আবারও করোনা হাসপাতালের কাজ শুরু করবে আকিজ
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসকরোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য ৩০১ শয্যার হাসপাতাল তৈরি করছে দেশের বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান আকিজ গ্রুপ। হাসপাতালটিতে বিনামূল্যে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য এ উদ্যোগ নেয় প্রতিষ্ঠানটি।
এজন্য রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আকিজ গ্রুপের নিজস্ব দুই বিঘা জমিতে হাসপাতালটি তৈরির কাজও শুরু হয়। পুরোদমে কাজ শুরু হওয়ার দুই দিনের মাথায় নির্মাণ কাজে বাধা দেয় স্থানীয় কাউন্সিলর ও তার সর্মথকরা। এতে হাসপাতালটির নির্মাণ কাজ থমকে যায়। তবে সব বাধা কাটিয়ে হাসপাতালটির নির্মাণকাজ আবারও শুরু করছে তারা।
আকিজ গ্রুপের পরিচালক শেখ শামীম উদ্দিন বার্তা২৪.কমকে বলেন, সাময়িকভাবে আমাদের কাজে বাধা এসেছিল। আমরা এ বিষয়ে সরকারের সঙ্গে কথা বলেছি। খুব দ্রুতই আবার হাসপাতালটির কাজ শুরু করব।
নিরাপত্তা নিয়ে ভাবছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের ভালোভাবে হাসপাতালটির কাজ শেষ করতে হবে। যখন যাদের সহযোগিতা প্রয়োজন হবে, তাদেরই সহযোগিতা নেব।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শফিউল্লাহ শফি ও তার সমর্থকদের বাধার পর সোমবার (৩০ মার্চ) হাসপাতালটি পরিদর্শনে এসেছিলেন আকিজ গ্রুপের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ সময় আরও উপস্থিত ছিল সেনাবাহিনীর একটি টিম।
ঘণ্টাব্যাপী স্থানটি পরিদর্শন শেষে তারা আলোচনা করেছেন, কীভাবে দ্রুত সময়ে হাসপাতালটির নির্মাণ কাজ শুরু ও শেষ করা যায়।
দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালটির কাজ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে আছে। সেই অর্থে সেখানে কোনো শ্রমিক নেই। তবে সিকিউরিটি গার্ড দিয়ে জায়গাটি ঘিরে রাখা হয়েছে।
হাসপাতালটির সিকিউরিটি গার্ডের দায়িত্ব থাকা জসিম উদ্দিন বার্তা২৪.কমকে বলেন, সকালে গ্রুপের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসেছিলেন। আবার জায়গাটা ঘুরে দেখেছেন। খুব দ্রুত আবার কাজ শুরু করবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।
এ দিকে হাসপাতাল নির্মাণ করতে সেনাবাহিনী কোন সহযোগিতা করছে কিনা জানতে চাইলে, আইএসপিআরের সহকারি পরিচালক রাশেদুল আলম খান বার্তা২৪.কমকে বলেন, সুনির্দিষ্টভাবে কোনো সহযোগিতা করার জন্য না, এমনিতেই সেনাবাহিনীর টহল টিম বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছে। পরিদর্শন করছে তার ধারাবাহিকতায় সেখানে গিয়েছিল।
আকিজ গ্রুপ আশা করছিল, দুই সপ্তাহের মধ্যে হাসপাতালটিতে করোনা রোগীদের চিকিৎসা শুরু করা যাবে। আর সেই হিসাবেই প্রস্তত হচ্ছিল তেঁজগাও-গুলশান লিংক রোডের শান্তা টাওয়ারের পেছনে আকিজের ওই হাসপাতালটি।
কিন্তু গত শনিবার (২৮ মার্চ) বেলা একটার দিকে ২০০ মানুষ এসে কিছুক্ষণ অবস্থান নেন এবং প্রতিবাদ জানান। এ ঘটনার পর হাসপাতাল নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ওই দিন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শফিউল্লাহ শফি গণমাধ্যমকে বলেন, আমি মনে করি, এটা যেহেতু মহল্লা, তাই এখানে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের হাসপাতাল হওয়া ঠিক হবে না। আমি এটার পক্ষে না, তবে আমি বাধা দেইনি। এখানে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল হবে শুনে হাজারখানেক লোক এসেছিল। আমি এসে তাদের শান্ত করেছি।