মিরসরাইয়ে যত্রতত্র গভীর নলকূপ, কমছে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর



মোহাম্মদ ইউসুফ, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মিরসরাই (চট্টগ্রাম)
জোরারগঞ্জ-মুহুরী প্রজেক্ট সড়কের পাশে নলকূপ স্থাপন করে পানি বিক্রি করা হচ্ছে

জোরারগঞ্জ-মুহুরী প্রজেক্ট সড়কের পাশে নলকূপ স্থাপন করে পানি বিক্রি করা হচ্ছে

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে কোনো আইনের তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র স্থাপন করা হয়েছে গভীর নলকূপ। এতে করে ভূগর্ভের পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। তাই সাধারণ নলকূপ থেকে পানি কম উত্তোলন হচ্ছে বলে জানা গেছে।

অভিযোগ রয়েছে, মিরসরাইয়ের মুহুরী প্রজেক্টসহ বিভিন্ন মাছের প্রকল্পে উৎপাদিত মাছ জীবিত রেখে ড্রামে করে আড়তে নেওয়ার জন্য এ নলকূপগুলো স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া উপজেলার সোনাপাহাড়ে অবস্থিত বিএসআরএম কারখানায় একাধিক গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। এতে করে কয়েকটি ইউনিয়নে নেমে গেছে পানির স্তর।

জানা গেছে, উপজেলার জোরারগঞ্জ বাজার থেকে আজমপুর পর্যন্ত প্রায় ১০টি গভীর নলকূপ রয়েছে। এদের মধ্যে আজমপুর বাজারে তিনটি, জোরারগঞ্জ ট্রেক্সটাইলের পাশে একটি, দেওয়ানপুরে একটি, বিশুমিয়ারহাটে একটি গভীর নলকূপ রয়েছে। প্রতিটি গভীর নলকূপ মুহুরী প্রজেক্ট সড়কের পাশে অবস্থিত। নলকূপগুলো বিভিন্ন ধরনের বেড়া দিয়ে ডেকে রাখা হয়।

স্থানীয়রা জানান, একটি সিন্ডিকেট প্রতিদিন ভোরে স্থাপিত গভীর নলকূপ থেকে ড্রামে পানি ভর্তি করে সোডিয়াম কার্বনেট পার অক্সিহাইড্রেট জাতীয় ঔষধ মিশ্রণ করে। পরে পানি ভর্তি ড্রামগুলো মিনি পিক আপে করে মুহুরী প্রজেক্টে উৎপাদিত মাছ তাজা রাখতে ব্যবহার করা হয়। প্রতিটি মিনি পিক আপে ২৬টি ড্রাম থাকে। দৈনিক ৭০ থেকে ৮০টি পিক-আপ ভর্তি পানি মুহুরী প্রজেক্ট নিয়ে যাওয়া হয়। পানি ভর্তি প্রতিটি পিক-আপের ওজন হয় প্রায় ১০ টন। যাতে কয়েক হাজার লিটার পানি থাকে।

রাসায়নিক মিশ্রিত পানি ভর্তি পিক-আপগুলো যাওয়ার সময় সড়ক ভিজে যায়। ফলে সড়ক পিচ্ছিল হয়ে পড়ে। সড়কের উপর স্তরের বিটুমিনের গুণগত মান নষ্ট হয়ে অল্প বৃষ্টিতে সড়ক ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

এদিকে, উপজেলার জোরারগঞ্জ ইউনিয়নে বিএসআরএম কারখানায় বসানো হয়েছে অনেকগুলো গভীর নলকূপ। কারখানায় উৎপাদিত ব্লেড তৈরিতে প্রচুর পরিমাণের পানির প্রয়োজন হয়। ফেনী নদী থেকে পানি সংগ্রহ করার জন্য বিএসআরএম কারাখানাকে বলা হলেও তারা এ বিষয়ে শুনছেন না বলেও অভিযোগ রয়েছে।

মার্চ মাসে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা ও সমন্বয় মিটিংয়ে এ বিষয়ে মিরসরাইয়ের সংসদ সদস্য সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বিএসআরএমের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীকে নির্দেশ দিলেও তারা এখনো এর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

বিএসআরএমের পানি উত্তোলনের কারণে জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন, বারইয়ারহাট পৌরসভা (আংশিক), হিঙ্গুলী ইউনিয়ন (আংশিক), দুর্গাপুর ইউনিয়নে (আংশিক) শ্যালো টিউবওয়েলে পানি পাওয়া যাচ্ছে না।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভূ-গর্ভস্থ পানির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে ১৯৮৬ সালে একটি অধ্যাদেশ জারি হয়। কিন্তু ১৯৯২ সালে একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সেই অধ্যাদেশ স্থগিত করে দেওয়া হয়। যা ছিল অবৈধ। ১৯৮৬ সালের অধ্যাদেশ অনুযায়ী একটি গভীর নলকূপ থেকে আরেকটি গভীর নলকূপ স্থাপন করা যেত ২৫০০ ফুট দূরত্বে। কিন্তু সেই আইনের তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র গভীর নলকূপ স্থাপন করছে। ফলে ভূ-গর্ভের পানি স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। সাধারণ নলকূপ থেকে পানি কম উত্তোলন হচ্ছে।

কৃষি কাজে ভূ-গর্ভস্থ পানি ব্যবস্থাপনা আইন-১৭ নামে একটি আইনের খসড়া অনুমোদন দিয়েছেন মন্ত্রিসভা। সেই আইন অনুযায়ী উপজেলা পরিষদের লাইসেন্স ছাড়া গভীর নলকূপ স্থাপন করা যাবে না। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা কমিটি অনুসন্ধান করে নলকূপ স্থাপনের লাইন্সেস দেবেন।

উপজেলা পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা ফোরামের সভাপতি ডা. জামশেদ আলম জানান, যত্রতত্র গভীর নলকূপ স্থাপনের ফলে ভবিষ্যতে উপজেলাবাসী বিশুদ্ধ পানির সংকটে পড়বে। নলকূপের পানি নির্ভর কৃষি জমিগুলো অনাবাদী হয়ে পড়বে। ফলে খাদ্য সংকট দেখা দেবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা জনস্বাস্থ্য উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাঈন উদ্দিন জানান, গভীর নলকূপের আশপাশে সাধারণ নলকূপ থাকলে পানি কম উত্তোলন হবে। কারণ গভীর নলকূপের কারণে পানির স্তর নিচে নেমে যায়। এ বিষয়ে সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কেটে গেলে শিগগিরই গভীর নলকূপ স্থাপনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।’

মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ-মুহুরী প্রজেক্ট সড়কের পাশে এভাবে নলকূপ স্থাপন করে পানি বিক্রি করা হচ্ছে।

   

বগুড়ায় কিশোরকে আটকে রেখে নির্যাতন, ৬০ হাজার টাকা আদায়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,বগুড়া
বগুড়ায় কিশোরকে আটকে রেখে নির্যাতন, ৬০ হাজার টাকা আদায়

বগুড়ায় কিশোরকে আটকে রেখে নির্যাতন, ৬০ হাজার টাকা আদায়

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ায় এক কিশোরকে আটকে রেখে নির্যাতন করে তার পরিবারের কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা চাঁদা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে শিবগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আইনুল হকের বিরুদ্ধে। আহত অবস্থায় ওই কিশোরকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর এসআই আইনুল চিকিৎসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছেন।

তবে এসআই আইনুল হক টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন পুলিশের সাথে উচ্চ বাচ্য করায় চড় থাপ্পড় দিয়েছি। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মত কিছু না।

আর শিবগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রউফ বলেছেন, এসআই আইনুলের মাথার (ব্রেইনের) সমস্যা রয়েছে।

নির্যাতনের শিকার শাকিল আহম্মেদ (১৭) শিবগঞ্জ থানার আটমুল ইউনিয়নের ভায়ের পুকুর মন্ডলপাড়া গ্রামের ছাকরাম হোসেনের ছেলে।

বুধবার ( ১৭ এপ্রিল) শিবগঞ্জ থানার কিচক বাজারে ছাকরাম হোসেনের রিকশা ও সাইকেলের খুচরা যন্ত্রাংশের দোকানে আটকে রেখে তার ছেলেকে নির্যাতন করা হয়।

ছাকরাম হোসেন বলেন, বুধবার সকাল ১০টার দিকে এসআই আইনুল তার দোকানে যান। এসময় তিনি জয়পুরহাটে ব্যবসায়িক কাজে অবস্থান করছিলেন। দোকানে তার ছেলে ও কর্মচারী ছিল। এসআই আইনুল দোকানে গিয়ে একটি মোটরসাইকেল দেখে সেটি চোরাই বলে থানায় নিয়ে যেতে চায়। পরে তার ছেলে বাড়ি থেকে কাগজপত্র এনে দেখানোর পর এসআই আইনুল বলেন দোকানের মালামাল ভারত থেকে চোরাই পথে আনা হয়েছে। বিষয়টি তার ছেলে মোবাইল ফোনে ছাকরাম হোসেনকে জানালে তিনি এসআই আইনুলের সাথে কথা বলেন।

এসআই আইনুল সেসময় দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে বলেন, টাকা না দিলে দোকানের মালামাল থানায় নিয়ে ভারতীয় মালামাল হিসেবে মামলা দিব। এ নিয়ে তার ছেলের সাথে তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে ছেলেকে দোকানে আটকে রেখে লোহার পাইপ দিয়ে মারধর শুরু করে। ছাকরাম হোসেন বলেন, ছেলেকে মারধরের খবর পেয়ে আমার স্ত্রী লাভলী বেগম বাড়ি থেকে ৬০ হাজার টাকা এবং দোকানের মালামাল কেনার মেমো নিয়ে কিচক বাজারে এসে দোকানে এসআই আইনুলকে দেন।

দুপুর দুইটার দিকে এসআই আইনুল ৬০ হাজার টাকা নিয়ে দোকান থেকে চলে যান। এদিকে নির্যাতনে শাকিল আহম্মেদ অসুস্থ হয়ে পড়লে বুধবার সন্ধ্যার পর তাকে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্সরিল) সকালে খবর পেয়ে এসআই আইনুল হাসপাতালে গিয়ে শাকিল আহম্মেদকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে হাত ও পায়ের এক্সরে করান। পরে ওষুধ কিনে দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন এবং যাবতীয় চিকিৎসা খরচ বহন করার প্রতিশ্রুতি দেন। এছাড়াও ঘটনাটি কাউকে না জানানোর জন্য অনুরোধ করেন।

এবিষয়ে এসআই আইনুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি কিচক বাজারে আসামি ধরতে গেলে ছাকরামের দোকানে যাই। সেখানে তার ছেলে আমার সাথে উচ্চ বাচ্য করে। একারণে চড় থাপ্পর দিয়েছি। তবে কোন টাকা নেয়া হয়নি। তিনি বলেন, শাকিল আহম্মেদের বাবাকে ফোন করে বলেছি চড় থাপ্পর দেয়ার কারণে হাসপাতালে ভর্তি করানোর কারণ কি? এতে তারা স্বেচ্ছায় হাসপাতাল থেকে চলে গেছে।

শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ বলেন, শাকিল আহম্মেদের নির্যাতন করে ৬০ হাজার টাকা আদায়ের বিষয়টি জানা নাই। তবে এসআই আইনুল হকের মাথার সমস্যা আছে উল্লেখ করে ওসি বলেন, ২০২৩ সালের প্রথম দিকে তিনি রাজশাহী জেলার চারঘাটে গ্রামের বাড়িতে গিয়ে মারামারি করে গুরুতর আহত হয়েছিলেন। সেই সময় তার নামে চারঘাট থানায় মামলা হয়।

তিনি পাঁচ মাস কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। যে কারণে বেশকিছুদিন সাময়িক বরখাস্ত ছিলেন। ওই ঘটনায় তার নামে বিভাগীয় মামলা চলমান রয়েছে। জমিজমা নিয়ে গ্রামে মারামারি করে মাথায় আঘাত পাওয়ার পর থেকেই তার ব্রেইনে (মাথায়) সমস্যা দেখা দেয়। তবে শাকিল আহম্মেদের বিষয়টি কেউ অভিযোগ না করলেও অনুসন্ধান করে সত্যতা পাওয়া গেলে এসআই আইনুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

;

অপপ্রচার রোধে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নেওয়া হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অপতথ্য ও অপপ্রচার রোধে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দফতর কক্ষে তার সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মার সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

তিনি আরও বলেন, অপতথ্য ও অপপ্রচারের ব্যাপারে ভারতের যেসব প্রতিষ্ঠান কাজ করে তাদের অভিজ্ঞতা, প্রক্রিয়া ও পদ্ধতিগুলো দুই দেশের মধ্যে বিনিময় করা হবে। এখানে কোন প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হলে সে জায়গায় পারস্পরিক সহযোগিতা বিষয়েও আলাপ হয়েছে। চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন খাতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করা হবে। 

প্রতিমন্ত্রী এ সময় সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট যে যে ক্ষেত্রে পারস্পারিক সহযোগিতার সুযোগ আছে, সে বিষয়গুলো নিয়ে ভারতের হাইকমিশনারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে পারস্পারিক সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশ উপকৃত হবে। চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনের ক্ষেত্রে ভারতের যেসব অভিজ্ঞতা রয়েছে সেগুলো আমরা যথাসম্ভব নেয়ার চেষ্টা করব যাতে আমরা এসব ক্ষেত্রে আরও উন্নয়ন করতে পারি।

তিনি এ সময় আরও বলেন, বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) দুই ঘণ্টাব্যাপী একটি সমসাময়িক আন্তর্জাতিক সংবাদ বিশ্লেষণ ও সংবাদ উপস্থাপন আমরা শুরু করতে যাচ্ছি। আন্তর্জাতিক মানে বিটিভিতে যে দুই ঘণ্টার কার্যক্রম শুরু করা হবে সেখানে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের খবরাখবর থাকবে এবং বিশ্ব সংবাদ থাকবে। এ বিষয়ে ভারতের সংবাদ সংস্থাগুলো বিশেষ করে এএনআই (এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনাল)-এর সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি করা যায় কীনা সে বিষয়টি নিয়ে হাইকমিশনারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। বিটিভির এ কার্যক্রম দিয়ে আমরা ভারতীয় দর্শকদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করব।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ভারতের চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের সঙ্গে একটা সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি করা, বিভিন্ন অভিজ্ঞতা বিনিময় ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজন, দুই দেশের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত মুজিব: একটি জাতির রূপকার চলচ্চিত্রের মতো আরও এ রকম চলচ্চিত্র যৌথ প্রযোজনা নির্মাণের সুযোগ আছে কীনা তা খতিয়ে দেখার বিষয়গুলো আলোচনা হয়েছে।

দর্শক চাহিদার আলোকে দুই দেশের মধ্যে চলচ্চিত্র বিনিময়ের বিষয়টিও এ সময় উল্লেখ করেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।

;

পাইপে ফাটল, কর্ণফুলী পেপার মিলে পানি সরবরাহ বন্ধ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,রাঙামাটি
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় অবস্থিত বিসিআইসির অন্যতম কাগজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী পেপার মিলে (কেপিএম) গত ৩ দিন ধরে মিল এলাকা এবং আবাসিক এলাকায় পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ফলে তীব্র গরমে পানির অভাবে এখানে বসবাসরত অফিসার, শ্রমিক, কর্মচারী এবং তাদের পরিবারের জীবনযাত্রা দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে।

কেপিএম এর জিএম (এডমিন) আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, মিলে পানি সরবরাহের জন্য বারঘোনিয়া গেইট সংলগ্ন ফরেস্ট চেক পোস্ট এলাকায় বিশালাকার যে পাইপ রয়েছে সেই পাইপে ফাটল দেখা দিয়েছে। সেই ফাটল দিয়ে অনবরত পানি বের হতে থাকলে ফাটল সারানোর জন্য গত মঙ্গলবার হতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কেপিএম এলাকায় পানি সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বিষয়টি কারখানা এবং আবাসিক এলাকায় বসবাসরত জনগণকে অবহিত করা হয়েছে।

কেপিএম এর প্রধান প্রকৌশলী আবুল কাশেম রনি বলেন, আনুমানিক ১৯৪৮ সালে মাটির প্রায় ১৫ ফুট গভীরে এই পানির পাইপ বসানো হয়েছিল। এই পাইপ ব্যবহার করে কেপিএম এর পানি সরবরাহ করে কাগজ উৎপাদন সহ আবাসিক এলাকায় পানির প্রয়োজন মেটানো হতো। এই পাইপ লাইনে ফাটল ধরায় গত মঙ্গলবার হতে কেপিএম এলাকায় পানি সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে এবং সাময়িক উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়েছে। আমরা আশা করছি বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাতে বা আগামীকাল শুক্রবার সকালের মধ্যে পাইপ লাইন মেরামত করে পানি সরবরাহ স্বাভাবিক করতে পারব এবং উৎপাদনে ফিরতে পারব।

কেপিএম আবাসিক এলাকায় বসবাসরত মিলের সিবিএ সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পানি বন্ধ থাকায় আবাসিক এলাকায় বসবাসরত শ্রমিক কর্মচারী এবং কর্মকর্তারা সাময়িক অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছেন। মিল কতৃপক্ষ দ্রুত এর সংস্কার কাজ করছেন বলে তিনি জানান।

এদিকে কেপিএম এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ( এমডি) মো. আব্দুল হাকিম মিলের বিভাগীয় প্রধানদের নিয়ে ফাটল এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে সংশ্লিষ্টদের দ্রুত পাইপ লাইন মেরামত করার নির্দেশনা দেন।

;

পলাশে প্রাণিসম্পদ মেলা উপলক্ষে খামারিদের সম্মাননা প্রদান



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম, নরসিংদী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

"প্রাণি সম্পদে ভরবো দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ " এই প্রতিপাদ্যে নরসিংদীর পলাশে অনুষ্ঠিত হয়েছে দিনব্যাপী প্রাণিসম্পদ মেলা।

সোমবার (১৮ এপ্রিল) এ লক্ষ্যে পলাশ উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেনারি হাসপাতালের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ শহীদ মিনার মাঠে মেলা উপলক্ষে উপজেলার খামারিদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

পলাশ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার মোঃ শফিকুল আলমের সভাপতিত্বে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শহীদুল্লাহ এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আয়েশা আক্তার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কাউসার আলম সরকার, প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডাক্তার আবু তাহের, মৎস্য কর্মকর্তা শফিকুল আলম, উপজেলা শিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা বোরহানউদ্দিন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ সাজু আর রহমান সহ উপজেলার অন্যান্য কর্মকর্তা ও খামারীগণ উপস্থিত ছিলেন। পরে অতিথিরা মেলায় আগত খামারিদের স্টল পরিদর্শন করেন।

পরে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ২০ জন খামারিদের মাঝে সম্মাননা স্বরূপ সনদপত্র প্রদান করা হয়।

;