।

তদন্তকারি কর্মকর্তা আফজাল আরও বলেন, ওই দিন রাতে তারা উত্তরার দিক থেকে এসেছিলেন। আমরা সেতু ভবনের ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। সেখানে তাদের কোন কিছু পাওয়া যায়নি। কারণ ওই দিন ক্যামেরাগুলো বন্ধ ছিল। পরে মূল সড়ক ধরে একাধিক ফুটেজ সংগ্রহ করে তাদের খুঁজে পাই। ফুটেজ বিশ্লেষণ করে যেটা মনে হয়েছে এটা নিতান্তই একটা দুর্ঘটনা ছিল।

দুর্ঘটনাস্থলে আমরা সোনিয়ার মোবাইল ফোন পাই, মোবাইলের কল লিস্ট বিশ্লেষণ করতে থাকি। অধিকাংশ ফোন এসেছে বা করা হয়েছে মিরপুর আর কল্যাণপুর থেকে। দুইটা অনাকাঙ্ক্ষিত নম্বর পেয়েছি। তারা কিছু তথ্য আমাদের দিয়েছেন। সে তথ্যগুলো কতটুকু সত্য তা যাচাই বাছাই চলছে। ভোলা সদর উপজেলার মাছভেদুরিয়া গ্রাম থেকে সোনিয়ার মা মর্গে এসেছিলেন। তার কাছে মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়ার সময় মোবাইল ফোনটিও তার হাতে দেওয়া হয়েছে।

পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরের পালটিলার কচির মরদেহ বুঝে দেওয়া হয়েছে তার মামার কাছে। কেননা তার বাবা-মা কেউ নেই। তার মামা নুরুল আমিন ভূঁইয়া পুলিশকে জানান, কচি উত্তরায় পার্ল ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মী ছিলেন। কল্যাণপুরের একটি বাসায় এক রুমে ভাড়া থাকতেন তিনি। নিজের স্কুটারে চলাফেরা করতেন। আমরা তদন্তের স্বার্থে তার সঙ্গেও একাধিক বার কথা বলেছি। কিন্তু পার্ল ইন্টারন্যাশনাল বলছে, প্রায় ১ বছর আগে চাকরি ছেড়ে দেন কচি। আর সোনিয়াও সাংবাদিক না। 

এসআই আফজাল হোসেন বলেন, তারা দুইজন খুব ভাল বন্ধু ছিলেন। সব সময় একজন অন্য জনের সঙ্গে চলাফেরা করতেন ওই স্কুটি দিয়ে। স্কুটির মালিকানা নিশ্চিত হওয়ার ব্যাপারে কাজ করা হচ্ছে। বিআরটিএ-তে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা মেট্রো-হ-২৪-৪২৮৩ নম্বরের বাহনটি রানার অটোমোবাইল কোম্পানির নামেই রেজিস্ট্রেশন করা ছিল। সব কিছুর তদন্ত চলছে। শেষ হলেই সব পরিষ্কার হবে।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আজম মিয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, প্রাথমিক আলামত দেখে ভারি যানবাহন স্কুটিকে ধাক্কা দেওয়ায় দুই নারীর মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে। আর তাদের পেশা, চলাফেরা নিয়ে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে সেগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাত পৌনে একটার দিকে মহাখালী সেতু ভবনের সামনের সড়কে দুই নারীকে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় পথচারীরা। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিলে দুজনকেই মৃত ঘোষণা করে কর্তব্যরত চিকিৎসক।

   

দুই সেরা বলীই খেলছেন না জব্বারের বলীখেলায়



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
দুই সেরা বলীই খেলছেন না জব্বারের বলীখেলায়

দুই সেরা বলীই খেলছেন না জব্বারের বলীখেলায়

  • Font increase
  • Font Decrease

আবদুল জব্বারের বলীখেলা মানেই একটা সময় ছিল দিদার বলীর দাপট। বছরের পর বছর ধরে রামুর এই বলী এই ঐতিহাসিক বলীখেলায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। তবে তিনি এখন অতীতের পাতায়। এরপর থেকে তাঁর জায়গাটা নেন চকরিয়ার তরিকুল ইসলাম ওরফে জীবন বলী ও কুমিল্লার শাহজালাল বলী। টানা তিন বছর ধরে এই দুজন শিরোপা ভাগাভাগি করে আসছেন। কিন্তু এই দুই সেরা বলীই কিনা এবার খেলছেন না।

অথচ জীবন ও শাহজালাল-দুজনেই বলীখেলায় অংশ নিতে নিবন্ধনও করেছিলেন। শুরু থেকে ছিলেন লালদীঘি মাঠেও। কিন্তু শেষ মুহূর্তে দুজনেই কিনা নাম প্রত্যাহার করে নিলেন।

কেন দুই বলীর এমন আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে পাওয়া গেল ক্ষোভের গন্ধ।

জানতে চাইলে জীবন বলী বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমি একটু অসুস্থ। ইনজুরড হওয়ায় আমার বদলে কুমিল্লার হোমনার বিখ্যাত বলী বাঘা শরীফের নাম প্রস্তাব করেছিলাম। কিন্তু কমিটি সেটা মেনে নেয়নি। সেটি মানতে পারিনি। পরে ক্ষোভে নামই বাদ দেন।
শাহজালাল বলীও একই কারণে নাম প্রত্যাহার করেন।

পরে অবশ্য দুই বলী সরে যাওয়ায় সুযোগ পান বাঘা শরীফ। সুযোগ পেয়েও কাজে লাগান এই বলী। চ্যালেঞ্জ ও সেমিফাইনাল রাউন্ড জিতে ফাইনালে ওঠেন বাঘা শরীফ। আর এতে জীবন ও শাহাজালাল- দুই বলীর সমর্থনই যায় বাঘা শরীফের কোর্টে।

;

ফেনীতে তিনতলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেনীর ফুলগাজীতে তিনতলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে ১০ বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিহত মিনহাজ মুন্সীরহাট ইউনিয়নের কমুয়া চৌধুরী বাড়ির আবদুল মতিন চৌধুরীর দ্বিতীয় ছেলে। সে স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেনের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকালে উপজেলার মুন্সীরহাট এলাকার ভাই ভাই অটো রাইস মিল সংলগ্ন একটি ভবনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মিনহাজের বাবা প্রবাসে থাকায় সে মায়ের সঙ্গে ওই এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। বুধবার বাসার ছাদের রেলিংয়ে উঠে পাশের আরেকটি ভবনের রেলিংয়ে পা দেওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে অসতর্কতাবশত নিচে পড়ে যায়।

পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। পথিমধ্যে চট্টগ্রাম সিটি গেইট এলাকায় পৌঁছালে তার মৃত্যু হয়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আজিজুল হক মজুমদার টিপু বলেন, সকালে খেলতে গিয়ে মিনহাজ ছাদ থেকে পড়ে যায়। তার বাবা ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে দুবাই থেকে বাড়ি চলে এসেছেন। তিনি আসার পর উপজেলার পূর্ব দরবারপুরে পারিবারিক কবরস্থানে মিনহাজকে দাফন করা হয়।

ফুলগাজী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন বলেন, চট্টগ্রামে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। নিহতের পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার মরদেহ দাফন করা হয়েছে।

;

জব্বারের বলীখেলায় অংশ নিচ্ছেন ৮০ বলী, লোকারণ্য লালদীঘি মাঠ 



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈশাখের কাঠফাটা রোদ উপেক্ষা করে শুরু হলো ঐতিহাসিক আবদুল জব্বারের বলীখেলা।

বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) বিকেল চারটা ২৫ মিনিটে বলীখেলার ১১৫ তম আসর শুরু হলেও দুপুর থেকেই লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে লালদীঘি মাঠ।

এবারের বলীখেলায় অংশ নিতে অন্তত ১০০ জন বলী আসেন। তাদের মধ্যে ৮০ জনকে নিবন্ধন করে আয়োজক কমিটি। প্রথম রাউন্ড শেষে চ্যালেঞ্জ রাউন্ড হয়। এরপরই হবে সেমিফাইনাল ও ফাইনাল।


যুবসমাজকে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ করতে ১৯০৯ সালে চট্টগ্রামের বকশিরহাটের ব্যবসায়ী আবদুল জব্বার সওদাগর চালু করেছিলেন বলীখেলা। সময়ের ব্যবধানে লালদীঘির মাঠে বসা ‘জব্বারের বলীখেলা’ হয়ে উঠেছে এই জনপদের অন্যতম আকর্ষণ। শুধু কি তাই? বলীখেলাকে কেন্দ্র করে বৃহত্তর চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় বৈশাখী মেলাটিও বসে এখানে। ১৯০৯ সাল থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের একবছর বাদ দিলে প্রতিবছর এই মেলা হয়ে আসলেও করোনার থাবা এই আনন্দ-উৎসব থামিয়ে দিয়েছিল ২০২০ সালে। পরের বছরেও এই মেলা হয়নি একই কারণে। ২০২২ সালেও ঐতিহাসিক এই আয়োজনের ভবিষ্যৎ ঝুলেছিল সুতার ওপর। শেষ পর্যন্ত সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর প্রচেষ্টায় সড়কের মাঝখানে অস্থায়ীভাবে রিং তৈরি করে আয়োজন করা হয় বলীখেলায়। গত বছর থেকে বলীখেলা ফিরেছে নিজের পুরনো ঠিকানা-লালদিঘী ময়দানে। এবারও সেখানেই হচ্ছে শতবর্ষী এই আসর।

বলীখেলাকে কেন্দ্র করে মাঠের আশপাশের এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে চলছে বৈশাখী মেলা।

;

বন ডাকাতদের জন্যই পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয়: জিএম কাদের



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার কুমারখালী বাঁধবাজার থেকে মাদুলিয়া পর্যন্ত সড়কের ৩ হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্তে উষ্মা প্রকাশ করেছেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপি।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে গাছ কাটার সিদ্ধান্ত বাতিল ও বিগত দিনে একই সড়কের গাছ কাটার বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করতেও সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন তিনি।

বিবৃতিতে বলেছেন, গণমাধ্যমে প্রকাশ ২০২৩ সালে ঐ সড়কের ১০ হাজার গাছ কেটেছে বনবিভাগ। সম্প্রতি একই সড়কে আরো ৩ হাজার গাছ কেটেছে কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় জনসাধারন ও পরিবেশবীদদের মতামত উপেক্ষা করে ঐ সড়কে আরো প্রায় ৩ হাজার গাছ কাটার জন্য নম্বরিং করেছে বনবিভাগ। এর চেয়ে আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত আর হতে পারে না। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় দেশে ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকার কথা। কিন্তু আমাদের আছে ৯ শতংশের কম। এভাবে বনাঞ্চাল নিধন করার কারণেই দেশ আজ বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন যে আজ অতিষ্ঠ, যথেষ্ট গাছপালা থাকলে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাওয়া যেত।

বিবৃতিতে বলেন, অন্যদিকে রাজধানীতে সড়ক ও ভবন তৈরীর জন্য ইতোমধ্যেই দেদারছে কেটে ফেলা হয়েছে হাজার গাছ। অপরিকল্পিত ও আত্মঘাতি এমন সিদ্ধান্তে রাজধানী বসবাসের অনুপযোগি হয়ে আছে। পরিবেশবীদদের মতে রাজধানীতে ২০ শতাংশ বনাঞ্চল থাকার কথা থাকলেও আছে মাত্র ২ শতাংশ। প্রয়োজন হলে গাছ না কেটেও সড়ক উন্নয়ন ও প্রশস্ত করা সম্ভব। তাই কারনে-অকারনে বৃক্ষ নিধন বন্ধ করতে হবে।

আগে বন থেকে গাছ চুরি হতো, এখন বনে ডাকাতি শুরু হয়েছে। বন ডাকাতদের জন্যই পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয়। বনখেকো ও বনদস্যুদের চিহ্নিত করে তাদের আইনের মুখোমুখি করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান তিনি।

;