নিয়ম না মানায় খুলনায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবকে কাজে লাগিয়ে খুলনায় অসাধু ব্যবসায়ীরা নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি করায় ও নিয়ম না মানায় বাজার মনিটরিংয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে।
শুক্রবার (২০ মার্চ) রাতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের নির্দেশনায় ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইউসুপ আলীর তত্ত্বাবধানে বাজার মনিটরিং অভিযান করা হয়।
অভিযান চলাকালে নগরীর নিউমার্কেট এলাকার সেফ এন সেভ চেইন শপে অত্যাধিক মূল্যে পণ্য বিক্রি ও চরম অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি করার অপরাধ ধরা পরে। কেক ও মিষ্টান্ন তৈরির কিচেনে তেলাপোকার অবাধ বিচরণ দেখতে পাওয়া যায়। তারা ওয়াশরুমে কোনো সাবান, হ্যান্ড ওয়াশ রাখার প্রয়োজনীয়তা বোধ করেনি। এছাড়া পঁচা ও নিম্নমানের ফল বিক্রি করেছে। এ সকল অপরাধ আমলে নিয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও বড় পরিসরে লোক সমাগম এর আয়োজন করে ২৬ নং ওয়ার্ড কমিশনারের কার্যালয় সংলগ্ন কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ের অনুষ্ঠান করায় তাদের ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
খুলনার নিরালার তালুকদার কমিউনিটি সেন্টারে একই অপরাধে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে দুটো কমিউনিটি সেন্টারে উপস্থিত ব্যক্তিদের অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
এরপর নগরীর বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা বাজারে বেশি দামে লেবু, আদা, রসুন বিক্রি করায় সন্ধ্যা বাজারের দুই খুচরা বিক্রেতাকে ৮ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। পাইকারি বাজারের বড় আড়ত সোনাডাঙ্গা ট্রাকস্ট্যান্ড এ অত্যধিক মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি করায় দুই ব্যবসায়ীকে মোট ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া ফুলবাড়িগেট বাজারে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করায় এক ব্যবসায়ীকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সবশেষে রাতে ফুলতলায় বেশি দামে চাল বিক্রির অভিযোগে মোবাইল কোর্ট ব্যবসায়ী পবিত্র সাহা ও নব সাহাকে ১ লাখ এবং মূল্য তালিকা না থাকায় আলী হোসেনকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিজানুর রহমান ও মো. রাশেদুল ইসলাম। অভিযানে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ সদস্যও অংশ নেয়।