দেশে করোনা সংক্রমণের এক মাসের চিত্র
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের এক মাস পূর্ণ হলো। গত ৮ মার্চ ৩ জন আক্রান্তের মাধ্যমে দেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হলেও সেই সংখ্যা এখন দাঁড়িয়েছে ২১৮ জনে।
এখন পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে দেশে মারা গেছেন ২০ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৩ জন।
বুধবার (৮ এপ্রিল) করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিশেষ স্বাস্থ্য বুলেটিনে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, প্রথমে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ধীর গতিতে হলেও বর্তমানে তা দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। গত তিন দিনে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩০ জন, এর আগের ২৭ দিনে আক্রান্ত হন ৮৮ জন।
শুরুতে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) করোনা শনাক্তের পরীক্ষা হতো। তবে বর্তমানে আইইডিসিআরসহ দেশের আরও ১৬টি জায়গায় করোনা শনাক্তকরণ পরীক্ষা হচ্ছে।
গত এক মাসে দেশে করোনার সার্বিক পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরা হলো:
করোনা শনাক্তকরণ ল্যাব
প্রথম দেশে শুধুমাত্র আইইডিসিআরে করোনা শনাক্তকরণের ল্যাব থাকলেও এখন তা বৃদ্ধি পেয়েছে। সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ায় দেশে এখন নতুন ১৫টি ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে।
করোনা শনাক্তকরণ কিট
করোনা শনাক্তকরণে ল্যাবগুলোতে গত এক মাসে ২১ হাজার কিট সরবারাহ করা হয়েছে। বর্তমানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে ৭১ হাজার কিট মজুত আছে।
ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই)
গত এক মাসে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ৬ লাখ ৯১ হাজার ২৯২টি পিপিই সংগ্রহ করেছে। এর মধ্যে ৪ লাখ ৭০ হাজার পিপিই বিতরণ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
নমুনা সংগ্রহ
দেশে এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ১৬৪ জনকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়।
আক্রান্তের সংখ্যা
দেশে এখন পর্যন্ত ২১৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এই সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সুস্থ
গত এক মাসে ২১৮ জন আক্রান্তের বিপরীতে ৩৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
মৃতের সংখ্যা
দেশে গত এক মাসে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২০ জন মারা গেছেন। যাদের অধিকাংশ ষাটোর্ধ্ব।
সঙ্গরোধ
দেশে বর্তমানে সকল প্রকার সঙ্গরোধে ১০ হাজারেও বেশি মানুষ রয়েছেন। গত এক মাসে ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষকে সঙ্গরোধে নেওয়া হয়।
আইসোলেশন
বর্তমানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে ১১১ জনকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। গত এক মাসে এই সংখ্যা ৩শ’ ছাড়িয়েছে।