আম পরিচর্যা নিয়ে বিপাকে চাষিরা, ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কা



হাসান আদিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
এখন দরকার গাছের যত্ন, ছবি: বার্তা২৪.কম

এখন দরকার গাছের যত্ন, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

‘আমের আনা মাছের পাই, টিকলে পরে কে কত খাই’ চিরায়ত এ প্রবাদ মেনে রাজশাহীর আম চাষিরা এখন গাছে আমের গুটি টিকিয়ে রাখতে ব্যস্ত। গুটি ভরা গাছের সঠিক পরিচর্যা এনে দিতে পারে বাম্পার ফলন। কিন্তু সেখানেও প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাব!

করোনা প্রতিরোধে চলা লকডাউনে জেলা সদর থেকে গ্রাম পর্যায়েও এখন প্রকট শ্রমিক সংকট। স্থানীয় বাজারে দোকান-পাট বন্ধ থাকায় মিলছে না সার-কীটনাশকও। ফলে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আমের পরিচর্যা নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন আমের রাজধানী খ্যাত রাজশাহীর কৃষকরা।

ফল গবেষক ও কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, গাছে এবার ভালো মুকুল এসেছিল। আগাম মুকুল আসা গাছগুলোতে এখন আমের কড়ালি (গুটি)। আর দেরিতে মুকুল আসা গাছে ‘মোটর দানা গুটি’। এ দুই পর্যায়েই কীটনাশক স্প্রে করা জরুরি। যেহেতু বৃষ্টি নেই, তাই গাছের গোড়ায় পানি এবং বিভিন্ন প্রকারের সার দিতে হবে। তা না হলে আমের ফলন বিপর্যয় হতে পারে।

তবে কৃষকরা বলছেন, লকডাউন চললেও কৃষি উপকরণ সরবরাহ চালু রাখার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। কিন্তু স্থানীয়ভাবে এ নির্দেশনা মানা হচ্ছে না। সার-কীটনাশকের দোকানও বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। তবে দেন-দরবার করে কীটনাশক ও সার মিললেও পরিচর্যায় বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে শ্রমিক সংকট।

স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তাদের সাথে কথা জানা যায়, জেলার পুঠিয়া, মোহনপুর, চারঘাট ও বাঘা উপজেলায় এবার ৮৫ ভাগ আম গাছে ভালো মুকুল এসেছিল। কিছুটা কম হলেও তানোর ও গোদাগাড়ীতেও গাছে মুকুল ছিল। মুকুল হওয়ার সময় থেকে টানা খরায় এখন ঝরে পড়ছে গুটি।

এখন দরকার গাছের যত্ন, ছবি: বার্তা২৪.কম

পুঠিয়ার শিলমাড়িয়া গ্রামের আমচাষি রইছ উদ্দিন। বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) রাতে মোবাইল ফোনে তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, গুটি তো ভালোই ছিল। কিন্তু ব্যাপক হারে ঝরে পড়ছে। একটু বড় হয়ে ওঠা গুটিগুলোতে ছত্রাক লেগে খসে পড়ছে, গাছে পোকাও খুব। খরার কারণে এমন ক্ষতি হচ্ছে। এখন বৃষ্টি হলে ভালো হতো, এতো বেশি পরিচর্যা করতে হতো না।

কৃষি কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি। তারা দুই/তিনটি কীটনাশকের নাম বলে দিয়েছেন। তিনদিন পর পর স্প্রে করতে হবে। কিন্তু ইউনিয়নের বাজারে কীটনাশক পাচ্ছি না। উপজেলা সদরের বাজারে গিয়েও দোকান বন্ধ। দোকান মালিককে ফোন দিয়ে ডেকে নিয়ে কিছু কীটনাশক কিনেছি। এখন অন্তত ১৫ জন শ্রমিক লাগবে, কিন্তু পাচ্ছি না। নিজে এবং ভাইদের নিয়ে যতটুকু পারছি করছি।

এখন দরকার গাছের যত্ন, ছবি: বার্তা২৪.কম

বাঘার আড়ানী পাঁচপাড়া গ্রামের চাষি শহিদুল ইসলাম বলেন, খরায় গাছ থেকে ব্যাপক হারে গুটি ঝরে যাচ্ছে। বাগানে সেচ দিচ্ছি, সারও দিয়েছি। কিন্তু স্প্রে করার শ্রমিক মিলছে না। গুটি ঝরা না বন্ধ হলে ফলন হবে না। বাগান ইজারা নেওয়ার টাকাও উঠবে না।

মোহনপুরের স্থানীয় সাংবাদিক মোস্তফা কামাল জানান, করোনা প্রতিরোধে পৌর মেয়র বাজারের সব দোকানই বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। কৃষি উপকরণ সংকটে রয়েছেন চাষিরা। আম গাছে গুঁটি ঝরে যাচ্ছে। যত্ন নিতে পারছেন না। কৃষকরা তাদের কাছে প্রায়ই সার-কীটনাশক না পাওয়ার অভিযোগ করছেন।

চারঘাটের স্থানীয় সাংবাদিক এ কে আজাদ সনি জানান, করোনাভাইরাসের কারণে শ্রমিক সংকট রয়েছে। বড় বাগানে একসঙ্গে ১২/১৫ জন মিলে কাজ করতে হয়। যেটা এখন করা সম্ভব হচ্ছে না। সার-কীটনাশক পাওয়া গেলেও তা খুব অপ্রতুল। ফলে বাগান পরিচর্যা নিয়ে বিপাকে পড়ার বিষয়টি চাষিরা তাদের জানাচ্ছেন।

রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের গবেষক ড. আলীম উদ্দিন বার্তা২৪.কমকে বলেন, খরার কারণে গুটি ঝরে পড়া, পোকা ও ছত্রাক হওয়ার শঙ্কা থাকে। প্রতিকূল আবহাওয়ার সময় পরিচর্যা বেশি প্রয়োজন। এখন গুটি ও পাতায় স্প্রে এবং গোড়ায় সার, পানি দিতে হবে।

শ্রমিকের অভাবে নিজেরাই গাছের যত্ন নিচ্ছেন চাষিরা, ছবি: বার্তা২৪.কম

তিনি বলেন, চাষিরা প্রায়ই ফোন করে বিভিন্ন সমস্যার কথা জানাচ্ছেন। আমরা তাদের মোবাইল ফোনে পরামর্শ দিচ্ছি। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, সার-কীটনাশকসহ সব কৃষি উপকরণ সরবরাহ নিশ্চিত রাখার কথা। সেটার ব্যত্যয় ঘটলে স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি জানানোর পরামর্শ দিচ্ছি আমরা।

রাজশাহী কৃষি-সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে রাজশাহী জেলায় আমবাগান রয়েছে ১৭ হাজার ৫৭৪ হেক্টর জমিতে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৯৩ হাজার ৭৮ মেট্রিক টন। গত বছর লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ১৩ হাজার ৪২৬ মেট্রিক টন।

অধিদফতরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক উম্মে সালমা বলেন, জেলায় কৃষি উপকরণ সরবরাহ নিশ্চিত করা হচ্ছে। তবে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে যদি কেউ সার-কীটনাশক না পেয়ে থাকেন, তবে স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তা বা জেলা অফিসেও মোবাইলে যোগাযোগ করতে পারেন। আমরা কৃষি উপকরণ নিশ্চিত করব।

 

   

সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম রাঙামাটি
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাঙ্গামাটির সাজেকের উদয়পুর সীমান্ত সড়কের ‘নব্বই ডিগ্রি’ এলাকায় সাড়ে ৫ টার দিকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডাম্প ট্রাক খাদে পড়ে গেলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এর আগে ঘটনাস্থলেই ৬ শ্রমিক নিহত হন। এ সময় আহত হয়েছেন ৮ জন। ট্রাকটিতে ১৭ জন শ্রমিক ছিলেন। 

বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাতে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাঘাইছড়ির সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল আওয়াল। তিনি জানান, সীমান্ত সড়কের কাজ শেষে করে শ্রমিক বহনকারী ট্রাকটি মূল স্টেশনে ফেরার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাহাড়ি খাদে পড়ে যায়। আহত শ্রমিকদের উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক ৩ জনকে মৃত ঘোষণা করেন।

আব্দুল আউয়াল আরও বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে। সাজেক থানায় ৫ জনের মরদেহ আছে। খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের ৪ জনের মরদেহসহ মোট ৯ জন নিহত হয়েছে এ দুর্ঘটনায়। হতাহতদের নাম ও পরিচয় শনাক্তের কাজ চলমান। 

খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. সাগর দেব তপু জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ১০ জনের মধ্যে ৪ জন হাসপাতালে আনার পথে মারা গেছেন। চিকিৎসাধীন ৬ জনের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরিন আক্তার এ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আহতদের উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কারও নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হতাহত শ্রমিকদের বাড়ি রংপুর অঞ্চলে। তারা উদয়পুর বাঘাইছড়ি সীমান্ত সড়কের ১৭ কিলোমিটার নামক স্থানে হারিজাপাড়া সেতু নির্মাণ কাজে নিয়োজিত ছিলেন। 

;

ফরিদপুরে দুই সহোদর হত্যা: ঘটনাস্থলে রেল ও মৎস্য মন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ফরিদপুরের মধুখালীর ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লীতে মন্দিরে আগুন লাগার সহিংস ঘটনার সন্দেহে ১৮ এপ্রিল আপন দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন রেলপথ মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম এবং মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান। 

বুধবার রাত ৮ টার দিকে দুই মন্ত্রী ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এর আগে সন্ধ্যায় রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার জঙ্গল ইউনিয়নের ধর্মতলা আদর্শ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত শান্তি ও সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম। 

শান্তি ও সম্প্রীতি অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী বলেন, ইসলাম ধর্ম কোন মানুষ হত্যাকে সাপোর্ট করেনা। যারা মানুষ হত্যা করে তারা নিকৃষ্ঠ। পাশের ইউনিয়নে (ডুমাইন) মন্দিরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া সন্দেহে যে দুই ভাইকে হত্যা করা হয়েছে তা বর্বরচিত। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ অসাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে স্বীকৃত। একটি গোষ্ঠী সাম্প্রদায়িক ইস্যু বানিয়ে দেশকে অস্থীতিশীল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা তা কখনো হতে দেবনা। 

পঞ্চপল্লীর পাশের এলাকা সনাতন ধর্মাম্বলী অধ্যাষুত জঙ্গল ইউনিয়নের বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে রেলমন্ত্রী আরো বলেন, আপনাদের কোন ভয় নেই। আপনাদের পাশে সরকার রয়েছে। কোন ষড়যন্ত্রকারি রক্ষা পাবেনা। যারা প্রকৃত হত্যাকারি তাদের বিচার হবেই। আপনারা নির্ভয়ে চলাফেরা করবেন। কোন গুজবে কান দেবেন না। যে কোন সমস্যা হলে সাথে সাথে প্রশাসন কিংবা আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে জানাবেন। 

উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) হাসিবুল হাসানের সভাপতিত্বে শান্তি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকিত সরকার, বালিয়াকান্দি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর হোসেন, জঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কল্লোল বসু, সমাধীনগর আর্য সংঘ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নারোদ বাছার প্রমুখ। শান্তি সমাবেশে প্রায় সহস্রাধিক সনাতন ধমাম্বলী নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।

শান্তি ও সম্প্রতী সমাবেশ শেষে রেলমন্ত্রী ঘটনাস্থল ডুমাইনের পঞ্চপল্লী পরিদর্শনে যান। সেখানে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী আব্দর রহমানও পরিদর্শনে আসেন। দুই মন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্থ মন্দির ও পাশের প্রাথমিক বিদ্যালয় যেখানে দুই ভাইকে হত্যা করা হয় সেখানে পরিদর্শন করেন এবং ঘটনার দিন মন্দিরে সন্ধ্যা প্রদীপ যিনি জ্বালিয়েছিলেন সেই তপতী রাণীর সাথে কথা বলেন।

পরিদর্শন শেষে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান সাংবাকিদের উদ্দেশ্যে বলেন, এ ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা। সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে। প্রতিটি মোড়ে পুলিশ যে পাহাড়া দিচ্ছে এটা কতদিন চলবে- এমন প্রশ্নের জবাবে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী বলেন, যতদিন এলাকা স্বাভাবিক হয়েছে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মনে না করবে ততদিন পর্যন্ত পুলিশ পাহাড়া দিবে।

;

আরও ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি, বৃষ্টির পূর্বাভাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। দিনদিন বাড়ছে তাপমাত্রা। গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। এমন পরিস্থিতিতে আরও তিনদিন হিট অ্যালার্টের (তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা) পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। একই সঙ্গে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার দেওয়া পূর্বাভাসে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আমরা এর আগে তিন দিনের যে হিট অ্যালার্ট জারি করেছিলাম, তার মেয়াদ আজ শেষ হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) থেকে আরও তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হবে। কারণ, আপাতত বড় পরিসরে বৃষ্টি হয়ে তাপপ্রবাহ দূর হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আমরা হিট অ্যালার্ট জারি করে সরকারকে জানিয়ে দিই। সরকার সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। সংশ্লিষ্টরা তাদের করণীয় যা সেটা করবে।

তিনি বলেন, সারা দেশের তাপমাত্রা গতকালের থেকে আজ কিছুটা বেড়েছে। চলতি এপ্রিল মাসে তাপপ্রবাহ পুরোপুরি দূর হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আমরা দেখছি যে, এটা মে মাসের ২ থেকে ৩ তারিখ পর্যন্ত চলবে। এরপর হয়তো বিভিন্ন অঞ্চলে কিছু বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এর আগে পর্যন্ত বড় পরিসরে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। স্থানীয়ভাবে বিচ্ছিন্নভাবে কোথাও কোথাও বৃষ্টি হতে পারে।

এদিকে বুধবার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

আবহাওয়া অফিস জানায়, খুলনা বিভাগসহ দিনাজপুর, নীলফামারী, রাজশাহী, পাবনা, ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জ জেলাসমূহের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ বরিশাল বিভাগ এবং রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, বর্ধিত ৫ (পাঁচ) দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

;

‘কেএনএফ অস্ত্রের মুখে গাড়ি চালাতে বাধ্য করে’ আদালতে ড্রাইভারের জবানবন্দি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
‘কেএনএফ অস্ত্রের মুখে গাড়ি চালাতে বাধ্য করে’

‘কেএনএফ অস্ত্রের মুখে গাড়ি চালাতে বাধ্য করে’

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানে রুমা ও থানচিতে প্রকাশ্যে সেনালী ও কৃষি ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুট এবং ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের সময় কেএনএফ সদস্যরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গাড়ি চালাতে বাধ্য করেছে মর্মে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে থানচির চাঁদের গাড়ি চালক কফিল উদ্দিন সাগর।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে থানচির চাঁদের গাড়ি চালক কফিল উদ্দিন সাগর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক নুরুল হকের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দিতে একথা বলেন তিনি।

অপরদিকে বান্দরবানের রুমা-থানচিতে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের সদস্য সন্দেহে গ্রেফতার গাড়ির ড্রাইভারসহ কফিল উদ্দিন সাগর ও আরও ছয় সদস্যকে দুই দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

বুধবার বেলা সাড়ে ৩টায় চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক এএসএম এমরান তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বান্দরবান আদালতের জিআরও বিশ্বজিৎ সিংহ জানান, আজ তাদের ২ দিন রিমান্ড শেষে আদালতে উপস্থাপন করা হলে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়।

এ পর্যন্ত মোট ৭৭ কেএনএফ সদস্য ও একজন চাঁদের গাড়ির চালকসহ মোট ৭৮ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৩ জন নারী রয়েছেন।

;