ডি-৮ সম্মেলন স্থগিতের আহ্বান বাংলাদেশের
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসউন্নয়নশীল আটটি মুসলিম দেশের জোট ডি-৮ (ডেভেলপিং-৮) এর দশম সম্মেলন স্থগিত করার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। সম্মেলনটি চলতি বছরের ৩০-৩১ মে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন ডি-৮ জোটের বর্তমান সভাপতি দেশ তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসগলুকে লেখা চিঠিতে সম্মেলন স্থগিতের আহ্বান জানান।
সোমবার (১৩ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
চিঠিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী করোনাভাইরাস সংকট থেকে উদ্ধারে একে অপরকে সহযোগিতা করতে ডি-৮ স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি (ডি-৮ এইচএসপি) চালু করার প্রস্তাব দিয়েছেন। এই কর্মসূচি ২০২০ সালের অক্টোবরে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।
ড. মোমেন আরও প্রস্তাব করেন, বাংলাদেশ ও তুরস্ক যৌথ উদ্যোগে ডি-৮-এর সদস্য দেশগুলোর সামগ্রিক অর্থনীতি ও কর্মসংস্থান নিয়ে কোভিড-১৯ সংকটের নেতিবাচক পরিণতি সম্পর্কিত আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনার কৌশল অনুসন্ধান করতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডি-৮ এইচএসপি নিয়ে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে আগামী ২০ এপ্রিল অনলাইন সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সহযোগিতা ও সংহতির প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে ভৌগোলিকভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এই আটটি দেশকে মহামারি মোকাবিলায় লড়াই করার জন্য এ বৈঠকটি কার্যকরী হতে পারে।
প্রত্যাশিত বৈঠকটি ডি-৮ জোটভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে স্বাস্থ্য ও বাস্তুসংস্থান সম্পর্কে অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ার উপায়ও খুঁজে পাবে।
ডি-৮ জোটভুক্ত দেশ বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ও তুরস্ক করোনাভাইরাস মহামারীটির স্বাস্থ্য ও আর্থ-সামাজিক প্রভাব পরিমাপের জন্য একটি গবেষণা পদ্ধতি প্রণয়নের জন্য একমত হতে পারে বলে চিঠিতে উল্লেখ করেন ড. মোমেন।
এইচএসপি'র অনলাইন সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন স্বাস্থ্য বিভাগের ডিজি এবং সহযোগী সংস্থাগুলোর কর্মকর্তারা যারা কোভিড-১৯ নিয়ে জড়িত রয়েছেন। এ সভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, আইএলও, আইএসডিবি, স্বাস্থ্য ও গ্লোবাল উইমেন লিডার্স ইন হেলথ, আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক এবং অংশীদার সংগঠনের গ্লোবাল হেলথ বিশেষজ্ঞরা অংশ নেবেন।