মানিকগঞ্জে করোনার প্রভাব



খন্দকার সুজন হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মানিকগঞ্জ
মানিকগঞ্জে করোনার প্রভাব

মানিকগঞ্জে করোনার প্রভাব

  • Font increase
  • Font Decrease

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিদিনই বাড়ছে। এই ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। সরকারি এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে দিনরাত শ্রম দিয়ে যাচ্ছে মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসন। করোনার প্রভাবে বদলে গেছে পুরো জেলার হালচাল।

রাজধানীর পাশের জেলা মানিকগঞ্জ। দুইটি পৌরসভা ও সাতটি উপজেলার সমন্বয়ে গঠিত এই জেলা। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ২১টি জেলার সাথে রাজধানীতে যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট ও ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বেশির ভাগ অংশই এই জেলায়।

মরণঘাতী করোনার প্রভাবে বদলে গেছে জেলার হালচাল। করোনা সর্ম্পকে সচেতন করতে মরিয়া জেলা প্রশাসন। অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে খাবারও পৌঁছে দিচ্ছে তারা। তবে শহরের বেশিরভাগ মানুষ সচেতন হলেও এখনও উদাসীন গ্রামাঞ্চলের সাধারণ মানুষ। প্রয়োজন ছাড়াও নানা অজুহাতে বাইরে আড্ডাবাজি করে যাচ্ছে তারা।

করোনায় যেমন যাচ্ছে মানিকগঞ্জের দিনকাল। কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানের অবস্থান রয়েছে কেমন। এসব বিষয়ের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা তুলে ধরার চেষ্টা প্রতিবেদনে।

পুলিশের চেকপোস্ট

পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ২১টি জেলার সাথে রাজধানীতে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট। বাস, ট্রাক ও ছোট গাড়ি মিলিয়ে প্রতিদিন উভয় নৌরুট হয়ে পারাপার হয় প্রায় ৫ হাজার যানবাহন। তবে করোনার প্রভাবে এখন যার সংখ্যা অর্ধেকেরও অনেক কম। ব্যস্ততম নৌরুট এখন একেবারেই ফাঁকা। ঘাট পন্টুন এলাকায় অলস পড়ে আছে ফেরিগুলো।

ঢাকা-আরিচা মহসড়ক

করোনা সংক্রামণ এড়াতে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় যানবাহনের চাপ নেই ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে। গেলো সপ্তাহে দু’দফায় পোশাক শ্রমিকদের পদচারণায় পুরো মহাসড়ক মুখরিত থাকলেও এখন মানুষের আনাগোনা নেই ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে। জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক ও পিকআপ ব্যতিত সাধারণ যান চলাচল বন্ধ করতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ। অকারণে মহাসড়কে চলাচল করলেই পড়তে হচ্ছে পুুুলিশি জেরায়।

মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতাল

মানিকগঞ্জের সাতটি উপজেলা ও আশেপাশের জেলাগুলো থেকে স্বাস্থ্য সেবার জন্য জেলা শহরের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে সকাল হলেই দেখা মিলতো দেড় হাজারের অধিক রোগীর। হাসপাতালটি ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হলেও ভর্তি রোগীর সংখ্যা থাকতো এর দ্বিগুণ। তবে পুরো হাসপাতাল এলাকা এখন নীরব। অনেকটা রোগীর অপেক্ষায় চিকিৎসকেরা। খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া রোগী আসছে না হাসপাতালে। বর্হি বিভাগে আসছে হাতে গুণা কয়েকজন রোগী। যার সংখ্যা শতাধিকও নয়। ভর্তি থাকা রোগীর সংখ্যাও খুব কম।

মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতাল


 

কল-কারখানা ও ইটভাটা

মানিকগঞ্জের বেশির ভাগ কল-কারখানা করোনা সংক্রমণ এড়াতে বন্ধ হয়ে গেলেও অজ্ঞাত কারণে দেদারসে চলছে শতাধিক ইটভাটা। হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞাও বন্ধ হয়নি বেশ কয়েকটি অবৈধ ইটভাটা। দাদনের টাকা পরিশোধ করতে বাধ্য হয়েই এসব ভাটায় কাজ করছে হাজার হাজার শ্রমিক। বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশাসনের কড়া নজরদারি থাকলেও এক্ষেত্রে অনেকটাই নীরব প্রশাসন।

জেলার হাট-বাজার

জেলার বিভিন্ন উপজেলার সাপ্তাহিক হাটগুলো বন্ধ হয়ে গেলেও বেশ কিছু বাজারের অবস্থা অনেকটা আগের মতোই। এসব বাজারগুলোতে মানা হচ্ছে না কোন সামাজিক দূরত্ব। জেলা ও উপজেলার শপিংমলগুলো বন্ধ থাকলেও গ্রামঞ্চলের ব্যবসায়ীরা নারাজ তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে। মাঝে মাঝে পুলিশের আগমনে মফস্বল এলাকার দোকানগুলো বন্ধ থাকলেও পুলিশ চলে যাওয়ার সাথে সাথেই খুলে যাচ্ছে তাদের দোকানপাট। অনেকটা চোর-পুলিশ খেলার মতো।

হতাশায় সবজি চাষিরা

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় সবজি নিয়ে বিপাকে সবজি চাষিরা। পাইকারি বাজারে চাহিদা কম থাকায় দাম নেই সবজির। সঠিক পরিচর্যায় ভালো ফলনের পরেও হতাশায় সবজি চাষিরা। অপরদিকে সার ও কীটনাশকের সরবরাহ না থাকার অজুহাত দিয়ে বেশি দামে সার ও কীটনাশক বিক্রির অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে।

জেলা প্রশাসন

করোনা সর্ম্পকে সচেতন করতে জেলা প্রশাসক দিন-রাত শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন। সচেতন রয়েছে প্রতিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও। অসহায় মানুষদের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দিচ্ছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। খাবারের প্রয়োজন হলেও শুধু মেসেজ বা মোবাইল ফোনে কল দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক এসএম ফেরদৌস।

পুলিশ প্রশাসন

করোনা সংক্রমণ এড়াতে কঠোর অবস্থানে মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ। সাধারণ মানুষের মাঝে জনসচেতনতা তৈরি করতে এলাকায় মাইকিং করছে তারা। অব্যাহত রয়েছে পুলিশি টহল। মহাসড়কে রয়েছে পুুলিশের একাধিক চেকপোস্ট। যানবাহন নিয়ে বাইরে বের হলেই পড়তে হচ্ছে জেরার মুখে।

   

গরমে জানটা শ্যাষ হয়া গেইল!



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের সাহেব আলী। এই অইদের (রোদ) ঠ্যালায় জানটা ব্যার হয়া যাবার নাগছে বাহে! গরীম মানুষ বাঁচে কেমন করি। জারের (শীত) সমায় (সময়) কনকনা ঠান্ডা আর গরমের সমায় গরম। হামরা ঘর থাকি ব্যার হওয়া যায় না। জানটা শ্যাষ (শেষ) হয়া গেইল।

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রবাহে সৃষ্ট দাবদাহে অতিষ্ট লালমনিরহাটের জনজীবন। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষ ক্রমশ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। আগুন ঝরা বাতাসে নারী-শিশুসহ কর্মজীবী মানুষ দিন দিন অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়কে যানবাহন ও যাত্রীর সংখ্যা কম, জরুরি কাজ ছাড়া কেউ বাহিরে বের হচ্ছেন না।

বৃহস্পতিবার দুপুরে কথা হয় হাতীবান্ধা উপজেলার ভ্যানচালক নুরআলম সাথে, তিনি বলেন, বৈশাখের চনচনা অইদোত রোদে মাল নিয়া ভ্যান চালাইতে কষ্ট হয়। গরমের ঠ্যালায় কইলজা ফাটি যায়। ওই জন্যে ঠান্ডাত (গাছের ছায়া) একনা দম নিবার নাগছি।

তিনি আরো বলেন, কোথাও ঠান্ডার আভাস নাই। এভাবে চলতে থাকলে আমরা কর্মহীন হয়ে পড়বো। পরিবার পরিজনের মুখে দু’মুঠো ভাত তুলে দেয়া দুরুহ ব্যাপার হয়ে পড়বে। রিকশাচালক হামিদুল ইসলাম বলেন, ‘গত চার-পাঁচ দিন ধরে আয় রোজগার কমে গেছে। বেলা সাড়ে ১০-১১টার পর রাস্তায় আর কোনো যাত্রী থাকে না।

বাসচালক আকবর আলী বার্তা২৪.কমকে জানান, গরমের কারণে লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়কের বিভিন্ন জায়গায় পিচ (বিটুমিন) উঠে গাড়ির চাকার সাথে লেগে যায়। এতে খুব সতর্ক অবস্থায় গাড়ী চালাতে হয়েছে।

লালমনিরহাট জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ রমজান আলী বার্তা২৪.কমকে জানান, প্রচন্ড গরমে শিশু ও বয়স্করা ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়েছে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দৈনিক শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। জেলার প্রতিটি হাসপাতালে শিশু রোগী ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সময়ে তরল জাতীয় খাবার গ্রহণ, যথাসম্ভব বাহিরে বের না হওয়া, সাথে খাবার পানি রাখা, ছাতা ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার।

কুড়িগ্রাম আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র বার্তা২৪.কমকে বলেন, দুপুর ১২টায় লালমনিরহাটে তাপমাত্রা ৩৮.৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।

লালমনিরহাট জেলা তথ্য অফিসার শাহজাহান আলী (অতিরিক্ত দায়ত্বি) বার্তা২৪.কমকে জানান, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশে জেলার সর্বত্র সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে।

;

কুয়াকাটায় জেলের জালে ২৬ কেজির কোরাল



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, (কলাপাড়া-পটুয়াখালী)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পটুয়াখালির কুয়াকাটায় বঙ্গোপসাগরে রাসেল মাঝি (৩৫) নামের এক জেলের জালে ধরা পড়েছে ২৬ কেজি ওজনের একটি কোরাল মাছ।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর ১.৩০ মিনিটে কুয়াকাটা মেয়র মৎস্য মার্কেটের মনি ফিস আড়তে মাছটি নিয়ে আসা হয়। এসময় মাছটি এক নজর দেখতে ভিড় জমায় উৎসুক জনতা। পরে কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পাইকারি মাছ ব্যবসায়ী বিক্রম চন্দ্র নিলামের মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকায় মাছটি কিনে নেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বঙ্গোপসাগরের বলেশ্বর নদীর সাগর মোহনায় মাছটি ধরা পড়ে।

মাছ পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে রাসেল মাঝি বলেন, প্রতিদিনের মত গত সোমবার (২২ এপ্রিল) ধুলাস্বার ইউনিয়নের বাবলাতলা বাজার থেকে (মায়ের দোয়া) নামের ট্রলার নিয়ে গভীর সাগরে যাই। পরে বলেশ্বর নদীর সাগর মোহনায় জাল ফেলার পর অন্যান্য মাছের সঙ্গে এ কোরাল মাছটি ধরা পড়ে। মাছটির ওজন বেশি হওয়ায় আমাদের ট্রলারে তুলতে অনেক বেগ পেতে হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এর আগেও আমার জালে ১০ থেকে ১৫ কেজি ওজনের কোরাল মাছ ধরা পড়েছিলো। তবে আমার জালে ধরা এটিই সবচেয়ে বেশি ওজনের কোরাল। মাছটি খুব ভাল দামে বিক্রি করেছি। এত বড় মাছ পেয়ে আমার ট্রলারে থাকা জেলেসহ আমি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।

মাছটি ক্রয় করা ব্যবসায়ী বিক্রম চন্দ্র বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে মাছের ব্যবসা করি, এত বড় কোরাল আসলে সব সময় পাওয়া যায় না। মাছটি দেখেই আমার পছন্দ হয়েছে। তাই নিলামে আমিই বেশি দাম হেঁকে এ মাছটি ক্রয় করেছি। মাছটি বিক্রির জন্য আজই ঢাকায় পাঠাবো। আশা করছি আমি ভালো মানের লাভ করতে পারব।

কলাপাড়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, কোরাল মাছ খুবই সুস্বাদু। শিশুদের মানসিক বিকাশে কোরাল মাছ গুরুত্বপূর্ণ। আশা করছি বৃষ্টি হলে জেলেদের জালে ইলিশের পাশাপাশি আরও বড় বড় মাছ ধরা পড়বে।

;

বিশ্বনাথে নারী কাউন্সিলরের মামলায় ৭ জনের জামিন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়রের গাড়ি চাপায় হত্যা চেষ্টার অভিযোগে নারী কাউন্সিলরের দায়ের করা মামলায় ৮ জনের মধ্যে দুই কাউন্সিরসহ ৭ জনকে জামিন দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সিলেটের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রট প্রথম আদালতে জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। তবে মামলার প্রধান আসামি মেয়র মুহিবুর রহমান আদালতে জামিন আবেদন করেননি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুমন পারভেজভ

জামিন প্রাপ্তরা হলেন - কাউন্সিলর ফজর আলী, কাউন্সিলর বারাম উদ্দিন, পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও পৌরসভার উদ্যোক্তা সুরমান আলী, দক্ষিণ মীরেরচর গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর ছেলে মিতাব আলী, রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত তবারক আলীর ছেলে আনোয়ার আলী, রহমাননগর গ্রামের শমসের আলীর ছেলে মেয়রের গাড়ি চালক হেলাল মিয়া ও জানাইয়া গ্রামের মৃত তোতা মিয়ার ছেলে আব্দুস শহিদ।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিশ্বনাথ থানায় বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করে নারী কাউন্সিলর রাসনা বেগম। মামলা নং-(৫)। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি রাখা হয় আরও ৪/৫ জন।

এ ব্যাপারে অ্যাডভোকেট সুমন পারভেজ বলেন, এই মামলার প্রধান আসামি মেয়র মুহিবুর রহমান জামিন আবেদন করেননি। তবে মেয়র ছাড়া বাকি ৭ জন আসামি জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

;

নারী চিকিৎসককে ইভটিজিং করায় যুবকের কারাদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক নারী চিকিৎসককে হয়রানি করার অপরাধে সাগর হোসেন (২৬) নামে এক যুবককে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত সাগর হোসেন দৌলতপুর থানা বাজার এলাকার বিপ্লব হোসেনের ছেলে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওবায়দুল্লাহ।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তোহিদুল ইসলাম জানান, ওই যুবক বেশ কিছু দিন ধরে আমাদের এক নারী চিকিৎসককে নানাভাবে হয়রানি করে আসছিল।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে হাসপাতালে এসে একইভাবে তাকে হয়রানি করতে গেলে আমরা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করি।

পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওবায়দুল্লাহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বখাটে সাগর হোসেনকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। পরে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

;